ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

রোববার   ১৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৩ ১৪৩১   ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

এনআরসির আতঙ্কে আধার কার্ড না থাকাই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী

হক নাসরিন বানু

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২০ ২২ ১০ ৪২  

এনআরসির আতঙ্কে আধার কার্ড না থাকাই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী রিকশাচালক। দেশের ৭১ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে আনন্দে মাতোয়ারা গোটা দেশ।অন্যদিকে রবিবার এনআরসির আতঙ্কে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন রতুয়া-১ ব্লকের বিন পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মধু সাহা (৪৬)।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ওই ব্যক্তির নাম মধু সাহা বাড়ি রতুয়া-১ ব্লকের বিন পাড়া গ্রামে।পেশায় রিকশাচালক।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ভোটার কার্ড ও রেশন কার্ড রয়েছে নেই আধার কার্ড, নতুন আধার কার্ডের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন।কখনো ব্যাংকে তো আবার কখনো সিএসপি কেন্দ্রগুলোতে।দিন কয়েক আগে তিনি নিজের ও স্ত্রী পঞ্চমী সাহার জন্য রতুয়া ব্লক মোড়ের এক সিএসপি কেন্দ্রতে ৭০০ টাকা দিয়ে নতুন আধার কার্ড তৈরির জন্য আবেদন করেন, কিন্তু সেখানেও আধার কার্ড তৈরি হয়নি।আধার কার্ড না থাকায় এনআরসির ভই তার মনের মধ্যে বাসা বাঁধে।ছেলে ভরত সাহা জানাই আধার কার্ড না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাবা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।আমরা বাড়িতে বাবাকে বিভিন্নভাবে আশ্বস্ত করি আধার কার্ড না থাকলেও নাগরিত্ব নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।তা সত্ত্বেও বাবা কোনমতে বুঝে উঠতে পারেনি।আমার মা পঞ্চমী সাহা ও মাসি বারান্দায় বসে গল্প করছিলেন, সে সময়ে বাবা বাড়িতে আসেন এবং ঘরে ঢোকেন,এবং নিজের গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।সে সময় মা এবং মাসি বারান্দায় বসে থেকেও একটুও টের পাইনি। আমাদের পরিবারে বাবাই ছিল রোজগারের একমাত্র। এখন মা ও ছোট ভাই কিশর সাহাকে নিয়ে কিভাবে দিন কাটাবো ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছিনা।এদিকে ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে আসে রতুয়া থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে পাঠায়।
Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর