ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

করোনা আতংকে চাবাগানে লকডাউন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে

দেবজ্যোতি মুখার্জী

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২০ ১৯ ০৭ ৩৮  

মালবাজার,

করোনা ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য রাজ্যের শহর ও কয়েকটি জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলার তিন পৌরশহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ডুয়ার্সের মাল ও ধূপগুড়ি পৌরশহরে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও আশেপাশের চা বাগান গুলিকে এখনো লকডাউনের আওতায় আনা হয়নি। এনিয়ে চা বলয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা উঠছে দাবী। 
উত্তরবাংলার চা বলয়ের ডুয়ার্স এলাকার চা বাগান গুলিতে প্রায় ২.৫ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে। এইসব শ্রমিকরা সকল হলেই কারখানা গেট কিম্বা পাতা তোলার আবাদি এলাকায় জমা হয়। পাতা তোলার সময় হয়তো শ্রমিকদের মধ্যে দুরত্ব বজায় থাকলেও ওজন করার সময়, কারখানায় বয়ে আনার সময় গায়ের সাথে গা লেগে যায়। কারখানা ভিতরে দুরত্ব থাকেনা। শুধু তাই নয়,শ্রমিকদের এক বাগান থেকে অন্য চা বাগানে পরিবহনের সময় পিকআপ ভ্যান অথবা ট্রাক্টরে চাপিয়ে গাদাগাদি করে নিয়ে যাওয়া হয়। চাবাগানের শ্রমিকবস্তি গুলির পরিবেশ যথেষ্ট ঘিঞ্জি। তার চাবাগান গুলি থেকে বহু মানুষ ভিন রাজ্যে গিয়েছিল তারা অনেকেই ফিরে এসেছে।    বর্তমান পরিবেশে বিশেষজ্ঞরা যেখানে পরামর্শ দিচ্ছেন দুরত্ব বজায় রাখতে সেখানে চাবাগানে কাজের সময় সেটা সম্ভব হয়না।  
এই কারনে চাবাগানে লকডাউন করার প্রস্তাব দিয়েছে একাধিক শ্রমিক সংগঠন। তৃনমুল কংগ্রেস প্রভাবিত তরাই ডুয়ার্স প্লান্টেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি নকুল সোনার বলেন, চাবাগান গুলির সামাজিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে চাবাগানে যাতে সবেতন লক ডাউন ঘোষণা করা হয় আমরা তার আর্জি জানিয়েছি। 
আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের নেতা জন বারলা বলেন, চাশিল্পকে দ্রুত লকডাউনের আওতায় আনা হোক। নয়তো দুরত্ব বজায় রাখা কষ্টকর হবে। লকডাউন থাকা কালীন মজুরি জারি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বিশেষভাবে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। 
অন্যান্য শ্রমিক সংগঠন গুলির একই অভিমত। 
এনিয়ে জানতে চাওয়া হলে মালিক পক্ষের অন্যতম সংগঠন টি এসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার ডুয়ার্স শাখার সচিব রামঅবতার শর্মা বলেন , বাগান বন্ধ বা লকডাউনের বিষয়ে সরকারি কোন নির্দেশিকা পাইনি। আমরা সরকারের সাথে সবসময় যোগাযোগ রেখে চলছি। সরকার যেরকম নির্দেশ দেবে সেই মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 
এনিয়ে মাল মহকুমা শাসক শান্তুনু বালা বলেন, মালবাজার শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের মধ্যে থাকা সব কলকারখানা বন্ধ থাকবে। শহরের বাইরে থাকা চাবাগান নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন সরকারি নির্দেশ আসেনি।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর