ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

মঙ্গলবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩১   ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

টার্গেট জাতীয় নির্বাচন

‘দীনি’ আলোচনার নামে জঙ্গিদের সদস্য সংগ্রহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০১৮ ১৯ ০৭ ০৩  


আসন্ন একাদশ জাতীয়  সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন কৌশলে আবারো সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজিবি)।  এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।      
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা দৈনিক জাগরণকে বলেন, নতুন করে এ সংগঠনের অর্থায়নের পেছনে রয়েছে বিদেশে পলাতক কিছু জঙ্গি সদস্য এবং কয়েকটি বিদেশি সংস্থা।  তারা হুন্ডির মাধ্যমে পাঠাচ্ছে অর্থ।   বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থেই চলছে গোপন সদস্য সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।  এ ছাড়া  বিদেশ থেকে আসা এসব অর্থ থেকে কারাবন্দি এবং নিহত হুজিবি সদস্যদের পরিবারকে নিয়মিতভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

এরই মধ্যে হুজিবিসহ অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক   অবস্থায় থাকতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। 
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, নতুন  করে হুজিবিকে সংগঠিত করার পেছনে ভূমিকা রাখছে এই সংগঠনের চার নেতা।  এছাড়া তাদের সঙ্গে রয়েছেন সাবেক   একজন সামরিক কর্মকর্তা। এ পাঁচজনের সহযোগী হিসেবে মাঠে রয়েছেন   আরও সাতজন।  যারা অতীতে কখনো হুজিব’র গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়িত্ব পালন   করেননি।   
জানা গেছে, হুজিবি নিজেদের সংগঠিত করতে নতুন কিছু কৌশল অবলম্বন করেছে।  তাদের এ কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে- সাপ্তাহিক ও মাসিক ইসলামী   পাঠচক্র, সাহিত্য পাঠ এবং ‘দীনি আলোচনা’ নামে বিভিন্ন অনুষ্ঠান।   তারা   এসব পাঠচক্র ও আলোচনার   কথা   বলে   মগজ   ধোলাই   করে   সদস্য সংগ্রহ করছে।  মগজ ধোলাই করার পর জিহাদে উদ্বুদ্ধ করে তাদের দেওয়া হচ্ছে   বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। 
২০০৮ সালের নির্বাচনের  সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তেও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করেছিলো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন 'জামাআতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ' জেএমবি।  সে সময়   চট্টগ্রাম   থেকে   বিপুল সংখ্যক গ্রেনেডসহ মাসুম নামে এক জঙ্গি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।   মূলত   রাজনৈতিক   সমাবেশে   হামলার জন্যই এসব গ্রেনেড মজুদ করা হয়েছিলো বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে জঙ্গি নেতা মাসুম।

এ ব্যাপারে র‌্যাবের মিডিয়া পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা কাজ করছে।  কোনো জঙ্গি সংগঠন যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সেদিকেও কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর