ব্রেকিং:
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বেওয়া-২ পঞ্চায়েতের নিশিন্দ্রা গ্রামে ভোটার তালিকা ভুয়ো ভোটার। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার উদ্যোগে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা সভা। ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট এমকে ফাইজির গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সামশেরগঞ্জে পথসভা SDPI এর ফের সামশেরগঞ্জের হাউস নগর ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে পথদুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা গাড়িচালকের জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

রোববার   ১২ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২৭ ১৪৩২   ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

সর্বশেষ:
জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

মানিকচকের শতবর্ষ প্রাচীন দুর্গা এখন ভাঙনের দুর্গা নামে পূজিত

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৪ ০২ ০৪   আপডেট: ৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৪ ০২ ০৪

মানিকচক:-ভাঙনের গ্রাসে এপর্যন্ত পাঁচ থেকে ছয় বার পুজোর ঠিকানা বদল করতে হয়েছে। মালদার মানিকচকে গঙ্গা ভাঙনকে সঙ্গী করেই চলছে শতবর্ষ প্রাচীন দুর্গাপুজা।ভাঙ্গনের পূজা নামে পরিচিত মানিকচক দিয়ারা সার্বজনীন দুর্গা পূজা।স্থানীয়দের মতে, ১৯০৫ সালে জমিদার গোপাল চন্দ্র চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় জাঁকজমক পুজো হয় গঙ্গা পারের দরবারীটোলা গ্রামে।সময়ের সাথে ওই গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়েছে গঙ্গায়।১৯৯৪-৯৫ সাল থেকে গঙ্গা নদীর ভাঙ্গন তীব্র হয় মানিকচক জুড়ে।সেইসময় থেকেই শুরু এই পূজার ঠিকানা বদল।গত তিন দশকে পাঁচ থেকে ছয়বার স্থান বদল হয়েছে দুর্গাপুজার।প্রতিক্ষেত্রে এর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গঙ্গা ভাঙন। অতীতে এমন বেশ কিছু এলাকায় দুর্গাপুজো হয়েছে যেসব এখন নিশ্চিহ্ন।১৯৯৫ সালে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যায় দরবারীটোলা গ্রামের স্থায়ী দুর্গা মন্দির। পুজো সরিয়ে আনা হয় খানিক দূরে বেচুটোলা গ্রামে।সেখানে বট গাছের তলায় মন্দির গড়ে শুরু হয় দুর্গা পূজা।ভাঙনের ছোবলে সেই এলাকা মন্দির সবই গঙ্গা গিলে খায়।এরপর পুজো সরে আসে পাশে পালপাড়া এলাকায়। ক্রমে সেসব এলাকাও  নিশ্চিহ্ন হতে শুরু করে।এরপর দুর্গাপুজোর ঠিকানা হয় হাড্ডাটোলা গ্রামে।দেবী দুর্গার পুজো স্থায়ী হয়নি এখানেও। শেষে ২০১৫-২০১৬ সালে পুজো সরে আসে জোতপাট্টা এলাকায়।বর্তমানে সেখানেই হচ্ছে পূজা।এই পূজার নাম "মানিকচক দিয়ারা সার্বজনীন দুর্গাপূজা"।এলাকায় বেশি পরিচিত "ভাঙনের দুর্গা" নামেই।

কখনও আমবাগান, কখনও ফাঁকা মাঠে প্যান্ডেল করে দুর্গাপুজো হয়েছে।এরপর স্থানীয় সুহৃদয় ব্যক্তি সুভাষ মন্ডলের দান করা জমিতে তিল তিল করে গড়ে তোলা হয়েছে বর্তমানে স্থায়ী দুর্গামন্দির। তবু দুশ্চিন্তা কমছে কই। কারণ, ধীরে হলেও এগিয়ে আসছে গঙ্গা। বর্তমানে পাকা দুর্গা মন্দির থেকে গঙ্গার দূরত্ব মেরে কেটে মাত্র দুই থেকে আড়াইশো মিটার।

গত কয়েক বছর ধরেই একই সঙ্গে নদী ভাঙন আর বন্যার আতঙ্ক গ্রাস করেছে মালদার মানিকচকের নদীপাড়ের বাসিন্দাদের।এবছরও গঙ্গার প্রবল ভাঙ্গন চলছে মানিকচক জুড়েই।এদিকে লাগাতার চলছে বৃষ্টিপাত।ভাঙ্গন আতঙ্কের মধ্যেই গ্রামবাসীরা মিলেই জোরকদমে শুরু করেছে পূজার প্রস্তুতি। প্রায় লক্ষাধিক টাকা বাজেটে চলছে পুজোর প্রস্তুতি।ঐতিহ্য মেনেই মন্দিরে গড়ে তোলা হচ্ছে প্রতিমা।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর