ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

রোজা ইফতারের পরে পরেই অগ্নিকাণ্ড

হাসিনা পারভীন বানু

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৮ ০৬ ৫২  

 

এম আনওয়ার উল হক

বৈষ্ণবনগর, ১৫ মার্চ:

রোজা ইফতারের পরে পরেই অগ্নিকাণ্ডের  ঘটনা ঘটলো। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দুই ভাইয়ের বাড়ি ঘর,আসবাবপত্র সহ সমস্ত কিছুই পুড়ে ছারখাল হল। বৃহস্পতিবার ভরসন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বৈষ্ণবনগর থানার অন্তর্গত বাখরাবাদ অঞ্চলের অন্তর্গত বাখরাবাদ চর বাসর্দি সরদার পাড়ায়। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সর্বস্য হারিয়ে দুই দুইটি পরিবার ত্রাণের অপেক্ষায় চাতকের মতো তাকিয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে বাখরাবাদ অঞ্চলের অন্তর্গত বাখরাবাদ চর বাসর্দি সরদার পাড়ায় বাসিন্দা এক্রামুল হকের দুই পুত্র জিয়াউল হক এবং রেজাউল সেখের বাড়িতে অগ্নীকান্ডের ঘটনাটা ঘটে।  

আক্স্মিক ভাবে আগুন লেগে সম্পূর্ণ ভস্মিভুত হয়ে গেছে। পড়নের কাপড় ছাড়া কোনও কিছুই বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

শুক্রবার অকুলস্থানে গিয়ে দেখা গেল পোড়া জিনিসপত্র ছড়িয়ে রয়েছ। পোড়া বিদঘুটে গন্ধে আকাশ ভারী হয়েছে। ঈদের আগে অকুল পাথরে পড়েছে ঐ পরিবার বলে জানান বাখরাবাদ প্রধান আব্দুর রহিম।

ঘটনা স্থল পরিদর্শনে আসেন কালিয়াচক-৩নং ব্লকের বিডিও সুকান্ত মজুমদার, জয়েন্ট বিডিও উমথবাবু, কুম্ভিরা ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ হারাধন, বাখরাবাদ প্রধান আব্দুর রহিম।

বৃহস্পতিবার ভরসন্ধ্যায় বাড়িতে সবাই রোজা ইফতারের পর স্বাভাবিক ভাবেই ব্যস্ত ছিল।  পরিবারের পুরুষ মানুষরা অন্যত্র গিয়েছিলেন কাজে। আচমকা প্রতিবেশীদের থেকে খবর পায়,তাদের ঘরে আগুন লেগেছে।তারা তাড়াতড়ি ঘরে ফিরে আসে। প্রতিবেশীরা ততক্ষণে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়। তবে আগুনের লেলিহান শিখার কাছে অসহায় হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। আগুন আয়ত্বে আনার আগেই দুইভায়ের বাড়িঘর পুড়ে ছারখার হয়ে যায়।

পরিবারের মহিলারা জানিয়েছেন, কি ভাবে আগুন লাগলো বুঝে উঠতে পারছিনা। কি ভাবে বাঁচবো?’ ঈদের খুশি মাটিতেই মারা গেল।

এলাকাবাসীদের দাবি এলাকায় দমকলের পরিষেবা নেই। দমকলের ব্যবস্থা থাকলে প্রতি বছর অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতি হত না। 

 

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর