ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

মিডডে মিলের চালের ড্রাম থেকে উদ্ধার মরা টিকটিকি ও ইঁদুর,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের 

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮ ০৬ ১৪  

মিডডে মিলের চালের ড্রাম থেকে উদ্ধার মরা টিকটিকি ও ইঁদুর,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের 


মালদা:চালের ড্রামে বন্দি রয়েছে মরা ইঁদুর ও টিকটিকি।ড্রাম খুলতেই চক্ষুচড়ক গাছ শিক্ষক -শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের।ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় স্কুলে।বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল থানার সাহুরগাছি-বিদ্যানন্দপুর প্রাইমারী স্কুলে।এদিন বাসিন্দা ও পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা মিডডে মিলে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে।তারপরেই রান্না ঘর খতিয়ে দেখতে যাওয়া হলে চালের ড্রাম থেকে মরা টিকিটিকি ও ইঁদুর দেখেন।এই দৃশ্য দেখে থেমে থাকেননি বাসিন্দারা।তারা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।

বাসিন্দাদের অভিযোগ,রুটিন অনুযায়ী পড়ুয়াদের খাবার দেওয়া হয়না। ডিম,মাছ ও মাংস দীর্ঘদিন ধরে দেওয়া হয়না।তাছাড়া ভাত সঠিক পরিমাণে দেওয়া হয়না।পাশাপাশি সব্জিতেও একই দশা।বুধবার প্রায় ৪৫ জন পড়ুয়ারা জন্য ৫০০ গ্রাম ডাল রান্না করা হয়েছিল রাধুনি তমিনা বিবি জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের।

স্কুলের খাবার নিম্নমান থাকায় অনেকদিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন বাসিন্দারা।ভারপ্রাপ্ত প্রধাপশিক্ষককে একাধিকবার জানিয়ে কোনো সুরাহা হয়নি বলে দাবি বাসিন্দাদের।এদিন স্কুলে চালের ড্রামে মরা টিকটিকি ও ঈঁদুর দেখে তেতে উঠে বাসিন্দা ও অভিভাবকেরা।ঘটনাস্থলে চাঁচল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।স্থানীয় বাসিন্দা রাজিকুল ইসলামের অভিযোগ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককের জন্য স্কুলে পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে।মিডডে মিলে অনেক দিন ধরেই গরমিল চলছে।আজ তা হাতেনাতে স্পষ্ট হল।

পাশাপাশি স্কুলে পানীয় জলের কোনো ব্যবস্থা নেয়।বাড়ি থেকে জলের বোতল স্কুলে আনে পড়ুয়ারা।তারপরেই মিডডে মিলের খাবার খায়।পড়ুয়াদের আনা জল শিক্ষক শিক্ষিকারাও ব্যবহার করে বলে জানা গেছে।সেখানে একটি চাপাকল থাকলেও এক বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে।মেরামতে উদ্যোগী হয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ।
এদিকে জলের অভাবে স্কুলের শৌচালয়টিও পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে।ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের পেছনে খোলা জায়গাতেই শৌচকর্ম সারে বলে জানাচ্ছেন অভিভাবকেরা।স্কুলে পরিবেশ নিয়ে সরব গ্রামবাসী।প্রাইমারী স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জল সাহা সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করেছে।মিডডে মিলে নিয়ম মনেই খাবার দেওয়া হয় বলে তিনি দাবি করেছেন।

চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায় বলেন,বিডিওকে তদন্ত করতে বলা হচ্ছে।পাশাপাশি নিম্নমানের অভিযোগ প্রমানিত হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
চাঁচল-২ ব্লকের  বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস জানিয়েছেন,জলের জন্য শীঘ্রই ব্যবস্থা করা হবে।স্কীম ধরা হচ্ছে।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর