ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

ভারতীয় রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র ও পরিবারহীনতা

মজিবুর রহমান, প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল 

প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২৪ ১১ ১১ ১২  

ভারতীয় রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র ও পরিবারহীনতা 
মজিবুর রহমান, প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল 

       বিশ্বজুড়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় রাজতন্ত্র ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। অষ্টাদশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ শাসনের সূচনার মধ্য দিয়ে ভারতে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। তবে স্বাধীন ভারতে কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের উত্থান ঘটতে দেখা যায়। বিগত সাড়ে সাত দশকে পরিবারতন্ত্র বেড়েছে বৈ কমেনি।যা একসময় ছিল একান্তই কংগ্রেসী ব্যাপার তা এখন বহু সংখ্যক দলের মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে পরিবারতন্ত্র রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করছে। পরিবারতন্ত্রের পাশাপাশি পরিবারকে পরিহার করে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্তরেই রাজনীতিকে সীমাবদ্ধ রাখার একটা উল্লেখযোগ্য দিকও রয়েছে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক ব্যক্তিটির রাজনীতির সঙ্গে তাঁর বৌ-বাচ্চাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
        রাজনৈতিক মতাদর্শের সাথে পরিবারকে একদমই না জড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলেন কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু (১৯১৪-২০১০)। জ্যোতি বসুর পিতা চাননি তাঁর ব্যারিস্টার পুত্র আইনজীবী না হয়ে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হোন। চল্লিশের দশকে অবিভক্ত বাংলা তথা ভারতে বামপন্থী রাজনীতির কোনো ভবিষ্যৎ ছিল না। কিন্তু মার্ক্সবাদী ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্যক্তিগত সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা না করে জ্যোতি বসু কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন। পরবর্তীকালে সাড়ে তেইশ বছর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং দেশের একজন অগ্ৰগণ্য কমিউনিস্ট নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের সাথে তাঁর সন্তানের কোনো সম্পর্ক থাকতে দেখা যায়নি। 'সর্বহারার নেতা' জ্যোতি বসুর পুত্র চন্দন বসু (১৯৫২-) শিল্পপতি হয়েছেন। পিতা 'নাস্তিক' হলেও পুত্র ভীষণ ঈশ্বর বিশ্বাসী, কালী ভক্ত।তাই তিনি আড়াই কেজি ওজনের সোনার খাঁড়া প্রণামী দেন। আরেক কমিউনিস্ট মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (১৯৪৪-) সন্তানকেও কোনদিন রাজনৈতিক মঞ্চে অবস্থান করতে দেখা যায়নি। অনিল বিশ্বাস একজন দক্ষ সংগঠক ছিলেন। সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক ও মুখপত্র গণশক্তির সম্পাদক হিসেবে অনিল বিশ্বাসের (১৯৪৪-২০০৬) অবদানের কথা আজও পার্টির অভ্যন্তরে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তাঁকে মাঝেমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি সম্পর্কে অত্যন্ত কড়া মন্তব্য করতে শোনা গেছে। কিন্তু অনিল-তনয়া অধ্যাপক অজন্তা বিশ্বাস তৃণমূলের মুখপত্রে মমতা ব্যানার্জির প্রশংসা লিখতে দ্বিধাবোধ করেননি। অবশ্য এর পরিণতিতে তাঁর সঙ্গে সিপিএমের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে।
        ভারতীয় রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের উদ্ভব হয়েছে নেহরু-গান্ধী পরিবার থেকে। এলাহাবাদের প্রখ্যাত আইনজীবী মতিলাল নেহরু (১৮৬১-১৯৩১) ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন বিশিষ্ট নেতা ছিলেন। তিনি ১৯১৯ ও ১৯২৮ সালে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। পুত্র জওহরলাল (১৮৮৯-১৯৬৪) ও কন্যা বিজয়লক্ষ্মী (১৯০০-১৯৯০) প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ করে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯২৯ সালে কংগ্রেস সভাপতির পদে জওহরলাল মতিলালের স্থলাভিসিক্ত হন। পরে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং আমৃত্যু ওই পদে বহাল থাকেন। বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড ও স্পেনে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ও লোকসভার সদস্য ছিলেন। জওহরলাল নেহরুর পত্নী কমলা নেহরুও (১৮৯৯-১৯৩৬) স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে কারাবাস ভোগ করেন। জওহরলাল ও কমলার কন্যা ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী (১৯১৭-১৯৮৪) ১৯৪২ সালে ফিরোজ গান্ধীর (১৯১২-১৯৬০) সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্বামীর পদবী গ্ৰহণ করেন। ফিরোজ গান্ধীও রাজনীতি করতেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে কারাবাস ভোগ করেন এবং ১৯৫২ ও '৫৭ সালে লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। এই রকম একটা গৃহ পরিবেশের মধ্যে বেড়ে ওঠা ইন্দিরা অন্য কোনো পেশায় নিয়োজিত না হয়ে রাজনীতিতে চলে আসেন। ১৯৫৯ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে জওহরলাল নেহরুর জীবনাবসানের অব্যবহিত পরেই তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ পদ প্রদান করা হয় এবং তিনি লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মন্ত্রিসভায় তথ্য ও সম্প্রচার দপ্তরের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। পরে পনের বছর (২৪.১.৬৬-২৪.৩.৭৭ ও ৯.৩.৮০-৩১.১০.৮৪) প্রধানমন্ত্রীর পদ অলংকৃত করেন। ফিরোজ-ইন্দিরার দুই পুত্র রাজীব (১৯৪৪-১৯৯১) ও সঞ্জয়ও (১৯৪৬-১৯৮০) পারিবারিক ঐতিহ্য বজায় রেখে রাজনীতিতে যোগ দেন। প্রথমে আসেন সঞ্জয় গান্ধী। তিনি ১৯৮০ সালের লোকসভা নির্বাচনে আমেথি কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন।ওই বছর ২৩শে জুন কপ্টার দুর্ঘটনায় সঞ্জয়ের মৃত্যু হলে ইন্দিরা গান্ধী তাঁর রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসেবে রাজীব গান্ধীকে নিয়ে আসেন। রাজনীতিতে যোগদানের আগে তিনি ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানচালক ছিলেন। ১৯৮১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে আমেথি কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয়লাভ করে সাংসদ হন। ১৯৮৪ সালের ৩১শে অক্টোবর ইন্দিরা গান্ধী নিহত হলে রাজীব গান্ধী ৪০ বছর বয়সে ৩ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যভার গ্রহণ করেন। ওই বছরই ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে কংগ্রেস রেকর্ড সংখ্যক ৪১১টি আসনে জয়লাভ করে এবং প্রত্যাশিতভাবেই প্রধানমন্ত্রীর পদে তিনি পুনর্নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয় এবং ১৯৯১ সালের ২১শে মে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে বোমা বিস্ফোরণে তিনি নিহত হন। রাজীব গান্ধীর নিহত হবার পর কিছুদিনের জন্য ভারতীয় রাজনীতিতে নেহরু-গান্ধী পরিবারের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। ১৯৯৮ সালে রাজীবের ইতালীয় পত্নী সোনিয়া গান্ধী (১৯৪৬-) কংগ্রেসের সভানেত্রী রূপে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে সাংসদ রয়েছেন।রাজীব-সোনিয়ার পুত্র রাহুল গান্ধীও (১৯৭০-) কংগ্রেসের একজন অতি গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি ২০০৪ সাল থেকে লোকসভার সাংসদ আছেন। তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও (১৯৭২-) এখন লোকসভার সদস্য হওয়ার পথে। সঞ্জয় গান্ধীর স্ত্রী মানেকা গান্ধী (১৯৫৬-) একাধিকবার সাংসদ ও মন্ত্রী হয়েছেন। পুত্র বরুণ গান্ধী (১৯৮০-) ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লোকসভার সাংসদ ছিলেন। তাঁরা মা-ছেলে অবশ্য কংগ্রেস নয়, বিজেপি করেন। কংগ্রেস কোনদিনই নেহরু-গান্ধী পরিবারের প্রভাব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেনি। দু'একজন নেতা চেষ্টা করলেও সফল হননি, হয়তো দল ছেড়ে চলে গেছেন অথবা আলাদা দল গঠন করেছেন। কিন্তু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস জওহরলাল নেহরুর উত্তর পুরুষদের নিয়ন্ত্রণেই থেকেছে। 
      ১৯৪৯ সালে স্থাপিত দ্রাবিড় মুনেত্র কাজগম (ডিএমকে)-এর ১৯৬৯ সাল থেকে আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন এম করুণানিধি (১৯২৪-২০১৮)। করুণানিধি পাঁচ দফায় কুড়ি বছর তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পুত্র এম কে স্ট্যালিন (১৯৫৩-) ও কন্যা কানিমোঝি (১৯৬৮-) পিতার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার বহন করছেন।কানিমোঝি দুবার করে রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। ১৮তম লোকসভায় তিনি ডিএমকে-র দলনেত্রী।করুণানিধির জীবনাবসানের পর দলের সভাপতি হন স্ট্যালিন। চেন্নাইয়ের মেয়র, বাবার মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর ২০২১-এর মে মাস থেকে মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। তাঁর পুত্র উদয়নিধি স্ট্যালিন (১৯৭৭-) চলচ্চিত্রের জগৎ ছেড়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন এবং ২০২২-এর ডিসেম্বরে থেকে পিতার মন্ত্রিসভায় যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন।
       বালাসাহেব ঠাকরে (১৯২৬-২০১২) ১৯৬৬ সালে মহারাষ্ট্রকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল শিবসেনা গঠন করেন। তিনি অবশ্য কখনও বিধায়ক অথবা সাংসদ হননি। তিনি 'কিং মেকার' হিসেবে 'রিমোট কন্ট্রোল' চালাতে পছন্দ করতেন। তাঁর ছেলে উদ্ধব ঠাকরে (১৯৬০-) ২০১৯-এর নভেম্বর থেকে ২০২২-এর জুন পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তাঁর পুত্র আদিত্য ঠাকরে (১৯৯০-)। 
      জনতা দলের নেতা মুলায়ম সিং যাদব (১৯৩৯-২০২২) ১৯৯২ সালে সমাজবাদী পার্টি গঠন করেন। তিনি তিন দফায় সাত বছর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও দুই দফায় দুই বছর দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ২০০০ সালে লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর পুত্র অখিলেশ যাদবের (১৯৭৩-) রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়। তিনি ২০১২-'১৭ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে সমাজবাদী পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি। অখিলেশের স্ত্রী ডিম্পল যাদব (১৯৭৮-) একাধিকবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
     জনতা দলের নেতা লালু প্রসাদ যাদব (১৯৪৮-) ১৯৯৭ সালে রাষ্ট্রীয় জনতা দল গঠন করেন। ওই সময়ে আইনি জটিলতার কারণে লালু প্রসাদকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ছাড়তে হয়। তখন তিনি তাঁর ৯ সন্তানের জননী রাবড়ি দেবীকে (১৯৫৫-) ওই পদে বসিয়ে দেন। রাবড়ি দেবী ২০০৫ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এখন তাঁদের পুত্র তেজস্বী যাদব (১৯৮৯-) আরজেডি-র সভাপতি ও বিধায়ক। ২০২২-এর আগস্ট থেকে ২০২৪-এর জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
     মমতা ব্যানার্জি (১৯৫৫) ১৯৮৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন। ২০১১ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। তাঁর ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জি (১৯৮৭-) ২০১৪ সাল থেকে লোকসভার সাংসদ রয়েছেন। ২০২১ সাল থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তৃণমূল কংগ্রেস পিসির 'নেতৃত্বে' ও ভাইপোর 'সেনাপতিত্বে' এগিয়ে চলেছে।
     রাজনীতি একটি বহুমাত্রিক বৃহৎ বিষয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধন করার সুযোগ থাকে। রাজনীতি 'দেশোদ্ধার' করার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। নেতাকর্মীরা 'ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ান।' কিছু পেতে নয়, বরং কিছু দিতেই রাজনীতিতে আসার কথা। সম্প্রতি এই ভাবনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। রাজনীতি জনসেবা করার নেশা থেকে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার পেশা হয়ে উঠছে। এখন রাজনীতিতে অর্থ, ক্ষমতা, প্রচার সবকিছুই প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। রাজনীতি সকল চাকরির সেরা চাকরিতে অথবা সকল ব্যবসার সেরা ব্যবসাতে পরিণত হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতির মোহ কাটিয়ে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র জাঁকিয়ে বসতে দেখা যাচ্ছে।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর