ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

বৈষ্ণবনগর জুড়ে অবৈধভাবে চলছে গ্যাস রিফিলিং

এম আনওয়ার উল হক

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২৪ ১৯ ০৭ ৪৬  

বৈষ্ণবনগর, ২৮ ফেব্রুয়ারি:

কার্যত প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কালিয়াচক ৩ ব্লক তথা বৈষ্ণবনগর থানার বিভিন্ন জায়গায় অলিগলিতে মুড়ি মুড়কির ন্যায় অনিয়ন্ত্রিত উপায়ে  অবৈধভাবে চলছে গ্যাস রিফিলিংয়ের কাজ চলছে । এই অবৈধ গ্যাসের রিফিলিং এর ফলে যে কোন সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেছন বৈষ্ণবনগরের আম জনতা। বাসিন্দাদের কথায়,পাড়ার মুদির দোকান ও অনেক বসতবাড়িতে অনিয়ন্ত্রীতভাবে গ্যাস ভর্তির কাজ হচ্ছে। এইসব পাড়া বা দোকানের সামনে দিয়ে গেলে গ্যাসের তীব্র গন্ধ সবসময় পাওয়া যায় । তা থেকে যখন তখন ঘটতে পারে মারাত্মক ও ভয়াবহ ঘটনা। হামেশাই ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটে। জ্বালানী গ্যাসের রাইফিলিং করায় ছোট্ট শিশুদের স্বাস কষ্ট ও অনেকের চোখ জ্বালা - মাথা ব্যাথা দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ।

বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অসাধু ব্যবসায়ীরা গ্যাস খোলা বাজারে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে । বৈষ্ণবনগরের এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্যাস ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাজারে এই গ্যাসের চাহিদা প্রচুর । আমাদের দোষ দিয়ে লাভ কি, খরিদ্দার চায় তাই আমরা বিক্রি করি। বাড়ির গ্যাস শেষ হয়ে গেলে অনেক সময় বুকিং করে পাওয়া যায় না, তখন তারা বাজারের এই খোলা গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। জানি কাজটা অবৈধ ও মারাত্মক কিন্তু কি করবো পেট চালাতে হবেতো।’ 

প্রসঙ্গত, বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার ১৬ মাইল সহ বৈষ্ণবনগর বাজার, পুরাতন ১৮ মাইল, লক্ষীপুর, মন্দাই, কুম্ভীরার রাজার বাজারে ও ভগবানপুরের বিভিন্ন পাড়ার দোকান বা রাস্তার ধারে বিভিন্ন জায়গায় দোকান গুলিতে উঁকি দিলেই দেখতে পাওয়া যায় গ্যাস ভর্তির কাজ চলছে। এসবকিছুই প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘটছে । তবুও তাদের এব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন । 

এই বিষয়ে এক সমাজকর্মী আবু সাঈদ  বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রীত ও অবৈধভাবে গ্যাস ভর্তির কাজটা যেমন খুব ঝুঁকির তেমনি এটা বেআইনি কাজও বটে । জানিনা প্রশাসন সব জেনেও চুপ কেন ? 

বাম নেতা রেজাউল করিম বলেন, অতি স্বত্তর বেআইনি গ্যাস ভর্তির কাজগুলিকে প্রশাসনের বন্ধ করা দরকার। এটাও ঠিক যারা একাজ করছেন তারা শুধুমাত্র পেটের দায়ে করছেন । বাজারের জিনিষের দাম অগ্নিমূল্য হওয়াতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই, তাই তারা অধিক মুনাফা লাভের আশায় এই কাজ করছেন। আসলে সর্বোপরি সরকারকে অর্থনৈতীক ব্যবস্থা ও দ্রব্যমুল্যের সঠিক ভাবে নিয়ত্রণ করা দরকার।’

কংগ্রেস ব্লক সভাপতি আজিজুল হক জানান, এলাকায় দমকল পরিষেবা নেই। গ্যাস ফিরিলিং এর ফলে অগ্নিকান্ড হলে এর দায় কে নেবে?

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর