ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

খোলা আকাশের নিচে বসে চাঁচল দৈনিক খুচরো বাজার

উমার ফারুক

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২০ ১৩ ০১ ৫৫  

মালদহ জেলার চাঁচল মহকুমা  সদরের   দৈনিক বাজার সদর ও পার্শ্ববর্তী গ্রামীণ এলাকার সবথেকে বড় দৈনিক বাজার।চাঁচল সদরের নেতাজি মোড়ের কাছে প্রতিদিন সকাল ছয় টা থেকে দুপুর দুই  টা পর্যন্ত এই দৈনিক খুচরো বাজার বসে।এখানে নানা  ধরনের পণ্য দ্রব্য কেনাবেচা হয়।  টাটকা শাকসবজি, মাছ,মাংস বিক্রি করা হয়।সেইসঙ্গে খুচরো মুদি খানার দোকান বসে। ব্যবসায়ীরা চাল কেনাবেচা করেন এই বাজারে। এছাড়াও  রয়েছে একাধিক চায়ের দোকান তেলেভাজা,মিষ্টির দোকান, বীজের ও কাপড়ের দোকান ইত্যাদি। এই খুচরো বাজারের মুদি খানা ও কাপড়ের দোকান গুলোর স্থায়ী পাকা কাঠামো যুক্ত ঘর থাকলেও শাক সবজি ,মাছ মাংস ও অন্যান্য দোকান গুলো খোলা আকাশের নিচেই বসে বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়িরা জানান।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন এই বাজারে প্রায় দুই লক্ষ  টাকার কেনাবেচা হয়।শুধু সদর নয়  আশেপাশের গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা ও এই দৈনিক বাজারের উপর নির্ভর করেন।
তবে দীর্ঘদিন ধরেই পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকছে দৈনিক বাজার টি।স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিদিন বাজার করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে একাধিক বার অভিযোগ জানান সত্বেও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নি বলে বাসিন্দারা জানান।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,এই  দৈনিক খুচরো বাজারটি  সদর এলাকার নেতাজি মোড়ে সরকারি জায়গায় রয়েছে।বাজারটির  রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি বাজার কমিটি আছে। এই কমিটির দায়িত্ব বাজার দেখাশোনা করার।স্থানীয় ব্যবসায়ী কৃষ্ণ দাস,সামসাদ আলি,রিতা মণ্ডল বলেন,চাঁচল  দৈনিক বাজার নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরেই।এলাকার মানুষ কে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনে বাজারে যেতে হয়।কিন্তু বাজারে  যাওয়া মানেই দুর্ভোগের শিকার হওয়া।খোলা আকাশের নিচে দৈনিক বাজার বসে। স্থায়ী কাঠামোর দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছি কিন্তু কোন  ফল হয়নি।বর্ষা হয়েছিল। স্থায়ী কাঠামো তৈরি না হওয়ায় টালি,ত্রিপল দিয়ে অস্থায়ী ভাবে দোকান পাট বসে।ঝুপড়ি টাইপের দোকান পাট গজিয়ে উঠে বাজার চত্বর ঘিঞ্জি হয়ে গেছে।এছাড়া ও স্থানাভাবের জন্য রাস্তার উপর দোকান পাট বসে।বাজারের শৌচালয়টি অপরিস্কার ব্যবহারের অযোগ্য।সেই সঙ্গে পানীয় জলের ও ব্যবস্থা নেই।ব্যবসায়ীদের দূর থেকে জল নিয়ে আসতে হয়।
চাঁচল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রাণ গোপাল পোদ্দার  বলেন,চাঁচল  দৈনিক খুচরো বাজার দীর্ঘদিন ধরেই পরিকাঠামো গত সমস্যায় ধুঁকছে।স্থায়ী কাঠামোর মধ্যে কিছু দোকান পাট বসে।বেশির ভাগ দোকান অস্থায়ী ভাবে ত্রিপল টাঙিয়ে করা হয়েছে।এই সমস্যার মধ্যেই ব্যবসায়ীরা কেনা বেচা করেন।এতে ক্রেতা বিক্রেতা সকলকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।শৌচালয় ভাল অবস্থায় নেই,  পানীয় জল কোন কিছুর ব্যবস্থা নেই দৈনিক বাজারে।অথচ প্রতিদিন সকাল ছয়টা  থেকে দুপুর দুই টা পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ টাকার কেনাবেচা হয় এই বাজারে।দীর্ঘদিন ধরেই আমরা স্থায়ী কাঠামো যুক্ত দোকান ঘরের দাবি জানিয়ে আসছি।এর জন্য উপযুক্ত ভাড়া ও দিতে রাজি ব্যবসায়ীরা।যারা এই দৈনিক বাজারে দোকান দেন তাদের কাছ থেকে প্রতিদিন ১০টাকা করে চাঁদা তোলা হয় বলে। স্থায়ী কাঠামো তৈরি হলে সারাদিন এই বাজার চলবে। এটি একটি শতাব্দী প্রাচীন দৈনিক বাজার।পরি কাঠামো গত উন্নতি হলে ফল মুলের বাজার ও এখানে বসবে।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর