ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

শোকরানা মাহফিলের বক্তব্যের প্রতিবাদ বাবুনগরীর

জাগরণ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০১৮ ১৩ ০১ ৩১  

কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়ার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী।

বাবুনগরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব শোকরানা মাহফিলে বলেছেন, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে কেউ নিহত হয়নি তবে তা ঠিক নয়।

৫  নভেম্বর এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিবাদ জানান।

পৃথক আরেক বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানান, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগর সভাপতি নূর হোসাইন কাসেমী।

বিবৃতিতে জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে জানতে পেরেছি, সোহরাওয়ার্দীতে ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত শোকারানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জয়নাল আবেদীন বলেছেন, শাপলা চত্বরে কেউ নিহত হয়নি, এটা মিথ্যা প্রচারণা এই বক্তব্য নির্জলা মিথ্যাচার, নির্লজ্জতা ও সীমাহীন ঔদ্ধত্বপূর্ণ।  হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 

জুনাইদ বাবুনগরী আরও বলেন, শাপলা চত্বরে কেউ নিহত হয়নি মর্মে তার দেওয়া বক্তব্যে বাংলাদেশের আলেমসমাজ ও তওহিদী জনতা চরমভাবে ক্ষুব্ধ, ব্যথিত ও মর্মাহত। অনস্বীকার্য বাস্তবতা হলো, দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব মিডিয়ার বদৌলতে ২০১৩ সালের ৫ মে সন্ধ্যায় ও দিবাগত রাতে তৎকালীন সরকারের প্রশাসন কর্তৃক শাপলা চত্বরে মহান আল্লাহ ও প্রিয় নবী (সা.) এর বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের শাস্তির দাবিতে অবস্থানরত শান্তিপ্রিয় আলেমসমাজ ও তওহিদী জনতার ওপর নির্মম ও নিষ্ঠুর হামলা সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছে। যাতে অনেক মুসলমান শাহাদাত বরণ করেন এবং হাজার হাজার নবীপ্রেমিক জনতা আহত হন, পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

 

জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, আমি স্বয়ং সেই রাতে ব্যাপক নিগ্রহের শিকার হই এবং পরের দিন সকালে আমিসহ অনেকেই গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হন আরও অনেক আলেম, মাদ্রাসাছাত্র ও সাধারণ মানুষ। ওইদিন শাপলা চত্বরে অবস্থানরত লাখ লাখ তওহিদী জনতা, দেশি-বিদেশি মিডিয়াকর্মী ও ঢাকাবাসী এ হামলার প্রত্যক্ষ সাক্ষী।  শুধু তাই নয়, সন্ধ্যার আগ থেকেই সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উগ্র সদস্যদের বর্বরোচিত আক্রমণে অবরোধকারী তওহিদী জনতার গুলিবিদ্ধ লাশ নানাদিক থেকে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আসতে থাকে। যার ভিডিও ফুটেজ প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী হিসেবে রয়েছে। প্রায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এ খবর  প্রকাশিত হয়।

 

জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, সোহরাওয়ার্দীতে উপস্থিত লাখ লাখ ইলমে নববীর ধারক বাহক, দেওবন্দিয়ত ও হক্কানিয়তের নিশানবরদার উলামায়ে কেরাম এত বড় মিথ্যা বক্তব্য কী করে সহ্য করলেন, তা ভেবে পাচ্ছি না। এতবড় মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করতে দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে কারও অন্তরে ঈমানী তরঙ্গ ফুঁসে উঠল না, এটাই তাজ্জবের বিষয়।  তাহলে এটা কি কওমি সনদের স্বীকৃতির বিনিময়ে শোকরানা সভার মোড়কে শাপলার হত্যাকাণ্ডের অস্বীকারের আয়োজন। ৫ মে শাপলার শহীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে আমরা কেউ আল্লাহর শাস্তি থেকে রেহাই পাবো না’। 

আরএম/বিএস 

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর