ব্রেকিং:
জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

শনিবার   ১৭ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩২   ১৯ জ্বিলকদ ১৪৪৬

সর্বশেষ:
জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

বৈশাখী - জ্যৈষ্ঠ অনুষ্ঠান

বৈশাখী - জ্যৈষ্ঠ অনুষ্ঠান
মোঃ ইজাজ আহামেদ

বোলপুর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সাম্যবাদী কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে দোলকচাঁপা কাজী নজরুল ফাউন্ডেশন প্রকৃতিত্ব চুরুলিয়া আম্বেদকর কালচারাল কলেজ এবং নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সংস্কৃতি সম্মেলনের পরিচালনায় বোলপুর শান্তিনিকেতনে অনুষ্ঠিত হল বৈশাখী - জৈষ্ঠ অনুষ্ঠান।  উপস্থিত ছিলেন আচার্য পদ্মশ্রী রতন কাহা এছাড়াও দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন প্রকৃত চুরুলিয়ার সম্পাদক সোনালি কাজী। আম্বেদকর কালচারাল কলেজের সম্পাদক দিলীপ বিশ্বাস। আম্বেদকর কালচারাল কলেজের সভাপতি  অপূর্ব কুমার বিশ্বাস। নিখিল ভারত সাহিত্য সম্মেলনের  সম্পাদক ডাক্তার হাসিবুর রহমান চৌধুরী সহ বহু গুণী মানুষজন উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে সাত জনকে বিশ্বকবি শান্তি সম্মান এবং সাতজনকে কাজী নজরুল সাহিত্য সম্বন্ধে ভূষিত করা হয়।  ১৫ ই মে সন্ধে ছটা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বোলপুর যুব আবাসে মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ১৬ই মে (পহেলা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ সাল) সকাল ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান শুরু হয়  বিশ্বভারতির ক্যাম্পাসে।

০৯:০৩ এএম, ১৭ মে ২০২৫ শনিবার

বিজেপির শাসন ও সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ 

বিজেপির শাসন ও সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ 
মজিবুর রহমান, প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল 

         ব্রিটিশ ভারতে ১৮৮৫ সালে একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। এটা ছিল হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান ও শিখ সহ সকল সম্প্রদায়ের একটি সম্মিলিত সংগঠন। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে ভারতের সমস্ত মানুষের হয়ে ব্রিটিশ প্রশাসনের কাছে দাবি দাওয়া উত্থাপন করার একটা 'কমন প্ল্যাটফর্ম'। মুসলমানদের একাংশ ১৯০৬ সালে গঠন করে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ। নামকরণের মধ্যেই সংগঠনের উদ্দেশ্য স্পষ্ট; শুধুমাত্র মুসলিম সমাজের স্বার্থ রক্ষা। মুসলিম লীগ লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। মুসলিম লীগের পাল্টা হিসেবে ১৯১৫ সালে গড়ে ওঠে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। এক্ষেত্রেও নামকরণেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে, সকল ভারতীয় নয়, শুধুমাত্র হিন্দুদের কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করাই হল এদের উদ্দেশ্য। ১৯২৫ সালে গঠিত হয় হিন্দুত্ববাদী সাংস্কৃতিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। পরাধীন ভারতে ১৯৩৫ সাল থেকে যে নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয় সেগুলোতে মুসলমান অধ্যুষিত এলাকায় মুসলিম লীগ মোটামুটি ভালো ফল করলেও হিন্দু মহাসভা কিন্তু খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। স্বাধীন ভারতে ১৯৫২ সালের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের ঠিক আগে ১৯৫১ সালে গঠিত হয় আরেকটি হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনসঙ্ঘ। ১৯৮০ সাল থেকে এটিরই নাম হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আরএসএস-বিজেপি হিন্দুদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি মতাদর্শগতভাবে কমিউনিস্টদের আর জাতিগতভাবে মুসলমানদের বিষ-নজরে দেখে। এর কারণ হল, কমিউনিস্টরা জাতি-ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভাজন করার ঘোরতর বিরোধী এবং সবসময়ই ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে সওয়াল করে। অন্যদিকে, কয়েক শত বছর ধরে মুসলমানরা হিন্দুদের প্রধান প্রতিবেশী হিসেবে বসবাস করছে। ধর্মভিত্তিক ভিন্নতার কারণে হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে যে ব্যবধান রয়েছে তাকে বিভেদ ও বিদ্বেষে পর্যবসিত করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা এবং অহিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে রূপান্তরিত করে ভারতকে একটা মনুবাদী হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করাই হল সঙ্ঘ পরিবারের চূড়ান্ত লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই তারা কাজ করে যাচ্ছে এবং সাফল্যও পাচ্ছে। এই সাফল্যের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বিজেপি সরকারকে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ককে বিষিয়ে তোলার পাশাপাশি দেশবাসীর মধ্যে উগ্ৰ দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সঙ্গে সামরিক সংঘর্ষ আহ্বান করতে দেখা যায়। দেশের অভ্যন্তরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হলে এবং সীমান্তে অশান্তি দেখা দিলে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা  বৃদ্ধি পায়। কয়েকটা উদাহরণ দেওয়া যাক।
         ১৯৯৬ সালে ১৩ দিন প্রধানমন্ত্রী থাকার পর সঙ্ঘ পরিবারের সন্তান অটলবিহারী বাজপেয়ী ১৯৯৮ সালের মার্চ মাসে আবার সরকার গঠন করেন। কিন্তু জোট সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে সূচনা থেকেই সংশয় দেখা দেয়। সেজন্য দেরি না করে তিনি মে মাসেই রাজস্থানের পোখরানে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটানোর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু যে পাকিস্তানকে ভয় দেখাতে বোমা ফাটানো হয়, সেই পাকিস্তানের অন্নের অভাব থাকলেও অস্ত্র রয়েছে যথেষ্ট। সেও একটি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র এবং সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদ তার নিত্যসঙ্গী। প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তানে এখনও গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটেনি। সেজন্য, সেখানে সেনাবাহিনী প্রায়ই রাষ্ট্র ক্ষমতার দখল নেয়। সুতরাং, গোলাবারুদের লড়াইয়ে পাকিস্তানের অরুচি নেই। তাই তারা পোখরানের পাল্টা বিস্ফোরণ ঘটাতে বিলম্ব করেনি। এরপর ১৯৯৯ সালের মে-জুলাইয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কার্গিলে কাজিয়া চলে আর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হয় লোকসভার অন্তর্বর্তী নির্বাচন। বিজেপির হিসাব মিলে যায় এবং তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। প্রচুর সেনার প্রাণের বিনিময়ে কার্গিল যুদ্ধে অর্জিত সাফল্য বিজেপিকে ভোট বৈতরণী পার হতে প্রভূত পরিমাণে সাহায্য করে। তবে একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে কোনো ধোঁয়াশা না থাকলেও কার্গিল যুদ্ধের কাহিনী কিন্তু সমর বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের কাছে বোধগম্য হয়নি। শুধু তাই নয়, কার্গিল যুদ্ধের শহীদ সেনাদের জন্য কফিন কেনা নিয়েও আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটে। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে পাক-জঙ্গিরা ভারতের একটি যাত্রীবাহী বিমান অপহরণ করে কাঠমাণ্ডু থেকে কান্দাহারে নিয়ে যায়। এটাই ছিল ভারতের কোনো অসামরিক বিমান অপহরণের প্রথম ঘটনা। ২০০১-এর ডিসেম্বরে খোদ সংসদ ভবনের ওপর সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় ব্যাপকভাবে জীবনহানি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। বিজেপির নেতানেত্রীরা প্রত্যক্ষভাবে এই দাঙ্গায় জড়িত ছিলেন। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও বিস্ফোরণের অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রী বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা এন আই এ।
         ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দশ বছর কংগ্রেসের ডঃ মনমোহন সিং পরিচালিত সরকারের আমলে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে দেখা যায়নি এবং ভারত-পাক সম্পর্ক অনেকটাই স্বাভাবিক থেকেছে। কিন্তু বিজেপির নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হবার পর কাশ্মীরে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটতে থাকে এবং ভারত-পাক সম্পর্কে চাপান-উতোর শুরু হয়। ভারতের ভ্রমণপ্রিয় ও 'নন- বায়োলজিক্যাল' প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিনা আমন্ত্রণেই বিরিয়ানি খেতে ইসলামাবাদ চলে যান। কিন্তু মোদীজির এই 'মাস্টার স্ট্রোক'-এর কয়েকদিন পরেই ২০১৬ সালের পয়লা জানুয়ারি 'নববর্ষের শুভেচ্ছা' জানাতে পাঞ্জাবের পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে পাক-জঙ্গিরা হামলা চালায় এবং কয়েকদিন ধরে গোলাগুলি চলে। ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে জম্মু-কাশ্মীরের উরির সেনা ছাউনিতে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। কয়েক দিনের মাথায় মোদী সরকার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে জঙ্গি হানার বদলা নেওয়ার দাবি করে। কিন্তু সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও কুপওয়ারা, নাগরোটা প্রভৃতি সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলা হতে দেখা যায়।
         সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের এপ্রিল-মে মাসে। ঠিক তার কয়েক দিন আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি 'প্রেম দিবস'-এ পুলওয়ামা কাণ্ড ঘটে। ২৫০০ সেনা ও ৭৮টি গাড়ির কনভয়ের মধ্যে একজন জঙ্গি বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে এবং ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে প্রাণ হারান প্রায় অর্ধশত সৈনিক, আহত হন আরও অনেকেই। নরেন্দ্র মোদীর আমলে ফ্রিজের মধ্যে থাকা সামান্য গোমাংসের সন্ধান পাওয়া যায় কিন্তু বিভিন্ন সেনানিবাস ও সীমান্ত সন্ত্রাসবাদী হামলার নিশানা হলে তা সময় থাকতে টের পাওয়া যায় না! পুলওয়ামা কাণ্ডে শহীদের মৃত্যুবরণ করলেন সেনারা আর তার রাজনৈতিক ফায়দা তুললেন নরেন্দ্র মোদী। বিজেপির আসনসংখ্যা বাড়ল এবং তিনি পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই ঘটনার সরকারি তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি। বরং অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তির বিশ্লেষণে ওই ঘটনায় সরকারি ষড়যন্ত্রের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। কাশ্মীরের মানুষের বিক্ষোভকে দমন করে 'শ্মশানের শান্তি' কায়েম করা হয়। এহেন কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে গত ২২শে এপ্রিল জঙ্গিহানায় প্রাণ হারালেন অন্তত ২৬জন পর্যটক। জঙ্গিদের তল্লাশিতে বেরিয়ে ২৪ তারিখ শহীদ হলেন ঝণ্টু আলী শেখ নামের একজন জওয়ান। প্রশ্ন হল, সীমান্ত সহ সমগ্ৰ জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র বিভাগের। বলা হয় থাকে, উপত্যকায় প্রতি দশজন মানুষ পিছু একজন সেনা মোতায়েন  রয়েছেন। তারপরও জঙ্গিহানা হতে পারছে কি করে? জঙ্গিরা কোথা থেকে আসছে? কোথায় লুকাচ্ছে? এতদিন জঙ্গিদের ধর্মীয় পরিচয় উল্লেখ করা হত। এবার মৃত ব্যক্তিদের ধর্মীয় পরিচয় নিয়েও প্রচার করা শুরু হল। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার দামামা যথারীতি বাজছে। আসলে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির কারবারীরা ভালোভাবেই জানে যে, ভূস্বর্গে সত্যিকারের শান্তি বিরাজ করলে পাকিস্তানের সঙ্গে বিবাদ করার সুযোগ সংকুচিত হবে আর পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ না হলে অথবা সেই সংঘর্ষে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানি না হলে দেশজুড়ে জাতীয়তাবাদের তীব্র আবেগ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না। ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে ভারতীয় মুসলমানদের পাকিস্তানপন্থী বলে দেগে দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি ও বৃদ্ধি করা সহজ হয়। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে আরও প্রান্তিক করে দেওয়ার চেষ্টা সফল হয়। অন্যদিকে, দেশবাসীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, কর্মসংস্থান সহ সামগ্ৰিক উন্নয়নের মৌলিক বিষয়গুলোকে আলোচনার অগ্ৰাধিকার থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে সরকারের সমালোচনা করা থেকে সকলেই বিরত থাকে। সুতরাং, শাসক বিজেপির একচ্ছত্র কর্তৃত্ব কায়েম করতে দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রয়োজন রয়েছে!
            গত এগারো বছরে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে মোদী সরকার ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশ থেকে হিসাব বহির্ভূত সম্পদ উদ্ধার করে প্রতিটি নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পনেরো লাখ টাকা দেওয়া সহ অধিকাংশ প্রতিশ্রুতি 'জুমলা' বলে প্রমাণিত হয়েছে। নোট বন্দির মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদীদের কোমর ভেঙে দেওয়ার দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু ঘটেনি। বরং নোট বন্দির ফলে দেশের সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে। দেশে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ হয়েছে। আর্থিক বৈষম্য বেড়েছে। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের অবনমন ঘটেছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকেও বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রটির পতন হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়ন করে ভারতীয় সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, সিবিআই, ইডি প্রভৃতি স্বশাসিত সংস্থার স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্ৰহণের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে মুসলিম সমাজকে তাদের ধর্মীয় সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আগেই তিন তালাক আইন প্রণয়ন করে মুসলমানদের বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এরপর হয়তো অভিন্ন দেওয়ানী বিধি প্রবর্তন করার চেষ্টা করা হবে। মুখে 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ'-এর কথা বলা হলেও সত্যিকারের উন্নয়ন ও সুশাসন কোনো সাম্প্রদায়িক সরকারের কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না। তাই সঙ্ঘ পরিবার যতদিন শক্তিশালী থাকবে ততদিন আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি হিন্দু-মুসলমান, মন্দির-মসজিদ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও সন্ত্রাসবাদী হামলার চক্রব্যূহ থেকে বেরোতে পারবে না। হিন্দুত্ববাদীদের হিংস্রতা বাড়লে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনগুলোর সক্রিয়তাও বৃদ্ধি পায়। এজন্য হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের অতিরিক্ত ধর্মীয় আবেগের অন্তর্ধান অত্যন্ত জরুরি। 'হিন্দু ঐক্য জিন্দাবাদ' অথবা 'মুসলিম ঐক্য জিন্দাবাদ' বিপজ্জনক স্লোগান। কোনো রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অথবা সামাজিক সংগঠন যেন ধর্মের নামে মানুষকে 'মুরগি' বানাতে না পারে, এই সচেতনতা অর্জন করতে হবে। অন্ধ আবেগ নয়, প্রতিটি বিষয়কে যুক্তির আধারে বিচার বিবেচনা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

১১:১৮ এএম, ৪ মে ২০২৫ রোববার

POEM - MORE THAN EVER BEFORE !

MORE THAN EVER BEFORE !

Dr Prasana Kumar Dalai (India)

 

 

The Goddess of purity you are to me

I do hatch pain and my pleasure as well

My sleep often breaks for the first time

And I see the morn by rubbing my eyes

The sun light becomes brighter with you 

My day rises from behind the thin clouds 

The moonlight soothes with all the grace

My vibrant mood is hiding nearby me 

If you met me, sadness would be mine

I would console you though I'm broken 

My stars break to start falling nonstop 

I want your novice heart more and more

It incubates in me more than ever before.

 

©️®️Dr Prasana Kumar Dalai@India

১০:২৪ এএম, ৪ মে ২০২৫ রোববার

Poem - When Morning Bore Thee Away

When the Silence Spoke

Dr. Omatee Ann Marie Hansraj (Trinidad and Tobago)

 

Today in reflection,

As I recall so many years ago,

My life changed forever—

Now a widow, now a single parent,

My kids lost their father,

No one to call "Daddy" anymore.

 

Hearts broken, tears endlessly flow,

A husband so dear,

Now walking a different path,

And I—on my own—

With a hollow space in my heart

No one truly understands.

 

So many things still left to do,

So many dreams unfulfilled,

So many words remained unspoken,

So many memories we never got to make.

But here I stand—

On a path that few can understand.

 

I recall the day so clearly,

When the doctor said,

"Take him home… let him rest in peace.

There is nothing more we can do."

We stared back, speechless,

Refusing to believe those words.

 

With every ounce of hope,

I called doctors far and near,

Nursing homes, hospitals—

Locally and beyond—

Clinging to a hope that refused to die,

Still doubting what the doctor said.

 

But you grew weaker,

Your body quiet and still,

No strength, no voice,

Just silence…

You were still with us,

But

১০:১৮ এএম, ৪ মে ২০২৫ রোববার

Poem - Lyrics of humanity, Poet:- Dr. Laxmikanta Dash, India 

Title:- Lyrics of humanity 

Poet:- Dr. Laxmikanta Dash, India 

 

 

Humanity has soothing lyrics 

Its sensation gives beautiful music 

Fragrance sprouts from humanity region 

Everyone gets energetic with healthy satisfaction.

 

Rhymes of humanity gives natural emotion 

Its soft tune invokes divine integration 

Summary of humanity generates world happiness 

Sublime the style of life for happiness.

 

Relentless mentality has no place in humanity 

Its lyric is full of heavenly integrity 

Everyone sings its lovely tender note 

Its emergence gives life a beautiful quote.

 

We can acquire its lyrics by noble learning 

It upheavels life with natural setting 

Pure thought makes life humanitarian ideology 

Its lyrics spread with joy by epistemology.

 

Copyright ©️ reserved.

১০:১৪ এএম, ৪ মে ২০২৫ রোববার

বহু নথি নষ্টের আশঙ্কা

রাত আড়াইটে থেকে জ্বলছে মুম্বইয়ের ইডি দফতর

মুম্বইয়ের ইডি দফতরে গভীর রাতে বিধ্বংসী আগুন লেগেছে। দমকলের ১২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও ধোঁয়া রয়েছে। দফতরে মজুত বহু নথিপত্র পুড়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।

০৮:৪৭ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ রোববার

অনুষ্ঠিত হল আম্বেদকর কালচারাল কলেজের গুণীজন সংবর্ধনা ও বিশেষ আলোচনা চক্র

অনুষ্ঠিত হল আম্বেদকর কালচারাল কলেজের গুণীজন সংবর্ধনা ও বিশেষ আলোচনা চক্র 

 

কলকাতা: ১৪ এপ্রিল বাবাসাহেব ড. বি আর আম্বেদকর স্মরণে কলকাতার মৌলালীর রাজ্য যুব কেন্দ্রের স্বামী বিবেকানন্দ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হল আম্বেদকর কালচারাল কলেজের পরিচালনায় সারাদিনব্যাপী গুণীজন সংবর্ধনা ও বিশেষ আলোচনা চক্র। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ সভার উদ্বোধন করা হয় গাছে জল দিয়ে এবং ১৫ জন বিশিষ্টজনের টর্চ লাইটের আলোয় দূষণ মুক্ত ও নীরোগ পৃথিবীর কামনা করে। এদিন বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রদান করা হয় বিভিন্ন সন্মাননা - 'আম্বেদকর সমাজ আচার্য' ১৫ জনকে, 'আম্বেদকর স্মৃতি স্বর্ণপদক' ১৭ জনকে, গৌতম বুদ্ধ স্মৃতি স্বর্ণপদক ৭ জনকে, গুরুচাঁদ স্মৃতি স্বর্ণপদক ১০ জনকে, 'কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি স্বর্ণপদক' ১২ জনকে, 'মহাপ্রাণ স্মৃতি স্বর্ণপদক' ১২ জনকে, 'কৃত্তিবাস স্মৃতি স্বর্ণপদক' ১০ জনকে, 'সমাজ রত্ন' ৩৫ জনকে, 'সাহিত্যিক রত্ন' ১৬ জনকে, 'কবি রত্ন' ১৮ জনকে, 'সাংবাদিক রত্ন' ১০ জনকে, 'শিল্পী রত্ন' ১৫ জনকে এবং 'শ্রেষ্ঠ সমাজ সেবক' ৭ জনকে। উপস্থিত কয়েকজন সন্মাননা প্রাপকগণ: - কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি স্বর্ণপদক পান কবি মোঃ ইজাজ আহামেদ, সমাজ রত্ন পান এইচ এম রিয়াজুল হক, মোহাম্মাদ আলিউল হক সহিত্যিক রত্ন পান সত্যজিৎ সেন, সৈয়দ শীষমহাম্মদ, মুহা আকমল হোসেন, সামসুদ্দিন বিশ্বাস, , কবি রত্ন পান আয়েশা সিদ্দিকা, সুলতানা পারভিন, আলী সোহরাব, অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, সৈয়দ সোফিয়া নওয়াজ, প্রিয়াংকা নিয়োগী, সাংবাদিক রত্ন পান সইদুল ইসলাম, হামিম হোসেন মণ্ডল প্রমুখ। উপস্থিত সকল গুণীজনদের উক্ত সন্মাননাগুলি দিয়ে ভূষিত করা হয়। তেরটি বিভাগে মোট ১৭০ জন গুণীজনদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

 

 উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন, নমঃশুদ্র ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান মুকুল চন্দ্র বৈরাগ্য, সায়েদা বেগম, ডঃ গোপাল ক্ষেত্রী, স্বামী সর্বসুখানন্দ, স্বামী অচ্যুদানন্দ, দীপা দাস, ব্রহ্মকুমারী পিঙ্কি, আচার্য পৃথ্বীরাজ সেন, আচার্য অরূপ মিত্র, পদ্মশ্রী রতন কাহার, পদ্মশ্রী গোকুল চন্দ্র দাস, নূরনবী জমাদার, দেবকন্যা সেন, ডঃ সমীর শীল, মনোরঞ্জন মন্ডল, যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ প্রীতিকুমার রায়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ মোস্তাক আহমেদ, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ প্রহল্লাদ রায়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরাধা বিশ্বাস, ডাঃ হাসিবুর রহমান চৌধুরী, দানবীর অমর চাঁদ কুন্ডু, সুখেন মজুমদার, বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী নির্মল কুমার মাজি, অধ্যাপক ডঃ আশীষ সানা, ডঃ প্রহল্লাদ রায়, আইআইটিয়ান বিষ্ণুপদ টিকাদার, ডঃ সুশান্ত কুমার মন্ডল, ডাঃ মঞ্জুশ্রী সরকার বসু, ডঃ চন্দ্র শেখর বাগ, কবি ও আইএএস সত্যজিৎ সেন, বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক, কবি ও সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, কবি ও সম্পাদক মোঃ ইজাজ আহামেদ, কবি আব্দুল করিম, কবি প্রিয়াঙ্কা নিয়োগী, কবি ও অধ্যাপক বিশ্বনাথ সাহা, কবি আয়েশা সিদ্দিকা, কবি সুলতানা পারভিন, কবি সৈয়দ সোফিয়া নওয়াজ, কবি সৈয়দ শীষমহাম্মদ, কবি ও সাংবাদিক হামিম হোসেন মণ্ডল, কবি সামসুদ্দিন বিশ্বাস, কবি ও সম্পাদক মুহা আকমাল হোসেন, কবি ও সম্পাদক মোহাম্মাদ আলিউল হক, কবি ও সম্পাদক আলী সোহরাব, সাংবাদিক গোপাল দেবনাথ, সাংবাদিক সইদুল ইসলাম প্রমুখ। স্বাগত ভাষণ দেন অনুষ্ঠান ও কলেজের সম্পাদক দিলীপ বিশ্বাস।

০৮:১০ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার

অনুষ্ঠিত হল আম্বেদকর কালচারাল কলেজের গুণীজন সংবর্ধনা ও বিশেষ আলোচনা চক্র

অনুষ্ঠিত হল আম্বেদকর কালচারাল কলেজের গুণীজন সংবর্ধনা ও বিশেষ আলোচনা চক্র 

 

কলকাতা: ১৪ এপ্রিল বাবাসাহেব ড. বি আর আম্বেদকর স্মরণে কলকাতার মৌলালীর রাজ্য যুব কেন্দ্রের স্বামী বিবেকানন্দ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হল আম্বেদকর কালচারাল কলেজের পরিচালনায় সারাদিনব্যাপী গুণীজন সংবর্ধনা ও বিশেষ আলোচনা চক্র। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ সভার উদ্বোধন করা হয় গাছে জল দিয়ে এবং ১৫ জন বিশিষ্টজনের টর্চ লাইটের আলোয় দূষণ মুক্ত ও নীরোগ পৃথিবীর কামনা করে। এদিন বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রদান করা হয় বিভিন্ন সন্মাননা - 'আম্বেদকর সমাজ আচার্য' ১৫ জনকে, 'আম্বেদকর স্মৃতি স্বর্ণপদক' ১৭ জনকে, গৌতম বুদ্ধ স্মৃতি স্বর্ণপদক ৭ জনকে, গুরুচাঁদ স্মৃতি স্বর্ণপদক ১০ জনকে, 'কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি স্বর্ণপদক' ১২ জনকে, 'মহাপ্রাণ স্মৃতি স্বর্ণপদক' ১২ জনকে, 'কৃত্তিবাস স্মৃতি স্বর্ণপদক' ১০ জনকে, 'সমাজ রত্ন' ৩৫ জনকে, 'সাহিত্যিক রত্ন' ১৬ জনকে, 'কবি রত্ন' ১৮ জনকে, 'সাংবাদিক রত্ন' ১০ জনকে, 'শিল্পী রত্ন' ১৫ জনকে এবং 'শ্রেষ্ঠ সমাজ সেবক' ৭ জনকে। উপস্থিত কয়েকজন সন্মাননা প্রাপকগণ: - কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি স্বর্ণপদক পান কবি মোঃ ইজাজ আহামেদ, সমাজ রত্ন পান এইচ এম রিয়াজুল হক, মোহাম্মাদ আলিউল হক সহিত্যিক রত্ন পান সত্যজিৎ সেন, সৈয়দ শীষমহাম্মদ, মুহা আকমল হোসেন, সামসুদ্দিন বিশ্বাস, , কবি রত্ন পান আয়েশা সিদ্দিকা, সুলতানা পারভিন, আলী সোহরাব, অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, সৈয়দ সোফিয়া নওয়াজ, প্রিয়াংকা নিয়োগী, সাংবাদিক রত্ন পান সইদুল ইসলাম, হামিম হোসেন মণ্ডল প্রমুখ। উপস্থিত সকল গুণীজনদের উক্ত সন্মাননাগুলি দিয়ে ভূষিত করা হয়। তেরটি বিভাগে মোট ১৭০ জন গুণীজনদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

 

 উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন, নমঃশুদ্র ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান মুকুল চন্দ্র বৈরাগ্য, সায়েদা বেগম, ডঃ গোপাল ক্ষেত্রী, স্বামী সর্বসুখানন্দ, স্বামী অচ্যুদানন্দ, দীপা দাস, ব্রহ্মকুমারী পিঙ্কি, আচার্য পৃথ্বীরাজ সেন, আচার্য অরূপ মিত্র, পদ্মশ্রী রতন কাহার, পদ্মশ্রী গোকুল চন্দ্র দাস, নূরনবী জমাদার, দেবকন্যা সেন, ডঃ সমীর শীল, মনোরঞ্জন মন্ডল, যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ প্রীতিকুমার রায়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ মোস্তাক আহমেদ, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ প্রহল্লাদ রায়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরাধা বিশ্বাস, ডাঃ হাসিবুর রহমান চৌধুরী, দানবীর অমর চাঁদ কুন্ডু, সুখেন মজুমদার, বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী নির্মল কুমার মাজি, অধ্যাপক ডঃ আশীষ সানা, ডঃ প্রহল্লাদ রায়, আইআইটিয়ান বিষ্ণুপদ টিকাদার, ডঃ সুশান্ত কুমার মন্ডল, ডাঃ মঞ্জুশ্রী সরকার বসু, ডঃ চন্দ্র শেখর বাগ, কবি ও আইএএস সত্যজিৎ সেন, বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক, কবি ও সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, কবি ও সম্পাদক মোঃ ইজাজ আহামেদ, কবি আব্দুল করিম, কবি প্রিয়াঙ্কা নিয়োগী, কবি ও অধ্যাপক বিশ্বনাথ সাহা, কবি আয়েশা সিদ্দিকা, কবি সুলতানা পারভিন, কবি সৈয়দ সোফিয়া নওয়াজ, কবি সৈয়দ শীষমহাম্মদ, কবি ও সাংবাদিক হামিম হোসেন মণ্ডল, কবি সামসুদ্দিন বিশ্বাস, কবি ও সম্পাদক মুহা আকমাল হোসেন, কবি ও সম্পাদক মোহাম্মাদ আলিউল হক, কবি ও সম্পাদক আলী সোহরাব, সাংবাদিক গোপাল দেবনাথ, সাংবাদিক সইদুল ইসলাম প্রমুখ। স্বাগত ভাষণ দেন অনুষ্ঠান ও কলেজের সম্পাদক দিলীপ বিশ্বাস।

০৮:০৭ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার

অনুষ্ঠিত হল আম্বেদকর কালচারাল কলেজের গুণীজন সংবর্ধনা ও বিশেষ আলোচনা চক্র

অনুষ্ঠিত হল আম্বেদকর কালচারাল কলেজের গুণীজন সংবর্ধনা ও বিশেষ আলোচনা চক্র 

 

কলকাতা: ১৪ এপ্রিল বাবাসাহেব ড. বি আর আম্বেদকর স্মরণে কলকাতার মৌলালীর রাজ্য যুব কেন্দ্রের স্বামী বিবেকানন্দ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হল আম্বেদকর কালচারাল কলেজের পরিচালনায় সারাদিনব্যাপী গুণীজন সংবর্ধনা ও বিশেষ আলোচনা চক্র। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ সভার উদ্বোধন করা হয় গাছে জল দিয়ে এবং ১৫ জন বিশিষ্টজনের টর্চ লাইটের আলোয় দূষণ মুক্ত ও নীরোগ পৃথিবীর কামনা করে। এদিন বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রদান করা হয় বিভিন্ন সন্মাননা - 'আম্বেদকর সমাজ আচার্য' ১৫ জনকে, 'আম্বেদকর স্মৃতি স্বর্ণপদক' ১৭ জনকে, গৌতম বুদ্ধ স্মৃতি স্বর্ণপদক ৭ জনকে, গুরুচাঁদ স্মৃতি স্বর্ণপদক ১০ জনকে, 'কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি স্বর্ণপদক' ১২ জনকে, 'মহাপ্রাণ স্মৃতি স্বর্ণপদক' ১২ জনকে, 'কৃত্তিবাস স্মৃতি স্বর্ণপদক' ১০ জনকে, 'সমাজ রত্ন' ৩৫ জনকে, 'সাহিত্যিক রত্ন' ১৬ জনকে, 'কবি রত্ন' ১৮ জনকে, 'সাংবাদিক রত্ন' ১০ জনকে, 'শিল্পী রত্ন' ১৫ জনকে এবং 'শ্রেষ্ঠ সমাজ সেবক' ৭ জনকে। উপস্থিত কয়েকজন সন্মাননা প্রাপকগণ: - কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি স্বর্ণপদক পান কবি মোঃ ইজাজ আহামেদ, সমাজ রত্ন পান এইচ এম রিয়াজুল হক, মোহাম্মাদ আলিউল হক সহিত্যিক রত্ন পান সত্যজিৎ সেন, সৈয়দ শীষমহাম্মদ, মুহা আকমল হোসেন, সামসুদ্দিন বিশ্বাস, , কবি রত্ন পান আয়েশা সিদ্দিকা, সুলতানা পারভিন, আলী সোহরাব, অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, সৈয়দ সোফিয়া নওয়াজ, প্রিয়াংকা নিয়োগী, সাংবাদিক রত্ন পান সইদুল ইসলাম, হামিম হোসেন মণ্ডল প্রমুখ। উপস্থিত সকল গুণীজনদের উক্ত সন্মাননাগুলি দিয়ে ভূষিত করা হয়। তেরটি বিভাগে মোট ১৭০ জন গুণীজনদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

 

 উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন, নমঃশুদ্র ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান মুকুল চন্দ্র বৈরাগ্য, সায়েদা বেগম, ডঃ গোপাল ক্ষেত্রী, স্বামী সর্বসুখানন্দ, স্বামী অচ্যুদানন্দ, দীপা দাস, ব্রহ্মকুমারী পিঙ্কি, আচার্য পৃথ্বীরাজ সেন, আচার্য অরূপ মিত্র, পদ্মশ্রী রতন কাহার, পদ্মশ্রী গোকুল চন্দ্র দাস, নূরনবী জমাদার, দেবকন্যা সেন, ডঃ সমীর শীল, মনোরঞ্জন মন্ডল, যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ প্রীতিকুমার রায়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ মোস্তাক আহমেদ, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ প্রহল্লাদ রায়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরাধা বিশ্বাস, ডাঃ হাসিবুর রহমান চৌধুরী, দানবীর অমর চাঁদ কুন্ডু, সুখেন মজুমদার, বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী নির্মল কুমার মাজি, অধ্যাপক ডঃ আশীষ সানা, ডঃ প্রহল্লাদ রায়, আইআইটিয়ান বিষ্ণুপদ টিকাদার, ডঃ সুশান্ত কুমার মন্ডল, ডাঃ মঞ্জুশ্রী সরকার বসু, ডঃ চন্দ্র শেখর বাগ, কবি ও আইএএস সত্যজিৎ সেন, বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক, কবি ও সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, কবি ও সম্পাদক মোঃ ইজাজ আহামেদ, কবি আব্দুল করিম, কবি প্রিয়াঙ্কা নিয়োগী, কবি ও অধ্যাপক বিশ্বনাথ সাহা, কবি আয়েশা সিদ্দিকা, কবি সুলতানা পারভিন, কবি সৈয়দ সোফিয়া নওয়াজ, কবি সৈয়দ শীষমহাম্মদ, কবি ও সাংবাদিক হামিম হোসেন মণ্ডল, কবি সামসুদ্দিন বিশ্বাস, কবি ও সম্পাদক মুহা আকমাল হোসেন, কবি ও সম্পাদক মোহাম্মাদ আলিউল হক, কবি ও সম্পাদক আলী সোহরাব, সাংবাদিক গোপাল দেবনাথ, সাংবাদিক সইদুল ইসলাম প্রমুখ। স্বাগত ভাষণ দেন অনুষ্ঠান ও কলেজের সম্পাদক দিলীপ বিশ্বাস।

০৮:০৫ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার

Poems

Stones And Wood I Wept
Sibela Bala

Life brought a great flood
A castle covered me with troubles
I could no longer bear it
Even though my eyes were filled with oil.

Ah my life, how you chased me
You advertised great troubles to me
You never had mercy on me
You brought tears of suffering to me.

As I wanted, it didn't work out for me
Even my birth fate didn't take me
The next round of troubles has come
I don't know how I'll come out of it.

My dreams remained in the drawers
A great aunt is killing me
I don't know how I'll manage
For me, not even a bell rings.

The troubles of the troubles don't clear the way
Paths ours remained busy
I took another look
My trouble is the aunt of the word.

The old men of the weather said in vain
Don't add to the trouble today
They don't make me feel like a drop of tears
I don't feel the trouble from the weather.

I have this mountain and I have this field
I have a drop of tears over my gills
Night and day I have been going
I have wept over stones and wood.



Darling
Sibela Bala

You came as 15 spring
You came as a 15-day-old moon
You came as a flower of a garden
You came like a green light
You are full of love and soul
You are my sweet.


You woke up my dreams again
Thank you very much, love
You and my heart
Full of smiles and kindness
You and only you
You know how to make me feel good again
Beloved again
You and only you.

You are the moon that illuminates me
You are the sun that always fills me
You are my beautiful scent
That always relaxes my soul
It calms me down
You are my beauty always
Your beautiful face always
What kind of love will you get, you add to me
You and only you dear.




Will You Remember Me?
Sibela Bala


I've always loved you
You never believed me
I have always adored you
Why didn't you appreciate me?
I always misunderstood you
And you never tolerated me.


It will come one day soon
You asked me
They will remember my good deeds
The love I gave her
Hugs and the time I dedicated to you
You will regret it a lot
Why didn't you respect me?


There will come a day that you begged for
I'll tell you again
It will be too late for you
I might have dripped tears from my eyes
Yes, I will not be your destiny
You will ask me again
I won't be by your side, don't be surprised.


About the Poetess:
The author Sibela Bala, born in Albania, completed her studies in Albania, then took her journey to immigrate for a better and more stable living income, but she never gave up literature. which I have a passion for since birth, where later even at school, dignity was extended in every parameter of time.

০৯:৪৭ এএম, ৮ মার্চ ২০২৫ শনিবার

Poem - Health!

 

 

Health!

Hussein Habasch 

 

Early in the morning 

The man runs to build his muscles 

And keeps his health.

Early in the morning 

The woman runs to make 

The flowers bloom 

And nature keeps its health!

 

স্বাস্থ্য !

হুসেইন হাবাশ্চ 

অনুবাদ: মোঃ ইজাজ আহামেদ

 

খুব ভোরে 

লোকটি তার পেশীগুলি তৈরি করতে দৌড়ায় 

এবং তার স্বাস্থ্য রাখে বজায় ।

খুব ভোরে 

মহিলা বানাতে দৌড়ায় 

ফুলগুলি ফোটে 

এবং প্রকৃতি তার স্বাস্থ্য বজায় রাখে! 

 

*এই কবিতাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে মোঃ ইজাজ আহামেদ - এর দ্বারা অরঙ্গাবাদ, মুর্শিদাবাদ পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে। (This poem has been translated into Bengali from English by Md Ejaj Ahamed from Aurangabad, Murshidabad, West Bengal, India)* 

 

About the Poet:

Hussein Habasch is a poet from Afrin, Kurdistan. His poems have been translated into more than 35 languages, and has had his poetry published in a large number of international poetry anthologies, more than 150 anthologies. He has a large number of books, many of which have been translated into international. He participated in many international festivals of poetry including: Colombia, Nicaragua, France, Puerto Rico, Mexico, Germany, Romania, Lithuania, Morocco, Ecuador, El Salvador, Kosovo, Macedonia, Costa Rica, Slovenia, China, Taiwan, Cuba, Sweden, New York City, Sarajevo, Greece, Albania, Cyprus, India... Recipient of the Great Kurdish Poet Hamid Bedirkhan Award, awarded by the General Union of Kurdish Writers and Journalists. As well as the International “Bosnian Stećak” award for Poetry, awarded by the Bosnia and Herzegovina Writers Union. Kathak International Literary Award from Bangladesh, it is given him at the World Thinkers and Writers for Peace

Forum in Kolkata, India.

 

০৭:২৫ পিএম, ৭ মার্চ ২০২৫ শুক্রবার

Poems

 

 

Sensation of Spring 

Dr. Laxmikanta Dash, India 

 

Sensitive emotion comes 

When you come in spring session 

Rejuvenate my passion of attraction 

Gaze an aroma of beauty sensation.

 

Butterfly kisses your bosom 

Her romantic wings give sweet summon 

Magical feeling spread in spring 

Lovely atmosphere collects vernal scene.

 

Melodious breeze kisses my heart 

Brings past memories to make life vibrant 

Cascading love of dew makes me opulent 

Sprouts my passion exuberant.

 

Pleasure spring makes me delight 

Enchants urge to unite with you for romantic 

Solace of tender words makes me aplomb 

Congruous my love in spring for blossom.

 

Oh Loving spring! Come again and again 

Whisper to my soul for a new session 

My heartbeat reborns by your infinite romance 

Echo of heart makes me fragrant .

 

©®Dr. Laxmikanta Dash, India 

 

 

Smile of Peace 

Dr. Laxmikanta Dash, India 

 

Make peace smile for life 

Which will abdicates all your strife 

Pursuance for peace nurtures existence 

Sagacious mind only realise its importance.

 

Peace smile when solution comes 

It gives enlightenment for world outcomes 

Love for others makes peace energetic 

It dwells in happiness for pious optimistic.

 

Peace is benevolent for world sustenance 

Tendency of affinity is its natural consonance 

Peace behaves equally in every segments

Fulfills life with a new happident.

 

Never give up peace smile in life 

It boost energy for world vibe 

Staying in peace horizon very difficult 

It makes reunion of different cult.

 

Copyright ©️ reserved.

 

 

 Marketing of Humanity 

 Dr. Laxmikanta Dash, India 

 

Piousness of humanity,

Now marketing in society,

Everyone buying its value freely,

Without facing any constraints regidly.

 

Now money is the ingredient of humanity 

It collects social recognition and vanity 

Identified like a protagonist of humanism 

Wareing fake veil of humanity treats as superhumanism.

 

True sense of humanity manifests in human behaviour 

It requires love and affection in everyday behaviour 

It doesn't require any name, fame or advertisement 

Its only aspiration to make humanitarian fervent.

 

Don't involves your goodness in narrow sense 

This isn't the real method of humanitarian essence 

Humanity will not sustain in fake marketing

It only requires commitment towards existential being.

 

Copyright ©️ reserved

 

 

 

About the Poet 

Prof. (Dr)Laxmikanta Dash is a multi-faceted personality and a bilingual poet who has excelled his proficiency in various field of art and culture. At present Dr. Dash is serving as Head of the Department (HOD), Education at Sukinda College, Sukinda, Jajpur, Odisha having more than twenty-nine years of teaching experiences.

 

Dr. Dash garnered numerous accolades from various literary organisations in India and abroad. He has received more than thirty three numbers of honorary doctorates from various universities and literacy organisations of the world. To his credit Dr. Dash has received prestigious honorary D- Litt from UNO and Theopany University, USA in Education. He also received Global Poet Award, Best English Writer Award from Bangladesh, Clasical English literature award and his poem published in Hyper poem, Guinness world records, Apart from this he has received hundreds of awards and recognitions from various literary organisations in India and abroad. His book "Pritira satadala, Priti Lagna,Cascading love, Pseudo humanity, Peace Resurrected Educational Philosophy of Sri Sri Thakur Anukulchandra A Great Ideal man of Twentieth Century"are highly acclaimed by the readers.

 

 

 

*Collected from the poet by Md Ejaj Ahamed of Aurangabad, Murshidabad, West Bengal, India*

০৯:৫২ এএম, ৭ মার্চ ২০২৫ শুক্রবার

Puspaprovat Patrika