ব্রেকিং:
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বেওয়া-২ পঞ্চায়েতের নিশিন্দ্রা গ্রামে ভোটার তালিকা ভুয়ো ভোটার। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার উদ্যোগে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা সভা। ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট এমকে ফাইজির গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সামশেরগঞ্জে পথসভা SDPI এর ফের সামশেরগঞ্জের হাউস নগর ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে পথদুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা গাড়িচালকের জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

সোমবার   ২৭ অক্টোবর ২০২৫   কার্তিক ১১ ১৪৩২   ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

সর্বশেষ:
জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য, হায়াত মেডিকেয়ার কর্তৃপক্ষের দাবি— “অভিযোগ ভিত্তিহীন

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৬ ০৪ ০৩   আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৬ ০৪ ০৩

সফিকুল ইসলাম,ফারাক্কা,মুর্শিদাবাদ: ঈশ্বরের পরেই যাঁদের স্থান, বিপদে পড়লেই যাঁদের দ্বারস্থ হয় মানুষ— তাঁরা হলেন চিকিৎসক। দিবারাত্রি অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানুষের জীবন বাঁচাতে লড়ে যান তাঁরা। অথচ সেই জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেই উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। এক রোগীর কিডনি অপারেশন সংক্রান্ত ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ফারাক্কার ধর্মডাঙা এলাকায়।জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর কিডনিতে পাথর হওয়ায় চিকিৎসার জন্য হায়াত মেডিকেয়ারে ভর্তি হন আজহারউদ্দিন মমিন নামে এক ব্যক্তি। তাঁর কিডনিতে পাথর অপারেশন করা হয় এবং সেই সময় ডিজে স্টেন্ট লাগানো হয়। চিকিৎসক জানান, ৪৫ দিন পর এসে স্টেন্টটি খুলতে হবে।আজহারউদ্দিন জানান, নির্ধারিত সময়ে তিনি হাসপাতালে যান, কিন্তু ওই দিন অপারেশনকারী চিকিৎসক ডা. আব্দুস শুকুর উপস্থিত ছিলেন না। হাসপাতালে যোগাযোগ করলে নার্সরা তাঁকে ওটি-তে নিয়ে যান এবং তাঁর কাছ থেকে ৫,০০০ টাকা নেন বলে অভিযোগ। এরপর তাঁকে অজ্ঞান করা হয় এবং জানানো হয় যে স্টেন্ট খুলে ফেলা হয়েছে। এরপর দীর্ঘ সময় তিনি ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে যান। সেখানে হঠাৎ তীব্র ব্যথা ও প্রসাবে জ্বালাভাব শুরু হয়। তিন দিন প্রসাব না হওয়ায় এবং রক্তক্ষরণ দেখা দিলে, তিনি নিজের হাতে পাইপের মতো কিছু টেনে বের করেন বলে দাবি করেন। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।পরবর্তী সময়ে ফিরে এসে হায়াত মেডিকেয়ারে যোগাযোগ করলে তাঁকে জানানো হয় প্রায় ৪৫ হাজার টাকার চিকিৎসার জন্য লাগবে। সেখানে চিকিৎসা না করিয়ে আজহারউদ্দিন মমিনএকটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করান। এক্স-রেতে দেখা যায়, এখনো তাঁর শরীরে দুটি ডিজে স্টেন্ট রয়ে গেছে। তাঁর অভিযোগ— ভুল চিকিৎসার ফলে তিনি শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চিকিৎসক ডা. আব্দুস শুকুর জানান,ডিজে স্টেন্ট খোলার জন্য কাউকে অজ্ঞান করার প্রয়োজন হয় না। যেদিন রোগী এসেছিলেন, আমি উপস্থিত ছিলাম না। ডিজে স্টেন্ট থাকলে পেশাব কখনোই বন্ধ হতে পারে না এটি মেডিক্যাল পদ্ধতি বলছে । তিনি যে নিজের হাতে স্টেন্ট টেনে বের করেছেন, সেটি ভুল দাবি। তিনটি স্টেন্ট কখনোই একসাথে বের করা সম্ভব নয়। এগুলো অত্যন্ত সূক্ষ্ম চিকিৎসা পদ্ধতি। অজ্ঞান করার বা টাকা নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উল্লেখ্য যে কিডনি থেকে ইউরেটার পর্যন্ত সেটির প্রায় দৈর্ঘ্য ২৬ সেন্টিমিটার, সেটা হাত দিয়ে বের করা কখনোই সম্ভব নয়। সে অন্য কোথাও চিকিৎসার করিয়েছে সেখান থেকে বের করেছে। আব্দুস শুকুর আরো জানিয়েছেন ডিজে ডাবল ডিজে স্টান্ট সাধারণত বস্ত্রপাচারের পর সাত সপ্তাহের জন্য রাখা হয়। রোগী যে বলছেন পাঁচ হাজার টাকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করিয়েছি তাতে আমার কোন এডভাইস নাই। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন। একজন প্যারামেডিকেল স্টাফ দ্বারা ৪৫ মিনিট অজ্ঞান করে রাখতে পারে? এটা কখনোই সম্ভব নয়। এটি হায়াত মেডিকেয়ারের বদনাম করার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। চিকিৎসার গাফালতি নিয়ে।মাকসাদ নামে আরো এক ব্যক্তি হায়াত মেডিকেয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। আজাহারুদিনের পেছনে বা আরো অন্যান্য রোগীর পেছনে উস্কানি মূলক ভাবে উস্কাচ্ছেন মাকসাদ নামে ওই ব্যক্তি বলে জানান হায়াত মেডিকেয়ারের কর্মকর্তারা।এই রোগীর পেছনেও উস্কানি মূলক ভাবে কাজ করছেন বলে জানান। এখনো আইনতভাবে পদক্ষেপ নিন তবে সে বিষয়েও আমরা ভাবছি এমনটাই জানান চিকিৎসক আব্দুস শুকুর।একই সুরে হায়াত মেডিকেয়ারের ডিরেক্টর রজীব হাসিব জানান,অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কোনো রোগীকে ভর্তি না করে অজ্ঞান করার অধিকার আমাদের নেই। এসব অভিযোগের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে হায়াত মেডিকেয়ারকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালেও, এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি সে বিষয়ে আমরা ভাবছি বলে জানান।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর