ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর
POEM - MY GÜM, IF I ASK THE BEAUTIFUL KIRK, WHAT WILL IT TAKE?

POEM - MY GÜM, IF I ASK THE BEAUTIFUL KIRK, WHAT WILL IT TAKE?

POEM - MY GÜM, IF I ASK THE BEAUTIFUL KIRK, WHAT WILL IT TAKE? Yousuf Aslan 

Turkey

After I don't see your rose face, Consider what happens if I see this world Nothing good would be possible without you, bahtiyar Gülüm, if I ask the forty beauty, what will happen?

I wandered around to find you I made my friend happy and tired my enemy Count your smiling face, I asked everyone If I ask those who don't know, what will happen?

My rose for you, count it if I haven't met you yet Neither the sun nor the moon rises above us Even if all the houris had the main share What would happen if I entered this heaven without you?

Dear God, don't put me in sin Evening and morning, my coy rose is on my mind If it weren't for you, my half would be a lie in the world What would happen if I died for you?

Kul Yusuf says he set a thousand and one traps Not once, not five, he shot me in the back The bitch, the cruel fate gets tired more and more I - what happens if I hit this place?

After I sacrificed my life What will happen if I say "I'm good" and burn with pomegranates?

 

 

 

 

 

১২:০৪ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার

কবিতা - তারা হাঁটছে

কবিতা - তারা হাঁটছে

তারা হাঁটছে
মোঃ ইজাজ আহামেদ 
অরঙ্গাবাদ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত 

আকাশে তারারা হাঁটছে
নীচে হাঁটছে শরণার্থীরা 
এক পৃথিবী দুঃখ নিয়ে
একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে তারা
বিস্ময় ভরা নয়নে

মৃদুমন্দ বাতাসের হাত ধরে জ্যোৎস্না হাঁটছে 
কাঁটাতারের বেড়ায় কিংবা জলসীমায় পা বাড়াচ্ছে শরণার্থীরা 
এক টুকরো স্বপ্ন সাথে নিয়ে
একটু সুখী-জীবনের স্বাদ পেতে কিংবা
প্রাণহানির তাড়া থেকে বাঁচতে

সীমান্তরেখায়  আটকে পড়ছে অনেকে
অনেকে আবার গুলিবিদ্ধ হচ্ছে কিংবা
সলিল-সমাধি জোর করে তাদের  কাছে নিয়ে যাচ্ছে
সহস্র আলোকবর্ষ-পথ অতিক্রম করে তারা 
পাড়ি দিচ্ছে অকালে না ফেরার দেশে

১০:১৬ এএম, ৯ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার

কবিতা - প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি

কবিতা - প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি

প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি

মোঃ ইজাজ আহামেদ

মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

 

এই আধুনিকোত্তর প্রযুক্তির যুগে

কথারা প্রতিশ্রুতি রাখতে পারে না,

তারা শুধু বার্তা দিতে পারে;

আপনাকে ক্রমশ জাদুতে বিমোহিত করছে তারা;

আপনি তাদের ধ্বনির মিষ্টি সুরে বিশ্বস্ত হয়ে

বর্ষার জেলে বন্দি হয়ে গেছেন আর দুঃখরা

ভিড় করছে মনের আঙিনায় এসে;

আদিগন্তে প্লাবনের জল, আপনি একা,

প্লাবিত অসহায় মানুষদের মতো দুই নয়ন থেকে

নামছে নোনা বৃষ্টিধারা।

তাদের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরিতে আপনিও কাউকে

দিয়েছিলেন কথা, পারলেন জানতে এ মরীচিকা,

মিথ্যা ফানুস, আপনার সুনাম ধর্ষিত লাগলো হতে;

চিরদিন পঙ্গু হয়ে রইলো প্রতারকের জন্য তা;

অহরহ মার খেতে লাগলো পথে।

০৯:১৯ এএম, ৯ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার

কবিতা - টিউবারকুলোসিস-এর চাঁদ ও আমি

কবিতা - টিউবারকুলোসিস-এর চাঁদ ও আমি

টিউবারকুলোসিস এর চাঁদ ও আমি

আবদুল মালেক

সুতি, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত 

 

টিউবারকুলোসিসের চাঁদের মত ক্ষয় হতে হতে

শীর্ণ শরীরে জাঁকিয়ে বসেছে শীত

কাঁপুনিটা থামছে না কিছুতেই

 

কল্পনার নকশি কাঁথাটা

বড় জীর্ণ হয়ে গেছে

ঈশান কোণেএকখণ্ড কালো মেঘ ছেয়ে ফেলে

আমার মনের আকাশ

সমুদ্রমন্থনে নামি অমৃত তুলে আনবো বলে

 

আলকাপের গানের অস্থায়ী মঞ্চে

ঝাড়বাতি টা ঘুরে ঘুরে

পাহাড় বন নদীর ছায়া ছবি দেখায়

নির্বাসিত রাজা রানীর দুঃখের জীবন

চোখে অশ্রু ঝরায়

 

আমি রাজা হতে চাইনি কোনদিন

উদাসী বাউল এর মতো কাটাতে চেয়েছি জীবন পথে প্রান্তরে

যোগ বিয়োগের অংকটা শেখা হলো না আজও

ঠকে ঠকে ফিরি বারবার

বেওকুফ বলে গাল পারে বন্ধুরা

 

আমি তখন কুবেরের বিষয় আশয় ছেড়ে

কবিতার ফুলবনে নিজেকে হারাই

ঠিক মাঝ সমুদ্রে দিশাহীন নাবিক

যেমন শুকতারা খোঁজে।

০৮:৩৯ এএম, ৯ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার

কবিতা - অনাথের শব্দ

কবিতা - অনাথের শব্দ

অনাথের শব্দ 

তাইরান আবাবিল 

বাংলাদেশ

 

জল হয়ে মেঘ গেছে ঝরে 

রোদ উঠে গেলো বলে তাই,

মানুষের শহরে আমি 

আজও শব্দ খুঁজে বেড়াই।

 

সুদূরে রাখি খোলা চোখ 

নির্বাকে দেখি চেয়ে

সদ্য ভূমিষ্ঠ এক অনাথের আর্তনাদ...

করুণ শব্দে 

কালের সভ্য আবরণ 

যেন এখন ছেঁড়াই তার।

 

শব্দ কাঁদে

শব্দ হাসে

নির্মাণের মায়াজালে, 

শব্দ সুখে

শব্দ দুঃখে

তবুও ফের আমি শব্দ খুঁজি 

তার ঐ আকাশের শরীরে 

কোলাহল হীন পাখির পালে।

 

শব্দ নিহিত একাকী 

তার জীবনের খাতায়,

কেনো তাহলে শব্দ নিঃসঙ্গে অপূর্ণ 

তার ভালোবাসার প্রতিটি পাতায়..?

০৭:১০ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২৪ শনিবার

কবিতা - অনাথের শব্দ

কবিতা - অনাথের শব্দ

অনাথের শব্দ 

তাইরান আবাবিল 

বাংলাদেশ

 

জল হয়ে মেঘ গেছে ঝরে 

রোদ উঠে গেলো বলে তাই,

মানুষের শহরে আমি 

আজও শব্দ খুঁজে বেড়াই।

 

সুদূরে রাখি খোলা চোখ 

নির্বাকে দেখি চেয়ে

সদ্য ভূমিষ্ঠ এক অনাথের আর্তনাদ...

করুণ শব্দে 

কালের সভ্য আবরণ 

যেন এখন ছেঁড়াই তার।

 

শব্দ কাঁদে

শব্দ হাসে

নির্মাণের মায়াজালে, 

শব্দ সুখে

শব্দ দুঃখে

তবুও ফের আমি শব্দ খুঁজি 

তার ঐ আকাশের শরীরে 

কোলাহল হীন পাখির পালে।

 

শব্দ নিহিত একাকী 

তার জীবনের খাতায়,

কেনো তাহলে শব্দ নিঃসঙ্গে অপূর্ণ 

তার ভালোবাসার প্রতিটি পাতায়..?

০৭:০৯ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২৪ শনিবার

কবিতা - যখন ভোর হচ্ছে

কবিতা - যখন ভোর হচ্ছে

যখন ভোর হচ্ছে 

গোলাম রসুল 

 

ছায়ার কাছে হেরে যাওয়া আলো

আমি সূর্যাস্তের এক উৎসব দেখছি

কোনো বিগত এক বিষাদ বিশাল জন্তু কাঁদছে আমার চোখ দিয়ে 

 

একটা ছায়া তার বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছে 

আমার মা

আর আমার বাবার নামের অর্থ হলো লাঙল 

তার ফলা মেঘের বিদ্যুৎ 

পতন অভিমুখ এক চরম 

 

এভাবে সন্ধ্যায় আমি মাঠের দিকে যাই

মাঠ আমাকে নতুন বইগুলো এনে দিতো 

আমি একটার পর একটা ছবি দেখতাম 

যখন গল্পগুলো পড়তাম কৃষ্ণ রক্ত ঝরে পড়তো

আর সেই সব কবিতাগুলো পড়া হয়নি

যে গুলো কেউ লিখবে তার মৃত্যুর পরে 

 

এখন বহু বছর পর

আমার বাড়ি ফেরার সময় হয়েছে

সূর্যের সেই সিকি পয়সা গুলো আলমারি থেকে বের করে এক কৃপণের মতো আমি গুনছি

আমাদের জীবনের বাখ্যার ঠিক পেছনে আকাশ ভাঙা চাঁদ 

গ্রামগুলো পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে আমাদের গরুর গাড়ির অগ্রভাগ 

 

যখন ভোর হচ্ছে 

পেছন দিকে তাকিয়ে দেখলাম পৃথিবী পুরোটাই কালো 

  

 

            

০৬:৪৩ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২৪ বৃহস্পতিবার

নবী হোসেন নবীন
কবিতা - বৈশাখী বার্তা

নবী হোসেন নবীন

বৈশাখী বার্তা

নবী হোসেন নবীন

ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ

 

স্বপ্নের জাল বুনি বৈশাখী মেঘে।

ঝড় এসে ভেঙ্গে দেয় ঘর ভাঙ্গে হৃদয়

উড়ে যায় ঋণের ফসল।

জালে আটকে থাকে সোনালি ধানের খর

সর্বাঙ্গে থকথকে কাদা।

খর দিয়ে ফের গড়ে নেই ঘর।

এভাবেই বোশেখ আসে বোশেখ যায়

ঘুরে যায় সময়ের চাকা।

কৃষকের অঙ্গে লেগে থাকে কাদা

স্থির দাঁড়িয়ে থাকে খরের গাদা।

বৈশাখী মেঘে এত জল কোথায়?

ধুয়ে নিবে গায়ের কাদা।

ঝড় থেমে গেলে ঘাম দিয়ে জ্বর আসে।

গায়ের কাদা ধুয়ে নেয় ঘামের জল

দুচোখে আবার স্বপ্নে

রা করে জ্বলজ্বল।

 

০৮:৫৯ পিএম, ২১ মার্চ ২০২৪ বৃহস্পতিবার

কবিতা - চলো পালিয়ে যাই

কবিতা - চলো পালিয়ে যাই

কবিতা - চলো পালিয়ে যাই 

ফারহানা আহমেদ পলি

বাংলাদেশ 

 

পৃথিবী আর কত ঘুর্নায়মান হবে তুমি?

আর কতটা পাহারা দিবে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে এই মানব জাতিকে?

তুমি তো কেবলই ঐ শ্রষ্টার হুকুমের গোলামি করছ, সে কেবলই মানবের কল্যাণে।

আর জানো? আমিও কিছুটা তাই!

 

পৃথিবী তুমি কি দাওনি বলো?

 প্রতিটি নেনো সেকেন্ড মানবের হৃদ স্পন্দন জুড়ে অবাধ বিচরণ তোমার জনম জনম ধরে! 

 

স্রষ্টার থেকে নিয়ে তুমি দিয়েছ নিয়মতান্ত্রিক ভোরের লাল টকটকে সূর্য, 

দিয়েছ অলস দুপুরে ক্লান্তি নাশিতে তৃষ্ণার জল,

দিয়েছ একাকী বিকেলের সঙ্গী ঐ প্রকৃতির সৌন্দর্য। 

 

দিয়েছ নির্ঘুম রাতের জোৎনা প্লাবিত নৈসর্গিক দৃশ্য মিতালিতে প্রেমময় যৌবনের সঙ্গী ও সহচর। 

 

পৃথিবী দেখছনা কেমন তোমায় ছেড়ে আর ঐ ক্ষুধার্ত মানবদের ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছে ঐ মঙ্গল গ্রহে , 

কোটি কোটি টাকা ব্যায় করছে, যেখানে প্রাণের কোনোই অস্তিত্ব নেই। 

 

অথচ, তোমার জমিনে আঁচড়ে পড়ে কাঁদে অসংখ্য অনাহারী দুমুঠো ভাতের জন্য। 

নিরব ক্ষুধায় আত্মঘাতী হয় কত-শত প্রাণ।

 

দূষিত করেই চলেছে পরিবেশ, বিষময় তীর নিক্ষেপ করে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে তোমার গ্রীণ হাউজ।

 

এতটুকুও শুকরিয়া আদায় করেছে না কেউ,

 নেই কৃতজ্ঞতা বোধ, না আছে বিশ্বাস। 

 

পৃথিবী চলো পালিয়ে যাই, 

সবকিছু স্তগিত করে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য। 

বুঝিয়ে দিতে চাই তোমার প্রস্থান কতোটা কষ্টের হয়, তোমার অনুপস্থিতিতে কতটা নিঃস্ব হয়ে যায় মানুষ। 

 

আবারও ফিরে আসব

আধমরাদেরকে জাগিয়ে তুলে গড়তে সত্যিকারের মানবতার মানুষ । 

ঐ সৃষ্টি ও শ্রষ্টার শুকরিয়া করতে আদায়।

০৯:১২ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২৪ বৃহস্পতিবার

কবিতা - কাল
মোঃ ইজাজ আহামেদ

কবিতা - কাল

কাল

মোঃ ইজাজ আহামেদ 

 

পৃথিবীটা আজ নিদারুণ যন্ত্রণায় ভুগছে,

তার দেহ ক্লিষ্ট বিবিধ ব্যাধিতে;

মানুষের মনও আজ পীড়িত;

সাম্প্রদায়িকতা, শোষণ, অত্যাচার, রাজত্ব করছে মানুষের মনের রাজ্যে;

তারা দ্রুতবেগে ছুটে চলেছে মনের পথে পথে,

মনের এক দেশ থেকে আরেক দেশ জয় করে চলেছে অনায়াসে;

সম্প্রীতির, মানবতার সৈনিকরা দুর্বল হয়ে পড়েছে;

থামাতে পারছেনা তাদেরকে।

 

আমার বিশ্বাস আবার সম্প্রীতির, মানবতার সৈনিকরা শীঘ্রই শক্তিশালী হয়ে উঠবে;

নিজেদের দেহ-মনে মানবতার-সম্প্রীতির সালোক সংশ্লেষ করবে;

তাদের পথ অবরুদ্ধ করে পরাজিত করবে।

যুগে যুগে কত পরাশক্তির উদ্ভব হয়েছে

কিন্তু কালের নিয়মে তাদের পতন ঘটেছে;

ইতিহাসের ডি এন এ তার সাক্ষ্য দিচ্ছে।

সময় প‍্যানেসিয়া নিয়ে এসে সকলকে আরোগ্য করবে;

সময়ের নেফ্রন তাদের শোধন করে পরিশুদ্ধ করবে।  

মানবতার,সম্প্রীতির সুগন্ধে ধরণী ভরে উঠবে।

০১:৪৩ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২৪ বুধবার

কলকাতার কবি সাংবাদিক আজিজুল হক চট্টগ্রামে সংবর্ধিত

কলকাতার কবি সাংবাদিক আজিজুল হক চট্টগ্রামে সংবর্ধিত

মানুষ ও মানবতার কথাবলার মুখপাত্র 'বাংলার রেনেসাঁ ' কলিকাতা,ভারত এর সম্পাদক ও প্রকাশক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, ইতিহাসবিদ, কবি আলহাজ আজিজুল হক ( মু. জি. আ.) কে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে - বাংলাদেশ ভারত নেপাল ইতিহাস মঞ্চের কবি সম্মেলনে উদ্বোধক রুপে বাংলাদেশে গমনে তাঁকে সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে একুশে স্মারক পদক দিয়ে বরণ করা হয়। সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরীর চার তাঁরকা হোটেল 'এশিয়ান এসআর লি. ' অডিটোরিয়ামে এই কবি সম্মেলনে দেশ ও বিদেশের ৫০ অধিক কবি, সাহিত্যিক, লেখক, গবেষক, শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক সহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ভারত নেপাল ইতিহাস মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক, ইতিহাসবিদ জনাব সোহেল মো. ফখরুদ-দীন এর সভাপতিত্বে কবি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ভারত নেপাল ইতিহাস মঞ্চের সভাপতি লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া। সভায় অন্যান্যের মধ্য ভারতের বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যাপক বাসির আল হিলাল, কবি আইনবিদ নুর নবী জমাদার, কবি রাজেশ্যাম ঘোষ, কবি তারকনাথ দত্ত, নাজমুল হক শামীম, মাস্টার আবুল হোসাইন, কবি নুরুল হুদা চৌধুরী, সজলদাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় ভারতীয় কবি সাংবাদিক শিক্ষাবিদ আলহাজ আজিজুল হক ( মজিআ) একুশের স্মারক পদক দিয়ে সম্মান জানানো হয়।

১০:৫১ পিএম, ১০ মার্চ ২০২৪ রোববার

বিচিত্র বিষয় বিশ্লেষণের উদার পরিসর প্রদান করেছে

বিচিত্র বিষয় বিশ্লেষণের উদার পরিসর প্রদান করেছে

উদার আকাশ এমন এক পত্রিকা যা একাধারে বিশেষজ্ঞ সংজ্ঞায়িত গবেষণা পত্রিকা এবং জনপ্রিয় সাময়িকপত্র। ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত এর বিশেষ সংখ্যা বিষয়বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এই সংখ্যায় একদিকে যেমন আলোচিত হয়েছেন দেশ ও বিদেশের স্মরণীয় ব্যক্তিত্বরা, তেমনই সাহিত্য, সঙ্গীত, নাট্য ও চলচ্চিত্রের মতো সংস্কৃতি অঙ্গনের বিভিন্ন দিক নিয়ে চর্চা পত্রিকাকে সমৃদ্ধ করেছে। সাম্প্রতিক সমাজ ও রাজনীতির পাশাপাশি রয়েছে দর্শন, লোকজীবন, পরিবেশ ও ইতিহাসচর্চার বিভিন্ন বিষয়। তথ্যনিষ্ঠ ও বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধের সঙ্গে উদার আকাশের পরিসরে স্থান পেয়েছে পুস্তক পর্যালোচনা, গল্প, কাব্য এবং উপন্যাসও। 

 

বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী এ. কে. ফজলুল হকের সার্ধশতবর্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে পত্রিকার এই সংখ্যা। মইনুল হাসানের প্রবন্ধ ফজলুল হকের বহুমুখী প্রতিভার ওপর আলোকপাত করেছে। তাঁর শিক্ষাজীবন থেকে রাজনৈতিক ভাবনা, আইনজীবী হিসেবে দক্ষতা, কৃষক-কল্যাণের লক্ষ্যে সমবায়-আন্দোলনে সংগঠকের ভূমিকা এবং সর্বোপরি একজন জাতীয়তাবাদী, মানবদরদী দার্শনিক হিসেবে তাঁর জীবন ও চিন্তাকে তুলে ধরেছে এই প্রবন্ধ। আলোচনায় উঠে এসেছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলাম সহ এদেশের বিভিন্ন মনীষীদের সঙ্গে ফজলুল হকের সম্পর্ক ও ভাবগত আদান-প্রদানের কথাও। আবার মোশারফ হোসেনের প্রবন্ধ বিশেষ করে আজকের দিনে ফজলুল হকের কর্ম ও চিন্তার তাৎপর্যকে তুলে ধরেছে। তিনি লিখেছেন, সাহসী ও মানবিক শের এ বাংলা ফজলুল হক আজও এক আদর্শ পুরুষ হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন। বর্তমান প্রজন্মের কাছে ফজলুল হকের জীবনের অনুসরণীয় দিকগুলি তিনি তুলে ধরেছেন। কুমারেশ চক্রবর্তীও মহামেডান ফুটবলার কৃষক-বন্ধু বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ফজলুল হক প্রবন্ধে অতি সংক্ষিপ্ত পরিসরে ফজলুল হকের বিস্তৃত কর্মজীবনকে স্মরণ করেছেন। ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে সাম্প্রদায়িক ঐক্যের প্রতীক থেকে অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ভূমিকা স্মরণ করা হয়েছে এই প্রবন্ধে। পাশাপাশি সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধূলায় ফজলুল হকের প্রগাঢ় অনুরাগকেও লেখক তুলে ধরেছেন। 

 

সমীর ঘোষ স্মরণ করেছেন নির্ভীক ও নিরপেক্ষ সাংবাদিক গৌরকিশোর ঘোষকে। রূপদর্শীর সাহিত্যিক জীবন সংক্ষেপে আলোচিত হলেও এই প্রবন্ধের মূল বিষয় গৌরকিশোর ঘোষের রাজনৈতিক চিন্তা এবং সত্যনিষ্ঠ সংবাদচর্চা। এর বিপরীতে তিনি তুলে ধরেছেন বর্তমান সংবাদমাধ্যগুলির শাসকের পদলেহনকারী ভূমিকার সমালোচনাও। হাল রাজনীতির মূল্যবোধহীনতা, সাম্প্রদায়িকতা ও দস্যুয়ায়ণের বিপরীতে ক্ষীণ হয়ে আসা জনকল্যাণমুখী এবং যুক্তিবাদী রাজনৈতিক চর্চার ধারাটিকে তুলে ধরার আবেদনও খুঁজে পাওয়া যায় এই রচনায়।

 

নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধানের মিলনক্ষেত্র আমাদের ভারতবর্ষ। বহুত্ব এদেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। এনে দিয়েছে সংমিশ্রণের স্বাদ। ভারতীয় সঙ্গীতে এই ধর্মীয় সমন্বয়ের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন জয়ন্ত ঘোষাল তাঁর ভারতীয় সঙ্গীত-সংস্কৃতিতে হিন্দু মুসলিম ঐক্যসাধনা প্রবন্ধে। জসিমউদ্দিনের কবিতার উদাহরণের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন একটি বিশেষ ধর্মকে কেন্দ্র করে জন্ম নেওয়া উৎসবও কিভাবে কালক্রমে ধর্মীয় প্রাসঙ্গিকতাকে ছাপিয়ে সাম্প্রদায়িক ঐক্য উদযাপনের ক্ষেত্র হয়ে ওঠে। বৈদিক যুগ থেকে সঙ্গীতের বিবর্তনের ইতিহাসকে সংক্ষেপে আলোচনা করে লেখক দেখিয়েছেন যে আজ আমরা এদেশের সঙ্গীত বলতে যা বুঝি তাকে সুলতানি-মুঘল যুগের সাংস্কৃতিক সমন্বয়ের প্রভাব বাদ দিয়ে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। লেখক বোঝাতে চেয়েছেন ধর্মের নিরিখে মানুষে মানুষে বিদ্বেষ ও দূরত্বের চর্চা আসলে এদেশের ঐতিহ্যের বিপরীত। তা না হলে আমাদের সংস্কৃতি কখনওই এতটা পরিণত হতে পারত না। তাই প্রকৃত অর্থে ভারতীয় সংস্কৃতিকে সম্মান জানাতে চাইলে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ঊর্ধ্বে ঐক্য ও মানবতার শিক্ষাকে গ্রহণ করা জরুরি। সুফি ধর্মের সমন্বয়বাদের আদর্শকে পত্রিকার পাতায় তুলে ধরেছেন শামিম আহমেদ তাঁর ভারতীয় সুফি ঐতিহ্য প্রবন্ধে।

পত্রিকার এই সংখ্যায় হাফিজুর রহমান কলম ধরেছেন প্রান্তিক মানুষের অধিকারের দাবিতে। স্টেশন টার্মিনাসে হাটে বন্দরে ধুলোয় পড়ে থাকেন যাঁরা, ক্ষুধানিবৃত্তির জন্য পথ চলতি মানুষদের কাছে প্রার্থনা করেন সাহায্যের হাত, তাঁরা স্বচ্ছল মানুষের কাছে পরিচিত ‘ভিখারি’ নামে। এই নিরন্ন মানুষদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান জোগান দেওয়া যে রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব হওয়া উচিত, সেকথা স্মরণ করিয়েছেন লেখক।    

 

বাংলার নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের কাব্যচর্চা ও সাংবাদিকতার ভূমিকাকে তুলে ধরেছেন রণজয় মালাকার। মহম্মদ আসিফ ইকবাল ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ শিরোনামে স্মরণ করেছেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রেরণাদানের ভূমিকায় বিদ্রোহী কবির অগ্নিলেখনীকে। আবার চলচ্চিত্র-পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের বহুমুখী দক্ষতার সঙ্গে পণ্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গীতপ্রতিভা যুক্ত হয়ে পথের পাঁচালীকে কিভাবে বিশ্বের দরবারে সমাদর এনে দিয়েছে সেই আলোচনাই করেছেন মধুবন চক্রবর্তী ‘পথের পাঁচালী ও সঙ্গীত’ শীর্ষক প্রবন্ধে। বাংলাদেশের চলচিত্রে দেশভাগের অভিঘাত সম্পর্কে লিখেছেন চৈতী চক্রবর্তী। সোনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখনী স্মরণ করেছে কবি শঙ্খ ঘোষকে।  

 

সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহে মজনু শাহর বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের ইতিহাস মনে করিয়েছে রফিক আনোয়ারের প্রবন্ধ। পত্রিকার ইসলাম চর্চা বিভাগে রয়েছে মহিউদ্দিন সরকারের প্রবন্ধ শয়তানের শয়তানি চেনার উপায়। দেবাশিস পাঠক দ্বিতীয় মহসীন শীর্ষক রচনায় সম্মান জানিয়েছেন এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারীশিক্ষার উদ্যোগপতি সমাজসেবী মোস্তাক হোসেনকে। গোলাম রাশিদের প্রবন্ধও মোস্তাক হোসেনের কর্মপরিধিকে তুলে ধরেছে। এই সংখ্যায় রয়েছে পুস্তক পর্যালোচনাও। মীরজাফর ও অন্যান্য নাটক বইয়ের আলোচনা করেছেন সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। দেখিয়েছেন ব্রাত্য বসুর তিনটি নাটক কিভাবে ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে শেখায়। ইসলামের পরিচয় গ্রন্থের পর্যালোচনা লিখেছেন জহির উল ইসলাম। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের খোয়াবনামা গ্রন্থের দার্শনিক ভাবনার বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন আলাউদ্দিন মণ্ডল। আবার পাঠকের কলমে উদার আকাশের পূর্ববর্তী সংখ্যার পর্যালোচনাও প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যায়। পৃত্থীশ রানার নাটক এবং আমিনুল ইসলামের কবিতা সম্পর্কে আলোচনা স্থান পেয়েছে পত্রিকায়। কাজী খায়রুল আনাম চমকপ্রদ তথ্যসমৃদ্ধ প্রবন্ধ লিখেছেন। 

 

একগুচ্ছ গল্প, অনুগল্প, উপন্যাস ও প্রায় আশিজন কবির কবিতার পাশাপাশি উদার আকাশের এই সংখ্যায় রয়েছে শান্তনু প্রধান ও শুভেন্দু মণ্ডলের সমীক্ষা-নিবন্ধ যথাক্রমে নগরায়ণবাদ-নব্যনগরায়ণবাদ এবং পরিব্রাজন তত্ত্বে নদী-ভাঙনের স্বরূপ। রয়েছে মিতালী সরকারের ভ্রমণ বৃত্তান্ত সাত প্যাগোডার দেশ মহাবলীপুরম। সংকলিত হয়েছে ইতিহাস গবেষক খাজিম আহমেদের একটি সাক্ষাৎকার। এই গবেষণা পত্রিকা আলোচনা পরিধির নিরিখে সার্থকনামা। বহুকৌণিক দৃষ্টি দিয়ে স্বদেশ ও বিশ্বের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, রাষ্ট্রনীতি, বিজ্ঞান ও পরিবেশ প্রভৃতি বিচিত্র বিষয় বিশ্লেষণের উদার পরিসর গঠনের কৃতিত্বের অধিকারী অবশ্যই সম্পাদক ফারুক আহমেদ।

 

 

উদার আকাশ

আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা সংখ্যা ১৪৩০ 

জানুয়ারি ২০২৪,

সম্পাদক ফারুক আহমেদ,

ঘটকপুকুর, পোস্ট ভাঙড় গোবিন্দপুর-৭৪৩৫০২,

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা,

যোগাযোগ: ৯৭৩৩৯৭৪৪৯৮

মূল্য: ২০০ টাকা।

০৯:০০ পিএম, ১০ মার্চ ২০২৪ রোববার

কবিতা - একপলকের দেখাতে

কবিতা - একপলকের দেখাতে

একপলকের দেখাতে

মোঃ ইজাজ আহামেদ

মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

 

একপলকে তোমাকে দেখে

স্বপ্নের ভেলায় চলে গেছি রূপকথার দেশে;

মেঘের ভেলায় তোমার রূপসাগরের বর্ণনা পাঠিয়েছি দেশ - দেশান্তরে;

স্মৃতির ভেলায় বহন করে চলেছি সেই দৃশ্য ক্ষণে ক্ষণে;

সেই মুগ্ধতার ভেলায় তোমাকে নিয়ে আজও ভেসে যাই স্বপ্নের দেশে।

১২:২৯ পিএম, ৯ মার্চ ২০২৪ শনিবার

কবিতা - হিয়ার পরশ

কবিতা - হিয়ার পরশ

হিয়ার পরশ

 বিশ্বনাথ সাহা 

 

দিন দুপুরে অনেক খুঁজি 

পাই না তবু দিশা

ব্যাকুল হৃদয় কেঁদে ফেরে

আঁধার ঘনায় নিশা।

 

সেই যে তোমার মুখের হাসি

উজাড় করে ব্যথা

মানস পটে উঠছে ফুটে

না বলা সব কথা।

 

খুঁজি নানা লোকের ভীড়ে

আমার মানিক হীরে

দু চোখ ভরে দেখবো বলে 

চলি ধীরে ধীরে।

 

রাতের ঘুমে বন্ধ আঁখি

স্বপ্নে ভালো দেখি

তুমি হীরে মানিক আমার 

হিয়ার পরশ একই।

 

ভোরের আলোয় জেগে উঠি

আঁখি খুলি এবার

চেয়ে ‌দেখি সবই ফাঁকা 

 পাই না দেখা তোমার।

০২:২৩ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার

বাংলা চতুর্দশপদী কবিতায় একাধিক নতুনত্ব আনলেন কবি ইমদাদুল ইসলাম

বাংলা চতুর্দশপদী কবিতায় একাধিক নতুনত্ব আনলেন কবি ইমদাদুল ইসলাম

ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তকেই (২৯/০১/১৮২৪ - ২৯/০৬/১৮৭৩ খ্রী:) আমরা বাংলা সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতার জনক বলে জানি। ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ফ্রান্সের ভার্সাই শহরে থাকাকালীন অবস্থাতেই তিনি ইউরোপ মহাদেশের বিশিষ্ট ইতালীয় কবি পেত্রারকের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রথম বাংলা সনেট লেখা শুরু করেন। বঙ্গভাষা তাঁর লেখা প্রথম চতুর্দশপদী কবিতা এবং তিনিই প্রথম অক্ষরবৃত্ত ছন্দ রীতির মাধ্যমে সাজান তাঁর বাংলা চতুর্দশপদী কবিতা গুলো। অক্ষরবৃত্ত ছন্দে আট যুক্ত ছয় মাত্রায় প্রায় একশোটি মতো তাঁর লেখা সনেট আমরা দেখি। বাংলায় অমিত্রাক্ষর ছন্দেরও প্রবর্তক কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

কবির এই রীতি আজকের দিনেও কিন্তু সমান জনপ্রিয়। অনেকেই তাঁকে অনুসরণ করে এখনও লিখেন বাংলা চতুর্দশপদী কবিতা। অনেকেই আবার কবিতার অন্তমিল বা রাইম স্কিম কিছুটা পরিবর্তন করে এনেছেন বাংলা চতুর্দশপদী কবিতায় নতুনত্ব। তেমনই একজন কবি হলেন ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার দ্বিভাষিক কবি ও সাহিত্যিক ইমদাদুল ইসলাম।

তিনি বাংলা সনেটের মূল ছন্দ ও মাত্রা ঠিক রেখে বিভিন্ন শ্রুতিমধুর অন্তমিল সহযোগে পরিবর্তন করেছেন বাংলা সনেটকে।

এই বাঙালি কবি প্রথম পর্বান্তিক অন্তমিল ও ইংরেজি মনোরাইম অন্তমিলকে দক্ষভাবে কাজে লাগিয়ে ইতিপূর্বেই সৃষ্টি করেছেন দু'টি নতুন রীতির বাংলা সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা।

এছাড়াও কবি কখখক, খগগখ, গঘঘগ, ঙঙ অন্তমিল সহযোগে এক ধরনের নতুন বাংলা সনেটের অন্তমিলের উদ্ধাবন করেছেন যা পাঠক মহলে বেশ সাড়া ফেলেছে। বর্তমানে দু'শোটিরও বেশি বাংলা সনেটের রচয়িতা কবি ইমদাদুল ইসলাম, আর তাঁর নাম অনুসারেই তিনি এই নতুন ধরনের সনেটের নামকরণ করেছেন ইমদাদীয় সনেট বা চতুর্দশপদী। আসুন এবার আমরা উপভোগ করি একাধিক আন্তর্জাতিক অনারারি ডক্টরেট সম্মাননায় সম্মানিত এই ইংরেজি ও বাংলা দ্বিভাষিক কবির লেখা একটি বাংলা ইমদাদীয় সনেট। __

 

খুঁজে দ্যুতি

ইমদাদুল ইসলাম

 

চলে পথচলা খণ্ড খণ্ড স্বপ্ন নিয়ে,

জানিনা স্বপ্ন দেখার সমাপ্তি কোথায়।

অচেনা পথে স্বপ্নেরা গন্তব্য হারায়,

আলো আঁধারে তবুও চলে আশ নিয়ে।

পথ মাঝে খুঁজে দ্যুতি স্বস্তির আশায়,

পায় অজ্ঞাত আলোক রশ্মির আশ্বাস,

তবু ভীত, যদি পথে খোয়ায় নিশ্বাস,

গন্তব্যে বাধা অনেক তবু চলে যায়!

 

স্বপ্নদের আজ যেন অন্তরে বিশ্বাস

গন্তব্য স্থলে পৌঁছাবে খুব খুব শীঘ্র।

আলোরা ডাকে, তারাও বেশ যেন ব্যগ্র,

দেয় দুষ্টের দমনে তাদের আশ্বাস।

তাই স্বপ্নেরা চলুক, চলুক দুর্বার,

পুড়িয়ে গুঁড়িয়ে যত অশুভ বর্বর।

০২:১৪ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার

কবিতা - নষ্ট মেয়ে

কবিতা - নষ্ট মেয়ে

নষ্ট মেয়ে

ডক্টর মোঃ বদরুল আলম সোহাগ 

বাংলাদেশ

 

বন্ধু মানে তোর কাছে খোলা আকাশ,

বুঝিস না তোকে চেয়ে দেয় ওরা বাতাস, 

অনলাইনে চ্যাট আর অফলাইনে রুমডেট 

এসব করে হয়নি কভু লজ্জায় মাথা হেট। 

 

জীবনে কতো শত বাইক, 

দামী গাড়ী আর 

অটোরিকশাতে উঠলি,

হাত ভাঙ্গলি, পা ভাঙ্গলি, 

বুকের এক সাইড কাটলি, 

তবুও তুই অন্ধকারেই থাকলি। 

 

জীবনের কতো সিড়ি উঠতে 

গিয়ে কতো বার নামলি।

কতো জনের সাথে হাটতে 

গিয়ে কতো বার থামলি।।

 

ফুর্তি করাই আসল কাজ, 

হাটে, মাঠে নেইকো লাজ, 

লোকে যখন দিচ্ছে তোকে ধিক, 

এতে তুই আরও হচ্ছিস আধুনিক। 

 

অনেক হয়েছে এবার তবে থাম,

তওবা করে মুখে নে, আল্লাহর নাম।

বয়স হয়েছে দুই কুড়ি তিন বছর পার,

এখন এসব ধান্দাবাজি এক্কেবারে ছাড়।

১১:২৪ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার

পরিচিতি ও কবিতা - শরণার্থী

পরিচিতি ও কবিতা - শরণার্থী

পরিচিতি: মোঃ ইজাজ আহামেদ একজন কবি, লেখক, সম্পাদক ও সাংবাদিক। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার অরঙ্গাবাদের মহেন্দ্রপুর নামক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৯০ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি। তিনি পরিবারের ছয় ভাই বোনের মধ্যে বড়ো। পিতা-মোঃ সামসুদ্দিন বিশ্বাস, মাতা-মতি

য়ারা বিবি। শিক্ষাগত যোগ্যতা- ইংরেজি অনার্স, ট্রিপল এম.এ,  বি.এড, ডি. এল.এড। তিনি বেশ কয়েকটি বেসরকারি  স্কুলে ১২ বছরের বেশি সময় ধরে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীন সেখপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন । ছোট থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন। স্কুলে পড়াকালীন ক্লাসে প্রায় প্রথম হতেন, অবশ্য দুইবার তৃতীয় হয়েছিলেন। মাধ্যমিকে সুতি থানা এলাকায় তিনি   প্রথম হয়েছিলেন। ছোট থেকেই পারিবারিক আর্থিক প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে পড়ার পাশাপাশি লেখালেখি চালিয়ে যান। ডি এন সি কলেজে পড়াকালীন  কলেজের 'অয়ন' পত্রিকায় প্রত্যেক বছর তাঁর বাংলা-ইংরেজি কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হত। তাঁর বাংলা-ইংরেজি  কবিতা, প্রবন্ধ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পত্রিকা, জার্নাল ও যৌথ কাব্যগ্রন্থে  প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর কবিতা আরবী ও চীনা ভাষায় অনুবাদ হয়েছে।  তিনি নিজস্ব রীতির বিজ্ঞান কবিতা ও ইজাজীয় (ইজাজ্যান) কবিতা তৈরি করেছেন। ইজাজীয় কবিতা (ইজাজ‍্যান কবিতা - Ejajan poem) হলো পনেরো পংক্তির কবিতা। পাঁচ পংক্তির তিনটি স্তবক। মিলবিন্যাস-রীতি হল - ক খ ক খ ক, ক খ ক খ ক, ক খ ক খ ক।  একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে Discovery and the Golden peak of  Improvement  এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের বইয়ে Exploring New Trends and Innovations in English Language and Literature নামক দুটি রিসার্চ পেপার প্রকাশিত হয়েছে।  তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ 'স্বপ্ন তরী', 'বাংলা সাহিত্য ও সিনেমায় গোয়েন্দা চরিত্র',  'মনের পাণ্ডুলিপি', 'হৃদ-ক্যানভাস', 'অন্তরের কাব্যকথা', নির্বাচিত কবিতা মানবতা ও শান্তিরজন্য' ও 'পড়ন্ত সন্ধ্যা'।  তিনি 'স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকা'র সম্পাদক, 'আন্তর্জাতিক সাহিত্য সুবর্ণ' পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর একজন সদস্য ছিলেন, বর্তমানে উপদেষ্টা মন্ডলী হিসেবে আছেন এবং কাদেরী টাইমস পত্রিকার উত্তরবঙ্গ সম্পাদক। তিনি ভারত ও বাংলাদেশের কবিদের কবিতার সংকলন 'কবিতার আকাশ', 'কবিতার অরণ্য' ও 'কবিতার সাগর' সম্পাদনা করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন খবরের কাগজে সাংবাদিকতা করেন। তিনি সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন প্রদত্ত রাজা রামমোহন রায় স্মৃতি স্মারক সম্মান, সানন্দ সাহিত্য সম্মাননা ২০১৯-২০২০, নব পরিচয় সাহিত্য সম্মাননা ১৪২৬, বিদ্যাসাগর স্মৃতি সম্মাননা, নূর মহম্মদ স্মৃতি সম্মাননা, সাহিত্যিকরত্ন, কবিরত্ন, সমুন্নত সৌহার্দ‍্যিক‍ সম্মাননা, মহাকবি কায়কোবাদ সাহিত্য পদক-২০২২,  ইকরা ফাউন্ডেশন থেকে আইকন অফ পিস অ্যায়ার্ড, ইকরা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক কবিতা সম্মেলন ২০২২- এ বাংলাদেশ বেস্ট অ্যায়ার্ড ২০২২, 'এশিয়ান প্রেস সাহিত্য সম্মান ২০২২'(Asian Press Books), ১৮ বছর পূর্তি কবি মিলনমেলা ও কবি জীবনানন্দ দাশ সাহিত্য  সম্মাননা- ২০২২, নবকণ্ঠ সম্মাননা স্মারক, প্রতিভার উন্মেষ কবি সম্মাননা-২০২১ এবং বেশ কয়েকটি দেশের কয়েকটি সংস্থা থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট  ইত্যাদি বিভিন্ন সম্মাননায় সম্মানিত হয়েছেন।
তিনি যেসকল সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের পদ লাভ করেছেন (পদবীসহ) : সম্পাদক- স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকা, উত্তরবঙ্গ সম্পাদক - কাদেরী টাইমস,  উপদেষ্টা - 'আন্তর্জাতিক সাহিত্য সুবর্ণ' পত্রিকা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক- জয় বাংলা সাহিত্য পরিষদ (বাংলাদেশ)।
মডারেটর-লন্ডন পোয়েটস্ ক্লাব( ইংল্যান্ড), মডারেটর ও অ্যাম্বাসেডর - ইন্টারন্যাশনাল লিটারেসি স্টাডি( বাংলাদেশ),  অ্যাম্বাসেডর-  জেনিসিস ওয়ার্ল্ড রাইটার্স কমিউনিটি (নাইজেরিয়া), অ্যাম্বাসেডর-  'অ্যাসোসিয়েজিওন কালচারাল পার লা পেস এল উমানিতা' ( রোমানিয়া), অ্যাম্বাসেডর- 'ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাম্বাসেডরস একাডেমি' র সদস্য(মিশর)। অ্যাম্বাসেডর- 'ইকরা ফাউন্ডেশন' (জেরুজালেম),  'গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডরস অফ সাসটেইনেবিলিটি'র সদস্য(দুবাই), পিস অফ মেম্বার অফ 'ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস' (মিশর), সদস্য- 'ফেদার অ্যান্ড এক্সটেন্ডার হিউম্যানিটি একাডেমি' ইউরোপ এবং তুরস্ক শাখা, সদস্য- গ্লোবাল ফ্রেন্ডস ক্লাব, অ্যাম্বাসেডর ফর  ওয়ার্ল্ড পিস- ফাউন্ডেশন মারিয়া গ্লাডেজ।

 

কবিতা - শরণার্থী

মোঃ ইজাজ আহামেদ

 

মাথায় স্বপ্নের বোঝা নিয়ে 

শরণার্থীরা এগিয়ে যাচ্ছে,

ইতিহাস পিছনে দেখছে 

আর তার স্মৃতিপটে ভেসে উঠছে

 তাদের অসংখ্য অসহায় জীবনচিত্র,

তারা স্বপ্ন দেখেছিল নিজ দেশে

সুখের নীড় তৈরি করতে,

শান্তিতেও ছিল, ঝড়ের মতো হটাৎ করে যুদ্ধ এলো

আর অনেকের জীবন কেড়ে নিল, 

অনেককে নিঃস্ব করে দিল, 

অনেককে পথের ভিখারি বানিয়ে দিল,

তাদের ভবিষ্যতকে চোরের মতো পেটানো হল;

তাদের ইচ্ছা, আশা, স্বপ্ন কাঁচের মতো চুরমার হয়ে গেল

তবু একটু বাঁচার জন্য পিঁপড়ের মতো লাইন ধরে

কাঁটাতারের বেড়ার দিকে এগিয়ে চলেছে

আর মাটির বুকে দূর্বিষহ জীবন-ইতিহাস লিখে যাচ্ছে; 

হোঁচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে, দাঁড়াতে হয় উঠে;

রক্তাক্ত জীবন নিয়ে তারা সেটাই করার চেষ্টা করছে;

কাঁটাতারে, জলসীমায় মার খেতে হচ্ছে

যেন এই নীল গ্রহে তাদের কোনো ঠাঁই নেই,

যেন তাদের কোনো দেশ নেই।

 

১০:৪৯ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার

কবিতা - ঘাসফুল

কবিতা - ঘাসফুল

ঘাসফুল

মোঃ রহমত আলী

(খালিশপুর, খুলনা, বাংলাদেশ)

 

 

আমি এক ঘাসফুল,

দুঃখ কে জয় করেছি

কষ্টকে সর্বদাই বন্ধু ভেবেছি,

চোখের জলকে সারাব

বানিয়ে পান করেছি।

প্রিয়তমার ছলনাকে সত্য

ভালোবাসা ভাবি তাই।

আমি আশার প্রদীপ নিভায়ে

দিয়ে,নিরাশার অন্ধকারে

বসত করি-আমি জীবনের

শতক হতাশা কে আশাবাদী

চিরাগ বানায়ে রেখেছি।

আমি ভালোবাসার হাজারো

হাজার বেদনা কে হৃদয়

কোনে দাফনায়ে দিয়াছি।

 

আমি এক ঘাসফুল,

আমার জন্ম হওয়াটাই ভুল

সবারই পদতলে আমায়

সুস্বাগতম মিলে,হাজারো

সু'সুন্দর ফুলের মাঝে,

কি আর মূল্য আমার বলো।

পদ্ম ফুলের মূল্য আছে,

গদ্য লিখে কবি রাখে।

আমি এক ঘাসফুল আমার

তবে কি কোনো মূল্যায়ন আছে।

আমি সারা-কাল'ই অবহেলিত

পদতলেই সহি মর্যাদা পাই,

তবু আমি ঘাসফুল হয়েই ধন্য

আমা প্রিয়ার ছলনা প্রয়াসেই মগ্ন।

১০:৪৫ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার

মন

মন

০৭:৩৩ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রোববার

কবিতা - বাংলার জন্য

কবিতা - বাংলার জন্য

বাংলার জন্য 

দুলাল প্রামানিক

 

মায়ের কোল থেকে নেমে 

তাকাই মায়ের মুখের দিকে, 

যতই তাকাই যতই দেখি 

দেখাটা হয় না ফিকে। 

ঘুমের থেকে উঠি যখন --

প্রথম কথাটা বলি উচ্চরবে , 

ভুলে যাই সে মুখের ছবি , 

ম্লান হাসি দেখেছি কবে? 

আমার ভাষা, তোমার ভাষা 

ভাষা সবার জন্য, 

সবার চেয়ে মিস্টি আমার 

মাতৃভাষা অগ্রগন্য । 

সালাম, রফিক, জাব্বার, বরকত 

সফিক আমার ভাই , 

একুশ এসেছে আমার দুয়ারে 

তাই আজ একুশের গান গাই । 

ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের মিলনে

বাংলা মায়ের উঠান, 

বাংলা আমার হৃদয় জুড়ে 

বাংলাই ধ্যান জ্ঞান। 

০৫:১৪ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার

কবিতা - ফাল্গুন মানে অমর একুশে

কবিতা - ফাল্গুন মানে অমর একুশে

 ফাল্গুন মানে অমর একুশে

মহুয়া মিত্র

 

ফাল্গুন মানে কৃষ্ণচূড়া অশোক পলাশ,

ফাল্গুন মানে মনের গহীনে একুশের বসবাস।

ফাল্গুন মানে রঙের খেলা,

ফাল্গুন মানে বর্ণমালা।

ফাল্গুন মানে ভালোবাসা,

ফাল্গুন মানে বাংলা ভাষা।

ফাল্গুন মানে দখিনা বাতাস,

ফাল্গুন মানে সালাম জব্বার বরকতের লাশ।

ফাল্গুন মানে প্রেমের ভেলা,

ফাল্গুন মানে রক্ত খেলা।

বাংলা, মোরা বাঙালি,

মোরা ভাষার তরে শ্রেষ্ঠ।

দুনিয়ার আর কোনো জাতি,

হয় নি তো ক্ষতি,

লড়ে নি তো কেউ,

ভাষার জন্য এমন মহান যুদ্ধ।

সেলাম তোমাকে বীর ভাষাসৈনিক,

তোমার জন্য পেয়েছি মোরা

এই ভাষা নির্ভিক।

ধন্য তুমি একুশের ভোর,

খুলি সকলে বন্ধ মনের দোর,

ভাষার প্রতি দিই অঞ্জলী,

মুক্ত কন্ঠে বলি আমি বাঙালি,

ভাষা বাংলা,

ভাষা বাংলা,

ভাষা বাংলা।।।

০৪:৪২ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার

কবিতা - ২১শে ফেব্রুয়ারি

কবিতা - ২১শে ফেব্রুয়ারি

২১শে ফেব্রুয়ারি

মজিবুর রহমান

(প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল)

 

একুশ মানে মাতৃভাষাকে মন থেকে ভালোবাসা

স্বীকার করা শুধু ধর্মে মেটে না আশা।

একুশ মানে মাতৃভাষার মর্যাদায় ছাত্র যুব আন্দোলন

এক ভাষার সব মানুষের ঐক্য মিলন।

একুশ মানে মাতৃভাষার বঞ্চনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ

সন্ত্রস্ত শাসক দেখে সম্মুখে সমূহ বিপদ।

একুশ মানে মাতৃভাষার আত্মপ্রতিষ্ঠার লড়াই

আছে কেবল অসীম সাহস, ভয় ডর নাই।

একুশ মানে মাতৃভাষার সম্মানে রক্তস্নাত শবদেহ

দৃঢ় প্রত্যয় পিঠটান দেবে না কেহ।

একুশ মানে মাতৃভাষার আন্দোলনে স্বাধীনতার সংগ্রাম

অকুতোভয় বাঙালির ঐতিহাসিক বিক্রম।

একুশ মানে মাতৃভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি 

রাষ্ট্রের থাকা চাই উদার একটি ভাষা নীতি।

০৪:৩৭ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার

২১শে ফেব্রুয়ারী /১

২১শে ফেব্রুয়ারী /১

২১শে ফেব্রুয়ারী /১

অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় 

 

 

কায়েদ- ই -আজম এর মুখের ওপর

যে কথা ধীরেন দত্তরা ভাসিয়েছিলেন

তা যে পদ্মা যমুনা মেঘনা উদ্বেলিত করে তুলবে

কে ভেবেছিল, তবুও করেছিল

যা এখনও ইতিহাস হয়ে আছে

অনুরণিত হয়েছিল আকাশে বাতাসে

সেই অনুরণন কোন স্থিতধী পাহাড় হয়ে যায় নি

ছড়িয়েছিল সমুদ্রগর্জন আবেগ

মাঠ থেকে মাঠে প্রান্তর থেকে দিগন্তে

সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার ও শফিয়ুররা

দু হাত ওপর তুলে বুক উন্মুক্ত করেছিল

রাষ্ট্র এঁকেছিল কয়েকটা চিহ্ন...

চুঁইয়ে চুঁইয়ে গড়িয়েছিল ফোঁটা ফোঁটা রক্তবিন্দু

সেই রক্তু বিন্দু গুলো যে একটা

 নিজস্ব ভূমিখণ্ড, নিজস্ব নদী নিজস্ব আকাশের

একটা মানচিত্র আঁকবে তা প্রত্যয়ে ছিল না/

 

# অবশেষে হয়ে গেল একটা নতুন ভূখণ্ড 

ও নিজের বলার মতো একটা ভাষা.....

  বাংলা ভাষা বাংলা ভাষা...

 

 

০৪:০৮ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার

কবিতা - অমর একুশ

কবিতা - অমর একুশ

অমর একুশ

-আশিকুল আলম বিশ্বাস

 

 

একুশে ফেব্রুয়ারি,বাহান্ন সাল,

তাক করা পাক সেনার বন্দুক নল,

প্রাণ দিল বরকত,রফিক,শফি,সালাম,জব্বার,

অমর একুশ পালন তারই ফল।

 

বেঁচে গেল বাংলা,সাথে তার ভাষা,

শহিদের লাল রক্তে রঞ্জিত মাটি,

ওদের স্মরণে মোদের ভালবাসা,

একুশে ফেব্রুয়ারি মিছিলে মোরা হাঁটি।

 

বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস পালন,

এপার ওপার দু বাংলা জুড়ে,

সবকাজে বাংলার হোক প্রচলন,

নইলে ভাষার ভিত যাবে নড়ে।

 

বাংলায় কথা বলি,

বাংলাতে হাসি,

গান গাই বাংলাতে,

মুগ্ধ বিশ্ববাসী।

**********************

০১:৫৩ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার

Puspaprovat Patrika