ব্রেকিং:
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বেওয়া-২ পঞ্চায়েতের নিশিন্দ্রা গ্রামে ভোটার তালিকা ভুয়ো ভোটার। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার উদ্যোগে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা সভা। ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট এমকে ফাইজির গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সামশেরগঞ্জে পথসভা SDPI এর ফের সামশেরগঞ্জের হাউস নগর ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে পথদুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা গাড়িচালকের জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

রোববার   ১২ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২৬ ১৪৩২   ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

সর্বশেষ:
জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

মোথাবাড়িতে স্ত্রীর মৃতদেহ, স্বামী আটক

মহসিন আলি

প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০২৫ ১৫ ০৩ ৩৭   আপডেট: ৩ আগস্ট ২০২৫ ১৫ ০৩ ৩৭

স্ত্রী হত্যার অভিযোগে ধৃত বিএসএফ জওয়ান

মোথাবাড়ির মাঠে উদ্ধার রুকসানার দেহ, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

 

মহসিন আলি, কালিয়াচক:

স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম রুকসানা খাতুন। রবিবার সকালে মোথাবাড়ি থানার জোত ডোমান ও ছাবিল পাড়া গ্রামের মাঠ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

 

রুকসানার বাবার বাড়ি কুড়িয়াটারে। অভিযুক্ত স্বামী রবিউল শেখের বাড়ি পার্শ্ববর্তী কেশরপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, আট বছর আগে রবিউল ও রুকসানার বিয়ে হয়। তবে তারও আগে তিন বছরের প্রেম ছিল তাঁদের। বিএসএফে চাকরি পাওয়ার পর থেকেই স্ত্রীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে রবিউল। এরপর গ্রামে সালিশি সভায় সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টায় বিয়ে সম্পন্ন হয়।

 

কিন্তু বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। অভিযোগ, রবিউলের অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সেই কারণেই রুকসানার ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলত। বিয়ের মাত্র ছয় মাস পরই রুকসানা বাবার বাড়ি ফিরে যান এবং মালদহ জেলা আদালতে স্বামী বিরুদ্ধে ভরণপোষণ ও নির্যাতনের মামলা করেন। মামলাটি এখনও বিচারাধীন।

 

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রবিউল পরবর্তীতে অন্যত্র বিয়ে করে। কিছুদিন আগে সে ছুটিতে বাড়ি আসে। তারপর ফের রুকসানার সঙ্গে ফোনে বিবাদ হয়। আজ সকালে মাঠে রুকসানার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।

 

রুকসানার আত্মীয় তাজমুল হোসেন বলেন, “ভাইঝির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করে আসছিল রবিউল। ওর অন্য জায়গায় সম্পর্ক ছিল। প্রতিবাদ করায় মারধর করত।”

 

মোথাবাড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে, রবিউল শেখকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

 

 

---

 

প্রয়োজন হলে এই রিপোর্টটির পত্রিকানুসারে হেডলাইন, কন্টেন্ট বা লেআউট পরিবর্তন করে দেওয়া যাবে। চাইলে প্রিন্ট বা ডিজিটাল সংস্করণের উপযুক্ত সংস্করণও বানিয়ে দেওয়া যাবে।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর