ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

বদরপুর পশু চিকিৎসা হাসপাতাল নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ স্থানীয়দের

আবুল সাহিদ , শিলচর আসাম

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২০ ২২ ১০ ৩৬  

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের থাবায় অসহায় হয়ে পড়েছে বিশ্বের মানুষ ।অজানা নতুন রোগে আক্রান্ত হয়ে বরাক উপত্যকার তিন জেলায় গরু মরার হিড়িক। বর্ষার ধান চাষের মুখ্য সময় আর এই সময়  হাজার হাজার গবাদি পশু আক্রান্ত ফলে বেকায়দায় পড়েছেন কৃষককুল । বদরপুর এলাকার সামছুল ইসলাম, সবিনয় নাথ, আব্দুল মান্নান, অভিযোগ করে বলেন বদরপুরে পশু চিকিৎসা হাসপাতাল শুধু খাতায় কলমে চলছে এই হাসপাতাল থেকে কোন সুবিধা পাচ্ছেনা কৃষকরা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই হাসপাতালে দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকেন ডাক্তার, নেই কোনো ঔষধ সামগ্রী এক চৌকিদার দিয়ে চলছে এই হাসপাতাল । আরও অভিযোগ করেন দত্তপুর কিংবা বদরপুরে পশু চিকিৎসকদের ঘরে চিকিৎসার জন্য আনলে লাগে মোটা অঙ্কের টাকা । চিকিৎসার অভাবে অনেক পশুর  মৃত্যু হয়ছে। এতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের । বদরপুরে অহরহ মরছে গরু। দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে পশুচিকিৎসক কে দেখা যাচ্ছেনা বদরপুরের বিভিন্ন এলাকায় সেখানে মারাত্বক ভাবে গরুর উপর নতুন রোগ ভর করায় মরছে অসংখ্য গরু।
হাইলাকান্দি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু মরার খবর অহরহ আসছে। মানুষ অসহায় হয়ে পশুচিকিৎসা বিভাগের পদক্ষেপ এর অপেক্ষায় আছেন।করিমগঞ্জ জেলা থেকেও আসছে একই রকম খবর। জেলার কালিগঞ্জে চিকিৎসার নামে পশু চিকিৎসক এর ওপর দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। চিকিৎসার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ কালিগঞ্জ পশু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
একদিকে করোনা ভাইরাস এ সংক্রামিত গোটা দেশ, অন্যদিকে মিনি বন্যায় ক্ষেতের জমি জলের তলায়। তার ওপর বিগত দুই মাস যাবৎ গরু অসুস্থ হয়ে মরছে। বিপাকে পড়েছেন গরিব কৃষকরা।জানা গেছে, গরুর আপাদমস্তক প্রথমে খুলশা পড়ে। তারপর ঝরে পড়ে মাংস। এলাকার প্রত্যেকটি গ্রামে এই পশুদের ওপর এই অজানা রোগ যেন করোনা ভাইরাসের মত মারাত্মকভাবে রূপ ধারণ করছে।ভূক্তভোগিরা পশু চিকিৎসকের দ্বারস্থ হলে তাঁরা চিকিৎসার নামে ‌যদিও এক দুটি ইনজেকশন কিংবা টেবলেট দিচ্ছেন, এতে কোনো কাজে আসছে না। চিকিৎসার নামে গরু মালিকদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা চিকিৎসকরা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ।নতুন এই রোগে কোন চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা পশু চিকিৎসকের অভাবে। কৃষকদের দুঃসময়ে তাদের অসুস্থ গরুর প্রাণ বাচাতে তিন জেলার পশু চিকিৎসালয় কর্তৃপক্ষকে সতেজ করে তুলতে জেলা প্রশাসনের কৃপাদৃষ্টি কামনা করছেন বরাকবাসী।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর