ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

বামফ্রন্ট সরকার ২০১১ সালে রাজ্যপাট হারানোর পর রাজনৈতিক কাজকর্ম একপ্রকার কমে যাওয়ায় জমিতে চাষবাস করেই দিন কাটছে

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬ ০৪ ৫৭  

দক্ষিণ দিনাজপুর: বামফ্রন্ট সরকার ২০১১ সালে রাজ্যপাট হারানোর পর রাজনৈতিক কাজকর্ম একপ্রকার কমে যাওয়ায় জমিতে চাষবাস করেই দিন কাটছে দক্ষিন দিনাজপুরের একদা জেলা সভাধিপতি আদিবাসী কন্যা মাগদালিনা মুর্মুর( ৫৮)।  বাম আমলের ২০০৮ সালে বংশীহারির ডিটল গ্রামের বাসিন্দা মাগদালিনা জেলা সভাধিপতি হিসাবে মনোনীত হন।২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি সেই পদে বহাল ছিলেন।যুবতিকাল থেকেই তিনি সিপিএম দলের হয়ে কাজ শুরু করেন।পরবর্তীতে তিনি শিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদের দায়িত্বও সামলান।তার বিচক্ষনতা এবং ভালো ব্যবহারের জন্য জেলা সিপিএম তাকে সভাধিপতির পদে বসায়।বর্তমানে তিনি সারা ভারত গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সদস্য এবং বংশীহারি এরিয়ে কমিটির সদস্য হিসাবে কাজ করছেন।শুক্রবার তার বাসভবনে গিয়ে দেখা গেল, তিনি বাড়ির প্রবেশ পথের দরজায় অতি সাধারন পোষাক পড়ে রয়েছেন। সংবাদ মাধ্যম থেকে এসেছি শুনেই তিনি বাড়ির ভিতরে আসতে বললেন।দেখা যায়,তার বাড়ি রং বিহীন এবং অনেক ঘরের দরজা নেই। বাড়িতে ঢুকতেই নিজেই তিনি ঘর থেকে চেয়ার এনে বসতে বললেন।তিনিই প্রতিবেদককে প্রশ্ন করেন,কি জন্য আমার কাছে এসেছেন? তাকে বলা হয়,এক সময় তো আপনি জেলার সভাধিপতির দায়িত্ব সামলেছেন।বাম সরকারের পতনের পর এখন আপনার সময় কিভাবে কাটছে।তিনি মৃদু হেসে বলেন,এখন ভাই নিজের সামান্য জমিজমার চাষবাস করেই দিন কাটছে।পুর্বে আমার স্বামী লক্ষন মার্ডি জমি দেখভালের পাশাপাশি সংসারের হাল ধরতেন।কিন্তু কয়েক বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ায় এখন আমাকেই সব দেখতে হচ্ছে।স্বামী এবংতারপর আমার দিদি মারা যাওয়ার পরে আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরি।একাকিত্ব কমাতে দিদির স্বামী বিচ্ছিন্না মেয়ে এবং তার দুই শিশু সন্তানকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি।এই মেয়েই এখন দেখভাল করে।দলের কাজ করেন না প্রশ্নে তিনি বলেন,আসলে রক্তে সিপিএম মিশে আছে।সেজন্য সময় পেলেই বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে পরি।লোকজনদের সাথে গল্পগুজব করি।তাদের সাহার্য করতে পারবো না জেনেও স্বভাব বশে অভাবের কথা শুনি।ক্ষমতা থাকতে গোটা বাড়িতে লোকজনের হাট বসতো।এখন আর তেমন কেউ আসে না। তবে দলের কেউ কেউ আমার খোঁজ নেন।এখন জমিজমা দেখে এবং বাড়ির দুইটি গরু এবং মুরগীর দেখভাল করেই সময় বেশ কেটে যায়।বাড়িতে রং করান নি কেন?  টাকার অভাবের জন্যই কি প্রশ্নে তিনি ম্লান হেসে বলেন,তা না।তবে সময় হলেই রঙ করাবো।সারা বংশীহারির দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে সম্মানীয়া মাগদালিনা মুর্মু আজ ক্ষমতা হারিয়ে মন খারাপ করে না প্রশ্নে তিনি বলেন,ক্ষমতা তো চিরদিন থাকে না ভাই।একদিন ক্ষমতাচ্যুত হতেই হবে।এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।ক্ষমতা হারানোর পর অন্য দল থেকে তাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে কিন্তু আমি নিজের আদর্শ ত্যাগ করি নি।আমাদের সিপিএম দল আসলে গ্রামগঞ্জের লোকজন থেকে দূরে চলে যাওয়াতেই ক্ষমতা হারাতে হয়েছে।এটা আমার নিজস্ব উপলব্ধি।তবে ক্ষমতা না থাকলেও আমি দলমত নির্বিশেষে সকলের ভালোবাসা পাই।এর চাইতে পাওনা আর একজন মানুষের  কি থাকতে পারে।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর