ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৩ ১৪৩১   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

হিন্দুদের ডিটেনশন ক্যাম্পে নয়, রাতাবাড়িতে গিয়ে অভয় হিমন্তের

দিদারুল ইসলাম

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৯ ২২ ১০ ৪০  

হিন্দুদের ডিটেনশন ক্যাম্পে নয়, রাতাবাড়িতে গিয়ে অভয় হিমন্তের ।


১৬ অক্টোবর : ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে হিন্দুদের আশার বাণী শোনালেন রাজ্যের মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। মঙ্গলবার রাতাবাড়ি বিধানসভার উপ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বিজয় মালাকারের সমর্থনে বিভিন্ন জনসভায় তিনি বলেছেন, দু’মাস পর আর একজন হিন্দুকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকতে হবে না। কংগ্রেসের জন্যই আগের সরকার নাগরিকত্ব বিল রাজ্যসভায় পাশ করতে পারেনি। তবে আগামী ডিসেম্বরে বিলটি পুনরায় সংসদে পেশ করা হবে। তখন আর কোনও হিন্দুকে ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকতে হবে না। মন্ত্রী এ দিন কংগ্রেসকে ৫০০ টাকার অচল নোট বলে কটাক্ষ করেন।
হিমন্তবিশ্ব শর্মা এ দিন গুয়াহাটি থেকে হেলিকপ্টারে সোজা আসেন রাতাবাড়ির গান্ধীনগরে। অস্থায়ী হেলিপ্যাডে অবতরণ করেই তিনি সোজা চলে যান নয়া দাসগ্রামে। সেখানে জনসভা সেরে তিনি সিংলাছড়ায় দ্বিতীয় জনসভায় যোগ দেন। এরপর চা বাগানের খেলা মাঠে তিনি তৃতীয় সভায় বক্তব্য রাখেন।
রাতাবাড়ি বিধানসভা এলাকার তিনটি স্থানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী চাঁচাছোলা ভাষায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস শুধু বিভাজনের রাজনীতি জানে। সম্প্রদায়গত রাজনীতি জিইয়ে রেখে তা থেকে ফায়দা তোলাই কংগ্রেসের কালচার। তাই এলাকার জনগণকে কংগ্রেসমুক্ত রাতাবাড়ি গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস ভোটের দিকে চোখ রেখে চা জনগোষ্ঠী ও হিন্দু বাঙালিদের মধ্যে বিভেদ আনার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগণ তাতে আমল দেননি। এ বারও কংগ্রেস বলছে, বিজেপি প্রার্থী হিন্দু বাঙালি সম্প্রদায়ের, কাজেই চা জনগোষ্ঠীর মানুষ যেন বিজেপিকে ভোটদান থেকে বিরত থাকেন।তাছাড়া বিজেপি প্রার্থীকে বহিরাগত বলেও কংগ্রেসিরা যে অপপ্রচার শুরু করেছেন, তারও কোনও ভিত্তি নেই। উদাহরণ টেনে হিমন্ত বলেন, রাহল গান্ধী যদি উত্তর প্রদেশ থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে গিয়ে নির্বাচনে লড়তে পারেন, তাহলে বাকিদের দোষ কোথায়? তাছাড়া তিনি এ দিন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেন। এ দিন অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিজেপি সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, সাংসদ কৃপানাথ মালাহ, প্রার্থী বিজয় মালাকার প্রমুখ। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তিন বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, দিলীপ পাল ও কিশোর নাথ, মুন স্বর্ণকার, শিপ্রা গুণ প্রমুখ।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর