ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৩ ১৪৩১   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

কালীপুজোর মাটির প্রদীপের কদর কমেছে, তাও আশাবাদী মৃৎশিল্পীরা

পল মৈত্র

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ ২২ ১০ ২৫  

কালীপুজোর মাটির প্রদীপের কদর কমেছে, তাও আশাবাদী মৃৎশিল্পীরা

 

পল মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুরঃহাতে গোনা আর মাত্র ১০ দিন আর তারপরই সারা দেশ সহ আপামর বাঙালী আলোর রোশনাই ঝলমলে হয়ে উঠবে, ২৭ অক্টোবর রবিবার ঘোর অমাবস্যায় অন্ধকারকে দুরে সরিয়ে আলো দিয়ে ঝকঝকে করতে মা কালী মর্তে আবির্ভূত হবেন। কিন্তু যাঁদের  মাটির প্রদীপে ঝলমল করে বা করেছে উৎসবের আঙিনা, সেই মৃৎশিল্পীদের ঘরেই এখন অন্ধকার। আর তার জন্য সৌজন্যতা বৈদ্যুতিক মোমবাতি, টুনি লাইট।
কালীপুজো এলেই ঘর আলো করতে মাটির প্রদীপের চাহিদা বেশ থাকত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে গৃহস্থরা ঝুঁকেছেন তুলনায় সস্তা এবং বাহারি বৈদ্যুতিক আলোর দিকে। এই পরিস্থিতিতে কালীপুজোর মুখে চিন্তায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমোররা। মাটির প্রদীপের কদর কমতে থাকায় এই কাজ ছেড়ে অনেকেই অন্য পেশার দিকে ঝুঁকছেন।
আলোর উৎসব তথা দীপাবলীতে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে মাটির প্রদীপ। প্রদীপের চাহিদা কমলেও হাল ছাড়েননি জেলার অনেক মৃৎশিল্পীরা হাল ছাড়েননি। মৃৎশিল্পীরা পুজোর নানা উপকরণের সঙ্গে মাটির তৈরি প্রদীপ তৈরি করে আসছেন বংশ পরম্পরায়।কিন্তু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতি বাজারে চলে আসায় প্রাচীন সেই মাটির প্রদীপ হারিয়ে যেতে বসেছে। কিন্তু বাজারে সেই প্রদীপের কম চাহিদা থাকায় প্রায় বন্ধের মুখে এই শিল্প। জেলার বিভিন্ন গ্রামের বহু কুমোর পরিবার আগে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিল এখন সেটা কমে দাঁড়িয়েছে। মৃৎশিল্পীরা দীপাবলিকে সামনে রেখে ব্যস্ত নানা ধরনের প্রদীপ তৈরি করতে। তবে বেশ কিছু মৃৎশিল্পীর গলায় আক্ষেপের সুর। তাঁরা বলেন, আজকালকার ডিজিটাল যুগে যে হারে চায়না লাইট, টুনি বাল্ব ও নানা ধরনে এলইডি লাইট এসেছে সেই তুলনায় হাতে গড়া মাটির প্রদীপের বিক্রয় কমেছে। লাভ কম হলেও কুমোরদের আশা এই বছর তাঁরা লাভের মুখ দেখবেন। তাঁরা আরও বলেন, বর্তমানে মাটি ওখড়ির দামও বেড়েছে। কিন্তু প্রদীপের দাম বাড়ছে না। যা কোনও রকম খাওয়া খরচটা ওঠে। আগামী দিনে মাটির প্রদীপের চাহিদা বাড়বে বলে আশাবাদী জেলার মৃৎশিল্পীরা।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর