ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

দুর্গাপুজোর আর্থিক অনুদান নিয়েও রাজনীতির অভিযোগ সাংসদের! পরিযায়

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২০ ১৮ ০৬ ২৩  

মালদা ২৬ অক্টোবর: গত দুই বছর ধরে বাংলার দুর্গাপূজা কমিটি গুলিকে আর্থিক অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। করোনা পরিস্থিতিতে যাতে পুজো বন্ধ না হয় তাই এই বছর সেই অনুদান বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে। কিন্তু নিরপেক্ষভাবে দেওয়া হচ্ছেনা আর্থিক অনুদান। আর্থিক অনুদান নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ উঠল সরকারের বিরুদ্ধে। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের যুগান্তর ক্লাব এই অভিযোগ করেছে সাংসদের কাছে। মহা নবমীর রাতে যুগান্তর ক্লাবে পুজো পরিদর্শনে আসেন উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু। সাংসদের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ জানান তারা। ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয় এই বছর হরিশ্চন্দ্রপুরে যারা নতুন পুজো শুরু করেছে তারাও অনুদান পেয়েছে কিন্তু যুগান্তর ক্লাব গত বছর থেকে পুজো করলেও তারা অনুদান পাইনি। থানায় যোগাযোগ করে ক্লাবের সমস্ত ডিটেলসও দেওয়া হয়েছিল। থানার পক্ষ থেকে বলা হয় ১০ বছরের পুরনো পুজো কমিটি হলে অনুদান পাওয়া যাবে ।কিন্তু এবছর হরিশ্চন্দ্রপুরে যারা এই বছর নতুন পুজো শুরু করেছে তারাও  অনুদান পেয়েছে। এমনটাই অভিযোগ যুগান্তরের ক্লাবের।

 প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন সাংসদ। সাংসদকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি |

যুগান্তর ক্লাবের সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় দাস বলেন,"আজ উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু আমাদের পূজা পরিদর্শনে এসেছিলেন। তিনি শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানান সকলকে এবং সচেতনতার সহিত করোনার সঙ্গে লড়ার বার্তা দেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি ক্লাবকে যে আর্থিক অনুদান দেওয়া  হয়েছে সেই অনুদানের জন্য আমরাও আবেদন করেছিলাম হরিশ্চন্দ্রপুর থানা তে। যা যা নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল আমরা সবই দিয়েছিলাম। আইসির কাছে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু সব পুজো কমিটি সেই অনুদান পেলেও আমরা পাইনি। "

সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন,"আজ হরিশ্চন্দ্রপুর যুগান্তর ক্লাবে এসেছিলাম। তাদের অভিযোগ শুনলাম। আসলে সব ক্ষেত্রেই প্রশাসনের মধ্যে নিরপেক্ষতার  মারাত্মক অভাব। প্রশাসনিক ব্যক্তিদের সঠিকভাবে কাজ করতে দেওয়া হয় না। যা একদমই অনুচিত। প্রশাসনিক কাজে রাজনীতি আসা কখনোই কাম্য নয়। সাথেই করোনা নিয়ে তিনি সচেতনতা বার্তা দেন।"

পাল্টা তৃণমূল নেতা তথা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি মানিক দাস বলেন, " যেসব পুজো কমিটি ১০ বছরের পুরোনো অনুদান তারাই পেয়েছে, আর্থিক সংকটের পরিস্থিতিতে কোনো পুজো যাতে বন্ধ না হয় তাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী অনুদান বাড়িয়ে দিয়েছেন, সবকিছুতে রাজনীতি বিজেপি করে, সাংসদ মানুষের পাশে থাকেন না, উনি পরিযায়ী সাংসদ | "

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর