ব্রেকিং:
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বেওয়া-২ পঞ্চায়েতের নিশিন্দ্রা গ্রামে ভোটার তালিকা ভুয়ো ভোটার। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার উদ্যোগে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা সভা। ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট এমকে ফাইজির গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সামশেরগঞ্জে পথসভা SDPI এর ফের সামশেরগঞ্জের হাউস নগর ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে পথদুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা গাড়িচালকের জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

রোববার   ১২ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২৭ ১৪৩২   ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

সর্বশেষ:
জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

কাছাড় ডাক বিভাগে পদ বিলুপ্তি ইস্যু , তলব অরুণ সরকারকে

দিদারুল ইসলাম, করিমগঞ্জ আসাম

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০ ০৮ ৫৬   আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০ ০৮ ৫৬

লকডাউনে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ জেলায় ফিরেছেন । মূলত তাদের জন্যই এরা বাইরে ছিলেন এবং চাকরি হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন । এদিকে , রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগে হাজার হাজার নিয়ােগ হচ্ছে এবং উপেক্ষিত থাকছেন কাছাড়ের যুবক - যুবতীরা । এমন একটা সময়ে জেলার ডাক বিভাগের ২৫৪ টি পদ বিলুপ্ত হয়েছে , এর নির্দেশ দিয়েছেন অধীক্ষক অরুণ সরকার । খবরটি প্রকাশ্যে আসায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । এবার বিভাগের রাজ্য আধিকারিকরা অধীক্ষক অরুণ সরকারকে গুয়াহাটি পাঠিয়েছেন । কেন এতগুলাে পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে । এব্যাপারে সরাসরি তলব করা হয়েছে । সম্প্রতি এক আরটিআইর জবাবে বিভাগের পক্ষ থেকে জানানাে হয়েছে , পিএ , পােস্টম্যান এবং মাল্টিটাস্কিং স্টাফ সহ মােট ২৫৪ টি পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে । এতে সরাসরি ৫২ টি পদ বিলুপ্ত করেছেন অধীক্ষক অরুণ সরকার । বাকি বিলুপ্তির আধিকারিকদের সঙ্গে আলােচনা বিভাগের প্রাক্তনরা বলেছিলেন অধীক্ষক চাইলে পদগুলাে আটকানাে যেত । তবে কেন তিনি এমনটা করলেন ? এই প্রশ্ন উঠেছে । যদিও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সরাসরি এ ব্যাপারে কোনও কথা বলেননি , তবে বিভাগের আধিকারিকদের নজরে ব্যাপারটি এসেছে । এতে কিছুটা হলেও আশার আলাে দেখা যাচ্ছে । ভারতীয় ডাক বিশ্বের অন্যতম সফল ডাক বিভাগ । এই ইন্টারনেটের যুগে দাঁড়িয়ে এখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে এই পরিষেবা ।বিভাগকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন অধীক্ষক অরুণ সরকার । জানা গেছে , বিভিন্ন পদে থাকা কর্মচারীরা যখন কাছাড় থেকে বদলি হয়ে অন্য কোথাও গেছেন সেখানে নতুন কাউকে আনা হয়নি । যেগুলাে পদ খালি হয়েছে সেখানে নতুন নিযুক্তি হয়নি । উল্টো খুব সাবধানে পদগুলােকে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে নেওয়া হয়েছে । এবছর জুন মাসের ২৬ তারিখ অরুণ সরকার একটি চিঠি পাঠিয়ে পিএ ক্যাডারের ২৬ টি পােস্ট বাতিলের নির্দেশ দেন । জুলাই মাসের ২৪ তারিখ আরও একটি চিঠিতে পিএ ক্যাডারের ১৬ টি , পােস্টম্যান ক্যাডারের ৩৮ টি এবং ১ টি মাল্টিটাস্কিং কর্মী পােস্ট বাতিলের নির্দেশ জারি করেন । তাকে এই চিঠিগুলাে দেখিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন , সিদ্ধান্ত গুয়াহাটির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে । সেখানে অসম সার্কলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর কে শিবা শঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন , তাকেই এর ব্যাপারে প্রশ্ন করা উচিত । এরপর তিনি আর আমাদের ফোনকলের বা মেসেজের উত্তর দেননি । এবার গুয়াহাটির পক্ষ থেকেই তাকে প্রশ্ন করা হয়েছে , তিনি কেন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলেন । অরুণ সরকারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে অতীতে নেওয়া সিদ্ধান্তকে উদাহরণ হিসেবে গ্রাহ্য করা হয়েছে । তবে অরুণ সরকারের আগে যারা এখানে কাজ করেছেন তারা বলছেন , ‘ আমরাও এই ধরনের প্রস্তাব পেয়েছি এবং সেগুলাের উত্তর দিয়েছি । প্রত্যেকবার পদগুলাে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানাে হয়েছে । কিছু কিছু পােস্ট দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে , বিভাগ চাইলেই সেগুলােতে কন্ট্রাকচুয়াল পদ্ধতিতে নিযুক্তি দিতে পারত । এতে অনেক পরিবারের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা ছিল । যখন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগের চাকরির ক্ষেত্রে একের পর এক বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন বরাক উপত্যকার যুবকরা । এই সময়ে কেন্দ্র সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের এধরনের সিদ্ধান্ত আরেকবার এলাকার যুব প্রজন্মকে প্রতারণা করল বলা চলে । এবার বিভাগের রাজ্য স্তরের আধিকারিকরা যখন অরুণ সরকারকে ডেকে পাঠিয়েছেন এবং সরাসরি জানতে চেয়েছেন কেন পদগুলাে বিলুপ্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে , এতে একটা আশার আলাে অবশ্যই দেখা যাচ্ছে ।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর