ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

মঙ্গলবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩১   ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা কেন বাধ্যতামূলক করা হবে না : হাইকোর্ট

জাগরণ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৭ ০৫ ০৭  

 

বর - কনের রক্তে মাদক বা থ্যালাসেমিয়ার অস্তিত্ব আছে কি না তা বিয়ের আগে পরীক্ষা করে মেডিকেল সনদ দাখিল কেন বাধ্যতামূলক করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।আজ সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এই রুলের জবাব চেয়েছেন আদালত।
 
বিয়ের ও সরকারি চাকরিতে যোগদানের আগে বর - কনের রক্তে থ্যালাসেমিয়া ও  মাদকের অস্তিত্ব আছে কি না তা পরীক্ষা করে মেডিকেল সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক চেয়ে হাইকোর্টে গত ৫ জুলাই রিটটি দায়ের করা হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহিন আরা লাইলীর পক্ষে একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিবাদী করা হয়।

রিটে আবেদনে বলা হয়,থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে একই রোগে আক্রান্ত কোন রোগীর বিয়ে হলে অনাগত সন্তান বিকালঙ্গ হওয়ার আশংকা আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন।এ ছাড়া দেশে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। এর মধ্যে শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ। বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ মাদকাসক্তি।বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের সালিশী পরিষদের তথ্য অনুযায়ী নারীদের অভিযোগের কারণ হচ্ছে স্বামীর শারীরিক অসক্ষমতা।আর মাদক যেমন ইয়াবা,হেরোইন, অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন মাদক সেবনে পুরুষত্বহীন হয়ে যাচ্ছে।বিদ্যমান নিকাহ নামার ৩ ও ৪ নম্বর দফায় বর-কনের জন্ম সনদের পাশাপাশি ১৭ নম্বর দফায় ডাক্তারি সার্টিফিকেট (ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট) বাধ্যতামূলক হলে বর-কনের ভবিষ্যত সংসার ও অনাগত সন্তানের জীবন রক্ষা পাবে বলে রিটে উল্লেখ করা হয়। স্ব স্ব এলাকার নিকাহ রেজিস্ট্রি অফিসে সার্টিফিকেট দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

টি.এফ/জেডএস

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর