ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

Poem - The Desert Land

 

 

The Desert Land

Farzaneh Dorri (Iran)

 

Whispered words,

Fall and gather,

Like rain,

In the cracks and crevices

Of a parched mind;

Too few: 

Fade into the dust

Like a fleeting caress

Too many: 

Erode the crumbling soil

In a desperate flood.

Weary 

Of both drought and deluge,

This desert land waits

For the gentle persistence

Of spring.

 

 

মরুভূমি

ফারজানেহ ডোরি (ইরান)

অনুবাদ: মোঃ ইজাজ আহামেদ (ভারত)

 

 ফিসফিস শব্দ,

 পড়ে এবং জড় হয়,

 বৃষ্টির মত,

 ফাটল এবং ফাটলে

 একটি শুকনো মনের;

 খুব কম: 

 ধুলোয় বিবর্ণ

 একটি ক্ষণস্থায়ী স্নেহের মত

 অনেক বেশি: 

 খেয়ে ফেলো ক্ষয়প্রাপ্ত মাটি

 একটি প্রচণ্ড বন্যাতে।

 ক্লান্ত 

 খরা এবং মহাপ্লাবন উভয়েরই,

 এই মরুভূমি অপেক্ষা করে

 ভদ্র অস্তিত্বের জন্য

 বসন্তের

 

*এই কবিতাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে মোঃ ইজাজ আহামেদ- এর দ্বারা অরঙ্গাবাদ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে।

(This poem has been translated into Bengali from English by Md Ejaj Ahamed from Aurangabad, Murshidabad, West Bengal, India)*

০৬:০২ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার

Poem - The Refugee Children

 

 

The Refugee Children

Abdu Rahman (Mayanmar)

 

Refugee children who survive,

In different refugee camps.

They seek the right to thrive,

Not a chance to be champ.

 

Playing, gun shots and hiding,

The future becomes darker.

There is no hope for education,

No reparation except relocation.

 

Oh! It's not a crime being Rohingya born. 

The Inhumane ones have scorned us.

It's enough! We don't want to be illiterate, 

Refuge has the rights to educate, debate.

 

Children deserve a future as bright, 

As any child in developed worlds, might. 

 

 

 

 

শরণার্থী শিশুরা 

আব্দু রহমান (মায়ানমার)

অনুবাদ: মোঃ ইজাজ আহামেদ (ভারত)

 

 উদ্বাস্তু শিশু যারা বেঁচে আছে,

 বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে।

 তারা উন্নতির অধিকার খোঁজে,

 নেই সুযোগ চ্যাম্পিয়ন হতে।

 

 খেলা, বন্দুকের গুলি এবং লুকিয়ে থাকা,

 ভবিষ্যৎ হয়ে যায় অন্ধকার।

 নেই কোন আশা শিক্ষার, 

 নেই কোনো ক্ষতিপূরণ স্থানান্তর ছাড়া 

 

 ওহ! রোহিঙ্গা জন্মানো অপরাধ না। 

 নিষ্ঠুর ব্যক্তিরা আমাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

 এটা যথেষ্ট! আমরা নিরক্ষর হতে চাই না, 

 শরণার্থীদের শিক্ষার, বিতর্কের অধিকার আছে।

 

 শিশুরা উজ্জ্বল ভবিষ্যত পাওয়ার যোগ্য, 

 হতে পারে উন্নত বিশ্বের যেকোনো শিশুর মতো। 

 

 

*এই কবিতাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে মোঃ ইজাজ আহামেদ - এর দ্বারা অরঙ্গাবাদ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে।

This poem has been translated into Bengali from English by Md Ejaj Ahamed from Aurangabad, Murshidabad, West Bengal, India)*

 

০৫:৫৯ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার

Poems

About the Poet
Mohamed Ellaghafi a Moroccan poet, writer, and publisher, was born on December 7, 1960, In Casablanca. He is the founder and current president of the University of Moroccan Creators and the founder of the National Poetry Award in Morocco. He has published more than fifteen books, ranging from poetry to short stories, and has participated in significant national and Arab poetry gatherings. He is considered one of the pioneers of modern poetry in Morocco, with his beginnings tracing back to the early 1980s as the founder of the (Five Senses) poetic movement, an artistic movement that emerged to align with the course of modernity.
Currently, he publishes in the Qatari magazine Doha, the London-based newspaper Al-Zaman, and the Egyptian magazine Al-Ahram. He was also honored by the Moroccan Ministry of Culture in 2019, In Beirut and Cairo In 2014, and by several prestigious associations both nationally and internationally.
His works have been translated into several languages, including English, French, Persian, German, Albanian, Italian and Korean.


THEY’RE ALL… LIES, MY FATHER

Father,
Oh Father,
The sky barely rains
But pain,
And the eyes of the weary,
Desperate,
Like autumn leaves that fall,
The heart drops
At the doorstep of the wind.
And the news tonight—
Lies.
The language of love—
Lies.
The days,
And my city when It smiles—
Lies.
Even my mother,
When she reassures me about my homeland—
Lies.
The poems of hope,
And dreams,
And visions,
Children’s songs,
The banners of rights,
Promises,
And treaties of peace—
Lies.
Oh Father,
Oh my deep wound,
Oh my hidden depth,
What is the silence's link
To the discord of places?





ABOUT TO DEPART

War
Is not all that fills this suitcase,
And all this spilled blood
Is not enough
To make
A lily bloom in the whiteness of a cloud.
...........................
Love
Is all that fills this suitcase,
And this rain falling in your eyes
Might be
Enough
For a rose to grow
Within the chambers of the heart.
My dear,
Love is a language against war.
I will be careful at the station,
Careful.
The suitcase
Will never change,
But I fear
That the water In your eyes
Might.
Translated by Hassan Yarti

০৯:৫৬ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার

ফাতেহা দোয়াজ দাহাম ও ফাতেহা ইয়াজ দাহামের দিনে বিশ্ব মানবতার উত্তোরণে হোক দোয়া

ফাতেহা দোয়াজ দাহাম ও ফাতেহা ইয়াজ দাহামের দিনে বিশ্ব মানবতার উত্তোরণে হোক দোয়া 

 

খগেন্দ্রনাথ অধিকারী

 

 আরবিতে ফতেহা শব্দের অর্থ হোল প্রার্থনা বা দোয়া। আর দোয়াজ দাহাম শব্দের অর্থ একসাথে বারোর প্রার্থনা। মহানবি হজরত মহম্মদের জন্মদিন হিসাবে এই দিবসটি পালন করা হয়। উল্লেখ্য যে ইসলাম ধর্মে জন্মদিন বা মৃত্যুদিনকে আড়ম্বর সহকারে পালনের বিধান নেই। অত্যন্ত অনাড়ম্বরভাবে মহানবির এই জন্মদিনটিকে বিশেষ প্রার্থনা, দোয়ার মাধ্যমে তাই উদ্‌যাপন করা হয়। ইংরাজী ৫৭০ মতান্তরে ৫৭১ খৃষ্টাব্দে মা ফতেমার গর্ভ থেকে মহানবি মক্কার এক পাহাড়ী উপত্যকায় জন্মগ্রহণ করেন। আসলে আরবি মাস "রবিউল আউয়াল"-এর ১২ তারিখে সোমবার হজরত মহম্মদ জন্মগ্রহণ করেন। তাই এই দিনের প্রার্থনাকে বারোর প্রার্থনা বা "ফতেহা দোয়াজ দাহাম" বলা হয়।

আর একটি কথা। "রবিউল" শব্দের আরবিতে অর্থ হোল বসন্ত বা চিরসবুজ। ইসলামী বিশেষজ্ঞরা বলেন যে মক্কাসহ গোটা আরব ভূখণ্ড ছিল মরুময়। কিন্তু মা ফতেমার গর্ভে মহানবি আসার সময় থেকে গোটা প্রাকৃতিক পরিবেশ সেখানে পাল্টে যায়। সবুজে সবুজে গোটা এলাকা ভরে যায়। গাছে গাছে দেখা দেয় রকমারী ফুল ও ফলের সমারোহ। মহানবির পবিত্র জন্মদিনে তাই বিশ্বজুড়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিম ভাই বোনরা সর্ব্বশক্তিমানের কাছে দোয়া করেন, প্রার্থনা করেন বিশ্ববাসীর সুখ--শান্তি সমৃদ্ধির জন্য, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এক পৃথিবীর জন্য। এবারেও, এই ২০২৪ সালেও, ফতেহা দোয়াজ দাহামে তার কোনই অন্যথা হবে না। 

অনেকেই ফতেহা দোয়াজ দাহাম ও ফতেহা ইয়াজ দাহাম এই দুইটিকে এক করে ফেলেন।ইয়াজ দাহাম কিন্তু ফরাসী শব্দ ।এর অর্থ হলো এগারোতম দিন ।এটি হোল হজরত কাদের জিলানির ওফাত দিবস।হিজরি পাঁচশ একষট্টি সালের এগারোই রবিউস সানি ওনার এন্তেকাল হয়।তাঁর স্মরণে বিশ্বজুড়ে এইদিন প্রার্থনা করেন শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য ।পনেরোই অক্টোবর দুহাজার চব্বিশে এবারে সেই ফতেহা ইয়াজ দাহামের দিন।আর দুহাজার চব্বিশ সালের ষোলই সেপ্টেম্বর ছিল ফতেহা দোয়াজ দাহামের দিন।

আমরা জানি যে আমরা আজ এই একবিংশ শতাব্দীতে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার বিস্ময়কর বিজয় যাত্রার যুগে বসবাস করছি। তবুও আমরা বোলবো যে মহানবি হজরত মহম্মদের ৫৭০/৫৭১ খৃষ্টাব্দে জন্মের পূর্ববর্তী সময়কাল ও আজকের যুগের তুলনামূলক বিচারে

কিম্বা পরমপূজ্য হজরত কাদের জিলানির পাঁচশ একষট্টি হিজরিতে ওফাত দিবসের বিচারে, ক্ষুধা--দারিদ্র্য--বেকারী--হানাহানি, ইত্যাদির দৃষ্টিকোণে, আমরা এখন মোটেও কোন ভালো অবস্থায় নেই। বরং বলা যায় যে আমরা বাহ্যিক দৃষ্টিতে অনেক উন্নততর অবস্থানে থাকলেও, আজো আমরা কার্যতঃ পড়ে আছি প্রাক--মহানবি--জন্মকালের আগের পরিস্থিতির মধ্যে। কি আমাদের রাজ্যপরিস্থিতি, কি আমাদের জাতীয় পরিস্থিতি, কি আমাদের বিশ্বপরিস্থিতি, সব কিছুর নিরীখে আমরা এই কথাই বলতে পারি।

প্রথমেই আমরা ধরি আমাদের রাজ্য পশ্চিমবাংলার অবস্থার কথা। আমাদের কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় লিখেছিলেন--

"ধনধান্যে পুষ্পে ভরা,

আমাদের এই বসুন্ধরা।"

কিন্তু সেই "ধনধান্যে পুষ্পে ভরা বসুন্ধরা" আজ শশ্মানে পরিণত হয়েছে। কৃষি--শিল্প সমস্ত কিছুই আজ শেষ। বেকারীর পাহাড় এই রাজ্যে। হাজারো রকমের "ডোল" দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে অমূক শ্রী তমুক শ্রী ইত্যাদির নামে। সীমাহীন দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ণ আজ এই রাজ্যে। দুর্বৃত্তদের হাতে মানুষ মরছে প্রতিদিন নির্বিচারে। দুর্নীতি জেনে ফেলেছিল বলেই আর. জি. কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসককে খুন হতে হয়েছে। আজও তার কিনারা হয়নি। সরকারের প্রচার মাধ্যমে দুবেলা বলা হচ্ছে উন্নয়ন, উন্নয়ন। আমাদের জানতে ইচ্ছা করে এই উন্নয়ন কার উন্নয়ন? এই উন্নয়ন কি রিজওয়ানুয়ের বাবার উন্নয়ন? এই উন্নয়ন কি হরিয়ানার গোরক্ষকদের হাতে নিহত পশ্চিমবাংলার পরিযায়ী শ্রমিক সাবিরের পরিবারের উন্নয়ন? এই উন্নয়ন কি সিঙ্গুরে জমিহারা কৃষকদের উন্নয়ন অথবা যে তরুণরা রাজ্যে শিল্পায়ণের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখেছিল, এ উন্নয়ন কি তাদের উন্নয়ন? মোটেও তা নয়। এই উন্নয়ন হোল কিছু গোরু চোর, কয়লা চোর, বালি চোর, সোনা চোর, চাকরি চোর, মেছোঘেরীর মালিক, ইটভাঁটার মালিক, প্রোমোটার ও কনট্রাকটরদের উন্নয়ন। তারা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ দিন দিন আরও নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। শাসকগোষ্ঠী কখনো সংখ্যালঘু তোষণ, কখনো সংখ্যাগুরু তোষণের মাধ্যমে হিন্দু--মুসলিমে বিভাজন তৈরী করে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে। তাদের পুতনা রাক্ষসী রাজে কর্মহীন মানুষরা এরাজ্য ছেড়ে রুটি রুজির সন্ধানে ভিন রাজ্যে যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে অপুষ্টি, অর্ধাহার, অস্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ, ইত্যাদিতে কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ কেউ মারা যাচ্ছে অকালে। আবার কেউ কেউ উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদীদের আক্রমণের শিকার হয়ে লাশ হয়ে ফিরে আসছে শ্মশান শয্যায় বা গোরস্থানে। 

তাই এবারে ফতেহা ইয়াজ দাহামে বা দোয়াজ দাহামে মোমিন ভাইদের প্রার্থনা হবে পশ্চিমবাংলা যেন ধাপ্পাবাজি "লক্ষ্মীরভাণ্ডার"-এ পরিণত না হয়ে সত্যিকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে পরিণত হয়। যেন কৃষি, শিল্প, সামাজিক পরিবেশ সব কিছুতেই এই রাজ্যে মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হয় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রকৃত বাতাবরণের আবহে যেন কবিগুরুর পদধূলি ধন্য বাংলা "সোনার বাংলা"য় পরিণত হয়। সমৃদ্ধিতে পশ্চিমবাংলা আগামী দিনে ভরে উঠুক, এটাই হোক এই দুই দিবসের আবেদন ।

ঠিক একইভাবে এই পবিত্র দিনদুইটিতে সর্ব্বশক্তিমানের কাছে তাঁদের প্রার্থনা হোক ভারতের স্থিতি, স্থায়িত্ব, ও সমৃদ্ধি নিয়ে। ইতিহাস সাক্ষ্যদেয় যে আমাদের এই মহানদেশ একা হিন্দুর নয়, একা মুসলমানের নয়, একা খৃষ্টানের নয়, এই দেশ হোল হিন্দু--মুসলিম--বৌদ্ধ--খৃষ্টান সকলের। বহুত্ববাদী সংস্কৃতির যে ধারা অশোক--আকবর--দারাশিকো--বিবেকানন্দ--রবীন্দ্রনাথ--কাজী নজরুল প্রমুখের হাতে সমৃদ্ধ হয়েছে, সেই ধারা আজ আমাদের দেশে বিপন্ন। আমাদের দেশে আজ চলছে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি। ফলে এদেশে আজ মানুষ গৌণ। মুখ্য হোল তার ধর্মীয় পরিচয়। কোথাও এখন এই আসমুদ্রহিমাচল ভারতবর্ষের কোথাও কোথাও একজন মানুষের জীবনের চেয়ে একটি গোরুর মূল্য অনেক বেশী। কোথাও রামের নামে, কোথাও রহিমের নামে হচ্ছে নির্মম নিষ্ঠুর গণহত্যা। আমাদের জন্মভূমি ভারতবর্ষ এই গভীর সংকটের হাত থেকে মুক্ত হোক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিমণ্ডল পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হোক, এটাই হোক সকল মোমিনের দোয়া। 

আমাদের দেশ ঐতিহ্যগতভাবে বরাবর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী, বর্ণ বৈষম্যবাদ বিরোধী ও ঔপনিবেশিকতাবাদ বিরোধী। কিন্তু সেই মহান আদর্শ থেকে বিচ্যূত হয়ে আমাদের দেশের বর্তমান সরকার এখন সাম্রাজ্যবাদীদের তাঁবেদারে পরিণত হয়েছে। এদেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সকল মানুষ জাতিধর্ম নির্বিশেষে ভারত সরকারের এই লেজুড়বৃত্তির বিরুদ্ধে লড়ছেন। তাঁদের এই লড়াই যেন সফল হয় এবং এই লড়াই-এর চাপে যেন বর্তমান দিল্লীর সরকার বিদেশনীতির ক্ষেত্রে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অবস্থান নিতে বাধ্য হয়, এটা হোক সকলের ঐ দিন দুইটিতে নমাজের শেষে মোনাজাত। 

পরিশেষে, আমাদের রাজ্য ও আমাদের দেশের মত গোটা বিশ্ব পরিস্থিতিও আজ খুব জটিল। সাম্রাজ্যবাদ ও সংকীর্ণ ধর্মীয় মৌলবাদ আজ রক্তের বন্যায় গোটা পৃথিবীকে আজ রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। কোথাও হিন্দু মৌলবাদ, কোথাও বৌদ্ধ মৌলবাদ, কোথাও খৃষ্টান মৌলবাদ, কোথাও ইহুদি মৌলবাদ ধর্মের দোহাই পেড়ে এই কাণ্ড করছে। মায়ানমারে বৌদ্ধ মৌলবাদীরা মুসলিম হবার অপরাধে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের রক্তে সেদেশের মাটিকে রক্তে লাল করে দিচ্ছে। আবার সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যথা আফগানিস্থান, সিরিয়া, আলজেরিয়া প্রমুখ দেশে উগ্র ইসলামিক মৌলবাদ ইসলামিক স্টেট নাম ধরে বা আফগানিস্থানে তালিবান নাম ধরে শুধু অমুসলিমদেরকেই নয়, সুস্থ চিন্তার মুসলিম ভাইবোনদেরকে খুন করছে। ভারতবর্ষে দিকে দিকে উগ্র হিন্দু মৌলবাদীরা খৃষ্টান ও মুসলিমদের রক্তে যমুনা--গঙ্গা--সবরমতীর তীরকে ভাসিয়ে দিচ্ছে। উত্তরপূর্ব্ব ভারতে উগ্র খৃষ্টান আধিপত্যবাদ ও উগ্র হিন্দু মৌলবাদীদের দ্বন্দ্বে মণিপুরসহ বিভিন্ন সবুজ পাহাড় আজ রক্তে লাল। সংকীর্ণ মুসলিম বিদ্বেষের দৃষ্টিকোণে উগ্র ইহুদি মৌলবাদ জর্ডানের তীর ও গাজার প্রান্তরকে লালে লাল করে দিচ্ছে মানুষের রক্তে।

মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তার সংকীর্ণ তেলের রাজনীতির স্বার্থে ইসরায়েলকে মদত করে গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে কেন্দ্র করে তৃতীয় মহাযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরী করছে। ইরাণ, লেবালন প্রমুখ দেশ মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে প্যালেস্টাইন মুক্তি সংগ্রামীদের পাশে সংগত কারণেই দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আজ প্যালেস্টাইনের পক্ষে থাকলেও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও ইসরায়েল মরীয়া হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। লজ্জার কথা যে আমাদের দেশের ঐতিহ্যগত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভারত সরকার ইসরায়েল ও আমেরিকার এই যুদ্ধ প্রয়াসকে সমর্থন করছে। এক কথায় বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা আজ বিপন্ন। 

এই পরিস্থিতিতে গোটা পৃথিবীকে বাঁচাতে পবিত্র ফতেহা দোয়াজ দহমের ও ইয়াজ দাহামের দিনে, এবারে মোমিন ভাইরা অবশ্যই প্রার্থনা করবেন সাম্রাজ্যবাদ ও সব রকমের ধর্মীয় মৌলবাদের নিশ্চিত পরাজয় ও মানবতাবাদ এবং বিশ্ব শান্তিরবাদের তথা প্যালেস্টাইন মুক্তি সংগ্রামের জয়ের লক্ষে, এ আমাদের দৃঢ় আশা ও প্রত্যয়। 

 

      

লেখক পরিচিতি

অধ্যাপক খগেন্দ্রনাথ অধিকারী রাষ্ট্রীয় বিদ্যাসরস্বতী পুরস্কার ও এশিয়া প্যাসিফিক পুরস্কার সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহু পুরস্কার প্রাপ্ত একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ। ইনি কোলকাতার সাউথ সিটি (দিবা) কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

ঠিকানা-শরনিয়ার বাগান

পোষ্ট-টাকী, পিন-৭৪৩৪২৯

পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

০৮:৩১ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার

ফাতেহা দোয়াজ দাহাম ও ফাতেহা ইয়াজ দাহামের দিনে বিশ্ব মানবতার উত্তোরণে হোক দোয়া

ফাতেহা দোয়াজ দাহাম ও ফাতেহা ইয়াজ দাহামের দিনে বিশ্ব মানবতার উত্তোরণে হোক দোয়া 

 

খগেন্দ্রনাথ অধিকারী

 

 আরবিতে ফতেহা শব্দের অর্থ হোল প্রার্থনা বা দোয়া। আর দোয়াজ দাহাম শব্দের অর্থ একসাথে বারোর প্রার্থনা। মহানবি হজরত মহম্মদের জন্মদিন হিসাবে এই দিবসটি পালন করা হয়। উল্লেখ্য যে ইসলাম ধর্মে জন্মদিন বা মৃত্যুদিনকে আড়ম্বর সহকারে পালনের বিধান নেই। অত্যন্ত অনাড়ম্বরভাবে মহানবির এই জন্মদিনটিকে বিশেষ প্রার্থনা, দোয়ার মাধ্যমে তাই উদ্‌যাপন করা হয়। ইংরাজী ৫৭০ মতান্তরে ৫৭১ খৃষ্টাব্দে মা ফতেমার গর্ভ থেকে মহানবি মক্কার এক পাহাড়ী উপত্যকায় জন্মগ্রহণ করেন। আসলে আরবি মাস "রবিউল আউয়াল"-এর ১২ তারিখে সোমবার হজরত মহম্মদ জন্মগ্রহণ করেন। তাই এই দিনের প্রার্থনাকে বারোর প্রার্থনা বা "ফতেহা দোয়াজ দাহাম" বলা হয়।

আর একটি কথা। "রবিউল" শব্দের আরবিতে অর্থ হোল বসন্ত বা চিরসবুজ। ইসলামী বিশেষজ্ঞরা বলেন যে মক্কাসহ গোটা আরব ভূখণ্ড ছিল মরুময়। কিন্তু মা ফতেমার গর্ভে মহানবি আসার সময় থেকে গোটা প্রাকৃতিক পরিবেশ সেখানে পাল্টে যায়। সবুজে সবুজে গোটা এলাকা ভরে যায়। গাছে গাছে দেখা দেয় রকমারী ফুল ও ফলের সমারোহ। মহানবির পবিত্র জন্মদিনে তাই বিশ্বজুড়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিম ভাই বোনরা সর্ব্বশক্তিমানের কাছে দোয়া করেন, প্রার্থনা করেন বিশ্ববাসীর সুখ--শান্তি সমৃদ্ধির জন্য, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এক পৃথিবীর জন্য। এবারেও, এই ২০২৪ সালেও, ফতেহা দোয়াজ দাহামে তার কোনই অন্যথা হবে না। 

অনেকেই ফতেহা দোয়াজ দাহাম ও ফতেহা ইয়াজ দাহাম এই দুইটিকে এক করে ফেলেন।ইয়াজ দাহাম কিন্তু ফরাসী শব্দ ।এর অর্থ হলো এগারোতম দিন ।এটি হোল হজরত কাদের জিলানির ওফাত দিবস।হিজরি পাঁচশ একষট্টি সালের এগারোই রবিউস সানি ওনার এন্তেকাল হয়।তাঁর স্মরণে বিশ্বজুড়ে এইদিন প্রার্থনা করেন শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য ।পনেরোই অক্টোবর দুহাজার চব্বিশে এবারে সেই ফতেহা ইয়াজ দাহামের দিন।আর দুহাজার চব্বিশ সালের ষোলই সেপ্টেম্বর ছিল ফতেহা দোয়াজ দাহামের দিন।

আমরা জানি যে আমরা আজ এই একবিংশ শতাব্দীতে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার বিস্ময়কর বিজয় যাত্রার যুগে বসবাস করছি। তবুও আমরা বোলবো যে মহানবি হজরত মহম্মদের ৫৭০/৫৭১ খৃষ্টাব্দে জন্মের পূর্ববর্তী সময়কাল ও আজকের যুগের তুলনামূলক বিচারে

কিম্বা পরমপূজ্য হজরত কাদের জিলানির পাঁচশ একষট্টি হিজরিতে ওফাত দিবসের বিচারে, ক্ষুধা--দারিদ্র্য--বেকারী--হানাহানি, ইত্যাদির দৃষ্টিকোণে, আমরা এখন মোটেও কোন ভালো অবস্থায় নেই। বরং বলা যায় যে আমরা বাহ্যিক দৃষ্টিতে অনেক উন্নততর অবস্থানে থাকলেও, আজো আমরা কার্যতঃ পড়ে আছি প্রাক--মহানবি--জন্মকালের আগের পরিস্থিতির মধ্যে। কি আমাদের রাজ্যপরিস্থিতি, কি আমাদের জাতীয় পরিস্থিতি, কি আমাদের বিশ্বপরিস্থিতি, সব কিছুর নিরীখে আমরা এই কথাই বলতে পারি।

প্রথমেই আমরা ধরি আমাদের রাজ্য পশ্চিমবাংলার অবস্থার কথা। আমাদের কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় লিখেছিলেন--

"ধনধান্যে পুষ্পে ভরা,

আমাদের এই বসুন্ধরা।"

কিন্তু সেই "ধনধান্যে পুষ্পে ভরা বসুন্ধরা" আজ শশ্মানে পরিণত হয়েছে। কৃষি--শিল্প সমস্ত কিছুই আজ শেষ। বেকারীর পাহাড় এই রাজ্যে। হাজারো রকমের "ডোল" দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে অমূক শ্রী তমুক শ্রী ইত্যাদির নামে। সীমাহীন দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ণ আজ এই রাজ্যে। দুর্বৃত্তদের হাতে মানুষ মরছে প্রতিদিন নির্বিচারে। দুর্নীতি জেনে ফেলেছিল বলেই আর. জি. কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসককে খুন হতে হয়েছে। আজও তার কিনারা হয়নি। সরকারের প্রচার মাধ্যমে দুবেলা বলা হচ্ছে উন্নয়ন, উন্নয়ন। আমাদের জানতে ইচ্ছা করে এই উন্নয়ন কার উন্নয়ন? এই উন্নয়ন কি রিজওয়ানুয়ের বাবার উন্নয়ন? এই উন্নয়ন কি হরিয়ানার গোরক্ষকদের হাতে নিহত পশ্চিমবাংলার পরিযায়ী শ্রমিক সাবিরের পরিবারের উন্নয়ন? এই উন্নয়ন কি সিঙ্গুরে জমিহারা কৃষকদের উন্নয়ন অথবা যে তরুণরা রাজ্যে শিল্পায়ণের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখেছিল, এ উন্নয়ন কি তাদের উন্নয়ন? মোটেও তা নয়। এই উন্নয়ন হোল কিছু গোরু চোর, কয়লা চোর, বালি চোর, সোনা চোর, চাকরি চোর, মেছোঘেরীর মালিক, ইটভাঁটার মালিক, প্রোমোটার ও কনট্রাকটরদের উন্নয়ন। তারা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ দিন দিন আরও নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। শাসকগোষ্ঠী কখনো সংখ্যালঘু তোষণ, কখনো সংখ্যাগুরু তোষণের মাধ্যমে হিন্দু--মুসলিমে বিভাজন তৈরী করে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে। তাদের পুতনা রাক্ষসী রাজে কর্মহীন মানুষরা এরাজ্য ছেড়ে রুটি রুজির সন্ধানে ভিন রাজ্যে যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে অপুষ্টি, অর্ধাহার, অস্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ, ইত্যাদিতে কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ কেউ মারা যাচ্ছে অকালে। আবার কেউ কেউ উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদীদের আক্রমণের শিকার হয়ে লাশ হয়ে ফিরে আসছে শ্মশান শয্যায় বা গোরস্থানে। 

তাই এবারে ফতেহা ইয়াজ দাহামে বা দোয়াজ দাহামে মোমিন ভাইদের প্রার্থনা হবে পশ্চিমবাংলা যেন ধাপ্পাবাজি "লক্ষ্মীরভাণ্ডার"-এ পরিণত না হয়ে সত্যিকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে পরিণত হয়। যেন কৃষি, শিল্প, সামাজিক পরিবেশ সব কিছুতেই এই রাজ্যে মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হয় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রকৃত বাতাবরণের আবহে যেন কবিগুরুর পদধূলি ধন্য বাংলা "সোনার বাংলা"য় পরিণত হয়। সমৃদ্ধিতে পশ্চিমবাংলা আগামী দিনে ভরে উঠুক, এটাই হোক এই দুই দিবসের আবেদন ।

ঠিক একইভাবে এই পবিত্র দিনদুইটিতে সর্ব্বশক্তিমানের কাছে তাঁদের প্রার্থনা হোক ভারতের স্থিতি, স্থায়িত্ব, ও সমৃদ্ধি নিয়ে। ইতিহাস সাক্ষ্যদেয় যে আমাদের এই মহানদেশ একা হিন্দুর নয়, একা মুসলমানের নয়, একা খৃষ্টানের নয়, এই দেশ হোল হিন্দু--মুসলিম--বৌদ্ধ--খৃষ্টান সকলের। বহুত্ববাদী সংস্কৃতির যে ধারা অশোক--আকবর--দারাশিকো--বিবেকানন্দ--রবীন্দ্রনাথ--কাজী নজরুল প্রমুখের হাতে সমৃদ্ধ হয়েছে, সেই ধারা আজ আমাদের দেশে বিপন্ন। আমাদের দেশে আজ চলছে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি। ফলে এদেশে আজ মানুষ গৌণ। মুখ্য হোল তার ধর্মীয় পরিচয়। কোথাও এখন এই আসমুদ্রহিমাচল ভারতবর্ষের কোথাও কোথাও একজন মানুষের জীবনের চেয়ে একটি গোরুর মূল্য অনেক বেশী। কোথাও রামের নামে, কোথাও রহিমের নামে হচ্ছে নির্মম নিষ্ঠুর গণহত্যা। আমাদের জন্মভূমি ভারতবর্ষ এই গভীর সংকটের হাত থেকে মুক্ত হোক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিমণ্ডল পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হোক, এটাই হোক সকল মোমিনের দোয়া। 

আমাদের দেশ ঐতিহ্যগতভাবে বরাবর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী, বর্ণ বৈষম্যবাদ বিরোধী ও ঔপনিবেশিকতাবাদ বিরোধী। কিন্তু সেই মহান আদর্শ থেকে বিচ্যূত হয়ে আমাদের দেশের বর্তমান সরকার এখন সাম্রাজ্যবাদীদের তাঁবেদারে পরিণত হয়েছে। এদেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সকল মানুষ জাতিধর্ম নির্বিশেষে ভারত সরকারের এই লেজুড়বৃত্তির বিরুদ্ধে লড়ছেন। তাঁদের এই লড়াই যেন সফল হয় এবং এই লড়াই-এর চাপে যেন বর্তমান দিল্লীর সরকার বিদেশনীতির ক্ষেত্রে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অবস্থান নিতে বাধ্য হয়, এটা হোক সকলের ঐ দিন দুইটিতে নমাজের শেষে মোনাজাত। 

পরিশেষে, আমাদের রাজ্য ও আমাদের দেশের মত গোটা বিশ্ব পরিস্থিতিও আজ খুব জটিল। সাম্রাজ্যবাদ ও সংকীর্ণ ধর্মীয় মৌলবাদ আজ রক্তের বন্যায় গোটা পৃথিবীকে আজ রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। কোথাও হিন্দু মৌলবাদ, কোথাও বৌদ্ধ মৌলবাদ, কোথাও খৃষ্টান মৌলবাদ, কোথাও ইহুদি মৌলবাদ ধর্মের দোহাই পেড়ে এই কাণ্ড করছে। মায়ানমারে বৌদ্ধ মৌলবাদীরা মুসলিম হবার অপরাধে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের রক্তে সেদেশের মাটিকে রক্তে লাল করে দিচ্ছে। আবার সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যথা আফগানিস্থান, সিরিয়া, আলজেরিয়া প্রমুখ দেশে উগ্র ইসলামিক মৌলবাদ ইসলামিক স্টেট নাম ধরে বা আফগানিস্থানে তালিবান নাম ধরে শুধু অমুসলিমদেরকেই নয়, সুস্থ চিন্তার মুসলিম ভাইবোনদেরকে খুন করছে। ভারতবর্ষে দিকে দিকে উগ্র হিন্দু মৌলবাদীরা খৃষ্টান ও মুসলিমদের রক্তে যমুনা--গঙ্গা--সবরমতীর তীরকে ভাসিয়ে দিচ্ছে। উত্তরপূর্ব্ব ভারতে উগ্র খৃষ্টান আধিপত্যবাদ ও উগ্র হিন্দু মৌলবাদীদের দ্বন্দ্বে মণিপুরসহ বিভিন্ন সবুজ পাহাড় আজ রক্তে লাল। সংকীর্ণ মুসলিম বিদ্বেষের দৃষ্টিকোণে উগ্র ইহুদি মৌলবাদ জর্ডানের তীর ও গাজার প্রান্তরকে লালে লাল করে দিচ্ছে মানুষের রক্তে।

মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তার সংকীর্ণ তেলের রাজনীতির স্বার্থে ইসরায়েলকে মদত করে গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে কেন্দ্র করে তৃতীয় মহাযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরী করছে। ইরাণ, লেবালন প্রমুখ দেশ মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে প্যালেস্টাইন মুক্তি সংগ্রামীদের পাশে সংগত কারণেই দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আজ প্যালেস্টাইনের পক্ষে থাকলেও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও ইসরায়েল মরীয়া হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। লজ্জার কথা যে আমাদের দেশের ঐতিহ্যগত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভারত সরকার ইসরায়েল ও আমেরিকার এই যুদ্ধ প্রয়াসকে সমর্থন করছে। এক কথায় বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা আজ বিপন্ন। 

এই পরিস্থিতিতে গোটা পৃথিবীকে বাঁচাতে পবিত্র ফতেহা দোয়াজ দহমের ও ইয়াজ দাহামের দিনে, এবারে মোমিন ভাইরা অবশ্যই প্রার্থনা করবেন সাম্রাজ্যবাদ ও সব রকমের ধর্মীয় মৌলবাদের নিশ্চিত পরাজয় ও মানবতাবাদ এবং বিশ্ব শান্তিরবাদের তথা প্যালেস্টাইন মুক্তি সংগ্রামের জয়ের লক্ষে, এ আমাদের দৃঢ় আশা ও প্রত্যয়। 

 

      

লেখক পরিচিতি

অধ্যাপক খগেন্দ্রনাথ অধিকারী রাষ্ট্রীয় বিদ্যাসরস্বতী পুরস্কার ও এশিয়া প্যাসিফিক পুরস্কার সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহু পুরস্কার প্রাপ্ত একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ। ইনি কোলকাতার সাউথ সিটি (দিবা) কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

ঠিকানা-শরনিয়ার বাগান

পোষ্ট-টাকী, পিন-৭৪৩৪২৯

পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

০৮:২৯ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার

POEM - AUTUMN OFF BEAT

 

AUTUMN OFF BEAT

Parvinder Nagi (India)

 

The melancholy of welcoming 

The winter season 

Precludes the off beat of Autumn

With a fall of transcend colours.

Between the seasons …

Comes the scent of caressing breeze;

Kissing your skin galore 

Provoking smile ,

whilst the colourful fall of leaves;

Whispers the promises of 

Reoccurring in the new season, 

Keeping you warm 

Enthralling you in its arms.

Before the chill of winter settles in 

With the crispy air

Autumn fall is here…

Stealing the hearts

Embracing into the dark nights 

Promising to engulf 

In its warm long arms of winter tresses…!!

 

Copyright: Parvinder Nagi

 

 

 

অদ্ভুত শরৎ 

পারবিন্দর নাগি (ভারত)

অনুবাদ: মোঃ ইজাজ আহামেদ (ভারত)

 

 স্বাগত জানানোর বিষণ্ণতা 

 শীতের মৌসুম 

 প্রতিরোধ করে শরতের সাধারণতা 

 অতিক্রান্ত রঙের পতনের সঙ্গে।

 ঋতুর মধ্যে…

 আসে স্নেহপূর্ণ বাতাসের ঘ্রাণ;

 তোমার ত্বককে করছে চুম্বন প্রচুর পরিমাণ 

 উদ্দীপক হাসি,

 পাতার রঙিন পতনের সময়;

 প্রতিশ্রুতি ফিসফিস করে 

 নতুন মৌসুমে পুনরাবৃত্তির 

 তোমাকে উষ্ণ রাখছে 

 এর বাহুতে তোমাকে মুগ্ধ করছে

 শীতের ঠাণ্ডা বসার আগেই 

 সাথে খাস্তা বাতাস

 শরৎ এখানে…

 হৃদয় চুরি করছে 

 অন্ধকার রাতে আলিঙ্গন 

 পূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি 

 শীতের গাছেদের উষ্ণ লম্বা বাহুগুলিতে…!!

 

 

*এই কবিতাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে মোঃ ইজাজ আহামেদ - এর দ্বারা অরঙ্গাবাদ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে।

(This poem has been translated into Bengali from English by Md Ejaj Ahamed from Aurangabad, Murshidabad, West Bengal, India)

১০:০৮ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার

Poem - When I Need You

When I Need You

Zezabek MarhMark (Philippines)

 

When I need you 

I just close 

My eyes 

Imagine the

Happy moment 

When we chat each other, then.

 

When I need you

Just Imagine your

Always with me

Hanging around

In chat, love we found

And enjoy up to late hour. 

 

When I need I pretend 

You are still with me.

Distance is not a hindrance

Cellphone is our entrance 

To have fun with each other

And sharing things in chat together. 

 

Copyright ©️ Reserved 

Zezabek MarhMark Philippines

 

 

 

যখন আমার তোমাকে প্রয়োজন

জেজাবেক মার্থমার্ক (ফিলিপাইনস)

অনুবাদ: মোঃ ইজাজ আহামেদ (ভারত)

 

 যখন আমার তোমাকে প্রয়োজন 

 আমি শুধু বন্ধ করি

 আমার নয়ন

 কল্পনা করো 

 আনন্দের মুহূর্ত 

 আমরা যখন একে অপরের সাথে খোশগল্প করি, তখন।

 

 যখন আমার তোমাকে প্রয়োজন

 শুধু তোমার কল্পনা

 সবসময় আমার সাথে

 চারিদিকে ঝুলছে

 আড্ডায়, প্রেম আমরা পেয়েছি

 এবং বিলম্ব সময় পর্যন্ত উপভোগ করো 

 

 যখন আমার দরকার তখন আমি ভান করি 

 এখনো আমার সাথে আছো তুমি।

 কোনো বাধা নয় ব্যবধান

 সেলফোন আমাদের প্রবেশদ্বার 

 একে অপরের সাথে মজা করা

 এবং একসাথে আড্ডায় জিনিস শেয়ার করা।

 

 

 

*এই কবিতাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে মোঃ ইজাজ আহামেদ - এর দ্বারা অরঙ্গাবাদ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে।

This poem has been translated into Bengali from English by Md Ejaj Ahamed from Aurangabad, Murshidabad, West Bengal, India)*

০৬:৪৫ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার

বাংলায় অমুসলিমদের ইসলাম চর্চা

বাংলায় অমুসলিমদের ইসলাম চর্চা

মজিবুর রহমান, প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল 

 

      শত শত বছর ধরে পাশাপাশি অবস্থান করলেও বাংলার হিন্দু ও মুসলমানরা পরস্পরকে ভাল করে বুঝতে চেষ্টা করেনি, এরূপ একটা অভিযোগ বা উপলব্ধি আমাদের অনেকেরই রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের ঘটনা ঘটার জন্য দুটো সম্প্রদায়ের পরস্পরকে জানার এই অনাগ্ৰহ অনেকাংশেই দায়ী বলে মনে করা হয়। পরস্পরকে যথেষ্ট পরিমাণে না জানার কারণে কিছু কিছু বিস্ময়কর বিভ্রাটও ঘটে থাকে।যেমন, বাঙালি বলতে এখনও আমরা অনেকেই শুধুমাত্র হিন্দুদেরই বুঝে থাকি। ধারণাটা এই রকম- মুসলমানদের একটাই পরিচয় তারা মুসলমান; তারা বাঙালি, বিহারী অথবা মারাঠি হতে পারে না। বাংলার কোনো মুসলমানকে ভালো বাংলা বলতে শুনে কোনো কোনো হিন্দু বিস্মিত হন, কারণ তাদের ধারণা হল, মুসলমানদের মাতৃভাষা বাংলা নয়; উর্দু অথবা আরবি।দুর্গা, কালী, সরস্বতী, শিব, গণেশ প্রভৃতি দেবদেবীর নামে আলাদা আলাদা পুজোর মতোই যে মুসলমানদের দুটো ঈদের পৃথক নামকরণ- ঈদ উল ফিতর এবং ঈদ উল আযহা- রয়েছে, তাও অধিকাংশ হিন্দু প্রতিবেশীর অজানা। পরস্পরকে ঠিকঠাক না জানার এই আবহের মধ্যেই সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের কিছু উচ্চবর্গীয় ব্যক্তিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সম্পর্কে খুব নিঁচু মনোভাব পোষণ করতে দেখা যায়।ন্যায্য সমালোচনার সীমা ছাড়িয়ে মুসলমানদের ধর্ম ও শিক্ষা-সংস্কৃতিকে তীব্র আক্রমণ করে তাঁরা সম্প্রীতির সম্মুখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। তবে আশার কথা এই যে, অন্যায্য উপেক্ষা ও কটাক্ষের বিপরীতে ইসলাম ও মুসলমানদের আন্তরিকভাবে জানতে উদ্যোগী হয়েছেন এমন বিখ্যাত অমুসলমান ব্যক্তির সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাঁদেরই কয়েকজনের কথা বর্তমান নিবন্ধে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

      বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৩) ইসলাম ধর্মের মূল সত্যকে অনুধাবন করতে সচেষ্ট হন। ইসলামের সুফিবাদ তাঁকে আকৃষ্ট করে। একেশ্বরবাদ নিয়ে তিনি ফারসি ভাষায় রচনা করেন 'তুহফাত-উল-মুয়াহিদ্দীন'।বইটির ভূমিকা লেখা হয় আরবি ভাষায়। বাংলার নবজাগরণের আরেক পুরোধা ব্যক্তিত্ব ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেন (১৮৩৮-১৮৮৪) ইসলাম সম্পর্কে জানতে খুব আগ্ৰহী ছিলেন। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কিত তাঁর একটি গ্ৰন্থ হল 'হাফেজ'।

      মুসলমানদের প্রধান ধর্মগ্ৰন্থ পবিত্র কোরআনের প্রথম বঙ্গানুবাদ করেন বিশিষ্ট ব্রাহ্ম নেতা গিরিশচন্দ্র সেন (১৮৩৫-১৯১০)। ইসলামি সাহিত্য সাধনায় তিনি যেভাবে আত্মনিয়োগ করেন তা এককথায় অভূতপূর্ব। ইসলাম চর্চার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ওপর জোর না দিয়ে তিনি অভিজ্ঞ মাওলানাদের কাছে আরবি উর্দু ফারসি ভাষা শেখেন। ইসলাম ধর্মের ব্যাপারে পাণ্ডিত্য অর্জন করার জন্য তাঁকে মৌলভী বলা হত। আবার হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান সব সম্প্রদায়ের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ছিলেন বলে মানুষ তাঁকে ভালোবেসে 'ভাই' বলতো। গিরিশচন্দ্র ইসলাম বা মুসলিম সমাজ সম্পর্কে মৌলিক গ্ৰন্থ রচনার পাশাপাশি মুসলমান পণ্ডিতদের লেখা বহু বইয়ের বঙ্গানুবাদ করেন।যেমন, মধ্যযুগের প্রখ্যাত পারস্য কবি শেখ শাদির 'গুলিস্তান ও বুস্তান' গ্ৰন্থের কয়েকটি গল্পের বঙ্গানুবাদ করে প্রকাশ করা হয় 'হিতোপদেশমালা'। বিভিন্ন ওলি-আওলিয়ার জীবন কাহিনি অবলম্বনে রচিত ফারসি কবি মাওলানা ফরিদ উদ্দীন আত্তারের গ্ৰন্থ 'তাযকিরাতুল আওলিয়া'র বঙ্গানুবাদ 'তাপসমালা' গিরিশচন্দ্রের একটি বড় কাজ।পূর্বে উল্লেখিত রামমোহন রায়ের 'তুহফাত-উল-মুয়াহিদ্দীন'-এর বঙ্গানুবাদ করে তিনি ধর্মতত্ত্ব পত্রিকায় প্রকাশ করেন। 'মহাপুরুষচরিত' গ্ৰন্থে হযরত ইব্রাহিম, দাউদ, মুসার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়। তিন খণ্ডে প্রকাশিত 'জীবনচরিতমালা' শীর্ষক গ্ৰন্থে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবনের নানান দিকের ওপর আলোকপাত করা হয়। ভাই গিরিশচন্দ্রের আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পুস্তক হল 'ইমাম হাসান ও হোসাইন'; প্রথম চার খলিফার জীবন নিয়ে 'চারিজন ধর্মনেতা'; হযরত খাদেজা, ফতেমা, আয়েশা ও রাবেয়ার জীবন সম্পর্কে 'চারি সাধ্বী মোসলমান নারী'; ফারসি থেকে ধর্মীয় নীতি কথার অনুবাদ 'তত্ত্বরত্নমালা'; হাদিসের বঙ্গানুবাদ 'হাদিস-পূর্ব বিভাগ' ও 'হাদিস-উত্তর বিভাগ' ইত্যাদি। কুরআনের বঙ্গানুবাদ বাংলা সাহিত্যে গিরিশচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ অবদান। তিনি পর্যায়ক্রমে মোট ১২ খণ্ডে এই অনুবাদ কর্ম সমাপ্ত করেন। প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৮৮১ সালের ডিসেম্বর মাসে।একজন অমুসলমানের কুরআনের বঙ্গানুবাদ নিয়ে মুসলিম সমাজের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়ে গিরিশচন্দ্র কিছুটা সন্ধিহান ছিলেন।৩২ পৃষ্ঠার প্রথম খণ্ডে তাই অনুবাদকের নাম রাখা হয়নি। কিন্তু এক এক করে খণ্ডগুলো যতই প্রকাশিত হতে থাকে ততই সেগুলো মুসলিম সমাজে প্রশংসিত হতে দেখা যায়। মুসলমান পাঠকরা সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় পত্র প্রেরণ করে অনুবাদককের নাম প্রকাশের আবেদন জানান- "কুরআনের উপরিউক্ত অংশের অনুবাদ এতদূর উৎকৃষ্ট ও বিস্ময়কর হইয়াছে যে, আমাদিগের ইচ্ছা অনুবাদক সমীপে স্বীয় নাম প্রকাশ করেন।যখন তিনি লোকমণ্ডলীয় এতোদৃশ্য উৎকৃষ্ট সেবা করিতে সক্ষম হইবেন তখন সেই সকল লোকের নিকট আত্মপরিচয় দিয়া তাঁহার উপযুক্ত সম্ভ্রম করা উচিৎ।" ১৮৮৬ সালে প্রকাশিত সম্পূর্ণ খণ্ডে অনুবাদক হিসেবে গিরিশচন্দ্র সেনের নাম উল্লেখ করা হয়। 

      গদাধর চট্টোপাধ্যায় অর্থাৎ হিন্দু ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬-১৮৮৬) ইসলাম সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তেও তিনি দ্বিধা করেননি। সব ধর্মকেই সত্য মনে করতেন বলেই তাঁর দার্শনিক উপলব্ধি হয়েছিল- যত মত, তত পথ। বিভিন্ন ধর্মের মূলগত ঐক্যকে খুব সহজ করে তিনি তুলে ধরেছেন, "আমার ধর্ম ঠিক,আর অপরের ধর্ম ভুল- এ মত ভালো না। ঈশ্বর এক বই দুই নাই। তাঁকে ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন লোকে ডাকে।কেউ বলে গড, কেউ বলে আল্লাহ, কেউ বলে কৃষ্ণ, কেউ বলে শিব, কেউ বলে ব্রহ্ম।যেমন, পুকুরে জল আছে- হিন্দু বলছে জল, খ্রিস্টান বলছে ওয়াটার, মুসলমান বলছে পানি; কিন্তু বস্তু এক।এক একটি ধর্মের এক একটি পথ- ঈশ্বরের দিকে লয়ে যায়।যেমন, নদী নানা দিক থেকে এসে সাগর সঙ্গমে মিলিত হয়।" রামকৃষ্ণের ভাবশিষ্য নরেন্দ্রনাথ দত্ত অর্থাৎ স্বামী বিবেকানন্দ (১৮৬৩-১৯০২) ইসলামের সাম্যের আদর্শ খুব পছন্দ করতেন। তিনি তাঁর 'হজরত মহম্মদ' প্রবন্ধে বলেন,"মহম্মদ নিজ জীবনের দৃষ্টান্ত দ্বারা দেখাইয়া গেলেন যে, মুসলমানদের মধ্যে সম্পূর্ণ সাম্য ও ভ্রাতৃভাব থাকা উচিত। উহার মধ্যে বিভিন্ন জাতি, মতামত,বর্ণ বা লিঙ্গভেদ কিছু থাকবে না।" তিনি তাঁর 'প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য' প্রবন্ধে লেখেন,"দেখা যাবে ইসলাম যেথায় গিয়াছে,সেথায়ই আদিম নিবাসীদের রক্ষা করেছে। সেসব জাত সেথায় বর্তমান। তাদের ভাষা,জাতীয়তা আজও বর্তমান।" বিবেকানন্দ মনে করতেন,"মুসলমানের ভারত বিজয় নিপীড়িত দরিদ্রের মুক্তির রূপ নিয়ে দেখা দিয়েছিল। সেই কারণে আমাদের এক পঞ্চমাংশ লোক মুসলমান হয়ে গেছে। শুধু তরবারির দ্বারা সেটা সম্ভব হয়নি।"(স্বামী বিবেকানন্দ ও ইসলাম ধর্ম -বিমলানন্দ শাসমল)। 'বৈদান্তিক মস্তিষ্ক ও ইসলামীয় দেহ' দ্বারা মাতৃভূমি ভারতের মুক্তি ঘটবে বলে তিনি আশাবাদী ছিলেন। হিন্দু-মুসলমান সকলের উদ্দেশ্যেই তিনি বলতে চেয়েছিলেন,"বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর/জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।"

      বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের পিতা দ্বিজদাস দত্ত (১৮৪৯-১৯৩৪) ছিলেন একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি।অধ্যাপনা সহ একাধিক সরকারি চাকরি করেন। কিন্তু পুত্রের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের শাস্তি হিসেবে তাঁকে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অবসরগ্ৰহণ করতে বাধ্য করা হয়। বিভিন্ন ধর্মের সারসত্যকে উপলব্ধি করতে তিনি সচেষ্ট হন। তাঁর একটি গ্ৰন্থের নাম ছিল 'সর্বধর্মসমন্বয়'। তিনি গীতা, বাইবেল ও কুরআনের বঙ্গানুবাদ করেন। তাঁর লেখা 'ইসলাম' বইটি তৎকালীন মুসলিম সমাজে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। 

       কৃষ্ণকুমার মিত্র (১৮৫২-১৯৩৬) স্বদেশী আন্দোলন ও ব্রাহ্ম সমাজের বিশিষ্ট নেতা ছিলেন। ব্রিটিশ প্রশাসনের চাপে পড়ে তিনি কলেজের অধ্যাপক পদ ছাড়তে বাধ্য হন। জাতীয়তাবাদী বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা 'সঞ্জীবনী'-র সম্পাদক হিসেবে তিনি সবসময় ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের প্রচার করেন। তাঁর লেখা একটি উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ হল 'মহম্মদ-চরিত'।

       কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) অন্য সকল বিষয়ের মতোই ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা লিখেছেন। হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানিয়ে একাধিকবার বার্তা পাঠান তিনি। এই রকম একটি বার্তায় তিনি লেখেন,"ইসলাম পৃথিবীর বৃহত্তম ধর্মের একটি। এই কারণে ইহার অনুবর্তীগণের দায়িত্ব অনেক।...অদ্যকার এই পুণ্য অনুষ্ঠান উপলক্ষে মুসলিম ভ্রাতৃদের সহিত একযোগে ইসলামের মহাঋষীর উদ্দেশ্যে আমার ভক্তি উপহার অর্পণ করিয়া উৎপীড়িত ভারতবর্ষের জন্য তাহার আশীর্বাদ ও সান্ত্বনা কামনা করি।" 'মুসলমান ছাত্রের বাংলা শিক্ষা' প্রবন্ধে তিনি বলেন,"বাঙালি মুসলমানের সহিত বাঙালি হিন্দুর রক্তের সম্বন্ধ আছে, এ কথা আমরা যেন কখনও না ভুলি।" 'নকলের নাকাল' প্রবন্ধে তিনি ঐতিহাসিক সত্য উল্লেখ করেন,"মুসলমান রাজত্ব ভারতবর্ষেই প্রতিষ্ঠিত ছিল।বাহিরে তাহার মূল ছিল না। এই জন্য মুসলমান ও হিন্দু সভ্যতা পরস্পর জড়িত হইয়াছিল। পরস্পরের মধ্যে আদান-প্রদানের সহস্র পথ ছিল।"

       বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার রায় বাহাদুর দীনেশচন্দ্র সেন (১৮৬৬-১৯৩৯) খুব যত্ন নিয়ে রচনা করেন তাঁর বিখ্যাত গ্ৰন্থ 'প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান'। ঐতিহাসিক রামপ্রাণ গুপ্ত (১৮৬৯-১৯২৭) বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকার নিয়মিত লেখক ছিলেন। তাঁর লেখা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ হল 'হজরত মোহাম্মদ', 'মোগল বংশ', 'রিয়াজ উস সালাতিন', 'পাঠান রাজবৃত্ত', 'ইসলাম কাহিনী'।

      শিক্ষাবিদ ও বহু গ্ৰন্থের রচয়িতা ক্ষিতিমোহন সেন (১৮৮০-১৯৬০),যিনি সম্পর্কে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অমর্ত্য সেনের ঠাকুরদা, আরবি ও ফারসি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থের নাম হল 'ভারতে হিন্দু-মুসলমানের যুক্ত সাধনা'।

    রাজনীতিবিদ মানবেন্দ্রনাথ রায়ের (১৮৮৭-১৯৫৪) লেখা একটি অসাধারণ পুস্তিকা হল 'The Historical Role of Islam' বা 'ইসলামের ঐতিহাসিক অবদান'। এই বইয়ের ভূমিকায় তিনি লেখেন,"পৃথিবীর কোনো সভ্য জাতিই ভারতীয় হিন্দুদের মতো ইসলামের ইতিহাস সম্বন্ধে এমন অজ্ঞ নয় এবং ইসলাম সম্বন্ধে এমন ঘৃণার ভাবও পোষণ করে না।" তিনি বিশ্বজুড়ে ইসলামের অবিশ্বাস্য বিস্তারের কারণ নির্দেশ করেছেন,"ইসলামের এই বিজয় অভিযানের কারণ ছিল এক অভূতপূর্ব বৈপ্লবিক সুরের মধ্যে লুকিয়ে; গ্ৰীস,রোম, পারস্য, চীন এমনকি ভারতবর্ষেরও প্রাচীন সভ্যতায় ঘুণ ধরে যাওয়ায় বিপুল জনসাধারণ যে চরমতম দুঃখ-দুর্দশার সম্মুখীন হল তা থেকে বাঁচিয়ে ইসলাম এক আলো ঝলকিত দেশের নির্দেশ তাদের দিতে পেরেছিল বলেই এই অসাধারণ বিস্তার সম্ভব হয়েছিল।"

      ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সুরজিৎ দাশগুপ্তের (১৯৩৪-২০১৯) দুটি বিখ্যাত বই হল 'ভারতবর্ষ ও ইসলাম' এবং 'ভারতীয় মুসলমানদের সংকট'।

      সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরস্পরের প্রতি উন্মাসিক মনোভাব প্রদর্শন আমাদের দেশে একটা স্থায়ী সমস্যা হিসেবেই রয়ে গেছে। রাজনৈতিক কারণে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের তীব্রতা কখনও বাড়ে কখনও কমে। ধর্মীয় বিধির ব্যাখ্যাকাররাও বিভেদ সৃষ্টির জন্য দায়ী হতে পারেন। কিন্তু অরাজনৈতিক ও ধর্মীয় গোঁড়ামিমুক্ত চিন্তাশীল ও সৃজনশীল ব্যক্তিদের সবসময় সংঘাতের পরিবর্তে সমন্বয় সাধন করার জন্য সচেষ্ট থাকতে হয়।এই কাজে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের দায়িত্ব নিশ্চয়ই কম নয়, কিন্তু সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের দায়িত্ব অবশ্যই বেশি। কারণ, সংখ্যালঘুর উৎপাত প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে না পারলেও সংখ্যাগুরুর উৎপাত সমাজ তথা রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

০৯:১৬ এএম, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার

Poem - Autumnal Illusion

 

About the Poetess:

Corina Junghiatu, an acclaimed poet from Bucharest, Romania, is renowned for her profound literary contributions. She holds a master’s degree in Philology and Psychopedology and a bachelor's degree in Letters and Philosophy from the University of Bucharest. Multilingual, Corina is proficient in five foreign languages, enhancing her literary scope. She has published two celebrated poetry collections: "Exile in Light" and "The Ritual of a Sunrise." Her work has earned her multiple accolades, including the Gujarat Sahitya Akademi Award on three occasions. In 2021, she was honored with the Order of Shakespeare Medal and received the SahityaPata Award in 2022. Besides her literary pursuits, Corina serves as the Managing Editor of Creatividad International and the Chief Adviser for the World Nations Writers' Union in Kazakhstan. Her contributions continue to have a significant impact on the global literary landscape.

 

 

 

Autumnal Illusion

Corina Junghiatu (Bucharest, Romania)

 

Tears drip from the syllables of rain  

onto the prison bars of branches,  

cloaked in gray shrouds,  

while metaphorical mists hang in emptiness,  

like triumphal arches  

draped in a crepuscular veil,  

unraveled from the crowns of trees.

 

Blood-red rubies and blonde opals  

are engraved in the bronze of leaves,  

flowers burn in the silver cup of frost,  

an apple with a core of light  

hangs from a branch,  

while waxen grasses,  

arranged like honeycombs,  

sway in the foam of the wind  

that echoes through shadows.

 

On the shoulders of the sky,  

the autumn dusk is orchestrated  

in violet, white, pink, and blue,  

a true Byzantine painting  

sketched in the hollow of the horizon,  

from which bloodied poppies fall,  

and the compact, transparent clouds  

from the flora of polar stars  

turn into fiery clusters on trays of embers.

 

Nuclear butterflies from diaphanous snows  

announce winter – the prelude to reincarnation.

 

©️ Corina Junghiatu

 

 

 

 

শরৎকালীন মায়া 

করিনা জাংঘিয়াতু (বুখারেস্ট, রোমানিয়া)

অনুবাদ: মোঃ ইজাজ আহামেদ (ভারত)

 

 অশ্রু ঝরে বৃষ্টির শব্দাংশ থেকে  

 শাখার কারাগারের বারগুলিতে,  

  ধূসর আবরণে আবৃত

 রূপক কুয়াশা যখন শূন্যতায় ঝুলে থাকে,  

 বিজয়ী খিলানের মত  

 আবছা ঘোমটাতে সাজান,  

 গাছের মুকুট থেকে উন্মোচিত।

 

 রক্ত-লাল রুবি এবং স্বর্ণকেশী উপল  

 পাতার ব্রোঞ্জে খোদাই করা আছে,  

 হিমের রুপার কাপে ফুল জ্বলে,  

 আলোর শাঁস সহ একটি আপেল  

 একটি শাখা থেকে ঝুলন্ত,  

 যখন মোমসদৃশ তৃণ,  

 মৌচাকের মত সাজানো,  

 দোলনা বাতাসের ফেনায়   

 যা ছায়ার মাধ্যমে প্রতিধ্বনিত হয়।

 

 আকাশের কাঁধে,  

 শরতের সন্ধ্যা করা হয় সুসমন্বিত 

 বেগুনি, সাদা, গোলাপী এবং নীল রঙে,  

 একটি সত্যিকারের বাইজেন্টাইন চিত্র

 দিগন্তের ফাঁকে আঁকা,  

 যেখান থেকে পড়ে রক্তাক্ত পোস্তরা ,  

 এবং নিবিড়, স্বচ্ছ মেঘেরা  

 মেরু নক্ষত্রদের উদ্ভিদকুল থেকে  

 জ্বলন্ত অঙ্গার ট্রেতে জ্বলন্ত থোপায় পরিণত হয়।

 

 নির্মল তুষার থেকে পারমাণবিক প্রজাপতি  

 শীতের ঘোষণা করে - পুনর্জন্মের পূর্বসূচী।

 

 

 

 

*এই কবিতাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে মোঃ ইজাজ আহামেদ -এর দ্বারা অরঙ্গাবাদ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে।

This poem has been translated into Bengali from English by Md Ejaj Ahamed from Aurangabad, Murshidabad, West Bengal, India)*

০৫:১৬ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ রোববার

Poem - Your Little Family, Your Everything

Your Little Family, Your Everything

Dr. Omatee Ann Marie Hansraj



In a world full of noise and endless demands,

It's easy to lose sight of what's in your hands.

Distractions and obligations pull us away,

From what truly matters, day by day.



But amidst all the chaos, there's a constant near,

Your little family, your refuge so dear.

They bring you joy, love, and light,

Making every moment feel just right.



So take a step back, breathe in deep,

Let the world's clamor quietly sleep.

Remember, they're your top priority,

Their smiles and laughter, your true prosperity.



Work, social media, obligations galore,

Don't let them steal what you adore.

Your family needs you, and you need them too,

Be present in the moments that truly matter to you.



Bedtime stories, family dinners, silly fun,

Cozy movie nights when the day is done.

Cherish every second, every laugh, every tear,

For your little family grows with each passing year.



Make time for traditions, old and new,

Pass them down, let the love ensue.

When the world feels too much, find solace there,

With your forever friends, those who truly care.



Focus on your little family, let the rest fade away,

Their love and support brighten every day.

You're building a foundation strong and true,

A lifetime of happiness, trust, and adventure, too.



Keep focusing on your little family, they are your all,

In their arms, you rise, never to fall.

For your love and attention are gifts without end,

In your little family, you've found your best friends.



©®Omatee Ann Marie Hansraj

Annmariewrites.com 

০২:০৪ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ রোববার

মধ্যপ্রাচ্য: শান্তির সন্ধানে

মধ্যপ্রাচ্য: শান্তির সন্ধানে

খগেন্দ্রনাথ অধিকারী

 

আজ থেকে ৮৫ বছর আগে উগ্র জাতীয়তাবাদের তথা ইহুদি বিদ্বেষবাদের পতাকা তুলে যেভাবে নাৎসী জার্মানী ইউরোপের বুকে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে ছিল এবং সেই যুদ্ধের দাবানলে গোটা বিশ্ব পুড়েছিল, ঠিক সেইভাবে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মদতে উগ্র জাতীয়তাবাদ তথা মুসলিম বিদ্বেষবাদের পতাকা তুলে ইসরায়েল আজ মধ্যপ্রাচ্যে সর্ব্বনাশা যুদ্ধের আগুণ জ্বেলেছে এবং সেই আগুণ সারা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্খা দেখা দিয়েছে। আমেরিকা--ইসরায়েলের এই রক্তহোলি খেলার নেশা সারা দুনিয়ার শান্তিকামী মানুষকে চিরতরে মিটিয়ে দিতে হবে--এটাই হোক চন্দ্র--সূর্য--গ্রহ--তারা--আকাশ--বাতাস--সাগরের তরঙ্গমেলা, সবারই এক আওয়াজ।

কবিগুরুর কথার প্রতিধ্বনি দিয়ে বলতে হয়, "মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে"--এটাই হোল প্রত্যেক মানুষের মনের কথা। কোন মানুষই মরতে চায় না। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সুরে প্রকাশ্যে--অপ্রকাশ্যে সব মানুষই বলতে চায়, "তোমার দেওয়া এই বিপুল পৃথিবী সকলে করিব ভোগ।" কিন্তু, তবুও আমরা দেখছি যে নির্বিচারে বছরের পর বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তার তাঁবেদার ইসরায়েলের হাতে মানুষ মরছে। তবু মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ কিন্তু দমছে না। বরং, জীবন মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্যকরে মানুষ সেখানে সংগ্রাম করছে। প্রতিদিন অগণিত স্ত্রী হারাচ্ছে তাদের স্বামীকে, স্বামীরা হারাচ্ছে তাদের স্ত্রীকে, বাবা মা হারাচ্ছে তাদের সন্তানকে। 

তবু, লোহিত সাগরের তীরে, জর্ডানের কূলে, গাজার প্রান্তরে দাঁতে দাঁত চেপে, চোখের জলকে জ্বালানী বানিয়ে মানুষ লড়ছে। আসলে এই মানুষগুলি মানবতার পক্ষে লড়ছে, শান্তির লক্ষ্যে লড়ছে, ধ্বংসের বিরুদ্ধে, মৃত্যুর বিরুদ্ধে, জীবনের পক্ষে, সৃজনের স্বার্থে লড়ছে। অনেকে ভাবের ঘরে চুরি করেন। তাঁরা মধ্যপ্রাচ্যের বিবাদমান পক্ষগুলিকে, অর্থাৎ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, ইসরায়িলী আগ্রাসনবাদ এবং এদের পাশাপাশি ইরাণ--ইয়েমেন--লেবানন--প্যালেস্টাইনের সামরিক পদক্ষেপকে একাকার করে দেখছেন। কিন্তু, এটা মোটেও যুক্তিযুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি নয়। আক্রমণ ও আত্মরক্ষা দুটো মোটেও এক বস্তু নয়। এক হতে পারে না।

এই প্রসঙ্গে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদের ভাবাদর্শকে এখানে তুলে ধরতে চাই। জাতিপুঞ্জের সনদে যুদ্ধকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে: "aggressive war" বা আক্রমণাত্মক যুদ্ধ এবং "defensive war" বা আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ। এই সনদ অনুযায়ী আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ বৈধ। অবৈধ হোল আক্রমণাত্মক যুদ্ধ। আক্রমণাত্মক যুদ্ধের বিরুদ্ধে জাতিপুঞ্জের সনদে যৌথ নিরাপত্তা বা "Collective Security"-র কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ, জাতিপুঞ্জের সনদ অনুযায়ী বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে, আক্রান্ত দেশের পক্ষে সমস্ত দেশ যৌথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।

আজকের মধ্যপ্রাচ্যের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সঠিক বিশ্লেষণ করতে গেলে জাতিপুঞ্জের সনদের এই আলোকে সকলকে তা করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যে আজ বিধ্বংসী যুদ্ধ শুরু হয়েছে এবং এই আঞ্চলিক যুদ্ধ বা "Regional war" একটি বিশ্বযুদ্ধ বা "World war" -এর চেহারা নিতে পারে। কিন্তু কথা হোল যে মধ্যপ্রাচ্যে এই বিধ্বংসী যুদ্ধের আবহে প্রকৃতপক্ষে আক্রমণকারী কে এবং আক্রান্তই বা কে? একথা বলার কোন অপেক্ষাই রাখে না যে মধ্যপ্রাচ্যে আক্রমণকারী হোল মার্কিন মদতপুষ্ট ইসরায়েল। আর আক্রান্ত হচ্ছেন প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকামী জণগন। বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠন সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বারে বারে ঘোষণা করেছে যে মার্কিন মদতপুষ্ট ইসরায়েলই হোল আক্রমণকারী, আর প্যালেস্টাইনী জনগণ হোল আক্রান্ত। 

এতে আমেরিকা--ইসরায়েল খুবই অসন্তুষ্ট জাতিপুঞ্জের উপরে। জাতিপুঞ্জের কোন কর্মকর্তাকে ইসরায়েল তার ভূখণ্ডে ঢুকতে দিচ্ছে না। এমনকি জাতিপুঞ্জের মহাসচিব এ্যাণ্ডোনিও গুতেরেসকে ইসরায়েল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ, বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার আন্তর্জাতিক সংগঠন সম্মিলিত জাতিপুঞ্জকেও সে চ্যালেঞ্জ করছে। কারণ সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ ও তার মহাসচিব গুতেরেস প্যালেস্টাইনবাসীর স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করছেন। বিশ্বের একশ ছেচল্লিশটি দেশ প্যালেস্টাইনকে সার্ব্বভৌম দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নরওয়ে সহ ইউরোপের তিনটি দেশ তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃতি দেয়নি উগ্র মুসলিম মৌলবাদীদের সমর্থনপুষ্ট তথা মার্কিন উচ্ছিষ্টভোগী বর্তমান বাংলাদেশ সরকার তথা তার প্রধান ইউনুস।

আর দুর্ভাগ্যের কথা হোল যে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ বরাবর জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের পাশে থেকেছে। কি ১৯৬০ সালের কঙ্গোর প্রশ্নে, ভিয়েৎনাম প্রশ্নে বাংলাদেশ প্রশ্নে, সব সময়ই আমাদের জনগণ ও সরকার জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের পাশে থেকেছে। পণ্ডিত নেহেরুর ভাষায়, "Where freedom is menaced and justice threatened, we cannot be and shall not be neutral." অর্থাৎ স্বাধীনতা যেখানে বিপন্ন, মানব অধিকার যেখানে পদদলিত, সেখানে আমরা নির্লিপ্ত থাকতে পারি না, নির্লিপ্ত থাকবো না। বস্তুতঃপক্ষে, এযাবৎকালের যাবতীয় ভারত সরকার প্যালেস্টাইন মুক্তি আন্দোলনের পাশে থেকেছে। নরেন্দ্রমোদী সরকারই তার ব্যতিক্রম। এই সরকার প্যালেস্টাইনে ইসরায়েল--মার্কিন জোটের নির্বিচার গণহত্যাকে মদত করছে। এটা আমাদের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী বিদেশ নীতির পরিপন্থী। 

আমরা বিশ্বাস করি যে বিশ্বজনমতের চাপ তথা ভারতবাসীর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মেজাজের চাপ মোদী সরকারকে বাধ্য করবে এই ভ্রান্ত পথ থেকে সরে আসতে। ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আবহে ইরাণ, লেবালন, ইয়েমেন প্রভৃতি দেশ রণাঙ্গনে এসে গেছে। সাম্রাজ্যবাদের দালাল কিছু লোক সংকীর্ণ ধর্মীয় মৌলবাদী দৃষ্টিকোণে কুৎসা করছে যে " মুসলমানরা সব এক হয়ে জাতের টান টানছে।" এটা একটা বর্বরসুলভ মন্তব্য। মধ্যপ্রাচ্যে "মুসলমানরা সব এক হয়ে জাতের টান টানছে" না। তা যদি হবে তাহলে ঢাকার মসনদে বলে থাকা ঐ মার্কিন দালালটা (ইউনুস) কি? ওটা কি হিন্দু? না বৌদ্ধ? না খৃশ্চান? ওটা কি তথাকথিত ধর্মসূত্রে মুসলিম নয়?

আসলে হিন্দু--মুসলিম--বৌদ্ধ--খৃশ্চান--কোন জাতের বা ধর্মের প্রশ্ন নয়। প্রশ্নটা হোল মানবতাবাদের। প্রশ্নটা হোল মানুষ নামক জাতের। আমাদের কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কথায়--

"জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে,

সে জাতির নাম মানুষ জাতি।"

"মুসলমান" নয়, খৃশ্চান নয়, বৌদ্ধ নয়। মানুষ নামক এই জাতিটার অস্তিত্ব আজ মার্কিন--মদতপুষ্ট ইসরায়েলী আক্রমণে বিপন্ন। এই আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে প্যালেস্টাইনের স্বপক্ষে জাতিপুঞ্জের সনদের যৌথ নিরাপত্তা বা "Collective Security"-র নীতির ভাবাদর্শে ইরাণসহ বিশ্বের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন বিভিন্ন দেশ আগ্রাসী ইসরায়েল--আমেরিকার বিরুদ্ধে আক্রান্ত প্যালেস্টাইনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে আরও বিভিন্ন দেশ তার পাশে এসে দাঁড়াবে। তার পদধ্বনি স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। 

উল্লেখ্য যে ১৯৩৯ সালে হিটলার যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করে, তখন League of Nations ও নেই, আবার United Nations ও উদ্ভূত হয়নি। কিন্তু যৌথ নিরাপত্তার আদর্শ তখন মানুষের ভাবাদর্শের জগতে আত্মপ্রকাশ করেছে। তারই ভিত্তিতে বিশ্ববাসী সহ সারা পৃথিবীর নাৎসী বিরোধী--ফ্যাসিবিরোধী দেশসমূহ আক্রান্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আজ সারা পৃথিবীর সকল সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশ জাতিপুঞ্জের যৌথ নিরাপত্তা নীতির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্যালেস্টাইন মুক্তিসংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে ও দাঁড়াচ্ছে। বিশেষতঃ, শিয়া--সুন্নি বিরোধের সুযোগে ইরাণ--ইরাক বিভাজন তৈরী করে ওয়াশিংটন সাদ্দাম হোসেনকে অপসারিত করে খুন করেছিল ও মধ্যপ্রাচ্যকে নিষ্কন্টক করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সদ্য প্রতিষ্ঠিত শিয়া--সুন্নি প্রধান ইরাণ--ইরাক বোঝাপড়া সাম্রাজ্যবাদীদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। ওরা আজ আরও মরীয়া। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলী--মার্কিন হানার তীব্রতা তারই প্রমাণ। এ ওদের দোজক যাত্রার, নরক যাত্রার পূর্বাভাষ। ভিয়েৎনাম, বাংলাদেশ, সর্বত্রই সাম্রাজ্যবাদীরা এটা করেছিল, মধ্য প্রাচ্যেও ওরা তাই করছে। কিন্তু, পারবে না। ওদের পরজয় ও মানবতার জয় অবশ্যম্ভাবী। শুধু সময়ের কিছু অপেক্ষা। 

 

      

লেখক পরিচিতি

অধ্যাপক খগেন্দ্রনাথ অধিকারী রাষ্ট্রীয় বিদ্যাসরস্বতী পুরস্কার ও এশিয়া প্যাসিফিক পুরস্কার সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহু পুরস্কার প্রাপ্ত একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ। ইনি কোলকাতার সাউথ সিটি (দিবা) কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

ঠিকানা-শরনিয়ার বাগান

পোষ্ট-টাকী, পিন-৭৪৩৪২৯

পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

 

০১:৫৫ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ রোববার

POEM - UPSET WITH ME !

UPSET WITH ME !

 

Your craziness and airiness won’t kill me

Your being upset with me rather troubles 

Why so stubborn and arrogant you are 

I have the companionship only with you

It's well tested & proven thousand times

Can sacrifice life & break relationships

Have been waiting for your sweet smile

Can stand anything but your indifference 

I know not if I am worthy of your love 

But I can't do sans you, trust me or not .

 

©️®️DrPrasana Kumar Dalai@India

০১:৫৩ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ রোববার

Poem - You Are My Earthly Heaven

*You Are My Earthly Heaven* 

  Dr. Dipika Bhatt 

 

Thou are my life's beautiful strength of vision 

Thou are mine right and strong decision!

 

During my confusion and difficulties you are my beacon

You are a miracle of my life that no one can reckon!

 

I feel you are full of different hues and season 

Whenever I think of you become happy for this reason!

 

During my love hymns of music that I chosen 

You enlightened me and I feel your fusion!

 

I thank to Almighty as you are my earthly heaven

We are blessed for this never ending relation!

 

©️Dr. Dipika Bhatt 

From India

০৮:২৭ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ রোববার

Golden Child

 

 

Golden Child

Jeanette Eureka Tiburcio

Mexico

 

 

Golden child,

On the dark red of the earth

Mark your tracks

In weakness and Uncertainty.

 

Barren roads, disturbed and Flooded

Of the vile nature of the one Who has decided to steal Everything from you

Of whom in his ignorance The I AM was believed.

 

Golden children,

May your shine never fade

Access to believe, to dream, To grow

To have clean air and Electrifying food.

 

May the rain caress your feet

Multiply bonanzas

Let the rain irrigate you Hope

To build your story and build.

 

I apologize

For the damage done to the earth

On behalf of my parents, my grandparents,

The ancestors, who by doing nothing, we did everything

I ask your forgiveness for those who

They watered the crop with blood

That today reaches your Mouth as the only food.

 

There’s no way to erase the past

I don’t mean to

there is no coupon that exchanges life

if there is, I don’t have it…

what I have is hope and will

I want to share with you and inherit your resistance and resilience

Invite you not to give up even in the biggest fires

Invite you to dance life

Every time you can.

 

What I can do and do is give you my voice

for the calling

share my passion for this life,

Activate awareness and decision

impact transformative leadership

and fight hard in the face of uncertainty.

 

Let us consistently stop the actions that lead us to this deterioration and devastation.

The tension at the maximum limit found a home,

the earth catches fire, little will freezes us,

natural imbalance is our reality

we have to write, paint and dance

the world we deserve to have

as long as the oxygen reaches

 

©®Jeanette Eureka Tiburcio

Mexico

০৮:২০ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ রোববার

Poems

 

 

Return to Silence 

Edy Samudra Kertagama

Lampung-Indonesia

 

You used to often pick flowers but 

Now you don't, because silence is a 

Good place for you, while you look at 

The clear river. 

 

Once I said:

"Take everything with Prayer 

Because we are just wanderers a 

among the fallen leaves" 

 

 

 

The Expanse Is So Foreign 

 Edy Samudra Kertagama 

 

In his quiet home, under the shadow 

Of the old, he went to the beach and 

Sunbathed after releasing his sweet 

Taste in the roots, leaves, twigs and 

Even the stone wall that he carved 

For days until it was finished. No 

Promises to go, let alone holding his 

Hands until he was lulled in sleep to 

Reach the first flicker of light 

Because a cloud of smoke and a 

Machete had torn him apart. And, 

 

He will never know the color of the 

Sea or the sand of the beach, 

Because the womb he has is only a 

Sweet cup and it is often squeezed

Completely. 

 

He was so young, among other 

Things, that all his love was a hum in 

The open even though it was so Foreign to him.

 

 

 

 

Pilgrim

Edy Samudra Kertagama 

 

After that

The mystery comes again 

Then open the veil 

Bandaging longing. 

 

Here, in a dream 

The same one every night 

You have written a story 

With a long time In the lake of your 

Eyes. 

 

"How clear you are" 

Decorate the full moon night 

Together with strings In the scent of 

Athousand poems. 

 

Pilgrims,

As the story progresses

As the journey goes on 

Love stories always emerge 

So longing to shed all the lonely 

Memories and events that are ready 

To be picked 

While waiting for the evening 

To return. 

 

Lampung-Indonesia, 2024

 

 

 

 

 

 

 

In the Same Womb 

Edy Samudra Kertagama 

 

I'm starting to feel

When your fingernails pierce 

And peeling wounds that have 

Almost healed this week 

It's from 

That wound 

Will be a sign again 

Which is difficult for me to answer. 

 

So, please allow me just a little 

To see you sitting 

Holds flowers all day long 

While reading poetry 

The one I wrote last year 

Even inside  

Fluttering flowers 

Which will bloom there. 

 

Come spring As a traveler 

Take the night away from what's 

There 

Because of the moon and stars It's 

Not just there 

To paint clouds 

Who wants to go home 

By bringing memories 

 

Ah, long story 

Which is not finished if you are the 

Wind 

Bring the leaves flying if you are the 

Sea 

Keep being a wave 

Because you have it Just a dream 

And will come back in In the same 

Womb. 

 

 

 

About the Poet:

Edy Samudra Kertagama, as poet and director. Invited to National and International literary-theatre meetings. His published poetry books are Dry (1997), Nyanyian Sinyi (2002), Short poems Dew White (2004), Mantra Sang Nabi (2016), Carriage and Poem of the Rajawali Bird (2019), Twilight and Drizzle (2024) Some of his poems were published in the Betsama anthology, namely: Love in Summer (Bilingual Anthology English and Spanish, The Mist (International Poetry global) Glacier (2024) Poems are also published in magazines: 1. Atunis Galaxy Poetry Magazine-Albania (2024), 2. KOBIAL Magazine BANGLADESH (2024) 3. Literary e Magazine in Greece-Greece (2024) 4. Polisfreepress Magazine Greece (2024) 5. ORFEU Magazine Kosovo (2024) 6. Gazeta Destinacioni Magazine-Albania (2024) 7. Sindh Courier Magazine Pakistan (2024). 

Received a Certificate of Appreciation from the Memorial of V.M Terkov 2023 (Russia, Nizhny Novgorod) Russia. Artistic director of Germ Theater Studies and Eyes of the World Literature House. 

০৮:১৮ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ রোববার

Poem - Let the Clouds Burst, But....

Let the Clouds Burst, But....

Nasir Aijaz (Karachi, Sindh, Pakistan)

 

O' God 

Let the clouds burst 

Let the Earth quench it's thirst 

And recharge the depleting subsoil water streams  

But, before causing the deluge

Think of poor dwelling in mud-houses and huts

And the crops of toiling farmers

Yet to ripe, or ready to be harvested. 

 

 

 

মেঘ ফেটে যাক, কিন্তু...

নাসির আইজাজ (করাচি, সিন্ধ, পাকিস্তান)

বাংলা অনুবাদ: মোঃ ইজাজ আহামেদ 

 

হে ঈশ্বর 

মেঘ বিদীর্ণ হোক

পৃথিবী তার তৃষ্ণা নিবারণ করুক 

এবং ক্ষয়প্রাপ্ত মৃত্তিকা জলের স্রোতগুলিকে রিচার্জ করুন  

 কিন্তু, মহাপ্লাবন ঘটার আগেই

 মাটির ঘর এবং কুঁড়েঘরে দরিদ্রদের বসবাসের কথা ভাবুন

 আর মেহনতি কৃষকদের শস্য 

 এখনো পাকা বা ফসল প্রস্তুত সংগ্রহ করার জন্য ।

 

 

*এই কবিতাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে মোঃ ইজাজ আহামেদ-এর দ্বারা অরঙ্গাবাদ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে। 

This poem has been translated into Bengali from English by Md Ejaj Ahamed from Aurangabad, Murshidabad, West Bengal, India)*

১০:৫৫ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২৪ শুক্রবার

WEAPONS DON`T MAKE THE WAR

ABOUT NASIR AIJAZ - PAKISTAN

Journalist, Author, Researcher and Poet

Nasir Aijaz, based in Karachi, the capital of Sindh province of Pakistan, is basically a journalist and researcher having spent over 48 years in the field of journalism. He won Gold Medal and another award for best reporting in 1988 and 1989. He has worked in key positions of editor for newspapers and news agencies. He also worked as a TV Anchor (For Pakistan Television) for over a decade and conducted some 400 programs from 1982 to 1992 besides appeared as analyst in several programs on private TV channels. He also did dozens of programs on Radio Pakistan and some other private Radio channels. He is author of ten books on history, language, literature, travelogue and biography. One of his books ‘Hur – The Freedom Fighter’, a research work on war against the British colonial forces, also won a prize. Some half a dozen other books are unpublished. Further, he translated a poetry book of Egyptian poet Ashraf Aboul Yazid, into Sindhi language, which was published in Egypt. Very recently, he translated a novel ‘Maharaja Dahir’ from English to Sindhi language, which originally was authored in Bengali by Debasree Chakraborti, a renowned novelist of Kolkata. Besides, he has written around 500 articles in English, Urdu and Sindhi, the native language of Sindh. He is editor of Sindh Courier, an online magazine and represents The AsiaN, an online news service of South Korea with regular contribution for eleven years. His articles have also been translated in Arabic and Korean languages. Some of his English articles were published in Singapore, India and Nigeria. He started writing poetry in his native language Sindhi, and English. Some of his poems have been translated in Odiya, Albanian, Italian, Arabic and Greek languages. Arabic translation has been published in Egypt, Iraq, and Abu Dhabi. His English poems have been published in Albania, Bangladesh, Kosovo, USA, UK, Tajikistan, Greece, Italy and some other countries. Recently, the Odiya translation of his poetry has been published in a literary magazine ‘Mahuri’ of Bhubaneswar, Odisha, India. Nasir Aijaz is one of the founding members of Korea-based Asia Journalists Association AJA. He has visited some ten Asian countries and attended international seminars. Email: nasir.akhund1954@gmail.com

 

 

WEAPONS DON'T MAKE THE WAR

 

Neither the weapons make the war

Nor the bombs fall on earth from the sky

Like the rainfall from the clouds afar.

Guns, bombs, and missiles do not sprout from the grounds

Nor they grow like vegetables at the farms, and fruits in the orchards

The humans have been dreaming up of making of such destructive devices.

Humans manufacture the Gatling Guns at foundries to rattle

Arms dumped at armories do not walk to the battlefield on their own

Only the humans bring the truckloads of munitions for the battle.

Armorers make the munitions to gain wealth, thrive, yielding the huge profits

Knowing that the weapons are for destruction of all the structures, and humanity

Indifferent to the scale of devastation, mass killings of innocent men, women and kids.

Humanity bleeds as the humans, greedy of wealth and power, commit inhumane acts

Bombs, missiles continue to rain and thunder, guns rattle

Death haunts the innocent humans, blood spills on the roads and streets. 

POET ’S NOTE

 

This poem powerfully conveys the message that war is driven by human actions and intentions, rather than the weapons themselves. It emphasizes the role of greed and the manufacturing of arms in the perpetuation of violence and conflict. The imagery of weapons being produced in foundries and delivered to battlefields starkly illustrates the deliberate nature of warfare, contrasting the innocent lives that are affected by these decisions.

The refrain that "weapons don't make the war" serves to remind readers that it is ultimately human choices - shaped by desires for power and profit- that lead to destruction. The vivid descriptions of the consequences of war, including the suffering of innocent people, evoke a strong emotional response, urging reflection on the true cost of conflict.

Overall, the poem is a poignant critique of the arms industry and the moral implications of warfare, calling for awareness and compassion in the face of human suffering.

 

(Karachi, Sindh, Pakistan - September 24, 2024)

Prepared Angela Kosta Executive Director of MIRIADE Magazine, Academic, journalist, writer, poet, essayist, literary critic, editor, translator, promoter

 

 

 

 

 

 

০১:০৪ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার

কালিয়াচকের মুরগির ছানাবিলি

০৫:২৭ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার

দুর্গাপুজোর সময়সূচী কিছুটা অদল বদল হয়েছে

০২:৩৮ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার

Poem - This Moment!

 

THIS MOMENT !

Dr. Prasana Kumar Dalai (India)

 

Who knows if this moment 'll come again

For we may or may not ever meet again 

Thank God we do have these moments

Take close look at me as much you can

Who knows if our destiny 'll visit us again 

Sit closer, I may not be around you again 

Put your arms around me as we used to

Let's worship thousand times together

Who knows if our eyes 'll roll tears again 

Cause this moment 'll never come again.

 

©®Dr Prasana Kumar Dalai@India.

 

 

 

এই মুহূর্ত!

ড. প্রসন কুমার দালাই (ভারত)

অনুবাদ: মোঃ ইজাজ আহামেদ (ভারত)

 

 এই মুহূর্ত আসবে কিনা কে জানে আবার

 কারণ আমাদের কখনো দেখা হতে পারে বা নাও হতে পারে আর

 ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আমাদের এই মুহূর্তগুলো আছে

 যতটা সম্ভব আমার দিকে তাকাও কাছে

 কে জানে আমাদের ভাগ্য আবার আসবে কিনা 

 কাছে বসো, আমি আর তোমার আশেপাশে থাকবো না 

 আমার চারপাশে তোমার অস্ত্র রাখো যেমন অভ্যস্ত আমরা

 চলো একসাথে হাজারবার করি উপাসনা 

কে জানে আমাদের চোখ আবার অশ্রু গড়াবে কিনা 

কারণ এই মুহূর্ত আর কখনো আসবে না।

 

 

 

০৮:৩৮ এএম, ৬ অক্টোবর ২০২৪ রোববার

Poem - I Would Hide

 

I Would Hide

Dervisa Grabus Colakovic (USA)

 

 Wandering somewhere from dawn to dusk,

 Where the dawn has never dawned.

 I didn't recognize myself from the tiredness of the desert,

 My emotions died long ago.

 

 Wandering almost lost hope,

 I will fulfill my wishes someday.

 Like a small bird after a crumb of bread,

 hide somewhere to dream your dreams.

 

 I would hide somewhere where no one knows me,

 In a desert where there are only birds.

 To keep them company in their nest,

 because they also like such wanderers.

 

 I would dream dreams, forget everything,

 And I wouldn't even remember anything anymore.

 I would start my life all over again,

 What once was, let it be erased now.

 

 

 

আমি লুকিয়ে থাকতাম

ডারভিসা গ্রাবাস কোলাকোভিক (আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র)

অনুবাদ: মোঃ ইজাজ আহামেদ (ভারত)

 

 ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোথাও বেড়াই ঘুরে,

 যেখানে কখনো ভোর হয়নি।

 মরুভূমির ক্লান্তিতে নিজেকে চিনতে পারিনি,

 আমার আবেগ অনেক আগেই মারা গেছে। 

 

 বিচরণ প্রায় হারিয়েছিল আশা 

 আমি একদিন পূরণ করব আমার ইচ্ছা

  একটি ছোট পাখির মতো রুটির টুকরোর পরে,

 কোথাও লুকাও তোমার স্বপ্ন দেখতে।

 

 আমি এমন কোথাও লুকিয়ে থাকতাম যেখানে কেউ চিনে না আমাকে,

 মরুভূমিতে যেখানে শুধু পাখি আছে।

 তাদের নীড়ে সঙ্গ রাখতে,

 কারণ তারাও এই ধরনের ভ্রমণকারীদের পছন্দ করে। 

 

আমি স্বপ্ন দেখব, প্রত্যেকটি জিনিস ভুলব,

 এবং আমি এমনকি আর কিছু রাখব না মনে

 আমি আমার জীবন নতুন করে শুরু করব,

 একসময় যা ছিল, এখন ফেলা হোক তা মুছে।

 

 

*এই কবিতাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে মোঃ ইজাজ আহামেদ - এর দ্বারা অরঙ্গাবাদ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে।

(This poem has been translated into Bengali from English by Md Ejaj Ahamed from Aurangabad, Murshidabad, West Bengal, India) 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

০৯:০১ এএম, ৫ অক্টোবর ২০২৪ শনিবার

Poem - Do you remember?

 

Do you remember?

Hassan Yarti (Spain)

 

Do you remember?

When we were young

One day I sat alone and made a decision

I came out of the silence of hearts

I wrote on all paths

“I love you,” and I said it aloud

 

Do you remember?

How were we?

And where were we?

How many times have I visited you

and repeated it over and over?

 

Do you remember?

The beginning…

And the eagerness of a newborn child

The breeze of the dear café,

The mail letters

And our bewildered spirits?

 

Do you remember?

Our beautiful love,

The large book of passion

And our drunken eyes?

 

Do you remember the mornings,

The passing of noon,

The afternoon meetings,

and how we never drew the curtain over our windows?

 

Do you remember?

That years have passed

And I still chant loyalty as my motto?

Do not forget,

And be with me

So, I can be for you

A green branch that refuses to turn yellow.

 

 

তুমি কি স্মরণ কর ?

হাসান ইয়ারতি (স্পেন)

অনুবাদ: মোঃ ইজাজ আহামেদ (ভারত)

 

তোমার মনে আছে?

 আমরা যখন ছোট ছিলাম

 একদিন আমি একা বসেছিলাম এবং একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম

 আমি হৃদয়ের নীরবতা থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম

 সব পথেই লিখেছিলাম

 "আমি তোমাকে ভালবাসি," এবং আমি এটি জোরে বললাম 

 

 তোমার মনে আছে?

 আমরা কেমন ছিলাম?

 আর আমরা কোথায় ছিলাম?

 কতবার তোমায় দেখেছি

 এবং এটা বারবার হয়েছে পুনরাবৃত্তি? 

 

 তোমার মনে আছে?

 শুরুটা…

 আর সদ্যোজাত শিশুর আকুলতা

 প্রিয় ক্যাফের হাওয়া,

 চিঠিগুলোর মেইলটা

 আর আমাদের বিহ্বল আত্মা? 

 

 তোমার মনে আছে?

 আমাদের সুন্দর প্রণয়,

 আবেগের বড় বই

 আর আমাদের মাতাল নয়ন? 

 

 তোমার কি মনে আছে সকালগুলোর কথা,

 দুপুর গড়িয়ে যাওয়া,

 বিকেলের সক্ষাতগুলোর কথা

 এবং কিভাবে আমরা আমাদের জানালার উপর পর্দা টানিনি? 

 

তোমার মনে আছে?

 সেই বছরগুলো কেটে গেছে

 এবং আমি এখনও আমার আদর্শবাণী হিসাবে আনুগত্যের গান করি?

 যেও না ভুলে, 

 এবং থেকো আমার সাথে 

 সুতরাং, আমি তোমার জন্য হতে পারি

 একটি সবুজ শাখা যা হলুদ হতে অস্বীকার করে।

 

 

 

 

*এই কবিতাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে মোঃ ইজাজ আহামেদ - এর দ্বারা অরঙ্গাবাদ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে।

(This poem has been translated into Bengali from English by Md Ejaj Ahamed from Aurangabad, Murshidabad, West Bengal, India)

০৭:৪৫ এএম, ৪ অক্টোবর ২০২৪ শুক্রবার

Poems

 

 

 

FABIO PETRILLI - ITALY

 

 

Fabio Petrilli was born in Foggia (Italy) on 9 March 2000. Studies Arts and Cultural Heritage at the University of Molise. Currently lives in San Bartolomeo in Galdo , a town in the province of Benevento. Poet, an established writer in the encyclopedia among contemporary national and international poets - Wikipoesia.

 

His poems were translated into French by the poet Irène Duboeuf, in Modern Greek by the writer Irene Doura-Kavadia , in Portuguese by the poet Cristina Pizarro, in Spanish, Catalan and English by the international poet Joan Josep Barceló i Bauçà. With the composition “I miei versi - My verses” he won the International Panorama of the Arts 2023 in the section “ Youth Awards“ organized by the Writers Capital International Foundation.

 

It is featured in numerous national and international literary journals.  

 

His first poetic poem in collaboration with the poet Elisa Mascia was published on 26 May 2024. The silloge is entitled “Respiro… con il cuore - Breath... with the heart" and is present in several national and international newspapers.

 

 

 

MY NAME

 

 

Hold me tighter

 

When you will feel oppressed by loneliness ,

 

Give me intense kisses when

 

The fragility of your heart will Manifest itself.

 

Shout my name loudly

 

When people won’t listen to you.

 

Take me with you

 

And everything will evolve into nothing.

 

 

BREATH

 

 

For me you are breath

 

You are the essence that NOurishes my soul daily.

 

I come to you without wearing Masks, without having to act!

 

You as a good mother

 

You embrace me in your loving Arms and I feel protected

 

As I learn to love.

 

For me you are the breath of life That is mixed in this deafening Silence and vibrates

 

While it emits a charming melody.

 

 

UNTITLED

 

 

How much beauty in those two eyes

 

Overwhelming, fascinating.

 

My lips worn out by those innocent kisses

 

And with your hair between my fingers

 

How much delicacy I perceived in this love of ours,

 

Fruit of a time now too immature.

 

 

 

Prepared Angela Kosta Executive Director of MIRIADE Magazine, Academic, journalist, writer, poet, essayist, literary critic, editor, translator, promoter

 

 

০১:২১ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার

Poems

FRANCESCA PATITUCCI - ITALY 

 

 

She is an italian author. She lives in Salerno (Campania - Italy) but she was born in Calabria.

She has been writing for several years, especially poetry. Teacher of foreign languages and cultures. Lyricist for musical pieces. She has published two collections of poems and short stories, the third ongoing anthology and a fourth in collaboration with another author about social evils expressed through narrative and poetry.

Reviews books; editor of poetry collections; juror and President in Literary - Artistic Competitions. She has obtained numerous relevant awards in national and international competitions, including in English language.

In August she received the "Urban Festival 2024" culture award. Present in various poetic anthologies, monthly magazines and newspapers, member of some cultural associations and President of the literary, cultural and artistic association "Incontri diVersi".

Creator and President of an International Artistic Literary Competition in the 2nd Edition in her homeland, Calabria.

She collaborates with artists promoting the union between painting and poetry. She writes for a bimonthly magazine, “Agire Sociale”; writes monthly articles in the online magazine #noiqui; Administrator of an online literary group, she manages poetic and Literary workshops, dealing with Topics of social interest. 

Writing is her lifeblood, she says.

 

 

LOVE FOR LIFE

 

 

Love for life

It's a window always lit 

In the colder dark of nights.

It’s a sweet stillness always 

evolving…

The lighthose of our consciences.

And the sweet murmur of waters 

Now calm still lying on the moist

salt sand

Then they crash on rocks naked 

violently.

And I immerse my heart in this symbiosis 

That keeps me still throbbing…

Ditched to the invisibile wire…

It always held

My breath.

This is my love for life!

 

 

 

MISERLY YOU WILL GO

 

 

A shivering homeless guards his cardboard

As a precious bed

But if his friend stretches out Limbs on the ground

He gives it to him.

And you that hold riches, feelings

If you still have…

Possessions to embrace in your emptiness

Soul vault

You will feel no need to share

In the stingy righteousness of Your barren logic.

Than, to give others a piece

of you

It would be too human and Unbecoming

Poor man…

Within your lonely and rich walls

Of velvets and candelabra

There is no light to shine, not even For you

alone.

And when your last step yields to the

Divine world

Your memorabilia will remain Between the worms of time

To wear out…

And no one will mourn a foolish loneliness

Of a golden trench

But so shabby and useless.

Miser you will go to meet the ways

Of the beyond.

 

 

 

SUNFLOWERS OF LIGHT

 

 

Sunflowers of light

I saw a field of sunflowers

Under the immensity of blue skies.

Soon the sun will warm them

Until they burn

But the splendor will quench their thirst

At sunset...

They will be alive

And harbingers of the colors of gold

Of life which, in spite of Everything

Luxuriant unfolds

On our smiles.

They are sunflowers of light

Keepers of our steps.

 

 

Prepared Angela Kosta Executive Director of MIRIADE Magazine, Academic, journalist, writer, poet, essayist, literary critic, editor, translator, promoter

০১:২০ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার

Puspaprovat Patrika