জাতি সত্তা, ভাষা সত্তা, ধর্মনিরপেক্ষতা ও ডঃ শহীদুল্লাহ
জাতি সত্তা, ভাষা সত্তা, ধর্মনিরপেক্ষতা ও ডঃ শহীদুল্লাহ
খগেন্দ্রনাথ অধিকারী
জাতি সত্তা, ভাষা সত্তা ও ধর্ম নিরপেক্ষতা, এই তিনটি বিষয় নিয়ে গোটা বিশ্ব আজ তোলপাড়। তোলপাড় আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশ। সমস্ত মৌলবাদীরা কি ধর্মীয় মৌলবাদী, কি ভাষাগত মৌলবাদী, কি জাতিগত মৌলবাদী, সমস্ত মৌলবাদী শক্তিগুলিই আজ দেশে দেশে সভ্যতা, সংস্কৃতি ও মানবতার সামনে এক গভীর চ্যালেঞ্জ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এই প্রেক্ষাপটে এই উপমহাদেশে তথা অবিভক্ত ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতি সত্তাগত স্বাতন্ত্র্য ও ভাষাগত স্বাধিকারের আপোষহীন সংগ্রামী বরেণ্য ভাষাতত্ত্ববিদ ডঃ শহীদুল্লাহকে স্মরণ করতে চাই। ইংরেজ শাসনাধীনে ১৮৮৫ সালের ১০ই জুলাই তিনি অবিভক্ত বাংলার অধুনা পশ্চিমবাংলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন এবং ১৯৬৯ সালের ১৩ই জুলাই তৎকালীন পূর্ব্বপাকিস্থানের ঢাকায় মৃত্যু বরণ করেন। শৈশব থেকেই ডঃ শহীদুল্লাহ ছিলেন একজন সংস্কারমুক্ত মানুষ। এবং বলা যায় যে তিনি ছিলেন চিন্তায় ও ভাবনায় গতানুগতিকতা বিরোধী একজন বিপ্লবী চেনতার অনন্য সাধারণ মানুষ। সাধারণের মধ্যে আজও প্রকাশ্যে--অপ্রকাশ্যে এই ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে সংস্কৃত হোল বেদ--বেদান্তের ভাষা, দেব-ভাষা, হিন্দুদের ভাষা। আর আরবী হোল কোরাণ ও হাদিসের ভাষা, ইসলামের ভাষা। স্বভাবতঃই মুসলিমরা পড়বে আরবী, হিন্দুরা পড়বে সংস্কৃত। ডঃ শহীদুল্লাহ এই গতানুগতিক ভ্রান্ত ধারণাকে দুপায়ে দলে পিষে, অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থান লেন এই ক্ষেত্রে। তাঁর বক্তব্য ছিল যে ভাষা কোন বিশেষ ধর্মের বা কোন জাতির বিষয় নয়। ভাষা হোল বেগবতী নদীর ধারার মত। ধর্ম দিয়ে বা জাতপাত দিয়ে তাকে বাঁধা যায় না। এই বাঁধার চিন্তাটাই হোল নির্বোধের হাস্যকর প্রয়াস মাত্র। এই অবস্থান থেকে ডঃ শহীদুল্লাহ সংস্কৃত ভাষা নেন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে। মৌলবাদী হিন্দু ও মৌলবাদী মুসলিমরা এতে রে রে করে ওঠে। একদিকে উলেমাপন্থীরা অর্থাৎ মুসলিম মৌলবাদীরা বলতে থাকেন--"মুসলিম ঘরের একটি মেধাবী-উজ্জ্বল সন্তান, সে কোথায় আরবি নিয়ে পড়বে এবং বড় হয়ে ইসলামী ভাবধারা ও ইসলামী সংস্কৃতি চর্চায় মূল্যবান অবদান রাখবে, তা না করে সে কিনা বেদ বেদান্ত উপনিষদের ভাষার দিকে, হিন্দুদের ভাষার দিকে ঝুঁকেছে ও ঝুঁকছে। কোন মোমিন ভাই কি এটা মানতে পারে?
অন্যদিকে, গোঁড়া হিন্দুরা, বিশেষ করে সংস্কৃত পণ্ডিতরা বলতে থাকেন--সংস্কৃত পড়বে হিন্দুরা। তারা এটা পড়ে হিন্দু সংস্কৃতিকে জানবে ও বুঝবে। তা না করে কিনা মুসলিম ঘরের ছেলেরা সংস্কৃত শিখবে! এ অসহনীয়। এ মানা যায় না। হিন্দু ধর্মের তথা দেবভাষা সংস্কৃতের পবিত্রতা এতে বিনষ্ট হবে। শহীদুল্লাহর এই স্পর্ধাকে রুখতেই হবে।
শেষ পর্যন্ত, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখার্জী আসরে নামেন। হিন্দু মৌলবাদী ও মুসলিম মৌলবাদী উভয় মৌলবাদী শক্তিকে ক্ষুরধারভাষায় তিনি আক্রমণ করেন এবং বলেন যে কোন ভাষা কোন বিশেষ ধর্মীয় গোষ্ঠীর লোকদের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। সব ভাষার দ্বার সবার কাছে উন্মুক্ত। যে কেউ যে কোন ভাষা নিয়ে চর্চা করতে পারে--এটা তার জন্মগত অধিকার। ধর্মের দোহাই পেড়ে কেউই এক্ষেত্রে কারোর আগ্রহকে দমিত করতে পারে না। দমন করার বা বাধা দেবার কোন চেষ্টা হোল একটি দানবীয় বর্ব্বরতা। এইভাবে স্যার আশুতোষ মুখার্জীর বলিষ্ঠ হস্তক্ষেপে ছাত্র শহীদুল্লাহ সংস্কৃত নিয়ে পড়ার সুযোগ পান। সাম্প্রদায়িকতাবাদী মৌলবাদী হিন্দু ও মুসলিমরা লেজ গোটাতে বাধ্য হয়।
ধর্ম নিরপেক্ষতার পথে তথা ভাষাগত প্রশ্ন নিয়ে তরুণ শহীদুল্লাহর এইভাবে চলা শুরু। তিনি বাংলা, উর্দূ, আরবি, সংস্কৃত, ইংরাজী সহ ২৪টি ভাষা রপ্ত করেছিলেন। এর মধ্যে ১৬টি ভাষায় তিনি ছিলেন ভীষণ তুখোড়। সাবলীল ভাবে লিখতে, পড়তে, কইতে পারতেন--তাঁর এই ভাষাগত বহুমুখীতা তাঁকে সমস্ত সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে তুলেছিল। তিনি ছিলেন এক সাত্ত্বিক সুন্নী মুসলিম। কিন্তু, কোন ধর্মীয় সংকীর্ণতা তাঁর মনটাকে কলুষিত করতে পারেনি। শিয়া, সুন্নী, হিন্দু, মুসলিম, খৃশ্চান, সকল ধর্মের সকল মতের মানুষের প্রতি তিনি ছিলেন শ্রাদ্ধাশীল। অন্যভাবে বলতে গেলে বলা চলা যে বিবিধ ভাষার চর্চা তাঁকে একজন উদার আন্তর্জাতিকতাবাদী তথা বহুত্ববাদী মানুষে পরিণত করেছিল।
পরাধীন ভারতবর্ষে জন্মে মাতৃভূমির মুক্তির জন্য তাঁর যে দায়, তা তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি যে মুসলিম মৌলবাদী উলেমা ও হিন্দু মৌলবাদী পণ্ডিতদের সমস্ত বাধাকে উপেক্ষা করে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের অকুতোভয় হস্তক্ষেপে তিনি কিভাবে সংস্কৃত নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছিলেন। এই লড়াই একদিকে তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতার ভিতকে আরো শক্তপোক্ত করেছিল। অন্যদিকে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর শ্রদ্ধা গভীরভাবে বেড়ে গিয়েছিল। তবে একটি বিষয় তাঁকে আমরণ পীড়া দিয়েছে তা হোল এই যে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মত একজন আপোষহীন ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের সন্তান হলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, যিনি ছিলেন সাম্প্রদায়িক মুসলিম লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্প্রদায়িক হিন্দু মহাসভার নেতা। ডঃ শহীদুল্লাহ মনে করতেন যে এই দুই অশুভ শক্তির দ্বন্দ্ব বিবেকানন্দ--রবীন্দ্রনাথ--নজরুলের বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করেছে।
স্মরণ রাখা দরকার যে একজন ধর্মনিরপেক্ষ ও বহুত্ববাদী ভাবনার ভাষাবিদ হিসাবে তাঁর সকল ধর্ম ও সকল ভাষার প্রতি সম মর্যাদা বোধ ছিল। কিন্তু, এতদৃসত্ত্বেও তিনি জাতি সত্তার প্রশ্নে ছিলেন আপোষহীন। ধর্মের ভিত্তিতে জাতপাত বিভাজনকে তিনি ধিক্কার দিয়েছেন। এই জন্যেই তিনি জিন্না ও ইকবালের সঙ্গে সহমত হতে পারেননি। তিনি তাই মুসলিম লীগে না গিয়ে জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁর দৃষ্টিতে জাতিসত্তা চিহ্নিত করার মানদণ্ড মোটেও ধর্ম নয়, সেটা হোল ভাষা ও সংস্কৃতি। তাই তিনি বলতেন আমরা হিন্দু হই, মুসলিমই হই, যাই হই না কেন, সবার আগে আমরা বাঙালী। এই বাঙালী জাতিসত্তার প্রশ্নে তিনি ছিলেন লৌহদৃঢ়। তিনি ছিলেন এর অতন্ত্র প্রহরী।
অন্যভাবে বলতে গেলে বলা চলে যে ডঃ শহীদুল্লাহ মোটেও উগ্র বাঙালীয়ানার প্রবক্তা ছিলেন না। তিনি সব ভাষার প্রতি ছিলেন সমানভাবে শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু, এই শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েও তিনি সব সময় মনে রাখতেন ও অন্যকে মনে করিয়ে দিতেন যে তিনি একজন বাঙালী, বাংলা তাঁর মাতৃভাষা এবং বিবেকানন্দ--রবীন্দ্রনাথ--নজরুলের আদর্শপুষ্ঠ বাঙালী সংস্কৃতির তিনি একজন অন্যতম ধারক ও বাহক। তাই পরাধীন ভারতবর্ষে রাষ্ট্র ভাষার প্রশ্নে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের বিতর্কে যুক্তি ও আবেগ উভয় দিয়েই বোঝানোর চেষ্টা করেন যে উর্দূ বা হিন্দী অবশ্যই সমৃদ্ধ ভাষা। কিন্তু বাংলা ভাষার সঙ্গে সমৃদ্ধির কষ্টিপাথরের বিচারে এই দুই ভাষার স্থান অনেক অনেক পরে। জিন্না ও ইকবালকে তিনি ভাষার বিবর্তনের তথ্য দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে জন্ম ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে উর্দূ ও হিন্দী বাংলার কাছে বহুগুণে ঋণী। কাজেই উর্দূ বা হিন্দী নয় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করলে ইতিহাসের সঙ্গে সুবিচার করা হবে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজী, ও সীমান্ত গান্ধী খান আব্দুল গফুর খান জাতীয় কংগ্রেস বনাম মুসলিম লীগের রাষ্ট্র ভাষাগত বিতর্কে ডঃ শহীদুল্লার অবস্থানকেই সমর্থন করেছিলেন। গান্ধীজী, সীমান্ত গান্ধী, শরৎচন্দ্র বসু ও কমিউনিস্ট নেতা সোমনাথ লাহিড়ী প্রমুখদের তীব্র বিরোধীতা সত্ত্বেও যখন দেশ বিভাগ অনিবার্য হয়ে উঠলো, তখন ইকবালের দেওয়া পাকিস্থান শব্দটিতে তীব্র আপত্তি জানিয়ে ডঃ শহীদুল্লাই বলেন যে খণ্ডিত বাংলার পূর্ব্ব অংশকে পূর্ব্ব পাকিস্থান না বলে তাকে পূর্ব্ববাংলা নামকরণ করা হোক। কিন্তু, উগ্র ভাষাগত মৌলবাদীরা তাঁর এই প্রস্তাব মানেননি। ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকাতে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রমুখদের সঙ্গে মিলিত হয়ে একটি সংগঠন তৈরী করেন যার লক্ষ্য হয় পূর্ব্ব পাকিস্থান নামকে পরিবর্তন করে পূর্ব্ববাংলা রাখা এবং বাংলা ভাষা ও বাঙালী সংস্কৃতির অস্তিত্বকে রক্ষা করা।
পাকিস্থান কর্তৃপক্ষ ডঃ শহীদুল্লাকে পাকিস্থান উর্দূ একাডেমির সভ্য করে। সেখানেও তিনি বাংলা, উর্দূ, বেলুচি, পাঞ্জাবী সহ বিভিন্ন ছোট ছোট "Dialects" বা উপভাষা ও সংস্কৃতি সমূহের সম মর্যাদা ও সমবিকাশের কথা বলেন। কিন্তু পাক কর্তৃপক্ষ তাঁর সে কথায় কর্ণপাত করেননি। সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোল এই যে অবিভক্ত পাকিস্থানে জনসংখ্যার সিংহভাগই বাংলায় কথা বলতেন। স্বভাবতঃই বাংলাই অবিভক্ত পাকিস্থানের রাষ্ট্রভাষা হওয়া উচিৎ বলেই অনেকের মত ডঃ শহীদুল্লাহও মনে করতেন। কিন্তু পাক শাসক গোষ্ঠী সে কথায় কোন গুরুত্বই দেননি--তার পরিণতি আমাদের সকলেরই জানা।
মোট কথা, জাতি সত্তা, ভাষা সত্তা ও ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রশ্ন নিয়ে উপমহাদেশীয় লড়াই বা বিশ্ব জোড়া লড়াই দীর্ঘদিনের এবং সেই লড়াইয়ে নমস্য একাধিক নামের মধ্যে ডঃ শহীদুল্লাহও একটি সম্মানিত ও সর্ব্বজন শ্রদ্ধেয় নাম। সারা পৃথিবীতে, বিশেষ করে ভারত, পাকিস্থান ও বাংলাদেশে এই তিনটি বিষয়ই আজ বিপন্ন। বিশেষ করে আমাদের দেশে, অশোক, আকবর, দারাশিকো, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের দেশে হিন্দু ও মুসলিম উভয় মৌলবাদ, এবং উগ্র হিন্দী আধিপত্যবাদ আমাদের দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা, ছোট বড় সকল জনগোষ্ঠীর জাত সত্তা ও ভাষাগত সত্তাকে বিপন্ন করছে। এর বিরুদ্ধে জাতি ধর্মনির্বিশেষে সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে এবং ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রত্যেক জনগোষ্ঠীর জাতি সত্তা ও ভাষাগত সত্তাকে রক্ষা করতে হবে, এটাই হোল ডঃ শহীদুল্লাহর প্রয়াণ দিবসে তথা প্রয়াণ পক্ষে সময়ের দাবী।
লেখক পরিচিতি
অধ্যাপক খগেন্দ্রনাথ অধিকারী রাষ্ট্রীয় বিদ্যাসরস্বতী পুরস্কার ও এশিয়া প্যাসিফিক পুরস্কার সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহু পুরস্কার প্রাপ্ত একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ। ইনি কোলকাতার সাউথ সিটি (দিবা) কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
ঠিকানা-শরনিয়ার বাগান
পোষ্ট-টাকী, পিন-৭৪৩৪২৯
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
০৫:৫২ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৪ শনিবার
ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একাধিক অসুখে ভুগছে
ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একাধিক অসুখে ভুগছে
মজিবুর রহমান, প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল
সাম্প্রতিক নিট (NEET-ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট) কেলেঙ্কারি ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঙ্কালসার অবস্থা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ করে দিয়েছে। নিট-ইউজি (আন্ডার গ্ৰ্যাজুয়েট) পরীক্ষার দুর্নীতি প্রকাশ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় নিট-পিজি (পোস্ট গ্ৰ্যাজুয়েট) পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নিয়োগের পরীক্ষা ইউজিসি-নেট (ইউনিভার্সিটি গ্ৰ্যান্টস কমিশন-ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট)।মানবদেহের চিকিৎসা যেভাবে পরিষেবা থেকে পণ্য হয়ে উঠছে তাতে ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। জনস্বাস্থ্যকে কেন্দ্র করে যেভাবে ব্যবসার বৃহৎ ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে তা সত্যিই বিস্ময়কর। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুরবস্থা দূরীকরণে সকলের সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
চিকিৎসকরা হলেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেই চিকিৎসক তৈরি করার পদ্ধতির মধ্যেই গুরুতর গলদ রয়েছে। এই পদ্ধতি যেমন মেধার সাথে আপস করছে তেমনি দুর্নীতির প্লাবন দ্বার খুলে দিচ্ছে। উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞানের সিলেবাস ও নিট-এর সিলেবাসের মধ্যে বেশ কিছুটা বৈসাদৃশ্য রয়েছে।আর, এই দুটো পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্যাটার্ন অনেকটাই আলাদা।এজন্য নিট-এর প্রস্তুতির সঙ্গে স্কুলের পঠনপাঠনের খুব একটা সম্পর্ক নেই। যারা চিকিৎসক হওয়ার পরিকল্পনা করে তারা উচ্চমাধ্যমিকের পড়াশোনার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয় না। এজন্য তারা থিয়োরির ক্লাস নয়, শুধুমাত্র প্র্যাকটিক্যাল ও প্রজেক্টের জন্য স্কুল যাওয়াকেই যথেষ্ট মনে করে। অর্থাৎ চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের কাছে স্কুলের তেমন গুরুত্ব থাকে না। মেধাবী শিক্ষার্থীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের বিদ্যালয়বিমুখতাকে শিক্ষা ব্যবস্থার একটি নেতিবাচক দিক হিসেবেই দেখা দরকার।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বকে অস্বীকার করে প্রথাবদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হতে পারে না।নিট ও উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞানের বিষয় অর্থাৎ জীববিদ্যা, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নবিদ্যার পাঠক্রমের মধ্যে প্রভেদ না রেখে নিটের সিলেবাসে কিছু বাড়তি অংশ অন্তর্ভুক্ত করা হোক। এতে মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থীদের পক্ষে দুটি পরীক্ষাতেই ভালো ফল করার সম্ভাবনা বাড়বে। এখন যে পড়ুয়া উচ্চমাধ্যমিকে জোর দেয় সে নিটে ভালো করে না আর যে নিটে জোর দেয় সে উচ্চমাধ্যমিকে ভালো করে না। একজন পড়ুয়ার খুব কাছাকাছি সময়ে দেওয়া দুটো পরীক্ষায় দুরকম ফল হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।
ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা সর্বভারতীয় না হয়ে রাজ্য ভিত্তিক হওয়া উচিৎ। ২০১৭ সালে জাতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট চালু হওয়ার আগে সেটাই ছিল।যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিকেন্দ্রীকরণের বদলে সবকিছু কেন্দ্রীকরণের প্রচেষ্টা কেন? পশ্চিমবঙ্গের নিরিখে বলতে পারি, কয়েক বছর পূর্ব পর্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী পড়ুয়ারা দু'একজন প্রাইভেট টিউটর অথবা জেলার অভ্যন্তরে কোনো কোচিং সেন্টারের সাথে সংযুক্ত থেকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় (JEE) সফল হয়ে ডাক্তারি পড়েছে। আর, এখন নিটের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ভালো কোচিং সেন্টারের সন্ধানে অনেককেই রাজ্যের বাইরে চলে যেতে দেখা যাচ্ছে।প্রচুর টাকা পয়সা খরচ হচ্ছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না পেয়ে অথবা পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে না পেরে কেউ কেউ আত্মহত্যা করে বসছে। কয়েক বারের চেষ্টায় অসফল হয়ে অনেকের ছাত্রজীবনে ও কর্মজীবনে অন্ধকার নেমে আসছে। তারা ডাক্তার হতে গিয়ে জীবনযুদ্ধে চিররোগী হয়ে পড়ছে।কিন্তু কোচিং সেন্টারগুলোর রমরমা ব্যবসায় কোনো ব্যত্যয় ঘটছে না।
মেডিক্যাল কলেজ ও এমবিবিএস (ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি) কোর্সের আসন সংখ্যা প্রায় প্রতি বছরই বৃদ্ধি পায়। সেটাই স্বাভাবিক। এন এম সি (ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে মেডিক্যাল কলেজ ও এমবিবিএস-এর আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৭০৬ ও ১০৯১৪৫। এর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি কলেজের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৮৬ ও ৩২০ আর তাদের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৫৫৮৮০ ও ৫৩২৬৫। অর্থাৎ, চিকিৎসক তৈরির সরকারি আয়োজনকে প্রায় ধরে ফেলেছে বেসরকারি উদ্যোগ এবং অদূর ভবিষ্যতে হয়তো অতিক্রম করে যাবে। ২০২৪ সালে নিট-ইউজি'র পরীক্ষার্থী ছিল ২৩ লক্ষ ৩৩ হাজার। সর্বমোট ৭২০ নম্বরের পরীক্ষায় পাস নম্বর নির্ধারিত হয় ১৩৮। অর্থাৎ, ২০ শতাংশের কম নম্বর পেয়েও একজন পরীক্ষার্থী ডাক্তারি পড়ার যোগ্যতা অর্জন করছে। এত কম নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও পাস করা যায় না। স্কুল শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য এর থেকে অনেক বেশি পার্সেন্টেজ পেতে হয়। অতি সাধারণ বা নিম্ন মেধার পড়ুয়ারা ডাক্তার হলে তো খুব মুশকিল! নেট-ইউজি'র পুরো প্রশ্নপত্রটাই এমসিকিউ (মাল্টিপ্ল চয়েস কোশ্চেন) দিয়ে তৈরি। অর্থাৎ কিছু লেখার দরকার নেই। চারটি বিকল্প থাকে। সেখান থেকে সঠিকটা চিহ্নিত করতে হয়। এরূপ একমাত্রিক পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে পড়ুয়াদের জ্ঞান, বোধ, বুদ্ধি, উদ্ভাবনী শক্তি ও স্মরণ শক্তি তথা সামগ্ৰিকভাবে মেধা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায় না।মানুষের জীবন মরণের প্রশ্ন জড়িত রয়েছে যে পেশাজীবীদের সঙ্গে সেই চিকিৎসকদের মেধার সাথে কখনও আপস করা উচিৎ নয়। সত্যিকারের মেধাবী ও পরিশ্রমী পড়ুয়ারাই যাতে ডাক্তার হয় তা নিশ্চিত করা দরকার।এজন্য বর্তমানে মেডিক্যালের যে পরীক্ষা পদ্ধতি রয়েছে তা পাল্টানো এবং পাস নম্বর বাড়ানো জরুরি।
এমবিবিএস কোর্স করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ সরকারি কলেজ। এর একটা বড় কারণ সরকারি কলেজে পড়াশোনা করার খরচ বেসরকারি কলেজের তুলনায় অনেকটাই কম। পাঁচ বছরের এমবিবিএস কোর্স সরকারি কলেজে সাকুল্যে ২-৩ লাখ টাকায় হয়ে যায়। এর ফলে মধ্যবিত্ত তো বটেই এমনকি নিম্নবিত্ত পরিবারের পড়ুয়াকেও আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় না।কিন্তু বেসরকারি কলেজে পড়ার খরচ ৭০ লাখের উপরে শুরু হয় এবং তা ১ কোটি থেকে ১.৫ কোটিতে পৌঁছায় যা কেবলমাত্র উচ্চবিত্তদের পক্ষেই অ্যাফোর্ড করা সম্ভব।সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোর্স ফি-এর মধ্যে এমন বিশাল ব্যবধান আমাদের 'সমাজতান্ত্রিক' দেশে কতটা যুক্তিযুক্ত ভেবে দেখা দরকার। বেসরকারি কলেজের ফি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নির্ধারিত হওয়া উচিত।
নিট-ইউজি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে যে মেধা তালিকা তৈরি হয় তার প্রথম দিককার স্থানাধিকারীরা সরকারি কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়।কে কোন কলেজে ভর্তি হতে পারবে সেটাও নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঠিক করে দেয়। ২০২৪ সালে ২৩ লাখ ৩৩ হাজার পরীক্ষার্থী ছিল। উত্তীর্ণ হয়েছে ১৩ লক্ষ। প্রথমদিককার ৫৬ হাজার প্রার্থী সরকারি কলেজে ভর্তি হবে। বাকি ৫৩ হাজার আসনে বেসরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য ১২ লক্ষ ৪৪ হাজার প্রার্থীর মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে।বেসরকারি কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে মেধা তালিকার ক্রমিক নম্বরের কোনো গুরুত্ব নেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বেসরকারিতে ৫৫০ নম্বর পাওয়া পড়ুয়ার যতটুকু অধিকার ১৫০ নম্বর পাওয়া প্রার্থীরও ততটুকু অধিকার। মেধার কোনো মূল্য নেই। আসলে এখানে পুরোটাই টাকার খেলা। যার টাকা আছে সে ন্যূনতম কোয়ালিফাইং নম্বর পেয়েই ডাক্তারি পড়ার ছাড়পত্র পেয়ে যাবে আর, যার টাকা নেই সে দুই-চার নম্বর কম পাওয়ার কারণে সরকারি কলেজে ভর্তি হতে পারেনি বলেই তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন কখনও পূরণ হবে না।নিটে ৭৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া দরিদ্র পরিবারের ছেলেটি বা মেয়েটি ডাক্তার হতে পারবে না কিন্তু ২০ শতাংশ নম্বর পাওয়া ধনী পিতামাতার সন্তানের গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলবে।এই ব্যবস্থা নিশ্চিতভাবেই ভালো মানের চিকিৎসক তৈরির পরিপন্থী।
ভারতে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করার অত্যধিক খরচের জন্য প্রতি বছর লক্ষাধিক নেট উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশ, ইউক্রেন, চীন প্রভৃতি দেশে পাড়ি দেয়। বাংলাদেশে ৩০-৪০ লাখে ও ইউক্রেনে ২০-২৫ লাখে ডাক্তারি পড়া যায়। চীনে আরও কম টাকায় ডাক্তারি পড়ানো হয়। তাহলে ভারতে প্রাইভেট কলেজে এমবিবিএস কোর্সে কোটি টাকার গল্প কেন? আসলে আমাদের দেশের সরকার স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের মুনাফা বৃদ্ধি আর কোটিপতি বাবামায়ের সন্তানের চিকিৎসক হওয়ার পথ প্রশস্ত করতেই নিটের নিয়মাবলি রচনা করেছে।
নিট পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতির পেছনেও একটি বড় কারণ প্রাইভেট কলেজের ফি। যাদের ৮০-১০০% নম্বর পাওয়ার মতো মেধা নেই বা বলা যায় যাদের সরকারি কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই তাদের একাংশ প্রশ্নপত্র কেনার চেষ্টা করে। ৩০-৪০ লাখ টাকা দিয়ে প্রশ্নপত্র কিনে ভালো ফল করে সরকারি কলেজে ভর্তি হতে পারলে বেসরকারি কলেজে পড়ার খরচ ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। দুর্নীতির মধ্যেও অঙ্ক রয়েছে! সুতরাং, দুর্নীতি বন্ধ করার একটা উপায় হিসেবেও প্রাইভেট কলেজের ফি কমানো দরকার।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রচুর টাকা খরচ করে যারা ডাক্তার হয় তাদের অনেকেই চেষ্টা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই টাকা তুলে নেওয়া যায়। ডাক্তার হয়ে 'মানবসেবা'র কথা বিস্মৃত হয়ে তারা অর্থ উপার্জনে মনোনিবেশ করে। সরকারি বেতনে তাদের পোষায় না। তারা সরকারি চাকরির পরওয়া করে না। সরকারি চাকরি পেলে ভালো, না পেলেও ক্ষতি নেই। প্রাইভেট চেম্বার ও প্রাইভেট হাসপাতাল তথা নার্সিংহোমই যথেষ্ট।যত রকম ভাবে সম্ভব পেশেন্ট পার্টির পকেট কাটার ব্যবস্থা করা হবে। প্রথমত, চার-পাঁচ মিনিটে রোগী দেখে একটা প্রেসক্রিপশন লিখে চার-পাঁচশো টাকা 'ভিজিট' নেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, প্রয়োজন না থাকলেও প্রেসক্রিপশনে এক বা একাধিক টেস্ট লিখে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে 'কমিশন' খেতে হবে। টেস্ট যত দামী হবে কমিশন তত বেশি হবে। তৃতীয়ত, ওষুধ ব্যবসায়ীদের এজেন্ট তথা মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের কথা মতো কাজ করে 'গিফট' নিতে হবে। এভাবেই অনৈতিক উপায়ে দৈনিক হাজার হাজার অথবা লক্ষাধিক টাকা উপার্জন নিশ্চিত করা হবে। টাকার জোরে বেসরকারি কলেজ থেকে ডাক্তার হয়ে যখন অনেকেই এত উপার্জন করে তখন যারা মেধার জোরে সরকারি কলেজ থেকে ডাক্তার হয়েছে তারা প্রথমজনদের থেকে কম উপার্জনকে মেনে নিতে পারে না। তখন তারাও প্রথমজনদের পথ অবলম্বন করে। দুটি ক্ষেত্রেই কিছু ব্যতিক্রম আছে। কিন্তু সাধারণ প্রবণতা হল আজকাল অর্থের জন্য চিকিৎসকদের 'ভগবান' থেকে 'কসাই' হতে আপত্তি নেই। চিকিৎসকদের এই অসুস্থ মানসিকতা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পক্ষে বিপজ্জনক।
ওষুধ ব্যবসা সাংঘাতিক মুনাফার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।ওষুধ কোম্পানি ও চিকিৎসকদের একাংশের যোগসাজশে অত্যন্ত চড়া দামে বাজারে ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। একজন বিশিষ্ট চিকিৎসকের লেখা থেকে জানা যাচ্ছে, হার্ট অ্যাটাকে ব্যবহৃত স্ট্রেপ্টোকাইনেজ ইনজেকশন পেশেন্ট পার্টিকে কিনতে হয় ৯ হাজার টাকা দিয়ে, অথচ ইনজেকশনটির প্রকৃত মূল্য ৭০০-৯০০ টাকা। টাইফয়েডে ব্যবহৃত মনোসেফ ট্যাবলেটের পাইকারি মূল্য ২৫ টাকা, কিন্তু ফার্মেসি থেকে দ্বিগুণ অর্থ দিয়ে কিনতে হয়। ডায়ালাইসিসের একটি ৫০০ টাকার ইনজেকশন পেশেন্ট পার্টিকে কিনতে হয় ১৮০০ টাকা দিয়ে। সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ১৫০ টাকার অ্যান্টিবায়োটিকের বদলে ডাক্তার হয়তো প্রেসক্রাইব করছেন ৫৪০ টাকা মূল্যের কোনো অ্যান্টিবায়োটিক। বাজারে একটি আল্ট্রাসাউন্ড টেস্ট করলে দিতে হয় ৭৫০ টাকা, রেডিওলজিস্ট পায় ২৪০ টাকা, বাকিটা ডাক্তারের কমিশন।এম আর আই করতে ডাক্তারের কমিশন ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল বদল দরকার। কিন্তু বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়নের যুগে তার খুব একটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। সরকার শিক্ষা-স্বাস্থ্য থেকে ক্রমাগত হাত গুটিয়ে নিচ্ছে। সরকারের নিয়ন্ত্রণ যত কমবে অনিয়ম, দুর্নীতি ও শোষণ তত বাড়বে। মূল্যবোধ ও মানবিকতার অবক্ষয় আরও ত্বরান্বিত হবে। জনসচেতনতা ও গণপ্রতিরোধ ছাড়া অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব নয়।
০৪:৩৮ পিএম, ৫ জুলাই ২০২৪ শুক্রবার
আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে সুতিতে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা
আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে সুতিতে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা
মোঃ ইজাজ আহামেদ
সুতি, ১৯ এপ্রিল: আজ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মাননীয় খলিলুর রহমানের সমর্থনে
সুতির ছাবঘাটী কে.ডি বিদ্যালয় ময়দানে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মোহাম্মদ আখরুজ্জামান, বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, বিধায়ক জাকির হোসেন, বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, মুর্শিদাবাদ জেলার সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা, তৃণমূল কংগ্রেসের সুতি ২ ব্লক সভাপতি লতিফুর রহমান, সহ সভাপতি মাসুদ রানা প্রমুখ নেতা নেতৃবৃন্দ। এদিন জনসভায় মানুষের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত নেতা-নেত্রীগণ জনকল্যাণমুলক ও উন্নয়নমুলক কাজের কথা আলোকপাত করেন জনতার কাছে। জনস্রোতে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনের আবহাওয়া পরিলক্ষিত হয়
।
১০:২০ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার
জঙ্গীপুরে অনুষ্ঠিত হলো কংগ্রেস- বাম জোট প্রার্থীর জনসভা
জঙ্গীপুরের মহম্মদপুরে অনুষ্ঠিত হলো কংগ্রেস- বাম জোট প্রার্থীর জনসভা
মোঃ ইজাজ আহামেদ
জঙ্গিপুর: ১৩ এপ্রিল শনিবার বিকেলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী মুর্তজা হোসেনের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হলো জঙ্গীপুরের মহম্মদপুরের হলুদ মিল মোড়ে। প্রধান বক্তা ছিলেন পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতা, পি সি সি চেয়ারম্যান, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন লোকসভা প্রার্থী মর্তুজা হোসেন, মোঃ মিরকাশিম, মোহন মহাতো প্রমুখ নেতা নেতৃগণ। এদিন তাঁরা বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি সহ দেশে চলমান অন্যান্য সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এদিন জনসভায় মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
১০:৫৫ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০২৪ রোববার
নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কিত কিছু ভাবনা
নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কিত কিছু ভাবনা
মজিবুর রহমান, প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল
সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার সংসদীয় শাসনব্যবস্থার প্রাণস্বরূপ। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতে লোকসভা, বিধানসভা ও পঞ্চায়েত বা পৌরসভা- এই তিনটি প্রধান ভোট।অর্থাৎ, দেশের প্রতিটি শহর ও গ্ৰামে প্রতি পাঁচ বছরে অন্তত তিনবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনকে এখন গণতন্ত্রের উৎসব বলা হচ্ছে। এদিক থেকে দেখলে লোকসভা নির্বাচন দেশের বৃহত্তম উৎসব।একইভাবে বিধানসভার ভোট সংশ্লিষ্ট রাজ্যের এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন গ্ৰামীণ এলাকার সবচেয়ে বড় উৎসব।রাষ্ট্র, রাজ্য অথবা স্থানীয় এলাকার সরকার গঠনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত উৎসব অনেকসময়ই উপভোগ্য থাকে না। নানাবিধ কারণে অনেকের কাছেই এই উৎসব আনন্দদায়ক হওয়ার পরিবর্তে বিরক্তিকর ও আতঙ্কজনক হয়ে ওঠে। এজন্য সমগ্ৰ নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কিভাবে আরও সহজ, সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করা যায় সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করার অবকাশ রয়েছে।
লক্ষ্য করলে দেখা যায়, স্বাধীন ভারতে ১৯৫২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৭২ বছরে নির্বাচনী ব্যবস্থায় বেশকিছু নিয়মের রদবদল করা হয়েছে।যেমন, ৬১তম সংবিধান সংশোধনী, ১৯৮৯-এর মাধ্যমে ভোটাধিকারের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করা হয়। ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টি এন শেষনের সময়ে (১৯৯০-১৯৯৬) একাধিক উল্লেখযোগ্য সংস্কার সাধন হতে দেখা যায়। আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার দিন থেকে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য আদর্শ আচরণবিধি (মডেল কোড অব কনডাক্ট) কার্যকর করা হয়। প্রচারণার জন্য প্রার্থীদের ব্যয়ের উর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করা হয়। প্রচারণায় সাম্প্রদায়িক ও বর্ণভিত্তিক মন্তব্য নিষিদ্ধ করা হয়। ভোট প্রচারের সময় মন্ত্রিসভা তথা আইনসভার সদস্যদের সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়।১৯৯৩ সালে সকল ভোটারের জন্য সচিত্র পরিচয় পত্র বা এপিক চালু করা হয়। এখন ভোটার লিস্টেও ভোটারের ফটো থাকে। বাড়ি বাড়ি ভোটার স্লিপ পৌঁছে দেওয়া হয়। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্ৰহণ করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে ভোটগ্ৰহণ কেন্দ্রে গিয়েও একজন ভোটারের কোনো প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ইভিএম-এ 'নোটা' বোতাম সংযুক্ত করা হয়। ভিভিপ্যাট থেকে ভোটার দেখে নিতে পারেন তিনি যে প্রার্থীকে ভোট দিলেন তিনিই সেই ভোট পেলেন কিনা। আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটপ্রদান পর্ব শেষ হবার অব্যবহিত পরে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রেই ভোট গণনা করা হতো, এখন তা দিন কয়েক পর বিডিও অফিসের তত্ত্বাবধানে করা হয়। আগে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ভোটকর্মীদের ব্যক্তিগত ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হতো, এখন ভোটকর্মীদের নিজ নিজ বিধানসভা এলাকায় ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়। গত শতক পর্যন্ত এক দিনেই ভোট গ্ৰহণ করা হয়েছে, এখন তা অধিকাংশ রাজ্যে একাধিক দফায় করা হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন রাজ্য পুলিশ এবং তাৎক্ষণিক ভাবে নিযুক্ত লাঠিধারী ভলান্টিয়ার। এখন লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া করা হয় না। কাজেই বলা যায়, আমাদের দেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নানান সংযোজন-বিয়োজন বা পরিবর্তন ঘটেই চলেছে।
নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারের ধারাবাহিকতায় আরও কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা দরকার বলে মনে হয়।যেমন- এক, ভোটাধিকারের ন্যূনতম বয়স কয়েক বছর বাড়ানো উচিত কারণ একজন ব্যক্তির মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি হওয়ার জন্য আঠারো বছর বয়স যথেষ্ট নয়। প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা শেষ করতেই সাধারণত একজন শিক্ষার্থীর বয়স ২৪-২৫ বছর হয়ে যায়। আমাদের দেশে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর। ভোটাধিকারের ন্যূনতম বয়সও ওটাই করা যেতে পারে। দুই, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা হোক যাতে মানুষ বিভিন্নভাবে এতে সামিল হতে পারে। ১৯৫২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কোনো লোকসভা নির্বাচনে ভোট প্রদানের জাতীয় গড় ৭০ শতাংশ অতিক্রম করেনি। ৩০ শতাংশ ভোটারের ভোটদানে বিরত থাকা সংসদীয় শাসনব্যবস্থার পক্ষে স্বাস্থ্যকর পরিসংখ্যান হতে পারে না। একজন ভোটার ব্যস্ততা, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে কোনো একটি নির্দিষ্ট ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারলেও যাতে সে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা দরকার। অনলাইনে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করি। তাহলে 'ডিজিটাল' ভারতে অনলাইনে ভোট গ্ৰহণে অসুবিধা কোথায়? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কলকাতা হাইকোর্ট ই-মেল ও হটসআপের মাধ্যমে মনোনয়ন পত্র পেশ করার অনুমতি দিয়েছিল। তিন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার অন্যতম মানদণ্ড হিসেবে একটা ন্যূনতম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হোক। যেটা ছাড়া একজন নাগরিকের পক্ষে কোনো সরকারি চাকরি পাওয়া সম্ভব নয় সেটা ছাড়া একজন নাগরিক আইনসভার সদস্য হবেন কেন? ছোটবেলা থেকে স্কুল-কলেজে লেখাপড়া না শিখে সমাজবিরোধী ও অসামাজিক কার্যকলাপ করতে করতেই অনেকের রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ ঘটছে এবং তারা জনপ্রতিনিধিও হয়ে যাচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। চার, ভোট প্রক্রিয়ার দীর্ঘীকরণ রোধ করা হোক। ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে ১৬.৩.২৪ তারিখ।মোট সাত দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে।প্রথম দফা (১৯.৪.২৪) থেকে অন্তিম দফার (১.৬.২৪) ব্যবধান ৬ সপ্তাহ। ভোট গণনা হবে ৪.৬.২৪ তারিখ। অর্থাৎ নির্ঘণ্ট ঘোষণা থেকে গণনা দীর্ঘ ৮০ দিনের ব্যাপার। ১৭তম লোকসভা নির্বাচনও সাত দফায় অনুষ্ঠিত হয়।নির্ঘণ্ট ঘোষণা থেকে গণনা চলে ৭২ দিন ধরে। ভোটদান পর্বকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করার স্বার্থেই এমন প্রলম্বিত সূচির প্রয়োজনীতার কথা বলা হলেও বাস্তবে উল্টোটাই ঘটতে দেখা যায়। ভোট প্রক্রিয়া যত দীর্ঘমেয়াদী হয় প্রার্থীদের পক্ষে বাহুবল ও অর্থবল দেখানোর সময় ও সুযোগ তত বৃদ্ধি পায়। নির্বাচন পর্ব কম সময়ের মধ্যে সাঙ্গ হলে সাধারণ ভোটাররা অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত বা বিভ্রান্ত না হয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি অনুযায়ী ভোট দিতে পারেন।সমগ্ৰ ভোট প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে জনজীবন ও প্রশাসনিক কাজকর্মকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা উচিৎ। পাঁচ, অন্তর্বর্তী নির্বাচন রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা দরকার।বিকল্প সরকার গঠনের নিশ্চয়তা তৈরি না করে কোনো ক্ষমতাসীন সরকারের পতন ঘটানো যাবে না, এই মর্মে আইন প্রণয়ন করতে হবে। ঘন ঘন ভোট যজ্ঞের আয়োজন দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য ও স্থায়ী উন্নয়নের পরিপন্থী।ছয়, ভোট গ্রহণ করতে গিয়ে ভোটকর্মীদের অমানসিক চাপ সহ্য করতে হয়। তাই কোনো সরকারি কর্মচারী-শিক্ষকই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকর্মী হতে চান না। প্রিসাইডিং অফিসার নানান ধরণের ফর্ম পূরণ করতে করতেই নাজেহাল হয়ে পড়েন।এত বেশি নিয়মাবলী প্রয়োগ করার কথা বলা হয় যে, বুথের মধ্যে সেসব মনে রাখা ও কার্যকর করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। অথচ এগুলোর সঙ্গে ভোটকর্মীদের নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন ও সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করার খুব একটা সম্পর্ক নেই। অজস্র অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্রের হিসেব রাখার পরিবর্তে ভোট গণনা করার জন্য যেটুকু তথ্য দরকার ভোটকর্মীদের কেবল সেটুকুই প্রস্তুত করতে বলা হোক। লক্ষ্যের থেকে উপলক্ষ্যকে বড় করে ভোটকর্মীদের অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে ফেলা বন্ধ হোক। সাত, ইভিএম ও অন্যান্য কাগজপত্র ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া এবং ভোট গ্রহণ শেষে সেগুলো সংগ্ৰহ করার দায়িত্ব সেক্টর অফিসারের ওপর ন্যস্ত করা যেতে পারে। অর্থাৎ ডিসি-আরসি'র কাজ করবেন সেক্টর অফিসার আর সেক্টর অফিসারের সঙ্গে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভোটকর্মীদের বোঝাপড়া হবে। আট, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার জন্য অথবা সামগ্ৰিকভাবে ভোটের কাজে দীর্ঘদিন ধরে পঠনপাঠন বন্ধ রেখে স্কুল-কলেজ ব্যবহার করা উচিৎ নয়। আমরা যেন মনে না করি- সবার উপরে ইলেকশন সত্য তাহার উপরে নাই।
সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় দেশের সকল নাগরিকেরই কমবেশি রাজনীতি সচেতন হওয়া দরকার।এই সচেতনতা শুধু ভোটের সময় রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের ভাষণ শুনে তৈরি হয় না। সারা বছর চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে হবে। ভোটের সময় তার প্রয়োগ ঘটাতে হবে। সরকার গঠনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে সহজ ভাবে গ্ৰহণ করতে হবে। রাজনীতিতে শাসক পক্ষ ও বিরোধী পক্ষ উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মানুষ ঠিক করবে কোন দল কোন দায়িত্ব পালন করবে। ভোট নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি ভালো নয়। আজকের দিনে রাজনীতিতে চরম অবক্ষয়ের জন্য জনগণের অজ্ঞতাও অনেকাংশে দায়ী।
০২:০৫ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২৪ শনিবার
অরঙ্গাবাদের মহেন্দ্রপুর ঈদগাহে ঈদ উদযাপন
১০:৪০ এএম, ১১ এপ্রিল ২০২৪ বৃহস্পতিবার
জঙ্গীপুরে শুরু হলো নাট্য উৎসব -২০২৪
জঙ্গীপুর, ১ মার্চ ২০২৪: প্রত্যেক বছরের ন্যায় এইবছর গতকাল ২৯শে ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় রঘুনাথগঞ্জের রবীন্দ্রভবনে রঘুনাথগঞ্জ থিয়েটার গ্রুপ ও বাগানবাড়ি ড্রামাটিক ক্লাব পরিচালিত পাঁচদিন ব্যাপী বাৎসরিক নাট্য উৎসব ২০২৪ - এর উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন থিয়েটার গ্রুপের পৃষ্টপোষক মোহাঃ হাসানুজ্জামান (লিটন) , সভাপতি রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি বিজয় কুমার জৈন, সম্পাদক অজিত সরকার, সাহিত্যিক কাজী আমিনুল ইসলাম, কবি মোঃ ইজাজ আহামেদ, বাংলাদেশ থেকে আগত নাট্য ব্যক্তিত্ব মোহাঃ রফিক, রাজনীতিবিদ হালিমা বিবি, রঘুনাথগঞ্জ থিয়েটার গ্রুপ ও বাগানবাড়ি ড্রামাটিক ক্লাবের সদস্যবৃন্দ। উপস্থিত অতিথিদের বরণ করা হয় এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া অতিথিদের, নাট্য গ্রুপ ও সাংবাদিকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সোমনাথ কর। এদিন দুটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। প্রত্যেকদিন দুটি করে নাটক মঞ্চস্থ করা হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান।
১১:১৬ এএম, ১ মার্চ ২০২৪ শুক্রবার
মহান সূফী সাধক হজরত আলা হুজুরের ১৬০তম ঊরুষ খানকাহ শরীফ মেদিনীপুরে
মহান সূফী সাধক হজরত আলা হুজুরের ১৬০তম ঊরুষ খানকাহ শরীফ মেদিনীপুরে
মেদিনীপুর, ২৪ফেব্রুয়ারি,২০২৪: মহান তাপস সৈয়েদো হবনা হযরত সৈয়দ শাহ মেহের আলী আল কাদেরির ১৬০ তম বাৎসরিক উরস শরীফ তাঁরই প্রপৌত্র মেদিনীপুর খানকাহ শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরসাহেব হযরত মওলানা সৈয়দ শাহ জেলাল মুরশেদ আল কাদেরির তত্ত্বাবধানে ৬ ফাল্গুন ( 19 ফেব্রুয়ারি), সোমবার মেদিনীপুর খানকাহ
শরীফে মহা সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠানে হাজার হাজার ভক্ত ও শিষ্যের সমাগম ঘটে। এই মহান তাপস 'আলা হুজুর' নামে সমধিক প্রসিদ্ধ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, সম্মানীয় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, অন্যান্য বিশিষ্ট মাননীয় ব্যাক্তি বর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিধায়ক কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মহঃ আব্দুল গনি।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মীর দারাশেকো, লোকসভার সাংসদ খলিলুর রহমান, মেদিনীপুরের স্থানীয়
বিধায়ক জুন মালিয়া, বিধায়ক ও রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারফ হোসেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুজয় হাজরা, জেলা তৃনমূল সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক মেরাজ আহমেদ,
স্থানীয় পৌর প্রতিনিধি অর্পিতা নায়েক, সমাজসেবী বিশ্বেশ্বর নায়েক, কাদেরী টাইমস এর সম্পাদক সৈয়দ মিনহাজ হুসেন আল হুসেনী, কলম পত্রিকার কাজী আলি আকবর প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এই উরস শরীফে কাদেরী টাইমস পত্রিকার বার্ষিক ঊরুষ সংখ্যা উদ্ভোধন করেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী মাননীয় স্নেহাশীষ চক্রবর্তী।
আলা হুজুরের ১৬০তম বাৎসরিক উরস উৎসব উপলক্ষে সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি শান্তি ও জাতীয় ঐক্য শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সমস্ত অতিথিবর্গ তাদের বক্তব্যে আলা হুজুরের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন।
পবিত্র এই অনুষ্ঠানের সুচনা করেন দরবার শরীফ কলকাতা ও মেদিনীপুর খানকাহ শরীফের নায়েব সাজ্জাদানশীন পীরজাদা মওলানা অধ্যাপক ড. সৈয়দ মুস্তাফা মুরশেদ জামাল শাহ আল কাদেরী বিভাগীয় প্রধান আরবি বিভাগ মওলানা আজাদ কলেজ কলকাতা। তিনি তাঁর বক্তব্যে আলা হুজুরের
সুমহান জীবনাদর্শের উপর আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠান শেষে পীরসাহেব মানব কল্যান ও বিশ্ব শান্তির জন্য ভক্তদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দেন।
১০:১৮ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার
সামসেরগঞ্জে পালিত হলো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে নাট্য উৎসব
সামসেরগঞ্জে পালিত হলো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে নাট্য উৎসব
মুর্শিদাবাদ, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪: প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার সমশেরগঞ্জ ব্লকের কাঁকুরিয়ার সাহেবনগর হাই স্কুল প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ধুলিয়ান নাট্যসৃজন এবং দৈনিক জয় বাংলা পত্রিকার যৌথ প্রয়াসে পালিত হলো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জেলা ব্যাপী নাট্য উৎসব। এই মঞ্চে কবিতা পাঠ ও নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার সাথে সাথে একুশে ফেব্রুয়ারির শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, সমাজসেবী, সংবাদিক, টলিউডের অভিনেতা- অভিনেত্রী ও রাজনৈতিক পদস্থ ব্যক্তিরা। সম্মানীত হন দ্বিভাষিক কবি মোঃ ইজাজ আহামেদ, কবি মোহঃ হাসানুজ্জামান (লিটন), কবি আবদুস সালাম, গোলাম কাদের, রফিকুজ্জামান খান ও দ্বিভাষিক কবি ইমদাদুল ইসলাম, কবি জালালউদ্দিন রেজা, রুবিনা আকতার সহ অনেকেই। উপস্থিত ছিলেন টলিউডের চিত্র পরিচালক দাইদ হোসেন, চিত্র অভিনেতা দেবা ব্যানার্জী, অভিনেতা ও প্রযোজক মেরাজ শরীফ, অভিনেতা চিন্টু, হাউস নগর প্রতিবন্ধী মঞ্চের সভাপতি তৌসিক আহমেদ ও সম্পাদক সাবির হোসেন প্রমুখ।
মঞ্চে নতুনভাবে সংযোজিত হয়েছিল একটি নতুন সিনেমার প্রোমো লঞ্চ। ওই অনুষ্ঠানে ফুলকি এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত বাসার শেখ- এর কাহিনী অবলম্বনে এবং তরুণ প্রতিভাবান পরিচালক দাউদ হোসেনের চিত্রনাট্য সংলাপ ও পরিচালনায় 'তুই কে আমার' ছবির ট্রেলার দেখানো হয়। ছবিটি মূলত দুজন ছোট ছেলে মেয়ের ঘাত প্রতিঘাতের জীবন কাহিনী অবলম্বনে গড়ে উঠেছে। গ্রাম বাংলা থেকে উঠে আসা এক গ্রাম্য কাহিনী অবলম্বনে নতুন ছেলে মেয়েদের নিয়ে ছবিটি তুলে ধরেছে নানাবিধ ঘটনা প্রবাহ। দুই কিশোর কিশোরীর গল্প অবলম্বনে 'তুই কে আমার' ছবিটি দর্শক মহলে সাড়া ফেলবে বলে আশা করছেন পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা।
০৮:৩৬ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার
গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী এক মহিলা, তদন্তে পুলিশ
০৮:৩৭ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রোববার
অনুষ্ঠিত হলো স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকার সাহিত্য সভা
অরঙ্গাবাদ, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪: আজকে অরঙ্গাবাদের একান্ত আপন লজে অনুষ্টিত হলো স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকার চতুর্থ সংখ্যার উন্মোচন, সাহিত্য সম্মেলন ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। এই সংখ্যায় ২২টি দেশের বাংলা ও ইংরেজি ভাষার ২০০ জন কবি - লেখক কলম ধরেছেন। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৫০ জন কবি - সাহিত্যিক। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ দিল বাদশা, মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাক্তন সহ সভাধিপতি নিজামউদ্দিন আহমেদ, সহিত্যিক এস এম নিজামউদ্দিন, সহিত্যিক আনওয়ার হোসেন সিদ্দিকী, কবি ও লেখক মোহাঃ হাসানুজ্জামান, শিক্ষাবিদ গুলজার হোসেন, কবি স্বপন কুমার, কবি ও লেখক আসিকুল আলম বিশ্বাস, কবি ও পত্রিকার সহ সম্পাদক ইমদাদুল ইসলাম, কবি মোঃ মুরসালীন হক, কবি রাফিকুজ্জামান খান, কবি মোহাঃ আলিউল হক, কবি গোলাম কাদের, কবি মাহতাব হোসেন, কবি মেহেজাবিন আফরোজা, কবি উমার সিদ্দিক রিন্টু, শিক্ষিকা সায়েদা মুসফেকা ইসলাম, শিশু শিল্পী মাহমুদ হোসেন, প্রচ্ছদ শিল্পী হুমায়ূন কবীর, কবি উমার ফারুক, কবি উমার সিদ্দিক রিনটু, কবি খালিদা খাতুন, কবি সব্যসাচী দাস, কবি জালালউদ্দিন রেজা, কবি পারভীন খাতুন, কবি সামসুদ্দিন বিশ্বাস, কবি বিশ্বজিৎ সাঠিয়ার, কবি ইমতিয়াজ কবি, কবি অসিত প্রামাণিক, কবি গৌড় চন্দ্র পাল, কবি জালালউদ্দিন রেজা, কবি এম আব্দুল করিম,সাংবাদিক মইদুল ইসলাম, সাংবাদিক রাজু আনসারি, সংবাদিক মেহেদি হাসান, সাংবাদিক রাজু সেখ,
সাংবাদিক হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক ও কবি নাজমুস সাহাদাত প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন পত্রিকার সম্পাদক মোঃ ইজাজ আহামেদ, সভাপতি আবদুস সালাম, সহ সম্পাদক আব্দুল মালেক, সারিফুল ইসলাম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সব্যসাচী দাস। কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ, বক্তব্য ও সঙ্গীতে মুখর হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান। এদিন পত্রিকার কবি লেখকদের পাশাপাশি উপস্থিত কবি - লেখক ও সাংবাদিকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
০৮:০৫ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রোববার
`ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা`র অংশ হিসেবে সুতিতে রাহুল গান্ধী
মোঃ ইজাজ আহামেদ
অরঙ্গাবাদ, ০১.০২.২০২৪: 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'র অংশ হিসেবে সুতিতে রাহুল গান্ধীর আগমন ঘটল আজ। এদিন সুতির সাজুরমোড় বাসস্ট্যান্ড থেকে ধলারামচন্দ্রপুর হয়ে চাঁদের মোড় পর্যন্ত বাসযাত্রা হয়। এই যাত্রায় শরিক ছিলেন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সুতির মতিউর রহমান ও কংগ্রেস নেতৃবৃন্দগণ সহ সদস্যগণ তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য জমায়েত হন। তাঁকে এক পলক দেখার জন্য জনসাধারণেরও উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। 'ভারত জোড়ো যাত্রার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় নতুন বছরের ১৪ জানুয়ারি মণিপুর থেকে এবং চলবে ২০ মার্চ মুম্বই পর্যন্ত। ১৪টি রাজ্যের ৮৫টি জেলায় এই পদযাত্রা ও বাসযাত্রা অনুষ্টিত হবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র প্রথম পর্ব শুরু হয়েছিল ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে কন্যাকুমারী থেকে এবং শেষ হয় ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ সালে।
০৭:০৭ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার
অরঙ্গাবাদ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক মিলন উৎসবের উদ্বোধন
মোঃ ইজাজ আহামেদ
অরঙ্গাবাদ, ১৮ জানুয়ারি: গতকাল ১৭ই জানুয়ারি বুধবার ডি এন সি কলেজ মাঠে সুতি নাগরিক মঞ্চের আয়োজনে শুরু হলো অরঙ্গাবাদ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক মিলন উৎসব - ২০২৪। এদিন ডি এন সি কলেজ মাঠ থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করে অরঙ্গাবাদ অ্যাঞ্জেলস অ্যাকাডেমি, ব্রাইট ফিউচার অ্যাকাডেমি, আইডিয়াল এডুকেশন মিশন স্কুল, বাসুদেব পাবলিক স্কুল, প্রণবানন্দ বিদ্যাপীঠ, অরঙ্গাবাদ হাই স্কুল, অরঙ্গাবাদ বালিকা বিদ্যালয়, ডি এন সি কলেজ ও গোঠা হাই স্কুলের এন সি সি টিম। উপস্থিত ছিলেন সুতির বিধায়ক ঈমানী বিশ্বাস, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এস পি আনন্দ রায়, শিক্ষাবিদ জুলফিকার আলি, পতাকা ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষ থেকে সওকাত আলি, মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাক্তন সহ সভাধিপতি নিজাম উদ্দিন আহমেদ, লোকসংস্কৃতি গবেষক ও প্রাবন্ধিক ড.গদাধর দে, গবেষক ও লেখক ড.জয়দেব বিশ্বাস, বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীহারুল ইসলাম, বিশিষ্ট ছোট গল্পকার কুণাল কান্তি দে, বিশিষ্ট কবি মনিরুদ্দিন খান, অধ্যাপক ড. সুনীল কুমার দে, সাহিত্যিক ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন সিদ্দিকী, প্রধান শিক্ষক সহিদুল আলম, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুর্শিদাবাদ শাখার কয়েকজন অধ্যাপক ও অধ্যাপিকা, সুতি নাগরিক মঞ্চের সদস্যগণ। বইমেলার উদ্বোধন করেন সুতির বিধায়ক ঈমানী বিশ্বাস। বইমেলা চলবে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। বইয়ের স্টল থাকছে ৩৮টি। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই বইমেলার আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা।
১০:৩৮ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার
বামফ্রন্ট সরকার ২০১১ সালে রাজ্যপাট হারানোর পর রাজনৈতিক কাজকর্ম একপ্রকার কমে যাওয়ায় জমিতে চাষবাস করেই দিন কাটছে
০৪:১৪ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার
জেলার আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে মালদায় মেগা কার্পেট ক্লাস্টারে জোর জেলা প্রশাসনের।
০৫:৫০ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার
অন্য দল থেকে আসা দুর্নীতিবাজ নেতা-নেত্রীদের হাত থেকে দল মুক্ত হলো,
১০:৪৫ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রোববার
বিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে হিন্দি গানের সঙ্গে পড়ুয়াদের উদ্দাম নাচের ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
০৬:২৮ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার
অতিকায় মহিলা হিসেবে গ্রীনিস বুকে নাম তোলা দক্ষিণ দিনাজপুরের সিদ্দিকা পারভিনের দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে, অর্থাভাবে বন্ধ জটিল রোগের চিকিৎসা
০৫:৩১ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রোববার
কিভাবে সরকারি বাস দুর্ঘটনা ঘটলো, তা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে আমাকে রিপোর্ট দিন।
০৫:৪৮ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার
বেপরোয়া পাথর বোঝাই লরির ধাক্কায় আহত মা ও ছেলে।
০৫:১৬ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার
হিলি ব্লকের সমস্ত পঞ্চায়েতে পপি কাল্টিভেশনের সার্ভে করলেন সাব-ইন্সপেক্টর অফ এক্সাইজ সৌগত রায় দক্ষিণ দিনাজপুর:
০৫:১৩ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার
বিদ্যালয় বিদ্যালয়ে শুরু হয়ে গেছে হাম এবং রুবেলা ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া, ব্যাপক সাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে,
০৯:০৮ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার
ইটালিয়ান মৌমাছি প্রতিপালনের মাধ্যমে মধু চাষ করে অন্যান্য রাজ্যকে টেক্কা দিচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা
০৫:৫১ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ রোববার
মিডডে মিলের চালের ড্রাম থেকে উদ্ধার মরা টিকটিকি ও ইঁদুর,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের
০৬:১৪ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার
- অনুষ্ঠিত হল মলাট সাহিত্য পত্রিকার মোড়ক উম্মোচন ও কবি সম্মেলন
- সুতি থানার বড়সড় সাফল্য! গাঁজা সহ তিন পাচারকারী গ্রেফতার, বাজেয়াপ্ত লাল গাড়ি ও ৩৫ কেজি গাঁজা
- ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য, হায়াত মেডিকেয়ার কর্তৃপক্ষের দাবি— “অভিযোগ ভিত্তিহীন
- মুর্শিদাবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রুখতে কড়া পদক্ষেপ,একযোগে বন্ধ ১,০৯৩টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট
- রবিবার বিপুল পরিমাণ আগ্নেয় অস্ত্র উদ্ধার,ধৃত ৬৫ বছরের মহিলা
- একজন শ্রমিক, অথচ হৃদয়ে এক মানবতার রাজা — শেখ জিমিদার!
- ভোটের আগে সাগরদিঘীতে তৃণমূলের ভাঙন! সহ সভাপতি মইনুল সেখ যোগ দিলেন ওয়াইসির মিম পার্টিতে
- ৬ লক্ষ টাকার জাল নোটসহ তিনজন ধৃত, তৎপর সামশেরগঞ্জ পুলিশ
- পরিষেবার দাবি ঘিরে বিক্ষোভ আজিমগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, আশ্বাস দিলেন নির্মল মাঝি
- সুতি ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় সোহরাব আলীর উদ্যোগে কংগ্রেসের ‘ভোট চোর গাদ্দি ছোড়’ ও গণস্বাক্ষর অভিযান কর্মসূচী।
- সুনীল চৌধুরীর আহ্বানে একত্র ফারাক্কা, শুভ বিজয়া সম্মেলনীতে সম্প্রীতির সুর
- দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা, তবু এল না এম্বুলেন্স! সন্তান জন্ম দিয়েই অকালে নিভে গেল ২৫ বছরের এক গৃহবধূর প্রাণ
- ধুলিয়ানে জালনোট পাচারের চক্র ভাঙল পুলিশ, এক মহিলা-সহ দুইজন আটক
- ফরাক্কায় চাঞ্চল্য! আবাসন থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ, চিঠিতে লেখা— “Sorry... I am give up”
- অসুস্থ পরিবারের পাশে সাগরদিঘির তৃণমূল বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস
- গঙ্গার গ্রাসে বিলীন সামশেরগঞ্জ, চোখে জল মুর্শিদাবাদবাসীর
- পারিবারিক দ্বন্দ্বে সাজানো ছিনতাইয়ের নাটক! এক কোটি টাকার গয়না আত্মসাৎ করে চাঞ্চল্য বহরমপুরে
- রঘুনাথগঞ্জ থানার উদ্যোগে — ৮৬ গ্রাম হেরোইন ও ৫ লক্ষাধিক টাকাসহ এক ব্যক্তি গ্রেফতার
- বহরমপুরে অস্ত্র পাচার চক্রে বড়সড় সাফল্য! উদ্ধার ৮ আগ্নেয়াস্ত্র-১৬ ম্যাগাজিন, গ্রেফতার ৩
- হীরা, সোনা ও রূপার বৈচিত্র্যময় সংগ্রহ।
- পূর্ব মেদিনীপুরে ঝলমল কিসনা চাঁদিপুরে নতুন অধ্যায়ের সূচনা
হীরা, সোনা ও রূপার বৈচিত্র্যময় সংগ্রহ। - সাগরদিঘীতে ফের মানবিক উদ্যোগ বিধায়কের
- ভেজাল মসলার কারবার ফাঁস, সামশেরগঞ্জে পুলিশের বড়সড় অভিযান
- সামশেরগঞ্জ থানার উদ্যোগে, আসন্ন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে আইনি সচেতনতা ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি
- সাগরদিঘীতে পুলিশের জালে দুই মাদক পাচারকারী, উদ্ধার গাঁজা।
- অস্ত্র পাচারচক্রের হদিস, পুলিশের জালে তিন দুষ্কৃতী সহ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
- কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকে নতুন নেতৃত্ব, আসন্ন ভোটে নতুন সমীকরণ
- উপরাষ্ট্রপতি পদে ধনখড়ের উত্তরসূরি কে? সংসদ ভবনে ভোটগ্রহণ চলছে! এনডিএ এবং ‘ইন্ডিয়া’, কার পক্ষে কত ভোট
- জন্মদিনে অন্যরকম উদযাপন, সমাজসেবায় ব্যস্ত টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার।
- Poems
































