ব্রেকিং:
জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

শুক্রবার   ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   ফাল্গুন ৯ ১৪৩১   ২৩ শা'বান ১৪৪৬

সর্বশেষ:
জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭ ০৫ ৪৫  

নাবালিকা শ্যালিকাকে রাখা হত গোয়ালে তাকে খাবারের সঙ্গে নেশার দ্রব্য মিশিয়ে বেহুঁশ করে ওই গোয়ালেই রাতের পর রাত চলত ধর্ষণ এমন অমানবিক কাণ্ড ধরে ফেলার পরেও ওই নাবালিকার মা কোনও আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে, মেয়েকে জামাইবাড়ি থেকে তাঁর নিজের বাড়িতে এনে এতদিন চুপ করে ছিলেন অবশেষে ওই নাবালিকা আটমাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় সন্দেহ হয় এলাকার বাসিন্দাদের গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বছর তেরোর অন্তঃসত্ত্বাকে উদ্ধার করতেই, অমানবিক ঘটনার খবর জানতে পারল বালুরঘাট থানার পুলিশ ডিএসপি (সদর) বিক্রম প্রসাদের কথায়, 'গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এক নাবালিকাকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে তাকে চাইল্ড কমিটির হেপাজতে দেওয়া হচ্ছে শুরু হয়েছে পুরো ঘটনার তদন্ত' ওই নাবালিকা আপাতত শারীরিকভাবে অসুস্থ রয়েছে শনিবার রাতে বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া পঞ্চায়েত এলাকার একটি গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয় জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষর পিএলভি, চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিট বালুরঘাট থানার পুলিশ মিলে ওই অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা তাঁর মাকে থানায় ওই মেয়েটার সর্বনাশের জন্য তার মা দায়ী সে ইচ্ছে করে এই বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছে এবং জামাইকে বাঁচানোর চেষ্টা করে গেছে ওই নাবালিকার মায়েরও শাস্তি হওয়া উচিত বালুরঘাট হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা করিয়ে, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হেপাজতে দেওয়া হয় গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে জামাইয়ের বিরুদ্ধে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নাবালিকার মা প্রতিবেশী এক গৃহবধূর বক্তব্য, 'ওই বাচ্চা মেয়েটার এই সর্বনাশের জন্য তার মা দায়ী সে ইচ্ছে করে এই বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছে এবং জামাইকে বাঁচানোর চেষ্টা করে গেছে ওই নাবালিকার মায়েরও শাস্তি হওয়া উচিত' স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা স্থানীয় একটি স্কুলে ক্লাস এইটে পড়াশোনা করত তার বাবা-মা নেই তাই ৫০ বছর বয়সি গৃহবধুর কাছে থাকত ওই নাবালিকা সেই মা স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানে আয়ার কাজ নেওয়ায়, প্রায় বছর দেড়েক আগে তাঁকে হরিয়ানায় বড় মেয়ের কাছে পাঠায় সেখান থেকে গত জুলাই মাসে ওই নাবালিকাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয় মেয়ে গর্ভবর্তী হয়েছে সেটা চেপে যান ওই নাবালিকার মা স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ হচ্ছিল অবশেষে শনিবার স্থানীয় বাসিন্দারা জোর করে ওই নাবালিকার বিভিন্ন চিকিৎসার রিপোর্ট খতিয়ে দেখে তখনই পরিষ্কার হয়, সে ৩৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা এমনকি তার চিকিৎসা সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলছে এরপরেই ওই নাবালিকার মা এলাকাবাসীর চাপে পড়ে বালুরঘাট থানায় তার জামাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর