ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

চাঁচলের কলিগ্রাম মহরমে অস্ত্রছাড়া মিছিল থেকে শান্তির বার্তা

উজির আলি

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫ ০৩ ২৮  

অস্ত্রছাড়াই এগোচ্ছে শান্তি মিছিল। ছবিটি তুলছেন- উজির আলী

অস্ত্রছাড়াই এগোচ্ছে শান্তি মিছিল। ছবিটি তুলছেন- উজির আলী

চাঁচল:অস্ত্র ছাড়াই এগোলেন তাঁরা।

গ্রাম জুড়ে শোক মিছিল— পরনে সাদা পোশাক, মুখে মুখে হাসান-হোসেনের নামে হাহাকার। তাজিয়া আর লাঠি খেলার নকল যুদ্ধ। মহরমের চেনা ছবি এ বার কিছুটা অন্য রকম চাঁচলের কলিগ্রামে।

মঙ্গলবার সকালে কলিগ্রামে মিছিল করলেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। শোক মিছিল— তাই সকলের মুখেই হা-হাসান, হা-হোসেন। মিছিলের শুরুতে মহরম পালনের বার্তা দেওয়া বড় বড় সামজিকমূলক ব্যানার। আর সকলের হাতে ধরা শান্তি ও সম্প্রীতির স্লোগান লেখা পোস্টার। অলংকার হিসেবে  ছিল জাতীয় পতাকা।
কলিগ্রাম মহরম কমিটির ডাকে মহরমের মিছিলে সামিল হয়েছিলেন কলিগ্রাম গ্রাম অঞ্চল সংলগ্ন মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার বিভিন্ন মহরম কমিটির কর্তা, সদস্য ও সমর্থকরা।
(নুরগঞ্চ,দেবপুর,রামনগর,বগচড়া,দুলিয়াবাড়ী)
 কমিটির দাবি, অন্য বারের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ এ বার মিছিলে হেঁটেছেন।
উদ্যোক্তারা স্পষ্ট জানালেন, ভারতবর্ষ অহিংস দেশ। বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্ত্র মিছিলে ভুল বার্তা যেতে পারে জেলাবাসীর কাছে। তাই শোক মিছিলে শুধুই শোকের আবহ। শান্তির বার্তা।

মহরমের দিন অস্ত্রছাড়া মিছিল ঘিরে এলাকাবাসীর উৎসাহও ছিল নজরকাড়া। কলিগ্রাম এলাকার ইমামবাড়ী দার্গা প্রাঙ্গণে জমায়েত হয়েছিলেন অঞ্চলের  দশটি মহরম কমিটির কর্মকর্তা। 
সকাল ১০ টে নাগাদ নুরগঞ্চ থেকে মিছিল শুরু হয়ে চাঁচল–আশাপুর রাজ্য সড়ক ধরে এগিয়ে যায় গ্রামের,প্রানসাগ, নিমতলা, সাতঘরিয়াপাড়া, ইমামবাড়া ও ভিতর চৌড়ঙ্গী মোড় হয়ে সোজা কলিগ্রাম ফুটবল মাঠ। মধ্যবর্তী স্থানে হঠাৎ শুরু হয় বৃষ্টি,ফলে বিছিন্ন হয় দলের একাংশ। ২৫ মিনিট পর বৃষ্টি থামলে আবার সেখান থেকে কলিগ্রাম বাজার সড়ক ধরে গ্রামের মজুমদার পাড়া হয়ে সুফি সমাধিস্থল দর্শন করে মিছিল ফিরে যায়। 
মহরমের মিছিলে সামিল হওয়া অঞ্চল প্রধান রেজাউল খাঁন বলেন, ‘‘অহিংসার দেশ আমাদের ভারত। এমন এক দিনে অহিংসা ও শান্তির বার্তা তুলে ধরতে ঐতিহাসিক গ্রাম কলিগ্রামের বাসিন্দা হিসেবে মহরমে নিরস্ত্র মিছিলের আয়োজন। আশাতীত সাড়া মিলেছে। আশা করি শান্তির বার্তা সারা জেলাজুড়ে রাজ্যবাসীর কাছে পৌঁছাবে।’’

মিছিল নির্বিঘ্ন করতে অবশ্য পুলিশের তরফে নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল কড়া। প্রায় আড়াই ঘণ্টায় ০৪ কিলোমিটার পথ হেঁটে ০১:৩০ নাগাদ ইমামবাড়ী মসজিদ প্রাঙ্গণে মহরমের মিছিল শেষ হয়। মিছিল শেষে কলিগ্রাম মহরম কমিটির সিক্রেটারী শেখ হোসনা বলেন, ‘‘ধর্মীয় রীতি মেনে শোক পালন এবং শান্তির বার্তা দিতে এ বার আমরা নিরস্ত্রভাবে মিছিলের জন্য অঞ্চলের কয়েকটি মহরম কমিটি ও গ্রাম সংলগ্ন তিনটি মহরম কমিটিকে আহ্বান জানিয়েছি। গ্রামের মহরম কমিটির পাশাপাশি এলাকার মহরম কমিটির সদস্য-সহ বহু সাধারণ মানুষ মিছিলে সামিল হয়েছিলেন।’’
চাঁচল পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিছিলে ছিল কড়া নিরাপত্তা, সামনে-পিছনে ও মাঝখানে মজুত ছিল পুলিশ কর্মী। আকাশ পথে উড়ছিল ড্রোন। এদিন কলিগ্রাম এলাকার মোড়ে মোড়ে কর্তব্যরত ছিল পুলিশ কর্মী বলে জানান পুলিশ আধিকারিক সুকুমার ঘোষ।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর