ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

বছর ভর কাজের দাবি সিভিকদের

পুষ্প প্রভাত ডেস্ক

প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০১৯ ১৭ ০৫ ১৭  

২০১৩ সালে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের সমস্ত জেলায় সিভিক ভলান্টিয়ার

নিয়োগ করেন|
 তারই মধ্যে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও মালদা এই চারটি জেলার থানাগুলিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের  প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করানো হয় বছরের ছয়মাস|
ছয়মাস সরকারি দায়িত্ব পালন করার পর,
 কেউ সংসারের তাগিদে ছুটে, ভিন রাজ্যে কেউ নিজের চাষের জমিতে আবার কেউ টোটো চালায়|
 এককথায় বেশিরভাগই নিম্নমানের কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হয়ে যায়|
মালদা জেলার প্রতেকটা থানার মতো,
 ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিনে চাঁচল থানাতেও  হয়ে গেলো দ্বিতীয় তালিকা ভুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিদায়কালীন পর্ব|

এই বছরে বালুরঘাট সদর থেকে আসা চাঁচোলের নতুন আই সি সুকুমার ঘোষ মিষ্টিমুখ  হাতে কলম ও মানিব্যাগ দিয়ে বিদায়ী সংবর্ধনা করলেন দ্বিতীয় তালিকাভুক্ত
 সিভিকদের |
আই সি সাহেব বলেন, বিভিন্ন সামাজিক ও ধার্মিক অনুষ্ঠানে ট্রাফিকে ট্রাফিকে  এই হাড় কাপানো শীতকালীন মরসুমে ভালো দায়িত্ব পালন করেছে সিভিক ভলেন্টিয়ারা|
আই সি  সাহেব আরো বলেন,
 প্রসঙ্গত আমি খুবই দুঃখিত আধছাড়া করতে হয়  সিভিকদের|
 এদিকে বিদায়কালীন সময়ে সিভিক নোডাল অফিসার বলেন, আমি হোয়াটস্যাপ গ্রুপে  সকলকে ডিউটি ভাগ করে দিতাম|
পেট্রোলিংয়ে গেলে দেখতে পেতাম সকলেই গন্তব্যস্থানে সঠিক সময়ে উপস্থিত হয়েছেন|
 এই ফোর্স থাকায় নিরাপত্তা 
অনেকটাই বেড়েছে|
এই দ্বিতীয় তালিকায় 370 জন পুরুষ ও 50 জন মহিলা মোট 420 জন সিভিক কর্মরত ছিলেন|
দ্বিতীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার বলেন ২০১৩ সালে আমাদের বেতন ছিল ২৮০০ তারপর ৫৫০০ এরপর ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে আমাদের বেতন হয়েছে ৮০০০ টাকা|
 বিতনে সন্তুষ্ট হলেও অর্ধ বৎসর কর্মহারা হতে
হয় |
সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে |
তাই বিদায়কালীন সময়ে,
চাঁচল থানার সমস্ত সিভিক উত্তর মালদা সাংসদ মৌসম নূরকে একটি আবেদন পত্র লিখেন|
  পত্রে লিখেন আমরা মালদা জেলার সিভিক ভলান্টিয়ারগণ ২০১৩ সন থেকে কর্মরত|
বলাবাহুল্য প্রথম ও দ্বিতীয় প্যানেল হিসেবে কাজ করতে হয়|
বহু নিবেদনের পর কর্তৃপক্ষ,
৬ মাস অন্তর প্যানেল পরিবর্তন করতঃ  চাকুরী করতে হয়| অথচ ইহা আমাদের ভাগ্যের পরিহাস নয় বা বিস্তারিত বলা বাহুল্য মনে করি|
দুই প্যানেল ভুক্ত
সিভিক ফোর্সরা আরো বলেন,
বহুবার বিভাগীয় প্রধানদের আবেদন করা সত্ত্বেও সুবিধা পায়নি| আমরা ৬ মাস বসে থেকে বৃদ্ধ পিতা মাতার সেবা, সংসার জীবনে প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি|
 তারা উত্তর মালদা সাংসদকে আরো লিখেন, এই পরিস্থিতিতে আপনার কৃপাধান্যে সকলকে কাজ করার সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি 
প্রয়োগ সাপেক্ষ ৩৬৫ দিনই যাতে আমরা কাজ পায়, তার সুবিচার করার জন্যে আবেদন করছি| অবশেষে চাঁচল থানার ৬ মাস্ কর্মহারা সিভিকেরা আবেদনের মধ্যে বলেন, 
 আমাদের প্রতি কৃপাদৃষ্টি বর্ষণ করে অবিলম্বে বাস্তবায়িত করার আদর্শ দানে প্রদান করতঃ এবং ফলশ্রুতি হিসেবে মালদা জেলার এক অনুরনন সৃষ্টি হবে তা বলাই বাহুল্যI

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর