ব্রেকিং:
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বেওয়া-২ পঞ্চায়েতের নিশিন্দ্রা গ্রামে ভোটার তালিকা ভুয়ো ভোটার। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার উদ্যোগে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা সভা। ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট এমকে ফাইজির গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সামশেরগঞ্জে পথসভা SDPI এর ফের সামশেরগঞ্জের হাউস নগর ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে পথদুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা গাড়িচালকের জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

রোববার   ১২ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২৭ ১৪৩২   ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

সর্বশেষ:
জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী এলাকা। প্রতিবেশীর হাতে খুন গৃহবধূ

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬ ০৪ ২০   আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬ ০৪ ২০

মালদা;সানু ইসলাম: এক নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকলো গোটা এলাকা। প্রতিবেশীর হাতে খুন গৃহবধূ। কুড়ুলের আঘাতের রক্তাক্ত দেহ। খুনের ভয়াবহতায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। সমগ্র ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে খুনের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, প্রায় দশ বছর হয়েছে স্ত্রী সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়া। 

তারপরেই গ্রামে দা কোদাল ও কুড়ুল নিয়ে ঘোরাফেরা করতেন মধ্যবয়সী যুবক।পাশাপাশি বিচ্ছেদের পর গ্রাম বধূদের সাথে বাকবিতণ্ডা লেগেই থাকত তার।যুবক গ্রামের বধূদের একটাই প্রশ্ন করতেন। "আমার জিনিস ফিরিয়ে দাও"।তবে যুবক কি চাইছে,বধূরা জানেননা।গ্রামের বধূদের সাথে এনিয়ে বাকবিতণ্ডা লেগেই থাকত।তবে সেই রেশ শেষ হল বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার রাত্রে প্রতিবেশী  বেগুনি দাসের কাছে তার জিনিস ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন শীতল প্রামানিক। সেই সময় তার হাতে ছিল ধারালো কুড়ুল।সেই কুড়ুল নিয়ে বেগুনির তেড়ে আসে যুবক। 

যুবকের কুড়লের আঘাতে খুন হতে হলো ৪৮ বছর বয়সী এক মহিলাকে। এমনই নারকীয় হত্যাকান্ডের সাক্ষী থাকলো মালদহের চাঁচল থানার ভগবানপুর গ্রাম।ঘটনার পরেই অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়।গ্রামবাসীরা তাকে ধরে ফেলে।চাঁচল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।ধারালো কুড়ুলটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,শীতলের বাড়ির দরজা খুললেই বেগুনির বাড়ির দরজা দেখতে পাওয়া যায়।বেগুনির দুই ছেলে ও স্বামী রয়েছে।ছেলেরা মুম্বাইয়ে শ্রমিকের কাজে কর্মরত।বাড়িতে স্বামী নিমাই দাসকে নিয়ে থাকে বেগুনি।

পুলিশ জানিয়েছে,অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এই খুনের ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী। হাড় হিম করা এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে আতঙ্কিত সকলে। তুই ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে কি মানসিক অবসাদে ভুগছিল অভিযুক্ত? সেখান থেকেই এই ধরনের ঘটনা?নাকি পেছনে অন্য কোন কারণ? তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর