ব্রেকিং:
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বেওয়া-২ পঞ্চায়েতের নিশিন্দ্রা গ্রামে ভোটার তালিকা ভুয়ো ভোটার। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার উদ্যোগে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা সভা। ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট এমকে ফাইজির গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সামশেরগঞ্জে পথসভা SDPI এর ফের সামশেরগঞ্জের হাউস নগর ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে পথদুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা গাড়িচালকের জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

সোমবার   ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ৩১ ১৪৩২   ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সর্বশেষ:
জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

বাংলা ভাষাভাষীদের উপর বৈষম্যের প্রতিবাদে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের কর্মসূচি রঘুনাথগঞ্জে

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০ ১০ ২৬   আপডেট: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০ ১০ ২৬

সফিকুল ইসলাম,রঘুনাথগঞ্জ,মুর্শিদাবাদ:  রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে শনিবার বিকেল চারটায় জঙ্গিপুর জেলা পরিষদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয় দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ-এর উদ্যোগে এক কর্মসূচি। মূলত ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিক ও বাঙালি জনগণের উপর ভাষাগত বৈষম্য ও অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাতেই এই সভার আয়োজন করা হয়। উদ্যোক্তা ছিলেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান। সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, ভিনরাজ্যে বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে বহু বাঙালি শ্রমিককে বাংলাদেশী আখ্যা দিয়ে অপমান করা হচ্ছে, এমনকি ‘পুশব্যাক’-এর মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাঙ্গালীদের। এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত বক্তা ও নেতৃবৃন্দরা।সভার বক্তা সিদ্ধপ্রবত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলার স্বার্থ রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কাউকেই সরব হতে দেখা যায়নি। তিনি অভিযোগ তোলেন, সিপিএম এর রাজ্যসভায় সদস্য রয়েছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য,তাকেও এই ব্যাপারে কথা বলতে দেখা যায় না। কিংবা কংগ্রেস— কোনো দলই এ বিষয়ে সংসদে প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে আসেনি। তাই বিজেপির ধর্মীয় রাজনীতি ও বাঙালিবিরোধী চক্রান্ত রুখতে আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকেই শক্তিশালী করার আহ্বান জানান, প্রশ্ন উঠে, দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ ২৬ বিধানসভায় কতটুকু প্রভাব ফেলবে? এটা ওয়ার রাজনৈতিক মঞ্চ, এটা বাঙ্গালীদের প্রতি অত্যাচারের প্রতিবাদের জন্যই হয়েছে। তাহলে কেন বক্তারা বক্তব্যের অংশে বললেন, সিপিএম কংগ্রেসকে ভোট দিলে বিজেপি চলে আসবে? এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।সভায় বক্তৃতা দেন ঋত্বিকা সেন-সহ অন্যরাও। তারা দাবি করেন, দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং বিভিন্ন মত ও পেশার মানুষদের একত্রিত করে বাঙালিদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চালাচ্ছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে NRC-সহ একাধিক আইন আসতে চলেছে, যার ফলে অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে বাংলাদেশী ঘোষণা করে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বক্তারা। সভায় আরও জানানো হয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন।খলিলুর রহমান শেষে জানান, ব্যবসায়ী, সমাজসেবী, সাংবাদিক, অভিনেতা, সাহিত্যিক— বিভিন্ন স্তরের মানুষকে নিয়ে গঠিত হয়েছে এই দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ। তাদের লক্ষ্য, প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে মানুষকে সচেতন করা, বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি ও বাঙালিবিরোধী নীতি সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করা এবং মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক উদ্যোগের বার্তা পৌঁছে দেওয়া। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন, সংসদ খলিলুর রহমান, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, বিধায়ক কানাই চন্দ্র মন্ডল, দেশ বাঁচাও গণমাঞ্চে তরফ থেকে ছিলেন, রবিন সাংবাদিক রন্তিদেব, অর্থনীতিবিদ প্রদীপ গুহ ঠাকুরতা, অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্রকার সুদেষ্ণা রায়, সৈকত মিত্র, নাজমুল হক, অমিত কালী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুমন ভট্টাচার্য প্রমুখরা।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর