ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

কবিতা - তাদের কথা

মোঃ ইজাজ আহামেদ

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২৪ ১২ ১২ ২২  


তাদের কথা
মোঃ ইজাজ আহামেদ

নদীর তীরে  তারা বসতি স্থাপন  করেছিল 
জায়গা কিনে সাধের নীড় তৈরি করেছিল বাবুই পাখির মতো;
বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে জীবন-জীবিকা করছিল নির্বাহ;
নদীর কলকল ধ্বনি, 
জলে রবির উদয় ও অস্ত যাওয়ার ছবি, 
মৃদুমন্দ বাতাস, চাঁদের জোছনা তাদের হৃদয়ের সাগরে 
 প্রফুল্লতার জোয়ার নিয়ে আসত;
তাদের দু- চোখের তারায় স্বপ্নেরা ভিড় জমাত;
নদীর ঢেউ তাদের গান শুনাতো, 
বাতাস ঢেউয়ের সঙ্গে নৃত্য করতো
 আর তাদের দেহ-মনে আদর এঁকে যেত;
রুপালি ভোর, রুপালি জ্যোৎস্না ভরা নিশি 
তাদের বাড়িতে উঁকি মারতো 
আর গঙ্গার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতো;
সূর্য ঘুম থেকে জেগে উঠতো 
সোনালী আভা নিয়ে তটিনীর আকাশে;
তারাও জেগে উঠতো  ঘুম থেকে,
মুখ দেখতো জলের আরশিতে,
সূর্য তাদের আদুরে চুমু দিত;
গোধূলিবেলায় তারা , তাদের স্বপ্নের নীড়গুলো,
তরঙ্গিনী, তাদের মাঠগুলো, তাদের বাগানগুলো
গোধূলি আলোর  পোশাকে সজ্জিত হতো;
গঙ্গা-পদ্মা হতে রুপালি শস্য আসতো পাতে,
শরতের কাশ তাদের হাতছানি দিয়ে 
বেড়াতে ডাকতো তাদের বাড়ি কাশবনে;
সেই ডাকে সাড়া না দিয়ে পারতো না তারা থাকতে;
দিনগুলো কতই না মধুর ছিল!
কিন্তু বর্ষা রানীর আগমন হতেই
নব যৌবনা স্রোতস্বিনী উত্তাল হয়ে উঠলো;
তাদের স্বপ্নের দিনগুলো, স্বপ্নের বাড়িগুলো 
দুঃখ স্বপ্নে পরিণত হলো;
তারা আতঙ্কে শুধু প্রহর গুনলো;
তাদের ভিটেমাটি স্রোতের গ্রাস কবলে পড়লো;
ভিটেমাটি তাদের দুঃখ দুর্দশাকে নিয়ে 
ইতিহাসের পিঠে চড়ে যেতে লাগলো সময়ের দেশে ।






পরিচিতি:
মোঃ ইজাজ আহামেদ (Md Ejaj Ahamed) একজন দ্বিভাষিক কবি, লেখক, সম্পাদক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও পিস অ্যাম্বাসেডর। তিনি ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার অরঙ্গাবাদের মহেন্দ্রপুর নামক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৯০ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি। তিনি পরিবারের ছয় ভাই বোনের মধ্যে বড়ো। পিতা-মোঃ সামসুদ্দিন বিশ্বাস, মাতা-মতিয়ারা বিবি। শিক্ষাগত যোগ্যতা- ইংরেজি অনার্স, ট্রিপল এম.এ,  বি.এড, ডি. এল.এড। তিনি বেশ কয়েকটি বেসরকারি  স্কুলে ১২ বছরের বেশি সময় ধরে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীন সেখপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন । ছোট থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন। স্কুলে পড়াকালীন ক্লাসে প্রায় প্রথম হতেন, অবশ্য দুইবার তৃতীয় হয়েছিলেন। মাধ্যমিকে সুতি থানা এলাকায় তিনি   প্রথম হয়েছিলেন। ছোট থেকেই পারিবারিক আর্থিক প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে পড়ার পাশাপাশি লেখালেখি চালিয়ে যান। ডি এন সি কলেজে পড়াকালীন  কলেজের 'অয়ন' পত্রিকায় প্রত্যেক বছর তাঁর বাংলা-ইংরেজি কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হত। তাঁর বাংলা-ইংরেজি  কবিতা, প্রবন্ধ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পত্রিকা, জার্নাল ও যৌথ কাব্যগ্রন্থে  প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর কবিতা আরবী, চীনা, কোরীয়, তুর্কী, ইতালীয়, আলবেনীয়, তাজিক, পোলিশ, হিন্দী, রুশ ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে Discovery and the Golden peak of Improvement  এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের বইয়ে Exploring New Trends and Innovations in English Language and Literature নামক দুটি রিসার্চ পেপার প্রকাশিত হয়েছে।  তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ 'স্বপ্ন তরী', 'বাংলা সাহিত্য ও সিনেমায় গোয়েন্দা চরিত্র',  'মনের পাণ্ডুলিপি', 'হৃদ-ক্যানভাস', 'অন্তরের কাব্যকথা', নির্বাচিত কবিতা মানবতা ও শান্তির জন্য' ও 'পড়ন্ত সন্ধ্যা'।  তিনি 'স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকা'র সম্পাদক, 'আন্তর্জাতিক সাহিত্য সুবর্ণ' পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর একজন সদস্য ছিলেন, বর্তমানে উপদেষ্টা মন্ডলী হিসেবে আছেন এবং কাদেরী টাইমস পত্রিকার উত্তরবঙ্গ সম্পাদক। তিনি মাদার টেরেজা ফাউন্ডেশন- এর মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি। তিনি ভারত ও বাংলাদেশের কবিদের কবিতার সংকলন 'কবিতার আকাশ', 'কবিতার অরণ্য' ও 'কবিতার সাগর' সম্পাদনা করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন খবরের কাগজে সাংবাদিকতা করেন। তিন কবিরত্ন, সহিত্যিকরত্ন, বঙ্গবন্ধু সন্মাননা, নূর মহম্মদ স্মৃতি সন্মাননা সহ অনেক পুরস্কার এবং বেশ কয়েকটি দেশের ইউনাইটেড নেশনস ও ইউনেস্কো স্বীকৃত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে  বিভিন্ন সন্মাননা ও সাম্মানিক ডক্টরেট  পেয়েছেন। তিনি সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন প্রদত্ত রাজা রামমোহন রায় স্মৃতি স্মারক সম্মান পেয়েছেন।
ইকরা ফাউন্ডেশন থেকে আইকন অফ পিস অ্যায়ার্ড, ইকরা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক কবিতা সম্মেলন ২০২২- এ বাংলাদেশ বেস্ট অ্যায়ার্ড ২০২২ পেয়েছেন।

তিনি যেসকল সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের পদ লাভ করেছেন (পদবীসহ) : সম্পাদক- স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকা, উত্তরবঙ্গ সম্পাদক - কাদেরী টাইমস,  উপদেষ্টা - 'আন্তর্জাতিক সাহিত্য সুবর্ণ' পত্রিকা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক- জয় বাংলা সাহিত্য পরিষদ (বাংলাদেশ)।
প্রেসিডেন্ট, মুর্শিদাবাদ জেলা - মাদার টেরেজা ফাউন্ডেশন
মডারেটর-লন্ডন পোয়েটস্ ক্লাব( ইংল্যান্ড), মডারেটর ও অ্যাম্বাসেডর - ইন্টারন্যাশনাল লিটারেসি স্টাডি( বাংলাদেশ),  অ্যাম্বাসেডর-  জেনিসিস ওয়ার্ল্ড রাইটার্স কমিউনিটি (নাইজেরিয়া), অ্যাম্বাসেডর-  'অ্যাসোসিয়েজিওন কালচারাল পার লা পেস এল উমানিতা' ( রোমানিয়া), অ্যাম্বাসেডর- 'ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাম্বাসেডরস একাডেমি' র সদস্য(মিশর)। অ্যাম্বাসেডর- 'ইকরা ফাউন্ডেশন' (জেরুজালেম),  'গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডরস অফ সাসটেইনেবিলিটি'র সদস্য ও সার্টিফাইড অফিসার (দুবাই), পিস অফ মেম্বার অফ 'ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস' (মিশর), সদস্য- 'ফেদার অ্যান্ড এক্সটেন্ডার হিউম্যানিটি একাডেমি' ইউরোপ এবং তুরস্ক শাখা, সদস্য- গ্লোবাল ফ্রেন্ডস ক্লাব, অ্যাম্বাসেডর ফর  ওয়ার্ল্ড পিস- ফাউন্ডেশন মারিয়া গ্লাডেজ।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর