বছর ভর কাজের দাবি সিভিকদের
পুষ্প প্রভাত ডেস্ক
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৫:৩৮ পিএম, ২ মার্চ ২০১৯ শনিবার
২০১৩ সালে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের সমস্ত জেলায় সিভিক ভলান্টিয়ার
নিয়োগ করেন|
তারই মধ্যে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও মালদা এই চারটি জেলার থানাগুলিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করানো হয় বছরের ছয়মাস|
ছয়মাস সরকারি দায়িত্ব পালন করার পর,
কেউ সংসারের তাগিদে ছুটে, ভিন রাজ্যে কেউ নিজের চাষের জমিতে আবার কেউ টোটো চালায়|
এককথায় বেশিরভাগই নিম্নমানের কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হয়ে যায়|
মালদা জেলার প্রতেকটা থানার মতো,
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিনে চাঁচল থানাতেও হয়ে গেলো দ্বিতীয় তালিকা ভুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিদায়কালীন পর্ব|
এই বছরে বালুরঘাট সদর থেকে আসা চাঁচোলের নতুন আই সি সুকুমার ঘোষ মিষ্টিমুখ হাতে কলম ও মানিব্যাগ দিয়ে বিদায়ী সংবর্ধনা করলেন দ্বিতীয় তালিকাভুক্ত
সিভিকদের |
আই সি সাহেব বলেন, বিভিন্ন সামাজিক ও ধার্মিক অনুষ্ঠানে ট্রাফিকে ট্রাফিকে এই হাড় কাপানো শীতকালীন মরসুমে ভালো দায়িত্ব পালন করেছে সিভিক ভলেন্টিয়ারা|
আই সি সাহেব আরো বলেন,
প্রসঙ্গত আমি খুবই দুঃখিত আধছাড়া করতে হয় সিভিকদের|
এদিকে বিদায়কালীন সময়ে সিভিক নোডাল অফিসার বলেন, আমি হোয়াটস্যাপ গ্রুপে সকলকে ডিউটি ভাগ করে দিতাম|
পেট্রোলিংয়ে গেলে দেখতে পেতাম সকলেই গন্তব্যস্থানে সঠিক সময়ে উপস্থিত হয়েছেন|
এই ফোর্স থাকায় নিরাপত্তা
অনেকটাই বেড়েছে|
এই দ্বিতীয় তালিকায় 370 জন পুরুষ ও 50 জন মহিলা মোট 420 জন সিভিক কর্মরত ছিলেন|
দ্বিতীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার বলেন ২০১৩ সালে আমাদের বেতন ছিল ২৮০০ তারপর ৫৫০০ এরপর ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে আমাদের বেতন হয়েছে ৮০০০ টাকা|
বিতনে সন্তুষ্ট হলেও অর্ধ বৎসর কর্মহারা হতে
হয় |
সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে |
তাই বিদায়কালীন সময়ে,
চাঁচল থানার সমস্ত সিভিক উত্তর মালদা সাংসদ মৌসম নূরকে একটি আবেদন পত্র লিখেন|
পত্রে লিখেন আমরা মালদা জেলার সিভিক ভলান্টিয়ারগণ ২০১৩ সন থেকে কর্মরত|
বলাবাহুল্য প্রথম ও দ্বিতীয় প্যানেল হিসেবে কাজ করতে হয়|
বহু নিবেদনের পর কর্তৃপক্ষ,
৬ মাস অন্তর প্যানেল পরিবর্তন করতঃ চাকুরী করতে হয়| অথচ ইহা আমাদের ভাগ্যের পরিহাস নয় বা বিস্তারিত বলা বাহুল্য মনে করি|
দুই প্যানেল ভুক্ত
সিভিক ফোর্সরা আরো বলেন,
বহুবার বিভাগীয় প্রধানদের আবেদন করা সত্ত্বেও সুবিধা পায়নি| আমরা ৬ মাস বসে থেকে বৃদ্ধ পিতা মাতার সেবা, সংসার জীবনে প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি|
তারা উত্তর মালদা সাংসদকে আরো লিখেন, এই পরিস্থিতিতে আপনার কৃপাধান্যে সকলকে কাজ করার সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি
প্রয়োগ সাপেক্ষ ৩৬৫ দিনই যাতে আমরা কাজ পায়, তার সুবিচার করার জন্যে আবেদন করছি| অবশেষে চাঁচল থানার ৬ মাস্ কর্মহারা সিভিকেরা আবেদনের মধ্যে বলেন,
আমাদের প্রতি কৃপাদৃষ্টি বর্ষণ করে অবিলম্বে বাস্তবায়িত করার আদর্শ দানে প্রদান করতঃ এবং ফলশ্রুতি হিসেবে মালদা জেলার এক অনুরনন সৃষ্টি হবে তা বলাই বাহুল্যI