ব্রেকিং:
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বেওয়া-২ পঞ্চায়েতের নিশিন্দ্রা গ্রামে ভোটার তালিকা ভুয়ো ভোটার। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার উদ্যোগে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা সভা। ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট এমকে ফাইজির গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সামশেরগঞ্জে পথসভা SDPI এর ফের সামশেরগঞ্জের হাউস নগর ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে পথদুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা গাড়িচালকের জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

সোমবার   ১৩ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২৭ ১৪৩২   ২০ রবিউস সানি ১৪৪৭

সর্বশেষ:
জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

লকডাউন এর মধ্যেই দেওয়াল কেটে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক চুরি l

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২১ ১৭ ০৫ ৩৭   আপডেট: ১ জুন ২০২১ ১৭ ০৫ ৩৭

মালদা;;০১জুন: করোনা আবহে লকডাউনের মধ্যে দুঃসাহসিক চুরি সোনার দোকানে। তালা ভেঙে দেওয়াল কেটে চুরি। চুরি গেল প্রায় লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না। এই ঘটনায় উত্তেজনা এলাকায়। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দুঃসাহসিক এই চুরির ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের বড়তরফ এলাকায়। সোনার দোকানের পাশে রয়েছে সাইকেলের দোকান। সেই সাইকেলের দোকানের তালা ভেঙে, তারপর দেওয়াল কেটে সোনার দোকানে চুরি করা হয়। সোনা এবং চাদির যা গয়না ছিল সব চুরি গেছে। সোনার দোকানের দুই ভাইয়ের নাম হল পার্থ কর্মকার এবং নব কর্মকার। দোকান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে থানা। ফলে নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ব্যবসায়ী মহল। এমনিতেই লকডাউন এ ব্যবসায মন্দা চলছে। তার উপর এই চুরি। ফলে মাথায় হাত পড়েছে ওই স্বর্ণকারের। ব্যবসায়ী মহলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে দ্রুত যাতে তদন্ত করে অভিযুক্তদের যেন ধরা হয়।

সোনার দোকানের মালিক পার্থ কর্মকার বলেন," দেওয়াল ভেঙে এই চুরি হয়েছে। এসে দেখি সব কিছু শেষ। বাইরের আলমারিতে যা ছিল সব চুরি গেছে। একেই লকডাউন, তারপর এই চুরি। থানা সামনে থাকা সত্ত্বেও এই ঘটনা ঘটলো। পুলিশের টহল ও আমাদের চোখে পড়ে না।"

পার্শ্ববর্তী ফুল দোকানের মালিক নরেন দাস বলেন," এসে দেখিসাইকেলের দোকানের গেট ভাঙা।তারপর দেখি দেওয়াল কেটে সোনার দোকানে চুরি হয়েছে।প্রচুর টাকার সোনা এবং চাদির গয়না চুরি হয়েছে।তিন মাস আগে আমার দোকানে চুরি হল।আসামিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলাম।কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না।দ্রুত পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হোক।না তো আমরা ব্যবসায়ীরা শেষ হয়ে যাবো।"

হরিশ্চন্দ্রপুর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি সৌরভ কেডিয়া বলেন," সকালে উঠে ঘটনাটি শুনতে পাই। সেই স্বর্ণকার বন্ধুকে নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবো। এরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে ব্যবসায়ী মহলের পক্ষ থেকে সেই নিয়ে প্রশাসনকে বলবো। বিডিও সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তারা কাছে চিঠি দেবো।"

 হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যেখানে দোকান থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে থানা। সেখানে এই ধরনের দুঃসাহসিক চুরি কাম্য নয়। স্বাভাবিক পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। প্রশাসনের উচিত দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত করা এবং দোষী দের গ্রেফতার করা।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর