ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

Story - Ballet Queen

Ballet Queen 

Nosirova Gavhar 

 

Every morning, when I took my little girl to the ballet palace, her eyes would shine and she would be very happy. SHe liked the elegance and charm of ballet movements. One day my little princess cried:

- Father, I can't do it.

- My little princess, don't cry, you can do anything. One day my little princess will definitely become a ballet princess.

- Really? When?

- If you keep moving forward.

"Ok" she said, walking away from me.

 One day I came home and called my little girl:

- My daughter, your teacher gave you a gift.

- Really? what kind

- See for yourself.

- Wow, that's great - her eyes were shining. In the big picture, a beautiful ballet princess in a blue dress, with roses in her hands, kneeling at the horse's feet, and the silver roads, transparent canals and rivers of the paradise garden were depicted.

 - Your teacher praised you. If you keep trying, this beautiful ballet queen said that you too can be.

- Thank you, father. I will definitely be a ballet queen as my teacher said.

 Years have passed. Looking at this picture for a long time, today I was one of the ballet masters who embodied all the beauty and grace. But today my father was not with me. When I took the picture and hugged it tightly, I noticed the inscription on the back: "A gift from father to my little princess."

 

 

 

Biography: 

Nosirova Gavhar was born on August 16, 2000 in the city of Shahrisabz, Kashkadarya region of Uzbekistan. Today, she is a fourth-year student of the Faculty of Philology of the Samarkand State University of Uzbekistan. Being a lover of literature, she is engaged in writing stories and poems. Her creative works have been published in Uzbek and English. In addition, she is a member of «All India Council for Development of Technical Skills», «Juntos por las letras» of Argentina, «2DSA Global Community». Winner of the «Korabl znaniy» and «Talenty Rossii» contests, holder of the international C1 level in the Russian language, Global Education ambassador of Wisdom University and global coordinator of the Iqra Foundation in Uzbekistan. «Magic pen holders» talented young group of Uzbekistan, «Kayva Kishor», «Friendship of people», «Raven Cage», «The Daily Global Nation», Argentina's «Multi Art-6», Kenya's «Serenity: A compilation of art and literature by women» contains creative works in the magazine and anthology of poets and writers.

০৮:৪৪ পিএম, ১২ জুন ২০২৪ বুধবার

Poem - Blooming Lotus Flower

 

Blooming Lotus Flower Dr. Kang, Byeong-Cheol

 

Once upon a time, a wise man said:

"Be happy,

Feel comfortable,

Learn to calm yourself down,

Keep peace of mind."

Fame and medals mean nothing,

Everything disappears like dust in the wind.

When humanity in you is lost,

You will lose a precious jewel.

 

As a youngster, you have no respect for the laws of nature.

Everything is in a state of flux,

Everything ages.

Even so, you don't heed the wise man's words.

Engaging in meaningless conversation,

Know that you're venturing where you don't belong.

You can right the wrong,

Follow the written and unwritten rules,

Breathing deeply and slowly.

Be happy,

Be comfortable,

Keep peace.

There is greatness in that,

Enjoy the joy of life with wisdom.

The jewel in the lotus flower,

Shines brightly from you, me, and us.

Life goes on, and the power of mercy is mighty.

May people welcome people.

 

The Lotus Flower hopes to bear ripe fruits,

For peace in the human mind.

 

 

Biography:

Poet Dr. Kang, Byeong-Cheol is a Korean author and poet, born in Jeju City, South Korea, in 1964. He began writing in 1993, publishing his first short story, “Song of Shuba,” at the age of twenty-nine. He released a collection of short stories in 2005 and has since won four literature awards and published more than eight books. From 2009 to 2014, he served as a member of The Writers in Prison Committee (WiPC) of PEN International. Additionally, he worked as an editorial writer for NewJejuIlbo, a newspaper in Jeju City, Korea. He holds a PhD in Political Science and currently serves as the Vice President of The Korean Institute for Peace and Cooperation. Moreover, he holds the position of founding President of the Korean Association of World Literature.

 

০২:৩২ পিএম, ১১ জুন ২০২৪ মঙ্গলবার

একগুচ্ছ কবিতা


যেন কবরস্থান
দীপ্ত হৃদ মতিন

আমাকে জিজ্ঞেস করলো, আমার ভেতরের কবি
আজ তুমি কোথায় এসেছো,কিছু টের পাচ্ছো কি!
থমকে দাঁড়িয়ে গেছি, ফটকের খুবই কাছাকাছি,
মনে হলো, এখানে কোনো ছায়াবৃক্ষ মোটেই নেই,
ক্লান্ত পথিকের সবুজ আশ্রয় নেই,বিরাট মরুভূমি,
প্রায় তেত্রিশ বছরের নিতান্তই ক্লান্ত পথিক আমি।
মানব জীবনের ভেতরের আর এক কর্মজীবনের
সদ্য অবসান হয়েছে, সদ্য প্রয়াতের গোরস্থানে
যেনো আমি এসেছি। জীবনের হিসেব কিছু বাকি!
সত্যি তাই, জীবনের কিছু হিসেব কষতেই এসেছি!
এতো বছরের পরিচিত বিশাল বড় বড় দালানগুলি
মনে হলো নিষ্প্রাণ, এখানে কোথাও কেউ নেই,
আজ কারো কাছে আমার কোনো প্রয়োজন নেই।
জীবনের সবকিছুর প্রয়োজন এভাবে ফুরিয়ে যাবে,
আমরা হবো,গোরস্তানের এমন সব জিন্দা লাশ,
ক্ষমতাধর বড় আসনে বসে কেউ বুঝেনি কখনো,
কলমের সবটুকু আলো  একেবারেই নিভে যাবে।
আলো নিভে গেলে ঘোর অন্ধকার, বন্ধ পারাপার।
সত্যি আজ আমি এক গোরস্থানে যেন এসেছি,
আমি আজ অন্য এক রকম সচিবালয়ে এসেছি।।
  _______

জীবনের ভারসাম্য
  দীপ্ত হৃদ মতিন

মনকে বলি তুমি এতটা ভারাক্রান্ত হয়ো না!
দুঃখ যেমন আছে সুখ শান্তিও সঞ্চিত আছে !
জীবনে সুখ দুঃখের পালাবদল রয়েছে!

অন্তর্দৃষ্টিকে বলি তুমি একদিকে দৃষ্টি দিও না,
জীবনের চারপাশে ঘুরে ফিরে প্রদক্ষিণ করো,
তুমি চলে যাও সুখের অতীতে,যেখানে দেখবে
সোনালী আলো জ্বলজ্বল করে আজো!
অসংখ্য সুখের স্মৃতি রয়েছে, রোমন্থন করো!
দুঃখের স্মৃতিগুলো ঘোর অন্ধকার মেঘাচ্ছন্ন
আকাশের মতো! থেমে থেমে বারিধারা বর্ষে!

স্বজনের মৃত্যুর চেয়ে অতি দুর্বিষহ দুঃখের স্মৃতি
পার্থিব এ জীবনে আর কি হতে পারে!
রয়েছে মা'য়ের মৃত্যু, পিতার মৃত্যু,স্ত্রীর মৃত্যু
আরও অনেক ঘনিষ্ঠ স্বজনের মৃত্যু!
প্রতিটি মৃত্যুর দুঃখভার হিমালয়ের মতো!

মন তুমি কোনো একটি দুঃখের স্মৃতির দংশনে
চৈতন্যকে অবশ করে রেখোনা,অস্থির থেকো না!
সকল দুঃখ কষ্টগুলোকে সাজিয়ে রেখে দাও!
সুখের মধুর স্মৃতিগুলো পাশাপাশি রেখে দাও!
মন তুমি এতোটা ভারাক্রান্ত হয়ো না!
প্রতিটি মৃত্যুর পাশাপাশি সুখের স্মৃতিগুলো
স্মরণ করো,মনে ভারসাম্য আসবে!
জীবনের জন্য জীবনের ভারসাম্য আবশ্যক!।
_______

যাতনায় কাব্যিক সুখ আছে
দীপ্ত হৃদ মতিন

জীবনের নিষ্ঠুর বাস্তবতার দুর্বিষহ যন্ত্রণার
অনুভূতিগুলো হৃদয়ের নরম প্রকোষ্ঠে পুঞ্জিভূত
হিমালয়ের বরফ স্তুপের মতো!
আমি জানি প্রকৃতি এখানে হেরে যাবে
প্রকৃতির কাছে এমন উষ্ণতা নেই,
সে এ জীবনে বরফ গলাতে পারবে না!
গলিত প্রবাহের ধারা ঝর্ণার কলতানে
নীরব পাহাড়ের হৃদয়ে সুর ছড়াবে না কখনো!

কর্তিত বৃক্ষ কখনো কি পল্লবিত, বিকশিত হয়!
বৃন্তচ্যূত পুষ্প কি কভু সুরভি ছড়ায়!
যে চলে যায় চিরতরে, আর কি ফিরে আসে!
তবুও অসীম নীলিমার ওপারে চেয়ে চেয়ে
প্রতীক্ষার প্রহর গুনে গুনে স্মৃতির সরোবরে
অবগাহন করা!
পাঁজরের ভেতরের পেন্ডুলামের
সকরুণ কান্না লালন করা!
নিভৃতের সমস্ত চৈতন্য দিয়ে
কষ্টের দহন যন্ত্রনা অনুভব করা!
এ যাতনায়ও অব্যক্ত কাব্যিক সুখ আছে!
______

    একমাত্র ভরসা
     দীপ্ত হৃদ মতিন

হৃদয় আজ সহসা একি কথা বলে,
কি হবে এভাবে আর কবিতা লিখে!
যতো অশ্রুর প্লাবন আসে আসুক,
নীরবে দুকূল ছাপিয়ে যেতে দাও!

তপ্ত নিঃশ্বাসের প্রবাহে সবুজ পাতাগুলো
নীরবে ঝরে পড়ে যেতে দাও!
বিরান ভূমির কাহিনি লিখতে যেও না!
অকস্মাৎ বজ্রপাতে ঝলসে যাওয়া
তামাটে বৃক্ষের করুণ কাহিনি
তুমি কখনো লিখতে যেও না!

আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে দিগভ্রান্ত
পালিয়ে বেড়ানো নিরাশাচ্ছন্ন
কারো কাব্যকথা লিখতে যেও না!
জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া
কোস্টাল এলাকার করুণ কাহিনি
তুমি লিখতে যেও না!

ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড নগরীর
ধ্বংসের কাহিনি লিখতে যেও না!

সমরাস্ত্রের অতর্কিত হামলায় বিধ্বস্ত
শান্ত লোকালয়ের নিরীহ মানুষের
হৃদয় বিদারক হতাহতের
রক্তাক্ত করুণ কাহিনি
লিখতে যেয়ো না বোকা কবি!


আজ মানুষের পাশে মানুষ নেই!
চারপাশে মানবতার চরম দুর্ভিক্ষ!

কবি তোমার এসব কথা
প্রকৃতিকে বলো,
সে তোমার ভরসার আশ্রয়,
মহা জগতের মালিক যিনি,
তোমার একমাত্র ভরসা তিনি!
_______

আমি ভাবতে পারি না
   দীপ্ত হৃদ মতিন

ভাবতে পারি না জীবনে আমাদের আর কথা হবে না,
ভাবতে পারি না জীবনে আমাদের আর দেখা হবে না,
ভাবতে পারি না তুমি আর কখনো ফিরে আসবে না!

যদি জানতাম সেটাই হবে আমাদের শেষ দেখা ,
তবে পৃথিবীর সমস্ত আলোকে আঁখি পরিপূর্ণ করে 
নয়নের সমস্ত দৃষ্টিশক্তি দিয়ে অনুভবের রশ্মিতে
অপলক দৃষ্টিতে তোমাকে মনভরে  দেখে নিতাম!

আমার চলে আসার সময় স্বর্গীয় অনন্য মমতাময়ী
কন্ঠে বলেছো "অনেক রাত হয়েছে গিয়ে শুয়ে পড়ো"
আইসিইউতে বেড-১৪, তোমাকে রেখে এসেছিলাম!
তখন আমরা কেউ কি ভেবেছি সেটাই হবে তোমার
জীবনের শেষ উক্তি! এবং আমাদের শেষ দেখা!
যদি জানতাম নশ্বর পৃথিবীতে সেটাই হবে শেষ কথা,
আমি নিশ্চয়ই বলিষ্ঠ আশায় আশ্বস্ত করে আসতেম,
'দেখা হবে নীলিমার ওপারে,অনন্ত এক অভিসারে!
ততোদিনে তুমি ভালো থেকো, নিরাপদে থেকো! '

আজ হৃদয়ের আতুরঘরে হাজার কথার অপমৃত্যু হয়,
যেদিকেই তাকাই, সবকিছুই শুধুই নিষ্প্রাণ,পাথরময়! 
স্মৃতি রোমন্থনের যন্ত্রণায় আমার পাঁজর ভেঙে যায়!
আজ কোথায় পাবো একটু শান্তির নিরাপদ আশ্রয়!

পবিত্র ভালোবাসায় যতোটা পরিপূর্ণ করে রেখেছিলে
ততোধিক রিক্ততার যন্ত্রণায় নিরন্তর এই হৃদয় জ্বলে।
         _________

সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ
★কবি দীপ্ত হৃদ মতিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান)সহ এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর ইন এডুকেশন এবং প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেনীসহ এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
  ★তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট পদে ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীতে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছিলেন।তিনি বিগত ২০২০ সালের ২০'সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) পদে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে সরকারি নিয়ম মোতাবেক যথারীতি সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন।
★সরকারি চাকরিতে প্রবেশের পর চীনের বেইজিং এডম্যানিস্ট্রেটিব কলেজ , সিঙ্গাপুর সিভিল সার্ভিস কলেজ, চীনের ইউহান বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স করেছেন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত ও শ্রীলঙ্কা একাধিকবার ভ্রমণ করেছেন।
★কবি মতিন বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় কবিতা লিখেন এবং নিজের কবিতা আবৃত্তিও করেন।তাঁর রচিত ইংরেজি কবিতা শ্রীলঙ্কার নিউজ লেটারে ২০১৪ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে।শ্রীলঙ্কা থেকে প্রকাশিত "The Island " ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় তাঁর ইংরেজি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। সুইডেন থেকে প্রকাশিত অনুশীলন সাহিত্য ম্যাগাজিনে তাঁর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলা কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক ঠিকানা ও বর্ণমালা পত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় ও সাহিত্য ম্যাগাজিনে অনেক কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।
★বিশ্বে ইংরেজি কবিতার জগতে তিনি সুপরিচিত। Honorary Doctorate Degrees, Peace Ambassador, Global poet, Rahim Karim World Literary Award উল্লিখিত ডিগ্রি, সম্মাননা পুরষ্কার ছাড়াও বিশ্বের স্বনামধন্য সাহিত্য ও মানব সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সম্মানসূচক সদস্যপদ অর্জন করেছেন।
★ কবি মতিন " Universal creative portal for sustainable humanity and peace " Group এর প্রতিষ্ঠাতা।বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার স্বনামধন্য অসংখ্য কবিগণ নিজের ভাষার কবিতা পোস্ট করেন।কবি মতিন এ পর্যন্ত অসংখ্য কবির জীবন ও সাহিত্য কর্মের বিষয়ে পর্যালোচনা উপস্থাপন করেছেন।
★কবি মতিন পিতা হাজী মো: আছমত আলী, মাতা আলহাজ্ব রাজিয়া বেগমের ঔরসে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলাধীন কালাপাহাড়িয়া গ্রামে ১৯৬১ সালের ২১ সেপ্টেম্বরে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।২১ সেপ্টেম্বর কবির জন্ম ও বিবাহের তারিখ।
★তিনি বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন।তাঁর স্ত্রী রেহান বানু (প্রয়াত) বড়ো পুত্র -মুরতাজ আল মুকসিদ কবির সঙ্গে আছেন। ছোট ছেলে নাহিয়ান আল সাবরি কানাডায় অধ্যয়নরত।
★ কবি মতিন বিগত হজ্জ মৌসুমে পবিত্র হজ্জব্রত পালন করেছেন।
★এ পর্যন্ত প্রকাশিত কবিতার বইঃ
*অর্পিত প্রেম
*বিমূর্ত ভালোবাসা
*হৃদপিন্ডের আবৃত্তি
*মনের রঙ তুলি
*মানচিত্রে দাবানল
*কবিতার প্রয়াণে কবিতা
★ভ্রমণ কাহিনিঃচাঁদের নতুন আলো
তারিখ :১৫ অক্টোবর '২০২৩ খ্রি.

০১:৫৯ পিএম, ১১ জুন ২০২৪ মঙ্গলবার

কবিতা - ছলনা

 

 

ছলনা

মো: নূরুল আমীন

 

ছলছল দৃষ্টিতে লেপ্টে আছে

কিছু ন্যাওটা স্মৃতিকণা।

জীবনচক্র অভিধানের পাতা ওল্টালে

নান্দনিকতার মূহুর্তগুলো ভেসে ওঠে স্মৃতির আয়নায়।

সময়ের আবর্তে তুমি বদলে গেলে

আলো ঝলমলে প্রহরগুলোর কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে।

আমার যাপিত দিনগুলো

চাওয়া পাওয়ার হিসেবে বড্ড গরমিল।

তোমার হাসি, মায়াবী চাহনি, গানের লিরিক্স

এখনো আমায় ভাবায় - ক্ষণেক্ষণে কাঁদায়।

সময়ের পরতে পরতে চাপা পড়ে যায় প্রতীক্ষার প্রহর।

দিন যায় রাত আসে - বাগানে কত ফুল ফুটে 

আবার কত ফুল ঝরে যায় আমার আঙিনায়

ত্রিশ বছর কেটে গেলো - তবু তুমি এলে না।

ভাবতে ভীষণ ভীষণতর কষ্ট হয় -

কি দিয়ে রোধিবে আমার কান্না? কেনইবা করলে আমার সাথে ছলনা?

                   

 

কবি পরিচিতিঃ

কবি মো: নূরুল আমীন (০২ জুলাই, ১৯৭০) বাংলাদেশের উত্তর জনপদ লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলাধীন কাকিনার আলো বাতাসে বেড়ে উঠেছেন। পিতা - মো. একাব্বর আলী, মাতা- মোছা. রাহেলা বেগম। তিনি স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন যথাক্রমে বাংলা আর গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞানে। তিনি অনলাইনে নিয়মিত লেখালেখি করেন। তার অসংখ্য যৌথ কাব্যগ্রন্থসহ একক কাব্যগ্রন্থ মঙ্গাবায় (২০০৯), কষ্টের লিরিক (২০২৩), গল্পগ্রন্থ অতঃপর দীর্ঘশ্বাস (২০২৩) প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বর্তমানে 'উত্তর বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ' এ কর্মরত আছে।

০৩:৩১ পিএম, ৯ জুন ২০২৪ রোববার

Poems

Are You Free

 Eva Lianou Petropoulou

 

It is not about country or religion

It is not about who are you

Or who I am

It is not about your experience

It is not about who you like or not

 

It is all about injustice

Unknown person behind the curtains that take decisions

It is all about manipulation and violence

It is all about no ethics

People want to earn money fast

It is all about a fake world

And if you do not stay soft ..

If you don't keep the inner child

Your soul will be lost....

 

 

 

Contact

Eva Lianou Petropoulou

 

I forgot what a kiss is 

The taste of an afternoon coffee.

So as the waves pulled from the land, I feel like a desert ship.

 

Contact I forgot what that word means, Shipwreck for months

 In books I look for a meaning to embrace me, to tell me everything will be fine ..

To go and leave those roses in my father's memory, 

To light a candle to the Virgin Mary.

 

Contact, 

To be in your dream hug 

Let me see your eyes 

To smell your perfume I'm looking for that word 

In that old dictionary

 

©®Eva Petropoulou Lianou

 

 

Eva Lianou Petropoulou ( Greece )

 

She is an awarded author and poet from Greece with more than 25 years in the Literary field published more that 10 books.

Her poems are translated in more than 25 languages. She is President of creativity and art of Mil Mentes Por Mexico Association

represent Greece, President of Global UHE Peru,   

Official candidate for Nobel Peace prize

World Ambassador of

International Academy of Ethics India

Ambasador of Group Poetry

President

Shikdar Mohammed Kibriah

০২:১৪ পিএম, ৯ জুন ২০২৪ রোববার

কবিতা - সেই- ই তো পিতা

সেই- ই তো পিতা
                 এস এম মঈনুল হক

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ছাদ।
ঘরের মধ্যে স্ত্রী পুত্র কন্যারা।
কিছুটা হলেও উষ্ণ আরামে তারা
দুপুরে খাবার খেয়ে বিশ্রাম।
ঘরের কোণে অসুস্থ মা।
সবার জন্য আহার ঔষধ পানির ব্যবস্থা করতে
দগ্ধ পৃথিবীর খোলা মাঠে
কোদাল কোপাতে গিয়ে ঘাম ঝরছে
চোখে মুখে তীব্র তাপের কদাকার চিহ্ন
পরিবারের কর্তা, পি-তা।
কর্ম শেষে বাড়ির উঠোনে পা রাখতেই
অসুস্থ মায়ের কাতরানী।
তালপাতার পাখাটা হাতে নিয়ে
মায়ের মাথার নিকট বসে ঘুরিয়ে চলেছে।
সেই-ই তো পিতা।
হাত পা ধুয়ে দুটো খেতে বসে।
ছোট ছেলেটা বলে, বাবা খাতা নেই।
স্ত্রীর আবদার-
শুনছো, আমার শাড়ি ছিঁড়ে গেছে।
বড় মেয়েটা কান্না করছে
বন্ধুরা সব পিকনিকে যাবে।
বাবা বলে, তুমিও যাবে।
মেয়ের মন আনন্দে ভরে ওঠে
তুমি আমার সোনা বাবা।
ঠিক বলেছ মা।
সেই-ই তো পিতা
বাক্সের কোণে ফেলে রাখা
টাকাগুলো হিসাব করে,
ঔষধ পথ্যাদি খাতা বই পিকনিক
স্ত্রীর শাড়ির খরচ হবে না তাতে।
মোড়লের বাড়ি গিয়ে চড়া সুদে আনে টাকা।
সবার সাধ হয় পূর্ণ।
নিজের পরনের লুঙ্গিটা ছেঁড়া,
সেদিকে তার নিজেরই ভ্রুক্ষেপ নেই।
রাতে চোখের পল্লব উঠানামা করে
ঘুমের লেস মাত্র নেই
পাশে ঘুমন্ত স্ত্রী
সকাল হলেই ছুটতে হবে কর্মস্থলে
সেই- ই তো পিতা।
মহান দায়িত্ব পালনের কর্তা।
প্রচন্ড শীতে সবার জন্য লেপের ব্যবস্থা।
নিজের শরীর ঢাকা ছেঁড়া কাঁথায়।
সেই-ই তো পিতা।
তাকে ক্লান্ত হতে নেই,
দুঃখ স্পর্শ করলেও অনুভূত হবে না,
রৌদ্র জলের স্পর্শে অসুখ অবহেলিত
অপাঙ্গের কোণে জল শুকিয়ে যায়।
সেই-ই তো পিতা।

       

কবি পরিচিতি:
এস এম মঈনুল হক খুব ছোট থেকে লেখালেখির জন্য হাতে কলম খাতা তুলে নেয়। ২০০৪ সালে কলকাতা বইমেলায় তার বিখ্যাত উপন্যাস "মণিবাগিচা" প্রকাশ করা হয়। দৈনিক দিনদর্পণ পত্রিকায় অনেক লেখা তার প্রকাশ হয়েছে ও বর্তমানে হচ্ছে। পুবের কলম পত্রিকায় কিছু অভিমতও প্রকাশ হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার ফুলসহরী গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা গোলাম আম্বিয়া ১৯৯৪ সালের ৮ই ডিসেম্বর পরলোক গমন করেন। মাতা নুরজাহান বেবি একজন ধার্মিক ও দানশীলা মহিলা। একমাত্র মেয়ে শবণম সালমা জাহান হক। বড় ছেলে মোমাইজুল হক ও ছোট ছেলে সানিউল হক। প্রকৃতির সৌন্দর্য তিনি দারুণভাবে অবলোকন করেন। বেশ কিছু অনলাইন ম্যাগাজিন যেমন নবপ্রভাত ও বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত সাময়িকীতে তিনি লেখালেখি করেন। কলকাতার বেশকিছু little magazine এ ও তাঁর লেখা প্রকাশ হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। তাঁর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মণিই  হচ্ছে সবথেকে বড় অনুপ্রেরণা. Cloud of thoughts, Story Spinners Publication, Talets Vibes এর মত বিখ্যাত Publication গুলিতে ইংরেজি কবিতা, প্রবন্ধ , ছোট গল্প  নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে।

০৬:৫৭ এএম, ৯ জুন ২০২৪ রোববার

Poem - Breeze of The Meeting

 

Breeze of The Meeting

Nageh Ahmed (Egypt)

 

My love, do not ask where your passion is

From you, longing brings contentment

A literal tide in you, my soul is leaving

For the disease, you are the medicine

O breeze of the soul, everything is in you

My color and yours are quenched by meeting

Oh my inhale of rose perfumes

Oh my exhalation from the breeze

We meet to dissolve the connection

We wear love mixed like water

What a blessed life my dawn has

Without Sveni Al-Dia coming

Our sun wears the garment of loyalty

My love, you are the light of heaven.

 

 

 

Biography: 

Nageh Ahmed Mohamed Abdul Fattah is a

senior teacher of Arabic language and Islamic education.He lives in Al-Maseed – Al-Edwa City – Minia Governorate - Upper Egypt. He was born on 6/30/1972 AD.

Official academic qualifications :

Bachelor of Science, Dar Al Uloom, 1997.

General Diploma in Education 2013.

He learned from great professors in language, poetry, literature, journalism, and theater in Egypt and the Arab world

Ambassador, an active member, supervisor, official, director, editor-in-chief, and expert in several groups, newspapers, literary and cultural magazines, academies, forums, and international peace clubs, local, Arab, and international

ICDL - Computer courses – Portable maintenance courses – Courses - 

Talents & Hobbies :

Authorship and recitation: (poetic – prose – narrative and theatrical)

Technology Experience (Computer – Mobile (Certified Computer Science Trainer).

Experience in journalism and media for (two years at the University’s Arts and Letters Center).

Experience in radio presenting, organizing concerts and trips, and theatrical directing.

He has many poems published in print and electronically in local and international newspapers and magazines.

He has published many poems in more than 15 collective paper encyclopedias and electronic literary collections approved locally, Arabic, and internationally

He published an electronic collection of poems entitled (Lovers’ Lessons)

He worked as a computer and computer networks technician and lived in the city of the Messenger of God (may God bless him and his companions and grant them peace) for two years, and God blessed me and honored me by seeing him in a dream.

He had colon cancer, and the Almighty saved him from it, and he is foll

owing the hospital for treatment.

 

০৪:১৩ পিএম, ৮ জুন ২০২৪ শনিবার

POEM - FOREVER...

 FOREVER...

Angela Kosta

 

I will love you in silence

Knowing where you will find me.

I will be beyond the only Xompanion star 

Witness to our madness.

You will find me beyond the moon

She, our favorite guest, much Desired.

I will be beyond the cloud

Cradle of my brief happiness.

I’ll be beyond the sun 

That maybe one day 

He will ease my anguish.

I will stop for a long time to relive The moreover 

Where the wind will carry your Whispers.

I will watch the water flow

And i’ll get wet from your lips.

I will find you knowing that you Will be there.

And me?

I’ll be there, in the palm of your Soul

Standing still for fear of having Become mute

Vanished into thin air.

On the waves of the sea

I’ll find our breath 

Your smile on my mouth

Your look in my tear

Your beats on my heart

Your fingers in my hair

Your eyes on mine... Forever!!!

Biography:

 

Angela Kosta was born in Elbasan (Albania) and has lived in Italy since 1995. She is a translator, essayist, journalist, literary critic, publisher and promoter. She has published 14 books: novels, poems and fairy tales in Albanian, Italian and English.

The proceeds of his two books in Italy were donated to the non-profit association for research on Amyotrophic Lateral Sclerosis (ALS) and to the Association Daniele Chianelli for scientific research on Leukemia, Tumors and Lymphomas in children and adults. His poetic volume translated by scholar and writer Hasan Nashid, approved by the Bangladeshi Ministry of Culture, will soon be published in Bengali.

Her publications and translations have been published in various literary magazines and newspapers in several continental and intercontinental countries.

Angela Kosta translates and writes articles and interviews for the newspaper "Calabria Live", Saturno magazine, Alessandria Today Magazine, the international magazine "Orfeu:", the newspaper "Nacional", Gazeta Destinacioni, Perqasje Italo - Shqiptare, the magazine "Atunis", she collaborates with the magazines: "International Literature Language Journal (Michigan), Wordsmith International Editorial (Florida), Raven Cage (Germany), Bangladesh, Pakistan, etc.

She is co-host in several anthologies in: USA, England, India, Bangladesh, Albania, Russia, Germany, Kosovo, etc.

Angela Kosta has translated 150 authors into bilingual: Italian - Albanian and vice versa and has promoted over 500 poets in various national and international literary magazines as well as translating the books of poems by 3 Albanian and Kosovar authors. She has also translated the poems of important italian classics, nobelists and many other famous authors.

Angela Kosta is Vice President of the South Korea Writers' Association, Vice President of the Tamikio Dooley Writers Choach Organization, Ambassador for Culture and Peace in varius Organization no - profit in: Bangladesh, Poland, Morocco, Canada, Algeria, Egypt, Mexico, Romania, India, etc.

She is also a member of the Writers' League (LSHASH) and BSHBSH - Italy, Academy od Arte and Science America (AAA), Greece, Poland, Hungary, Mexico, Romania, Croatia, India.

In Italy many important newspapers and magazines have written various articles about Angela Kosta: La Nazione, Il Messaggero, Il Corriere dell'Umbria, Revista Confidenze, Il Quotidiano d'Italia, Umbria 7, News Diretta, Umbria 24, Vivo Umbria, etc...

Prominent international critics have praised her writing: Francesca Gallello, (writer, screenwriter, journalist, director of Saturno magazine, Italy), Mustafa Gökçek (journalist and literary critic, Turkey), El Majjad (journalist, literary critic, Iraq), Pier Carlo Lava (publisher), Rasim Maslic (journalist, painter, writer, Croatia), Fabrizio Ciocchetti (writer, journalist, Italy), Elena Caruso (journalist, literary critic), Federica Mastroforti (journalist), Adriano Bottaccioli (writer, Director of Art), Paolo Ippoliti (journalist), Enzo Beretta (journalist), Simone Strati Editore, Nasir Aijaz journalist, poet, scholar, publisher, (Pakistan), Dibran Fylli, academic, Director, poet, editor-in-chief, Ndue Dragusha, poet, editor, essayist, Rifat Ismaili, writer, literary critic, essayist, etc...

Angela Kosta has been translated and published in 30 foreign languages and foreign countries. In 2024 alone, it has been published in 98 national and international newspapers and magazines, with: poems, articles, interviews, books, reviews, etc. She has received numerous awards from various magazines and newspapers. In 2023, the magazine OBELISK directed by Roland Lushi declared her, among others, the best translator with translations of the Nobelist poet Giosuè Alessandro Giuseppe Carducci, as well as the Moroccan newspaper Akhbar7 proclaimed her the Celbrity Woman for 2023.

Angela Kosta has been featured as the Person of the Month on the covers of magazines: Elitè Magazine (Liban), International Literature Language Journal, (Michigan), Saturno Magazine (Italy), Wordsmith International Editorial (Florida) and Literary Magazine (Barcelona).

Angela Kosta has received the Certification of Doctor Honoris Causa from various universities including: Colombia, Moldova, Yemen, Algeria, Romania, Mexico, India and recently also from the University of Language and Literature in Morocco by Dean Muhammad Blik.

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

০৪:১৮ পিএম, ৫ জুন ২০২৪ বুধবার

Poem - Blood & Shadows

 

 

 

Blood & Shadows

Jerry Langdon

 

In a sordid flow of ink

I watch my paradise sink.

Memories disperse in drear.

All but my longing disappear.

Tethered to a tormented soul

I endlessly fall down a hole

Of blood and shadows

As deep sorrow overthrows.

 

I bring my tears to page

Whilst the inner wars rage.

The strength on which I rely

Weakened by feelings I deny.

Denial doesn't make them go away.

My fight plunges me in a decay 

Of blood and shadows

As deep sorrow overthrows.

 

© Jerry Langdon 2023

 

Jerry Langdon is   born on 2 May, 1967.

As A child I felt like a hand-me-down being raised by my Aunt. This is the root of who I am.

When He started drawing it was his escape from reality. Much like my poetry, most of my drawings became dark. He lived in two worlds. Under people I would try to smile or be indifferent, alone he drew or wrote of demons and dark things. These demons were mine; they were the true feelings he carried. He didn't start to write officially until 1985 when he was 17 and on my own. He wrote of dreams and about the love I felt but could never embrace. This was the birth of Sandman my later nickname and pseudonymn. Strangly enough he never directly signed anything under my pseudonymn. That mask was only there to give Jerry Langdon a platform. After all it was Jerry Langdon and not Sandman that was creating. Or was it? 

 

He was born and raised in Southern Michigan. He graduated from school through Adult Education because he was 18 and the public school didn't like the fact that he was on my own. After graduating I went into the Army, which I had joined at 17. (The main reason why I was on my own at 17 as my Aunt did not take the news well and so we argued, fought and I was kicked out / left home. Call it a mutual decision.) The Army brought me to Germany October 1986. He stayed in the Army in Nuernberg Germany until 1991. Well I was based there; he did serve in Operation Desert Shield. He got out of the Army in 1992 and returned to Germany. He has been here since. He never knopw how to answer where he comes from as he lives most of his life in Germany but he is still an U.S. citizen. He is  a Gemanerican ( German / American). 

 

In June 1998 He started a literary Magazine. He called it Raven Cage; Raven being an homage to Edgar Allan Poe, Cage being a metaphore to the feelings we poets release, and the heart we often lock things away in. Poetry has always been a part of me and my love for it was the birth of Raven Cage. He has been in many facebook groups and am still in a few. One group stands out among them. Dark Poetry Society. I feel at home there. The talent alone in Dark Poetry Society led to the need for its own Magazine and so Dark Poetry Society Zine was born. 

 

His writing inspirations are vast but my major influences and favorite poets are Edgar Alan Poe, Robert Frost, and Henry Wadsworth Longfellow. He loves music and am inspired by various rock bands plus a slew of Authors in many genres. He loves Terry Brooks, Tolkien, Pierced Anthony. He loves don't forget your towel Douglas Adams, Terry Pratchet, Neil Gaiman, Stephen King, Dean Koontz, Clive Barker. The list can go on and on. 

 

His motto in art and poetry is: There are no mistakes, there are only features. 

 

 

 

His Books:

Frosted Dreams    https://www.amazon.com/dp/B084QN6PVG

The Rollercoaster Heart   https://www.amazon.com/dp/B084TNH372

Death and Other Cold Things   https://www.amazon.com/dp/1533097992

Behind the twilight veil    https://www.amazon.com/dp/1496052846

Temperate Darkness   https://www.amazon.com/dp/1494262398

০৭:৪৪ পিএম, ৩ জুন ২০২৪ সোমবার

Poem - Scary Woman

Scary Woman

Yasmine Abdel Asalam harmoush 

 

I serchead 

In the city 

About the coat 

It covers my beauty

But he didn't cover it

 The magic of her beauty

It was her legs 

Longer than a winter's night

Her steps are faster

 From the heartbeat

 She struts with pride

he said to her:

I will carry you from among 

Loin of balconies

I will fly with you like a feather 

Lighter than the breeze

And I hear your words

Not like words

I will squeeze your letters

In the alphabet cup

And pour you into the toast of life 

I will give you medicine

It cures my illness

Who mutes languages

I will pick pomegranate blossoms from you 

And I plant it in an orchard

 Turquoise 

And pour the scent of roses 

On the edge of your mouth

Dripping with the fragrance of passion 

 One of the characteristics of your hair

It pours drop by drop

In a bottle filled with love

What a whisperer he was jealous of

 Playing flutes

I'll spill ink on you

In the pool of poets

And whenever you violate

The Ten Commandments

I'll punish you with a hug 

The fountain pen breaks 

He scatters words

And when you are obedient

I will free your braids 

And he took you away 

 We rock together

 With the raging wind

Our hair is flying

With wave frequencies 

We collect love letters

From the sky dictionary

Then we walk around

 In areas of space

we sit 

Around a fireplace full of stars

We're chatting

 With dust particles

And right before nap 

Magic flashes

We accept the furrows of the moon 

We sleep in light dormitories

We seek refuge under the quilt of the abyss 

Without whispers and night whispers

 

Biography:

The Lebanese writer Yasmine Harmoush from Al-Safira Al-Dinniyeh, her field of specialization is financial accounting. She has two books entitled (Al-Yasmine) (Qatuf

Al-Yasmine). Her writing has spreaded all Arab and Western fields.

 

০৪:১২ পিএম, ৩ জুন ২০২৪ সোমবার

স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকার পাঠ প্রতিক্রিয়া

স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকা

(The Raft Of Dreams Literary Magazine)

চতুর্থ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা

সম্পাদক মোঃ ইজাজ আহামেদ

RNI TITLE CODE:WBBIL01901

  

দপ্তর :-অরঙ্গবাদ, সুতি -2, মুর্শিদাবাদ,পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

মূল্য 90 টাকা

 

 

   পাঠপ্রতিক্রিয়া:-আবদুস সালাম

 

         মাত্র চার বৎসর বয়সেই সে ইতিমধ্যেই সবার নজর কেড়েছে। এখনও সে কচি খোকা হলেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সারা বিশ্বময়। সাড়া ফেলে দিয়েছে পাঠক মহলে।  

  22টি দেশ থেকে 200 জন কবি সাহিত্যিক কলম ধরেছেন এই সংখ্যায় । কবিতা140 টি , ইংরেজি কবিতা 45টি, গল্প 16টি প্রবন্ধ ,9টি ভ্রমণ কাহিনী, 02টি , আর্টিকেল 01টি, SATIRE 01টি নিয়ে হাজির হয়েছে আমাদের সামনে । 

 মননশীল সম্পাদকীয় সহ এ সংখ্যার উল্লেখযোগ্য কিছু প্রবন্ধ যা পড়া একান্ত জরুরী বলে মনে হয় । " বাংলায় মুসলিম বিজয় ও বাংলা সাহিত্য “।ইতিহাসে হেঁসেল খুঁজে খুঁজে ইখতিয়ার উদ্দিন বক্তিয়ার খলজী 1206 সালে বাংলা আক্রমণের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলায় মুসলিম শাসন। তখন বাংলায় শাসন ভার সামাল দিচ্ছেন লক্ষণ সেন। সেই সময় সুফি, দরবেশ ,গাজীগণের চরিত্র মাধুরী পৌত্তলিক বাংলাদেশের মানুষের মনে প্রভাব বিস্তার করে।ইতিহাসের বিক্ষণে উঠে এসেছে পরম্পরা ও বাংলা সাহিত্যের অবদান ।সুন্দর ও সুচারু ভাবে ঐ সময়ের মূল্যবান তথ্য তুলেধরার চেষ্টা করেছেন আবদুস সালাম মহাশয় ।( বিশ্ব ভাতৃত্ববাদ , নাজিম হিকমত, আব্দেল নাসের ও আমরা) নিয়ে কলম ধরেছেন খগেন্দ্রনাথ অধিকারী। (নব প্রজন্ম ও ভয়াবহ প্রকৃতি) নিয়ে কলম ডঃ রমলা মুখার্জী (ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র) নিয়ে সুন্দর ও মনোজ্ঞ আলোচনা উপহার দিয়েছেন মনিরুজ্জামান মহাশয়। (আধুনিক ছন্দের শিকড় সন্ধানে) নিয়ে লিখেছেন ফারুক প্রধান । নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সচেতন তা মূলক নিবন্ধ উপহার দিয়েছেন স্বনামধন্য ডাক্তার আশিকুল আলম বিশ্বাস। অনেক অনেক শুভেচ্ছা। 

 কবিতা বিভাগ যথেষ্ট সমৃদ্ধ। এখানে অনেক প্রতিষ্ঠিত কবি যেমন আছেন তেমনি নতুন সম্ভাবনময় কবিদের কবিতা এখানে স্থান পেয়েছে। সম্পাদক মহাশয়ের সাধু ভাবনা কে কুর্নিশ জানাই। স্থানীয় নতুন কবিদের উৎসাহ ও সাহিত্য সৃষ্টিতে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য তাদের ঠাঁই দিয়েছেন। স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকাকে আলোকিত করেছেন একুশে পদক প্রাপ্ত ও বাংলা একাডেমী পুরস্কার প্রাপ্ত কবি আসাদ চৌধুরী, নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহা। এছাড়া বাংলাদেশের বাংলা একাডেমির পরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, ইউনাইটেড নেশনস - এর ভলেন্টিয়ার ড. বদরুল আলম সোহাগ, ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন বাংলাদেশ শাখার কোঅর্ডিনেটর সুফী কবি এম এ জামান আহাছানুজ্জামান, কবি ও নাট্য নির্দেশক ইমরান শাহ্, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কবি ও লেখক ড. গাজী আবদুল্লাহিল বাকি, আলী সোহরাব প্রমুখ। এছাড়াও তৈমুর খান, গোলাম রসুল, উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, কবি, সম্পাদক ও আই এ এস সত্যজিৎ সেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এমদাদ হোসেন, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সবুজ সরকার, অধ্যাপক ড. আবদুল ওহাব, অধ্যক্ষ ড. নাজিবর রহমান, আবুজার হোসেন প্রমুখ।

এছাড়াও আরও বহু নবীন প্রবীন কবিদের সমাবেশ ঘটেছে। যেসব কবিতা ভালো লেগেছে তারা রাশেদ রউফ (বাংলাদেশ), কৃষ্ঞা বসু, তৈমুর খান, গোলাম রসুল, জয়নুল আবেদীন ( লন্ডন) ইমরান শাহ্( বাংলাদেশ), বদরুল আলম সোহাগ (বাংলাদেশ), অসিকার রহমান, মোঃ ইজাজ আহামেদ , ফারুক আহমেদ, সৌমেন্দ্র লাহিড়ী, মোঃ জালালুদ্দিন রেজা, ইমতিয়াজ কবির মহম্মদ মফিজুল ইসলাম, নীতা কবি সোহেল রানা, সরবত আলী মন্ডল , অভিজিৎ দত্ত, তাপসী ভট্টাচার্য, ইমদাদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম। এছাড়া ও অনেকেরই কবিতা বেশ ভালো । 

দেশ-বিদেশের বহু স্বনামধন্য কবিদেরকে এই পত্রিকায় ঠাঁই দিয়েছেন। যাদের কবিতা বিশ্বের দরবারে পাঠকের মনে সাড়া জাগায়। সুদূর আমেরিকা, লন্ডন, নেদারল্যান্ড, বাংলাদেশ, তাজিকিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া, ইতালি, বসনিয়া, অস্ট্রিয়া, ইরাক, রোমানিয়া, কাজাকিস্তান, কানাডা, সার্বিয়া, চিন ,আর্জেন্টিনা, জার্মানি, চিলি, বেলারুশ, ব্রাজিল, রিপাবলিক অফ নেপাল ইত্যাদি দেশের কবি ও লেখকের লেখা রয়েছে। এই অসামান্য কৃতিত্ব নতুন সম্পাদককে উৎসাহিত করবে তার বলার অপেক্ষা রাখেনা। 

 গল্প বিভাগে এই সংখ্যাতে স্থান পেয়েছে 16টি গল্প । যাদের গল্প মনে দাগ কাটে সুমিতা চৌধুরী, এম মতিন, মতিয়ার রহমান, মুসকান ডালিয়া, নাফিসা খান। 

   নদের চাঁদ হাজরা এবং রিজিয়া সুলতানার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে অনেক অজানা তথ্য সামনে এলো। সেখানে আমাদের ঘুরে আসার তৃষ্ণা বাড়িয়ে দিল।

 মুক্ত গদ্য কোথায় হারিয়ে গেল পড়তে পড়তে নস্টালজিক হয়ে পড়ছিলাম। 

বিদেশি লেখকগণের জন্য ইংরেজি ভাষায় রয়েছে 45টি কবিতা একটি আর্টিকেল ও একটি স্যাটায়ার। 

ইংরেজি পড়ে মতামত জানানোর ক্ষমতা আমার নেই। তাই ঐ দিকে হাত বাড়ানোর মিথ্যে সাহস দেখায়নি। 

তরুণ অথচ একজন বেকার সম্পাদক মহাশয় কে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই এতো বড়ো কাজের বোঝা মাথায় নেওয়ার জন্য। 

   অনেক অনেক শুভেচ্ছা নতুন সম্পাদক মহাশয় কে। সুন্দর প্রচ্ছদ ,অসাধারণ, পত্রিকাটি এ বছরের সেরা ম্যাগাজিন বলে আমার মনে হয় ।বিনা বিজ্ঞাপনে এমন সুন্দর পত্রিকা করতে সম্পাদকের কতখানি রক্ত জল হয়েছে তা অনুধাবনযোগ্য ।এখানে প্রত্যেক কবি , গল্পকার এবং প্রাবন্ধিক গণের বাসস্থানের নাম উল্লেখ করেছেন। এই পত্রিকায় এটি নতুন সংযোজন। এতে কবি সাহিত্যিকগণের বেড়ে ওঠার সীমানা সম্বন্ধে আমরা অবিহিত হতে পারি।

নবীন সম্পাদক মহাশয়ের আগামীতে আরো ভালো সংখ্যা উপহার দিবেন এই আশায় রইলাম।

পত্রিকাটি  অ্যামাজনে পাওয়া যাচ্ছে।

০৫:০৩ পিএম, ২ জুন ২০২৪ রোববার

Meditation" নয়, "Media-Attention": মানুষের চোখ খুলেছে

"Meditation" নয়, "Media-Attention": মানুষের চোখ খুলেছে
খগেন্দ্রনাথ অধিকারী

ধ্যান আর ধ্যানাচি এক নয়: একইভাবে "Meditation" আর "Media-Attention" ও এক নয়। হিটলার আর্যরক্তের পবিত্রতার দোহাই পেড়ে অগণিত ইহুদির রক্তে হাত রাঙিয়ে, নিজের পক্ষে অ-ইহুদিদের ভাবাবেগকে কাজে লাগাতে, চরম ব্যভিচারী জীবন যাত্রা তার রক্ষিতা ইভা ব্রাউনের সঙ্গে অব্যাহত রেখে হঠাৎ খুব ঈশ্বরভক্তি তথা ধর্মকর্ম করার ভান করেন। কিন্তু তাতে তাঁর, তাঁর রক্ষিতা ইভার, কিংবা গোটা নাৎসীদের রেহাই হয়নি। সোভিয়েত লাল ফৌজের হাতে তাদের বিনাশ ঘটেছে, ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে হিটলার--ইভাকে যথাক্রমে পিস্তলের গুলি ও সায়নায়েড ক্যাপসুলে আত্মহত্যা করতে হয়েছে। উগ্র মুসলিম বিদ্বেষে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর মদতদাতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হাজার হাজার নিরপরাধ প্যালেস্টাইনবাসীকে খুন করে ইহুদি ভাবাবেগকে কাজে লাগাতে এখন "জিহোভা"র দোহাই পাড়ছে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হচ্ছে না। খোদ ইসরায়েলে রাজধানী শহর জেরুশালেমে ও প্রধান বাণিজ্য শহর তেল আভিভে জেরুজালেমে ও প্রধান বাণিজ্য শহর তেল আভিভে ইহুদিরা প্যালেস্টাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে মেনে নেবার দাবী তুলে রাজপথে নেমেছে। একইভাবে মার্কিন জণগন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সে দেশের বড় বড় শহরগুলিতে উত্তাল বিক্ষোভে সরব হয়ে উঠেছেন। অর্থাৎ, মানুষের খুনে হাত রাঙিয়ে এখন ঈশ্বর ভক্তির ভেক ধরে শতচেষ্টা করেও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তার তাঁবেদার ইসরায়েল এখন হালে পানি পাচ্ছে না।
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আর তার উচ্ছিষ্টভোগী তথা ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দোসর, আমাদের দেশের বি. জে. পি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উগ্র হিন্দুত্ববাদী তথা মুসলিম ও খৃশ্চান বিদ্বেষবাদী দৃষ্টি কোণে অশোক--আকবর--দারাশিকো--বিবেকানন্দ--রবীন্দ্রনাথ--নজরুলের মাটিকে, গঙ্গা--যমুনা--গোদাবরী--সবরমতির তরঙ্গ বিধৌত ভূমিকে রক্ত সিক্ত করেছেন, দেশের ঐক্য, সংহতি ও ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে বিপন্ন করেছেন ও করছেন, সর্ব্বোপরি এই লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভাজনের রাজনীতির বিষবাষ্প ছড়িয়ে গোটা দেশে বিষাক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন।
১লা জুন হয়েছে শেষ দফার ভোট। ৩০শে মে বিকেলে হয়েছে শেষ দফার ভোটের প্রচার শেষ। তার আগেই এই ৩০ তারিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গেরুয়া বসন পরে বসেছেন কন্যাকুমারিকায় বিবেকানন্দ রকে তথাকথিত ধ্যানে অর্থাৎ Meditation-এ। আসলে এটাও ১লা জুন ভোট শেষ হবার আগের মুহুর্ত পর্যন্ত হিন্দু ভাবাবেগকে উস্কে ভোট দাতাদেরকে Media-Attention মারফৎ অর্থাৎ গণপ্রচার মাধ্যম মারফৎ প্রভাবিত করার এক সুচতুর কৌশল। শুধু তাই নয়। লক্ষণীয় যে ১লা জুন শেষ দফায় পশ্চিমবঙ্গের প্রায় এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ নয়টি আসনে ভোট হবে। এই রাজ্যেরই মানুষ ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। সুতরাং একইসঙ্গে হিন্দুভাবাবেগ ও বাঙালী ভাবাবেগকে উস্কে এই আসনগুলির ভোট দাতাদেরকে পদ্ম শিবিরের দিকে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে কন্যাকুমারিকার বিবেকানন্দ রককে ধ্যানের জায়গা হিসাবে বাছাই করা হয়েছে।
কিন্তু, পশ্চিমবাংলার মানুষ তথা সারা ভারতবর্ষের মানুষ অতো মূর্খ নন। তথাকথিত ধ্যানের নামে ধ্যানাচির চালাকি খুব ভালো তাঁরা বোঝেন। তাই বিগত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল থেকে বোঝা যায় যে ভারতের সিংহভাগ মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী হলেও, বি. জে. পি চল্লিশ শতাংশের চেয়েও অনেক অনেক কম ভোট পেয়েও সরকারে গেছে আমাদের দেশের বহুদলীয় সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে। কি বাঙালী, কি অবাঙালী নির্বিশেষে এই দেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন হিন্দুরা আর যাই হোক মানবী মাতার সন্তান: তাঁরা জয় সিয়ারামের চেলাচেলীদের মত "গো মাতার" সন্তান নন। তাই তাঁরা স্বামী বিবেকানন্দের জীবনের ইতিহাসটা জানেন। তাঁরা জানেন যে স্বামীজী ভারতমাতার সন্ধানে বেরিয়ে কাশ্মীরে ঝিলাম নদীর এক মুসলিম মাঝির কিশোরী কন্যাকে মাতৃজ্ঞানে পূজো করেছিলেন এবং সেখান থেকেই শারদীয়া মহাষ্টমী তিথিতে হয়েছিল কুমারী পূজার চল। সুতরাং স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির সামনে বিবেকানন্দ রকে বসে গেরুয়া বসন পরে ধ্যানের ধ্যানাচী করে না বাঙালী হিন্দু, না অবাঙালী হিন্দু, কোন ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুকে প্রভাবিত করা যাবে না। এই ধরনের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন হিন্দুদের সংখ্যাই এদেশে বেশী এবং তাঁরা মুসলিম--খৃশ্চান--বৌদ্ধ--জৈন সবার সঙ্গে মৈত্রীর আবেশে বসবাস করতে চান এবং বসবাস করে আসছেন। শুধুমাত্র অ বি. জে. পি ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাবেই বিগত নির্বাচনগুলিতে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যে বি. জে. পি ক্ষমতায় এসেছে ৩৫%-৪০% এর মধ্যে ভোট পেয়ে: কোথাও কোথাও তার চেয়েও কম ভোট পেয়ে।
এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই অন্য রকমের। বাম ও গণতান্ত্রিক দলগুলি নূন্যতম কর্মসূচীর ভিত্তিতে ইন্ডিয়া জোট তৈরী করেছেন ফলে অ-বি. জে. পি ভোটের বিভাজন কম হবে। তাই নরেন্দ্র মোদীদের ক্ষমতাচ্যূত হবার সম্ভাবনা প্রবল। সে কারণ Meditation -এর নামে "Media-Attention" "Draw" করে শেষ পর্বের ভোট দাতাদেরকেও প্রভাবিত করার জন্য এই ছলনার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। মনে রাখতে হবে যে বিশ্বের যে কোন ধনবাদী দেশগুলির মত আমাদের দেশেও "Media" অর্থাৎ গণমাধ্যমগুলি, যথা বেতার, দূরদর্শন, সংবাদপত্র ইত্যাদি সবগুলিই বড় বড় ধনীক গোষ্ঠীর হাতে। মোদী সরকার তো তাদেরই সেবা দাস। তারা তাদের স্বার্থেই চায় বি. জে. পি ক্ষমতায় ফিরে আসুক। তাই ধর্মীয় ভাবাবেগ সৃষ্টিকারী ফটো, অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদীর গেরুয়া বসন পরা ধ্যান মগ্ন ছবি প্রচার করে হিন্দু ভোট দাতাদের মন জয় করার কাজে গণমাধ্যমগুলি কোমর বেঁধে লেগেছে।
কিন্তু এরা মূর্খ। এরা ইতিহাসের শিক্ষাটা জানে না। নরেন্দ্র মোদীদের ভাবগুরু হিটলারের প্রচার সচিব গোয়েবেলস্‌ ছিলেন ভাণ্ডামি ও মিথ্যাচারের "সিদ্ধ (কু) পুরুষ"। তিনি বলতেন একটা মিথ্যা কথা একশবার বললে, কিংবা একটা ভণ্ডামি একশবার করলে, একশ একবারের বার মানুষ সেটাকে সত্য বলে মনে করবে। কিন্তু সেই কুখ্যাত গোয়েবলস্‌ ও বাঁচেননি, বাঁচাতে পারেননি তাঁর মহানায়ক হিটলারকে। একইভাবে আমাদের দেশের বৃহৎ ধনী পরিবারগুলির নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলিও পারবে না মোদী রাজকে অর্থাৎ বি. জে. পি শাসনকে বাঁচাতে ঐ ধ্যানের ধ্যানাচি করা ছবি দেখিয়ে।
মোট কথা, সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার গবেষণালব্ধ ফলের ভিত্তিতে একথা বলা যায় যে মানুষের আর্থ--সামাজিক--রাজনৈতিক আচরণের উপর "Media-Attention" বা গণমাধ্যমের প্রচারের একটা প্রভাব আছে। প্রভাব আছে বলেই তো গোয়েবলস্‌ এর মত শয়তান প্রচার সচিবের দৌলতে হিটলার এতখানি অক্সিজেন পেয়েছিলেন। না হলে বহু আগেই তাঁর পতন হোত। কিন্তু এটাও এর থেকে পরিষ্কার যে মিথ্যা প্রচার বা ভনিতা সাময়িকভাবে মানুষকে গণমাধ্যমের দ্বারা বিভ্রান্ত করতে পারে, কিন্তু বেশীদিন পারে না। সত্য প্রকাশ হয়ই হয় এবং তখন মানুষ ঐ অপপ্রচারকারীদের চরম দণ্ড দেয়, যেমন ঘটেছিল নাৎসী ও ফ্যাসিস্টদের কপালে। আমাদের দেশেও নরেন্দ্র মোদী ও তার চেলাদের কপালে ঐ একই জিনিষ ঘটবে--ভণ্ডামী ও ধাপ্পাবাজির মুখোষ খুলতে আর দেরী নেই, যেমন দেরী হয়নি জো-বাইডেন ও বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুদের মুখোশ খুলতে। সব ধাপ্পাবাজি ও ভণ্ডামি বুঝতে পেরে উত্তর গোলার্ধের আয়ারল্যাণ্ডসহ একাধিক দেশ প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আরও অনেক দেশ সেই পথে এগুচ্ছে।
তাই বলি, আমাদের দেশের ধর্মনিরপেক্ষ শুভবুদ্ধি সম্পন্ন "Public" আমাদের এই গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ সার্ব্বভৌম "Republic" কে জয় সীয়ারামদের রাক্ষসকূলের হাত থেকে রক্ষা করবে, আবার দিকে দিকে ভেসে উঠবে, নজরুলের সেই হৃদয় জুড়ানো গান--
"মোরা একই বৃন্তে দু'টি কুসুম হিন্দু মুসলমান,
মুসলিম তার নয়ন মণি,
হিন্দু তাহার প্রাণ।"
(লেখকের নিজস্ব মতামত)

      
লেখক পরিচিতি
অধ্যাপক খগেন্দ্রনাথ অধিকারী রাষ্ট্রীয় বিদ্যাসরস্বতী পুরস্কার ও এশিয়া প্যাসিফিক পুরস্কার সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহু পুরস্কার প্রাপ্ত একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ। ইনি কোলকাতার সাউথ সিটি (দিবা) কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
ঠিকানা-শরনিয়ার বাগান
পোষ্ট-টাকী, পিন-৭৪৩৪২৯
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

০৪:৫৯ পিএম, ২ জুন ২০২৪ রোববার

POEM - WITH LOVE AND CONCERN

WITH LOVE AND CONCERN Ashok Chakravarthy Tholana Hyderabad, Telangana State, India

In the name of caste, creed, race and religion

Clashes and conflicts are ignited for a rebellion; 

Between self-centric forces, victims are civilians

Where are we heading to, introspect, oh human!

 

Mutual trust and harmony are powerful weapons

They can keep at bay, the forces of destruction;

To fortify the bond of love and friendly relations,

Unity and understanding are the reliable options.

Let the superiority complex diminish in humans 

Let bitter thoughts replace ‘with love and concern’;

‘Peace’ is a mighty weapon to avert all conflicts,

May righteousness reign in every human thought!

 

Peace exists if we succeed to uplift the downtrodden

Peace prevails if we overcome, difference of opinion;

Know, bloodshed can never bring peace but bread can,

Even destruction cannot bring peace, but harmony can.

BRIEF BIO : During 30-year stint with poetry, Ashok’s poetry saw the light in no less than 100 countries in various literary magazines, newspapers, e-zines, journals, anthologies etc. However, for the past one decade the poet shifted his concern towards universal issues by choosing to write on Universal Peace, World Brotherhood, Environment Consciousness, Protection of Nature, Safeguarding Children’s and Human Rights, uplifting the oppressed-downtrodden etc. For his contribution towards promotion of world peace and harmonious culture, he was conferred with several prestigious national and international awards, apart from Doctor of Literature, Honoris Cause, Doctor of Letters and so on. More eminently, Ashok’s message-oriented English poems bear the unique distinction of getting translated to no less than 40 languages. In recognition of his writings, Dr. Ashok, the poet, not only received commendations from eminent personalities, such as, Dr. APJ Abdul Kalam, former-President, India, Shri Atal Behari Vajpayee, former-Prime Minister, India, Bill Clinton, USA, Queen Elizabeth of Britain, Princess of Wales, President and Prime Minister of France, Prime Minister of Switzerland, Senator Viktor Busa, The Lord President, Italy, United Nationals Organization, UNESCO, UNICEF etc.

As of now, TEN poetry books out of 18 volumes, viz., ((1) Charismata of Poesie (2) The Chariot of Musings (3) Serene Thoughts (4) Twinkles (5) Reflections (6) Altitudes (7) Outlet (8) Horizon (9)

Kaleidoscope (10) Vibrant Musings)) have been published so far, receiving wide readership acclaim across the world. This apart, 17 other books have been translated and published by Ashok from Telugu (local language) to English of which 13 books relate to spiritual subjects.

 

 

 

০৪:৪৭ পিএম, ২ জুন ২০২৪ রোববার

POEM - THE PEARL OF THE NIGHT SKY

THE PEARL OF THE NIGHT SKY 

Antonio Bernard Ma-at

 

 I'll dance again, 

With the pearl of the night sky. 

 

Even if my feet burn on the stage of oblivion 

Or my soul's ashes purge in the depths of the night. 

 

I'll dance again, 

With the pearl of the night sky. 

 

Its glorious light that sets me free, 

captivating the stars, 

the sky, 

the breeze of sea. 

 

Unknown to tongues, 

were hidden scars, 

 my body is in pain, 

 I felt insane.

 

Yet I'll still be seen dancing 

with the pearl of the night sky.

 

 

Biography :

Antonio Bernard Ma-at, affectionately known as "Your fellow dreamer," is a globally collaborative author who skillfully weaves diverse cultural influences into his literary works. His anthologies, competition entries, and the heartwarming "Mothers of the World" compilation not only celebrate personal victories but also promote community empowerment. In addition to his writing, Antonio serves as a passionate poetry lecturer and holds the esteemed role of Philippines Executive Director of World of Writers, where he mentors aspiring writers with dedication. Co-founding the New Leaf Writing Community and actively participating in initiatives like Passion of Poetry and Filipino Poets in Blossoms, Antonio helps nurture vibrant literary communities worldwide, collectively overseeing more than 156,000 members. Furthermore, as a toastmaster, artist, and musician, he brings layers of creativity to his multifaceted persona. Recognized as a Top Ten Contemporary Author, Antonio's global influence extends to spearheading a Guinness World Record project. Noteworthy accolades include being named Author of the Year at the Asia Pacific Luminaire Awards 2023 and participating as a guest at prestigious events like the Asia's Icon Golden Awards and Asia's Humanitarian Award ceremonies. Antonio's story embodies artistic dedication, cross-cultural integration, and significant impact. Currently, he contributes to the Academy of Farsala in Greece and collaborates with philosophers on the Philosophy of Spring project, further enriching his diverse portfolio of intellectual endeavors.

০৯:৪৫ পিএম, ১ জুন ২০২৪ শনিবার

POEM - THE RIGHT TO FREEDOM

THE RIGHT TO FREEDOM

MAID CORBIC

 

I'm silent

I'm hiding the truth

From the people of all

 

Empty thoughts

Brings the world

In great danger

 

I'm silent

Because that doesn't concern me

Which would not concern me

 

I'm lying

Black himself and the world

That everything is fine

 

I can do everything

Just not die yet

I'm a young man for that

 

I'm silent

I know it's my fault

Even when I'm not

 

I choose

Existence of love

Elace of war

 

Hunger

Mighty men win

The right to freedom, long live!

 

 

Biography:

Maid Corbic is from Tuzla, Bosnia and Herzegovina. He is 24 years old. In his spare time he writes poetry that repeatedly

praised as well as rewarded. He also selflessly helps others around him, and he is moderator of the World Literature Forum WLFPH (World Literature Forum Peace and Humanity) for humanity and peace in the world. He is world 44. poet in the world and five in the Balkan. He has over the 10.000 successes on Facebook and winner of many international and world poetry festivals. He writes poetry with identity of love and lust, even love with tragical ending. He also loves nature.

০৯:৩৮ পিএম, ১ জুন ২০২৪ শনিবার

আত্ম-অন্বেষণ এর পরিক্রমা

আত্ম-অন্বেষণ এর পরিক্রমা
    
তৈমুর খান 

অবেলার অস্তরাগে দাঁড়িয়ে কোনো দার্শনিক যখন তাঁর দীর্ঘ ছায়া মাপেন, তখন পেছনে ফেলে আসা তাঁর জীবনকেই দেখতে থাকেন। যে জীবন সমস্ত দিনের শেষে শুধু শূন্যতাই পেয়েছে, নিঃস্ব দুহাতে শুধু স্মৃতির ধুলোই মেখেছে। তখন অনুভব করেন:
“But there is another part of you. Your shadow self. And it has power.”
(Lexi Ryan, These Twisted Bonds)
অর্থাৎ  আপনার আরেকটি অংশ আছে। তা নিজের ছায়া নিজেই এবং এর শক্তিও আছে।
রোমান্স ও ফ্যান্টাসি জগতের সমসাময়িক বিখ্যাত লেখিকা লেক্সি রায়ানের এই উপলব্ধিতে সেই দ্বিতীয় সত্তাটিরই সন্ধান পেলাম অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়ের সম্প্রতি প্রকাশিত ‘অবেলার অস্তরাগে’(কলকাতা বইমেলা ২০২৪) কাব্যগ্রন্থে।  
        মোট ৫৭ টি কবিতা নিয়ে কবিজীবনের অস্তরাগে প্রতিফলিত হয়েছে এই ছায়াময় দ্বিতীয় সত্তার সংলাপ।এখানে অন্তঃস্থল জুড়ে দহনজ্বালা নিয়ে দাঁড়ানো কোনো দার্শনিক পুরুষকে গোধূলি রঙে রঙিন হতে দেখি। জীবন নিয়ে ভাবতে ভাবতে জীবনের প্রান্তে নিষ্কলক দৃষ্টিতে সেই শূন্যতাকেই তিনি নিরীক্ষণ করেছেন। থাকা না-থাকার ভাবনা থেকেই ঢেউ-এর ক্রম উত্থানকে জীবনবাদের সঙ্গে তুলনা করে জন্মান্তরের দিকে অগ্রসর হতে চেয়েছেন। সমগ্র কবিচেতনাতেই সেই সীমাহীন অন্বেষণ লক্ষ করা যায়:
“একটা সীমানাবিহীন ভূমিখণ্ড
ও প্রসারিত আকাশের জন্য
নিরন্তর অন্বেষণে পথ হেঁটে চলেছি”
জীবন যে পথহাঁটা The travelling of life তা বলাই বাহুল্য। এই পথহাঁটা জন্মান্তরের ভেতর দিয়ে বহুরূপে আবির্ভূত হওয়া এ-কথা প্রায় সব কবির বোধেই ধরা পড়েছে। জীবনানন্দ দাশ এই কারণেই লিখেছিলেন “হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে”।এই পথহাঁটার মধ্যেই জীবনের বিস্তার ও প্রবাহ অনন্ত হয়ে ওঠে। মানবজন্মে না হলেও তা ভিন্নরূপে ভিন্ন প্রকৃতিতে বিস্তৃতি পেয়েছে। কবির এই সর্বব্যাপী বোধের ছায়া পড়েছে কবিতাগুলিতে। বেহুলানদীর মতো একলা জীবনের খণ্ডচেতনা থেকে নিষ্পত্র বৃক্ষ হয়ে ওঠার মধ্যেও এর চলন অনুভব করেছেন। প্রকৃতির দৃশ্যময় চিত্রকল্পেও এর নৈঃশব্দ্যযাপন নির্ণয় করেছেন:
“বিষণ্ণ পাতার মতো গড়িয়ে যাওয়া জীবন
গ্রীষ্ম হাওয়ায় উড়ে যাওয়া মেঘ
সম্পর্কহীন দূরে কোথাও….
বা আঁকাবাঁকা পথের মতো হারিয়ে যাওয়া
গহীন অন্ধকারের কোনো অরণ্যভূমির ভেতর
চারিদিক জুড়ে শুধুই নৈঃশব্দ্য….”
এই নৈঃশব্দ্যই সত্তার অভিরূপ যা প্রজ্ঞানের গভীরে অবস্থিত। এইখান থেকেই অন্তরের আবহমান সৃজন প্রবাহ। ঘুম ও জাগরণ, উত্থান ও সুষুপ্তির ক্রিয়াগুলি সন্নিবিষ্ট হয়েছে। তাই জীবন জুড়ে এখনো সজীব স্মৃতিদাগ বহন করে চলেছেন। নিসর্গ ভাষার সম্মোহনে ডুবে যাওয়া অচিনপুরের শূন্যভুমিতে পৌঁছে যাওয়া সবই আত্মপথের পরিক্রমা। ক্লান্তিহীন এই পরিক্রমাকেই চিহ্নিত করে কবি লিখেছেন:
“এইভাবে দশকের পর দশকের
পথ ভেঙে ভেঙে যেন শূন্যভূমি হয়ে যাওয়া”
তখন দার্শনিক বোধের তীব্রতাও মর্মকে আলোড়িত করেছে। বেঁচে থাকাও তখন ক্লিশে মনে হয়েছে। অন্তর্গত বিষাদ পার্থিব জীবনের অন্তরায় এনে দিয়েছে। তখন কবি লিখেছেন:
“অবেলার অস্তরাগ
চমকিত হয়ে ওঠে অন্তকাল”
কবি যেন জীবনসন্ধির প্রাজ্ঞমুহূর্তে উপস্থিত হয়েছেন। তাই মনের মধ্যে যেমন দ্বান্দ্বিক পর্যায়ের উত্থান ঘটেছে, তেমনি অবচেতনের সংশয় ক্লিষ্ট পীড়নও শুরু হয়েছে।সেই কারণেই কবিতাগুলি বহুমুখী জীবন প্রবাহের স্ফুরণ হয়ে উঠেছে।
কবির এই পরিক্রমায় পৌরাণিক ভূমিও সামিল হয়েছে। গান্ধারীর সত্যভেদ, অহল্যা সময়ের জাগরণ সবকিছুই সত্তার নবরূপায়ণ। তেমনি বরাক উপত্যকায় ভাষা আন্দোলনের শহিদ বিপ্লবী কমলা ভট্টাচার্যের আত্মদানও ইতিহাসের কণ্ঠস্বর হয়ে অনন্তগামিতায় সম্মোহনের দরজা খুলে দিয়েছে। তাই কাব্যটি ব্যক্তিচেতনা  থেকে পুরাণচেতনা, সময়চেতনা থেকে ইতিহাস চেতনার সামগ্রিক পর্যায়কে
ধারণ করেছে। কবি সবকিছুর মাঝেই এক দার্শনিক পর্যটক হয়ে চেতনালোকের সীমানায় আত্ম-অন্বেষণ এর পরিক্রমা করেছেন।

#
অবেলার অস্তরাগে :অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, প্রচ্ছদ: তৃণা চৌধুরী, প্লাসেন্টা পাবলিকেশন, বগুলা কলেজ পাড়া,নদীয়া-৭৪১৫০২,মূল্য ১৬০ টাকা।

১২:৩৬ পিএম, ১ জুন ২০২৪ শনিবার

Poem - A Precious Man

 

A Precious Man

Eva Petropoulou Lianoy 

Greece 

 

The nights and the days come and go without a smile

The days are so big without a smile

The nights are a waiting for a call or a message

It is so expensive this time away from your eyes.

You are my precious pearl..

A diamond hide in the mud..

Waiting the time to hug you and kiss you.

You are my treasure hidden from the sun

Waiting the day I meet you again..

Waiting your look..

Waiting your lips..

You are my precious pearl hidden in the oyster deep in the sea.

You are my precious man. 

 

 

০৬:৪৮ এএম, ১ জুন ২০২৪ শনিবার

POEM - SHELLS OF DISPERSION

SHELLS OF DISPERSION 

TAGHRID BOU MERHI

 

In my forgotten bag,

I stored my choked voice,

and there is a dream that carries the secret of inspiration.

 

I imagined you in the mirrors as you roam the horizon,

 

Searching for the warmth of voices, for a bird and its echo,

 

And a heartbeat untouched by obscurity.

 

The burning hole in our depths receives sustenance from the crevice of the unseen,

 

Mixed with tears, soaked in pain.

 

You crouch like a stricken one in secret,

 

Slipping between the shells of dispersion to spill into the saltiness of groans.

 

And between the embrace of silence and the dark times,

 

You stand staring,

Collapsing on the paths of bewilderment like a storm toyed with by the wind.

 

© TAGHRID BOU MERHI - LEBANON - BRASIL

 

 

SHORT BIOGRAPHY:

 

TAGHRID BOU MERHI is a Lebanese residing in Brazil, a poet, writer, journalist, and translator. She teaches Arabic language to non-native speakers, holds a degree in law and political science, editor and head of the translation department at various literary newspapers and magazines. Taghrid is responsible for translation in the "Translators Without Borders" team, development trainer at the Sawa Association for Development. Advising on literary translation for the Literary Forum of the Levant and the World Union of Arab Intellectuals. Advisor for literary translation affairs at the Forum of Levantine Writers( Al-Cham). She is a global advisor for poetry on CCTV Chinese TV and an ambassador for the International Organization for Creativity for Peace in London. Taghrid is also Lebanon's ambassador for the International Fellowship for Creativity and Humanities in the UK and for the World Union of Writers and Artists in Portugal. Ambassador for the World Organization for Creativity for Peace in London. Lebanese ambassador in the International Fellowship for Humanitarian Sciences and Creativity, England-London. She is Lebanon's ambassador to the International Cultural Salon Association in Tunisia. Additionally, she serves as the ambassador of Brazil to the American magazine P.L.O.T.S. Taghrid she is member of the prestigious platform of the United Nations World Writers Union WWWU Kazakhstan and ambassador to The Daily Global Nation, Bangladesh. Accredited ambassador to the globally leading Stockholm Project 2023 for poets.

Accredited ambassador to Mirror of Life magazine and Creative Minds magazine.

Accredited ambassador and representative to the Internacional Literary Association Creative Tribune (ILACT) of the German Writers' Union Branch NA, in Brasil. She is an honorary member of the prestigious international organization Angeena.She was named among 50 women memorable North American who left an impact on the history of modern literature.

She writes short stories, poetry, prose, articles(56 articles to date), essays, children stories, diaries, journals, flash fiction and critical studies.

She is proficient in Arabic, Spanish, Portuguese, French, Italian, and English. She wrote an introduction to 25 books Arabic and internacional. The literary and poetic works of poet Taghrid Bou Merhi have been translated into 48 languages.

She has authored 18 books and three encyclopedias, a translator of 28 books to date,and she participated in more than 60 Arabic books and more than 75 anthology internacional. She has received numerous international awards, including the Nizar Sartawi International Creativity Award in 2021, Naji Numan Award in literature in 2023, and the SahityaPata Kazi Nazrul Islam Memorial Award in 2022. Taghrid has been honored for her journalistic excellence and has won primer place prize such as the "Zheng Nian Cup" 2023. International Peace Medal Award, Peace Award, certificate for Hyperpoem Book (a poetry book publishing 2000 poets) , and an honorary prize from the Global Poetic Brotherhood in Texas, USA, for translating global poetry into Arabic, French, and Italian.

Taghrid has been honored with the International Poet Zhen Xin Award for 2022 and 2023, and was honored with the "World Leaders Award" among 140 global personalities by WORLD GALA, and SAHITO INTERNACIONAL AWARD FOR LITERATURE "WINNERS OF JURY AWARD FOR LITERATURE 2023". She received the Journalistic Excellence Shield from the Nile and Euphrates Paper Magazine in 2022 and 2023. Taghrid has also been recognized with honorary certificates as a journalist from Mubadara Magazine, Mirror of International Life Agency, and Innovators Magazine.International literature award 2024, Dr. Manuel Equihua Estrella. Annual Peace Prize 2024 Dr. Juan Carlos Martinez Chuecas... and more. Her writings are part of several national and international magazines, newspapers, journals and anthologies.

০৪:৫৫ পিএম, ৩১ মে ২০২৪ শুক্রবার

Poem - Higher Flight of Mine in the World

Higher Flight of Mine in the World

Til Kumari Sharma 

 

Being the human race identifies 

Me  in myself as the female artist in the earth,

Makes the huge status of my art,

 Dances with spiritual flight,

 Takes journey on the earth.

 My bosom of words saves me a lot.

 My shining hand is higher to type poem with insanity.

 The conscious insanity

 Is my jewel

 My constant waking is to live morally.

 My  time is spent in writing with myself.

 The constructive volcano rules my heart 

The movement of the earth from civilized land is praiseworthy.

The flight of moral wings is to furnish new world.

 

 

 

© Til Kumari Sharma

 Parbat, Paiyun 7- Hile, Nepal

 

 

Biography: 

Ms. Til Kumari Sharma  as  Multi Award Winner in writing  from international  literary branch is  from  Bhorle- Hile, Paiyun 7, Parbat, Gandaki, West Nepal.  Her parents are Mr. Hari Prasad Basel / Bashyal Sharma ( Mayor of Village Assembly) and Mrs. Lila Devi  Bhusal/Bashyal. Til is known as Pushpa too as youngest daughter. She  has published many  thousands of poems, some essays, and stories and other  literary writings in  International  magazines, groups and anthologies from ( amazon)  Russia, America, England, France, Germany, Iran, Japan, Kosovo, Algeria, Korea, Argentina, Lebanon, Hong Kong, Greece, Philippines, Hungary,  Brazil,  Chile,  Scotland, Indonesia, Egypt, Serbia, Tajikistan,  Bangladesh, South Africa, Kenya,  Nigeria, North Africa, Trinidad and Tobago, Spain, Sweden, India, Nepal and many  other  countries. She is featured-poet  and best-selling  co-author too. She is world-renowned  poet  now. She has got gold, silver and excellent awards from different international groups of poetry.  She is poet of World Record Book named HYPERPOEM. She is an international peace ambassador of Bangladesh and ambassador of Moncheri Escapes of India too.  Her real painting is made by Ukeme Udo from Nigeria.Her World Personality is published in Multi art 8  & 12 magazine from Argentina, Mexico

, Lebanon and so on.

 

 

 

০৪:৪৩ পিএম, ৩১ মে ২০২৪ শুক্রবার

Poem - Sunlit and Moonlit Whispers

Sunlit and Moonlit Whispers

Dr. Omatee Ann Marie Hansraj

 

In daylight's warm embrace, I drift away,

To where dreams and fantasies hold sway,

Where golden rays paint visions in my mind,

And all my wildest hopes I freely find.

 

Through fields of endless possibilities,

I wander, carried on the summer breeze,

With every step, new wonders come to light,

In daytime dreams, the world is pure delight.

 

But as the sun sinks low and stars arise,

A different magic fills the twilight skies,

For in the night, love softly glows,

In whispered words, a secret language flows.

 

Beneath the silver moon, our hearts bond,

In tender moments, sacred and divine,

With every touch, a promise to fulfill,

In night’s embrace, our love is deep and still.

 

So let the day be filled with dreams so grand,

And night be where our souls together stand,

In every hour, a different kind of bliss,

Daytime dreaming, nighttime loving’s kiss.

 

Omatee Ann Marie Hansraj 

Annmariewrites.com 

Copyright 2024

 

 

 

Biography 

Dr. Omatee Ann Marie Hansraj: A Multifaceted Luminary from Trinidad and Tobago

 

 

Nestled in the vibrant tapestry of the Caribbean, the island of Trinidad and Tobago is home to a remarkable individual whose contributions transcend the realms of literature, education, and humanitarian work. Dr. Omatee Ann Marie Hansraj, the founder of Wordsmith International Editorial, is an embodiment of passion, versatility, and profound wisdom. Her journey, marked by an unwavering commitment to excellence and a heart brimming with compassion, has left an indelible mark on countless lives worldwide.

 

 

A Scholar and Educator

 

 

Dr. Hansraj's extensive educational background is a testament to her dedication to lifelong learning and intellectual growth. With a solid foundation in diverse disciplines, she has seamlessly transitioned from the classroom to the lecture hall, imparting knowledge and inspiring students at various levels. Her tenure as a teacher and university lecturer has not only honed her pedagogical skills but also provided her with a deep understanding of the nuances of human development and learning.

 

 

Literary Brilliance and Record-Breaking Achievements

 

 

As an author, poet, and journalist, Dr. Hansraj has crafted a rich tapestry of narratives that resonate with readers across the globe. With an impressive portfolio of 56 books and 32 magazines, available in both paperback and eBook formats on Amazon.com and other online bookstores, her literary works are a reflection of her vast experiences and insightful observations. In a remarkable feat, she holds the world record for publishing the most books in a single year, a testament to her unparalleled productivity and creativity. 

 

 

Her literary excellence has earned her numerous accolades, including the prestigious Novelist of the Year award and recognition as one of the top 100 poets globally. These honors, along with various other awards she has received on multiple platforms worldwide, underscore her significant contributions to the world of literature.

 

 

 The Visionary Behind Wordsmith International Editorial

 

 

Through Wordsmith International Editorial, Dr. Hansraj has created a platform that champions literary excellence and nurtures budding writers. Her vision for this initiative is to cultivate a space where words transcend the page, sparking conversations and inspiring change. Her editorial prowess ensures that each publication is a masterpiece, meticulously curated to engage and enlighten.

 

 

A Humble Humanitarian

 

 

Beyond her literary and educational pursuits, Dr. Hansraj is a dedicated humanitarian. Her work as an International Humanitarian Consultant underscores her commitment to making a tangible difference in the world. Whether through community outreach, advocacy, or strategic consultancy, she leverages her expertise to address pressing global issues, fostering hope and resilience among those she serves.

 

 

 Inspirational and Adaptable

 

 

Dr. Hansraj's ability to motivate and inspire is unparalleled. Her writings and speeches are not just words but catalysts for change, encouraging individuals to navigate life's challenges with grace and determination. Her adaptability to different situations and her pragmatic approach to problem-solving make her a beacon of hope for many.

 

 

 A Multifaceted Luminary

 

 

Dr. Omatee Ann Marie Hansraj's journey is a testament to the power of resilience, intellect, and compassion. From her roots in Trinidad and Tobago to her global impact, she embodies the spirit of a true luminary. Her multifaceted career, spanning education, literature, business, and humanitarian work, is a source of inspiration for many. In every role she undertakes, she brings a unique blend of humility, vibrancy, and care, making her a cherished figure in the hearts of those who have had the privilege of encountering her work.

 

 

In a world that often seeks simplicity in specialization, Dr. Hansraj stands out as a paragon of versatility and dedication. Her life and work remind us that with passion, perseverance, and a genuine desire to make a difference, one can indeed touch the world in myriad meaningful ways.

০৬:৩৪ এএম, ৩১ মে ২০২৪ শুক্রবার

Poem - The evening lit up in purple

The evening lit up in purple

Raisa Melnikova

 

The evening turned purple.

The day will pass inexorably.

The arch of the sky in the stars is impeccable.

Moon is assigned a ballot.

On the tower, counting time,

The clock hands are flashing.

And an echo from the tram

Delivers a message from the past.

Peace surrounds the surroundings.

My city is getting ready to sleep.

I catch time with a net,

Trying to curb the arrows.

Words playing with a melody

Striving to find meaning

The grass in the garden is flooded

From phrases packed in handfuls.

And the rhythms turn into songs,

They find shelter in heaven.

But arrows are the messenger of the future...

The clock on the tower is striking dawn.

 

 Biography:

Raisa Melnikova is a poet, prose writer, publicist, and translator. She lives in Lithuania, in Vilnius. She is an author of 33 books. Poems and prose were published in more than a hundred almanacs around the world and translated into other languages. He is a member of international writers' unions, secretary and vice-president of MLATT/ILACT. Academician MARLEY. Laureate of twelve International competitions and festivals. She was awarded many medals and insignia for her literary activities.

 

 

 

 

 

১০:০৪ পিএম, ৩০ মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার

POEM - DEEP!

POEM - DEEP!

Amb. Emmanuel Azenda 

 

No one live longer than the world 

 

She was there before any living personage

 

She run across the demeanor of man and 

animal for centuries 

 

She knows every spot of luminosity, dimness

and confidentials that are not recorded in our 

Non-fictionals 

 

She's a book and the cover title is; 'the 

universe'

 

Terra firma is part of her and as well the supporter 

of all that exist within her 

 

For it is written man must till to live to overcome

the state of been still 

 

Grain, herbs and all greens are rooted within Terra firma,

to abund for feed and cure 

 

Both flora and fauna can't do without the Adam's ale,

For it is significant and as well one of her component

 

It is not an awe that only the attentive ear listen to her

when she whispered

 

Therefore;

 

When chronicles are said in chronological,

The attentive mind understandeth well

 

And when questions are left unanswered,

the WHY(s) are mostly, possibly probability.

 

©® Amb. Emmanuel Azenda 

Founder/Executive President:

Poetry Education Academy, Nigeria.

 

 

About the Author: 

Emmanuel Azenda, Holds a National Diploma in Urban and Regional Planning (URP) at Adamawa State Polytechnic Yola, Nigerian, College of Environmental Science. He's currently studying in National Open University of Nigeria, NOUN. He is a Member of the Poetry club of the American University of Nigeria (AUN.) Served as the guest poet on the world poetry day 2018/2019 (AUN.) He is a Formal Music Director at St Monica Catholic Church Police Chaplaincy Yola, Adamawa State, Nigeria. Authored ' Light at the end of the tunnel,' (Live on amazon,) and 'Poetry wisdom in bundles' to be published soon . He is a writer and a Poet as well. He has written many poems and participated in multiple literary groups’ world- wide in the community of Face book. He has received many certificates of award, excellence, honor and recognition from the various groups. Some of which are; 

 

 

1. Award of Diploma III, (World Nation's Writers Union.) 

 

2. GrandPrize award ,(certificate of contribution in the world biggest anthology (1000 poets.) (League of poets, Nigeria.) 

 

3. Winning Entry in the anthology; " The Bowl of Peace." 

 

4. -Winning Entry in the Quarterly Magazine; " Nakshatra." 

 

5. -Winning entry in the Poetic Excellence; " Creativity Our Hallmark." By, (Dr. K.K Mathew.) 

 

6. -Most Distinguished Contributions To International Literature, By Literary Greetings in Soul. (Argentina.) 

 

7. -Condor de Oro' 2019 By Capriso de la pluma (Spain.) 

 

8. -Certificate of Excellence By United by Ink Malaysia.) 

 

9. -Honorary Member: World International Economic Group. Founder; H.E Prof. Dato Datu' Fadli (Malaysia.) 

 

10. -New World History Makers of English Poetry ( Ethiopia.) 

 

11. -Top Ten Contributor, Golden Ink (India.) 

 

12. -Certificate of commitment By the World Health Organization (WHO.) 

 

13. -Certificate of Achievement by the International Art and Literary Review (U.S.) 

 

14. -Award of Honour by the Global Academy For Human Excellence (Philippines.) 

 

15. -National Coordinator Nigeria by, Union Mundial de poetas por la paz y la libertand (Cuba.) 

 

16. -Social Soldier Award/Social Activist by, National Human Right Organization NHRO (India.) 

 

17. -Corona Warriors Honour by, Ansari Vikas Charitable Trust (India.) 

 

18. -Corona Warriors Award by, Pragati Bangla (India.) 

 

He is a Founder / Executive /Executive president; Poetry Education Academy, and is known as 

Amb. Emmanuel Azenda is currently working as an ASSOCIATE EDITOR at WRITERLY.

০১:২১ পিএম, ২৮ মে ২০২৪ মঙ্গলবার

Poem - This is not fair!!!

This is not fair!!!
S Afrose
Bangladesh

When anyone tries to break the barrier
Of your dearest life,
This is not fair.


When anyone wants
To snatch your dreamy life,
This is not fair.

When anyone says
I will be your supportive peer,
Need to think throughly and make it clear.

When anyone fails
To judge your decision
Your bluish tears,
This is not fair.

You have to make it clear
Nobody is allowed to interfere
With your dearest life's peers,

Is that clear?
No?
Then will say again-
This is not fair.


©️ S Afrose, Bangladesh

০৯:০৯ পিএম, ২৭ মে ২০২৪ সোমবার

কাজী নজরুল ইসলাম: এক আধারে অনেককিছু 

কাজী নজরুল ইসলাম: এক আধারে অনেককিছু 

মজিবুর রহমান, প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল 

কাবিলপুর, মুর্শিদাবাদ, 

 

    কাজী নজরুল ইসলাম (২৪.৫.১৮৯৯-২৯.৮.১৯৭৬/১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬-১২ই ভাদ্র, ১৩৮৩) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক বিরল ব্যক্তিত্ব। অন্যান্য সাহিত্যিকদের থেকে তাঁর জীবন কাহিনী অনেকটাই আলাদা। তাই তাঁকে কেন্দ্র করে আমাদের অর্থাৎ বাঙালিদের মধ্যে একটা ভিন্ন মাত্রার আবেগ, উচ্ছ্বাস ও ভালোবাসা লক্ষ্য করা যায়। তাঁর সৃজনশীল সৃষ্টিকর্ম ও সামগ্ৰিক জীবনযাত্রা নিয়ে আলোচনা করতে আমরা আগ্রহবোধ করি। আমাদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির ধারাবাহিকতায় তাঁর ভাবনার প্রাসঙ্গিকতা প্রতিটি মুহূর্তে অনুভূত হয়। এবছর (২০২৪/১৪৩১) তাঁর জন্মের ১২৫তম বর্ষপূর্তি। এই বিশেষ বর্ষে বাঙালির সাংস্কৃতিক মনন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাঁকে স্মরণ করছে। 

     ১৯০৮ সালে মাত্র নয় বছর বয়সে নজরুল পিতৃহীন হন।অভাবের সংসারে তখন থেকেই তিনি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন। পড়াশোনা ও অর্থোপার্জনের পথ নিজেই খোঁজার চেষ্টা করেন।দশ বছর বয়সে মক্তব তথা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষ করেই কার্যত শিশু শ্রমিকে পরিণত হন।দু'পয়সা রোজগার করার মসজিদের মোয়াজ্জিন ও কবরের সেবকের কাজ নেন। এরপর রাঢ় বাংলার কবিতা, গান ও নৃত্যের মিশ্র আঙ্গিক লোকনাট্য লেটো দলে গায়ক, পালাকার ও অভিনেতা হিসেবে যোগ দেন। আসলে তখন থেকেই তাঁর বোহেমিয়ান জীবনের সূত্রপাত। একদিকে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, অন্যদিকে দু'মুঠো অন্নের জন্য এখানে ওখানে কায়িক শ্রম করছেন।

      নজরুল ইসলাম ১৯১০ সালে প্রথমে রাণীগঞ্জ সিয়ারসোল রাজস্কুল ও পরে মাথরুন নবীনচন্দ্র ইনস্টিটিউটশনে ভর্তি হন। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে পড়াশোনা ছেড়ে অন্ডাল স্টেশনের এক গার্ডের বাড়িতে পরিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর আসানসোলে এক চা-রুটির দোকানে কাজ নেন। ১৯১৪ সালে পুলিশ আধিকারিক রফিজউল্লাহ নজরুলকে ময়মনসিংহ জেলায় নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং দরিরামপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি করে দেন। কিন্তু পরের বছর কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি বর্ধমানে ফিরে আসেন এবং প্রথমে অ্যালবার্ট ইন্সটিটিউশন ও পরে পুনরায় রাণীগঞ্জ সিয়ারসোল রাজস্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হন।দশম শ্রেণীর 'ফার্স্ট বয়' হওয়া সত্ত্বেও ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা না দিয়ে ১৯১৭ সালের শেষের দিকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। প্রথমে কলকাতা ফোর্ট উইলিয়ামে, পরে সীমান্ত প্রদেশের নৌশেরায় এবং শেষে করাচি সেনানিবাসে ১৯২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সৈনিক জীবন অতিবাহিত করেন। এই আড়াই বছরে তিনি ৪৯ বেঙ্গলি রেজিমেন্টের একজন সাধারণ সৈনিক থেকে ব্যাটেলিয়ান কোয়ার্টার মাস্টার হাবিলদার পদে উন্নীত হন। 

    করাচি সেনানিবাসে নজরুলের সাহিত্য ও সঙ্গীত চর্চা অব্যাহত ছিল। তিনি সেখান থেকে ডাকযোগে কলকাতার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা পাঠাতেন। ছাপার অক্ষরে তাঁর প্রথম প্রকাশিত রচনা 'বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী'। এটি একটি গল্প যা 'সওগাত' পত্রিকায় ১৯১৯ সালে প্রকাশিত হয়। একই বছরে কবিতা 'মুক্তি' এবং প্রবন্ধ 'তুর্ক মহিলার ঘোমটা খোলা' প্রকাশিত হয় যথাক্রমে 'বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা' ও 'সওগাত'-এ।

     সৈনিক জীবন শেষে ১৯২০ সালের এপ্রিলে কলকাতায় এসে নজরুল সাহিত্যকর্মকেই ধ্যানজ্ঞান করেন। ১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে রচিত ও '২২ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত কবিতা 'বিদ্রোহী' বাইশ বছরের যুবক নজরুলকে খ্যাতি ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। তিনি বাংলা সাহিত্যে 'বিদ্রোহী কবি' হিসেবে পরিচিত হন। 'বিদ্রোহী'র মতো আলোড়ন সৃষ্টিকারী কবিতা সমগ্র বিশ্ব সাহিত্যেই বিরল। তাঁর প্রকাশিত প্রথম গ্ৰন্থ প্রবন্ধ সংকলন 'যুগবাণী'(১৯২২) আর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'অগ্নি-বীণা'(১৯২২)। তিনি তেইশ বছরের (১৯১৯-১৯৪২) সাহিত্য জীবনে লেখেন ২১টি কাব্যগ্রন্থ, ১৪টি সঙ্গীতগ্ৰন্থ, ৫টি প্রবন্ধগ্ৰন্থ, ৩টি করে কাব্যানুবাদ, উপন্যাস, গল্পগ্ৰন্থ ও নাটক এবং ২টি করে কিশোরকাব্য ও কিশোর নাটিকা। তিনি অন্তত চারটি পত্রিকা সম্পাদনা বা পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রথম প্রকাশের সময়কাল অনুযায়ী পত্রিকাগুলো হল: ১.নবযুগ- জুলাই ১৯২০, ২.ধূমকেতু- আগস্ট ১৯২২, ৩.লাঙল- ডিসেম্বর ১৯২৫ ও ৪.গণবাণী- আগস্ট ১৯২৬।

        নজরুলের সাহিত্য সাধনার বেশিরভাগ সময় ব্যয় হয়েছে সঙ্গীত রচনায়। এর পেছনে তাঁর সঙ্গীতপ্রেম ছাড়াও একটা আর্থিক কারণ ছিল। পত্রপত্রিকায় কবিতা বা বিভিন্ন ধরনের গদ্য লিখে সে সময় সেভাবে দক্ষিণা পাওয়া যেত না। অথচ আয়ের অন্য কোনো উৎস না থাকায় লেখালেখি করেই তাঁকে সংসার প্রতিপালন করার কথা ভাবতে হয়েছে। এজন্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীত-শিক্ষক হিসেবে অর্থোপার্জন করার জন্য তিনি গ্ৰামোফোন কোম্পানি এবং কলকাতা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হন। একই কারণে মঞ্চ ও চলচিত্র জগতের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।বাংলা গানের সম্ভারকে যথেষ্ট পরিমাণে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে নজরুলগীতির অনেক অবদান রয়েছে।

       নজরুল ইসলাম যেমন সৈনিক থেকে সাহিত্যিক হয়েছেন তেমনি বাংলা ভাষার একমাত্র সাহিত্যিক হিসেবে রাজদ্রোহিতার অভিযোগে কারাদণ্ড ভোগ করেছেন। তাঁর অর্ধসাপ্তাহিক পত্রিকা ধূমকেতু কার্যত সশস্ত্র বিপ্লবীদের মুখপাত্র হয়ে উঠেছিল। স্বভাবতই ব্রিটিশ প্রশাসন বিষয়টি ভালো চোখে দেখেনি। ১৯২২-এর সেপ্টেম্বর মাসের একটি সংখ্যায় তাঁর রচনা 'আনন্দময়ীর আগমনে' প্রকাশিত হয়। এটি একটি রাজনৈতিক কবিতা যা ব্রিটিশ শাসনের অনাচার অত্যাচারের বিরুদ্ধে লেখা হয়।এর প্রতিক্রিয়ায় ২৩শে নভেম্বর কুমিল্লা থেকে তাঁকে গ্ৰেফতার করে কলকাতায় আনা হয়। তিনি বিচারাধীন বন্দী হিসেবে ১৯২৩-এর ৭ই জানুয়ারি আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে এক অসাধারণ বক্তব্য পেশ করেন যা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ 'রাজবন্দীর জবানবন্দী' নামে পরিচিত। অনেক কথার মাঝে তিনি বলেন,"... আমি কবি, আমি অপ্রকাশ সত্যকে প্রকাশ জন্য, অমূর্ত সৃষ্টিকে মূর্তিদানের জন্য ভগবান কর্তৃক প্রেরিত।কবির কণ্ঠে ভগবান সাড়া দেন, আমার বাণী সত্যের প্রকাশিকা ভগবানের বাণী। সে বাণী রাজবিচারে রাজদ্রোহী হতে পারে, কিন্তু ন্যায়বিচারে সে বাণী ন্যায়দ্রোহী নয়, সত্যাদ্রোহী নয়।সত্যের প্রকাশ নিরুদ্ধ হবে না। আমার হাতের ধূমকেতু এবার ভগবানের হাতের অগ্নি-মশাল হয়ে অন্যায় অত্যাচার দগ্ধ করবে...।" ১৬ই জানুয়ারি প্রকাশিত বিচারের রায়ে নজরুলের এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। প্রেসিডেন্সি জেল, আলিপুর সেন্ট্রাল জেল, হুগলি জেল ও বহরমপুর জেলে বন্দী জীবন কাটিয়ে ১৯২৩ সালের ১৫ই ডিসেম্বর মুক্তি পান। এই পর্বে নোবেলজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি সহৃদয় ও স্নেহপূর্ণ আচরণ করতে দেখা যায়। রবীন্দ্রনাথ নজরুলের আবেদনে সাড়া দিয়ে ধূমকেতু পত্রিকার জন্য একটি আন্তরিক আশীর্বাণী পাঠান,"কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু- আয় চলে আয়রে ধূমকেতু/আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু, দুর্দিনের এই দুর্গশিরে/উড়িয়ে দে তোর বিজয়কেতন।" ১৯২৩ সালের ২২শে জানুয়ারি নজরুল যখন আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে রয়েছেন তখন রবীন্দ্রনাথ তাঁর 'বসন্ত' গীতিনাট্যটি তাঁকে উৎসর্গ করেন। সাহিত্যিক পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় রবিঠাকুরের দস্তখত সম্বলিত বইটির একটি কপি নজরুলের কাছে পৌঁছে দেন। নজরুল হুগলি জেলে থাকাকালীন ইংরেজ জেল-সুপারের দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। নজরুলের স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কায় রবীন্দ্রনাথ টেলিগ্ৰাম করেন, "Give up hunger strike, our literature claims you." (অনশন ভঙ্গ কর, তোমাকে আমাদের সাহিত্যের প্রয়োজন রয়েছে।) টেলিগ্ৰামটি অবশ্য নজরুলের কাছে পৌঁছায়নি কারণ সেটা পাঠানো হয়েছিল প্রেসিডেন্সি জেলের ঠিকানায়। ২২শে মে মাতৃসমা বিরজাসুন্দরী দেবীর হাতে লেবুর রস পান করে নজরুল চল্লিশ দিনের অনশন ভঙ্গ করেন।

       নজরুল ইসলাম যেমন বিদ্রোহী কবি তেমনি সাম্যবাদী কবি। তাঁর বিদ্রোহ বা বিরোধিতা ছিল সকল প্রকার অসাম্য ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে। তিনি সরাসরি বলেছেন, "গাহি সাম্যের গান-/যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা ব্যবধান।" নারী ও পুরুষের মধ্যে সাম্য বা সমানাধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হয়েছেন। অত্যন্ত স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, "সাম্যের গান গাই-/আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই।/বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।" আসলে সাহিত্যকে তিনি সমাজ সংস্কারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। সেজন্য প্রায় শতবর্ষ আগে লেখা কথাগুলো আজও বারবার উদ্ধৃত হয়ে থাকে। সেগুলো কখনও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে না। এর দ্বারা অবশ্য তিনি নিজেকেই মিথ্যা প্রমাণ করেছেন; তিনি কেবল 'হুজুগের কবি' ছিলেন না। তিনি একজন কালোত্তীর্ণ কবি। তাঁর লেখার একটা চিরকালীন আবেদন রয়েছে।

     নজরুল ইসলাম ব্রিটিশ শাসিত বাংলায় হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে তুলতে আন্তরিক প্রয়াস গ্ৰহণ করেন। তিনি হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে মিল, ঐক্য ও নৈকট্য বোঝাতে যে উপমা ব্যবহার করেছেন তার কোনো তুলনা হয় না, "মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মোসলমান।মুসলিম তার নয়নমণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।" তিনি যেকোনো ধর্মীয় গোঁড়ামির তীব্র বিরোধী ছিলেন। এজন্য মোল্লা-পুরুতদের একদম পছন্দ করতেন না।তিনি সমান দক্ষতার সঙ্গে ইসলামী গান গজলের পাশাপাশি সনাতনী গান শ্যামাসঙ্গীত রচনা করেছেন। তাঁর সঙ্গীতে ঈশ্বর-আল্লার বন্দনা মানব বন্দনায় রূপান্তরিত হয়েছে। তিনি সবসময় মনুষ্যত্বের জয়গান গেয়েছেন।বারবার বলার চেষ্টা করেছেন, "মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান।" তিনি বিশ্বাস করতেন ধর্ম কখনও মানবিকতার থেকে বড় হতে পারে না, "মিথ্যা শুনিনি ভাই, /এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনো মন্দির কাবা নাই।"

         নজরুল ইসলাম শুধু সাহিত্যের মধ্যেই সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে তাঁর সংগ্ৰামকে সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং বৃহত্তর জীবনে ব্যবহারিক ক্ষেত্রেও তার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। মুসলিম কাজী নজরুল ইসলামের হিন্দু আশালতা সেনগুপ্তকে তখনকার দিনে (এপ্রিল ১৯২৪) স্ব স্ব ধর্ম বজায় রেখে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত কোনো মামুলি ব্যাপার ছিল না।পরস্পরের প্রতি তীব্র ভালোবাসার পাশাপাশি ধর্মীয় গোঁড়ামিকে অস্বীকার করার দৃঢ় মানসিক জোর না থাকলে দুই বিধর্মীর মধ্যে বিয়ে সম্ভব হত না।আশালতাকে মেঘনাদ বধ কাব্যের প্রমীলা করে নজরুল সহধর্মিণীর সাহসকে কুর্নিশ জানান। নজরুল তাঁর সন্তানদের নামকরণেও ধর্মীয় মিলনের সন্ধান করেন। তাঁর চার পুত্র সন্তানের নাম ছিল: ১.কৃষ্ণ মহম্মদ (জন্ম ও মৃত্যু-১৯২৫), ২. অরিন্দম খালেদ বুলবুল (১৯২৬-১৯৩০), ৩.কাজী সব্যসাচী ইসলাম (১৯২৯-১৯৭৯) ও ৪.কাজী অনিরুদ্ধ ইসলাম (১৯৩১-১৯৭৪)। সব্যসাচী ও অনিরুদ্ধ দুজনেরই হিন্দু মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়।

        নজরুল ইসলাম খুব হাসিখুশি, আত্মভোলা, মজলিসি মানুষ ছিলেন। উচ্চ রবে হাসতে ভালোবাসতেন। আড্ডায় বসে মাঝে মধ্যেই বলে উঠতেন, ''দে গরুর গা ধুইয়ে।'' কিন্তু এই প্রাণখোলা মানুষটি পুত্র বুলবুলের অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি। প্রচণ্ড শোকাহত হয়ে মানসিক শান্তি লাভের জন্য তন্ত্র সাধনা শুরু করেন। তবে এজন্য লেখালেখিতে কোনো খামতি ঘটেনি। ১৯৩৯ সালে প্রমীলা দেবী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার পর নজরুলের জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। তাঁর মানসিক জোর কমে যায়। লেখনীতেও ভাটা পড়ে। তাঁর কণ্ঠে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করে। ১৯৪১ সালের এপ্রিল মাসে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির রজত জুবিলী উৎসবে সভাপতির ভাষণে তিনি বলেন, "যদি আর বাঁশি না বাজে, আমি কবি বলে বলছিনে, আমি আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছিলাম সেই অধিকারে বলছি, আমায় ক্ষমা করবেন, আমায় ভুলে যাবেন। বিশ্বাস করুন, আমি কবি হতে আসিনি, আমি নেতা হতে আসিনি, আমি প্রেম দিতে এসেছিলাম, প্রেম পেতে এসেছিলাম, সে প্রেম পেলাম না বলে আমি এই প্রেমহীন নিরস পৃথিবী থেকে নীরব অভিমানে চিরদিনের জন্যে বিদায় নিলাম।" 

       ১৯৪২ সালের ৯ই জুলাই আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে অনুষ্ঠান করার সময় তিনি অসুস্থবোধ করেন এবং তাঁর জিহ্বা আড়ষ্ট হয়ে আসে। কিন্তু অর্থের অভাবে তিনি উন্নত চিকিৎসা করাতে পারেননি। সামান্য হোমিওপ্যাথি ও কবিরাজি চিকিৎসা করা হয় কিন্তু তাতে আরোগ্য লাভ সম্ভব হয়নি। বরং অসুস্থতা আরও বাড়তে থাকে। তাঁর বাকশক্তি রদ হয়ে যায়। তিনি স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন এবং তাঁর মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত হাঁটা চলা করতেও অসুবিধা হয়। এর ফলে নজরুল-প্রমীলার দুঃসহ কষ্টের জীবন শুরু হয়। তাঁদের সংসারে তখন নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। বাংলার তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, শনিবারের চিঠি পত্রিকার সম্পাদক সজনীকান্ত দাস, কলকাতার মেয়র সৈয়দ বদরুদ্দোজা ও শিক্ষাবিদ হুমায়ূন কবীর প্রমুখ ব্যক্তিদের নিয়ে 'নজরুল সাহায্য সমিতি' গঠন করা হয়।অসুস্থ হওয়ার এক দশক পর ১৯৫৩ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য কবিকে ইউরোপ পাঠানো হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সেখানকার ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, কবির আরোগ্য লাভের কোনো সম্ভাবনা নেই।

      নজরুল ইসলাম সাধারণ মানুষের ভালোবাসার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারের কাছ থেকেও স্বীকৃতি পেয়েছেন। ১৯২৯ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁকে কলকাতা এ্যালবার্ট হলে বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, মানপত্র পাঠ করেন ব্যারিস্টার এস ওয়াজেদ আলী, বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট রাজনীতিক সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে 'জগত্তারিণী স্বর্ণপদক' প্রদান করে। ১৯৬০ সালে ভারত সরকার দেয় পদ্মভূষণ পুরস্কার। 

     ১৯৬২ সালের ৩০শে জুন কবিপত্নী প্রমীলা দেবী প্রয়াত হন। নিজে শয্যাশায়ী হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাঁর ভালোবাসার মানুষটির প্রতি সবসময় নজর রাখতেন। তাঁর জীবনাবসান হবার পর কবির সেবা শুশ্রূষায় অবহেলা ও অযত্ন বাড়তে থাকে। ১৯৭২ সালের ২৪শে মে বাংলাদেশ সরকার কবিকে ঢাকা নিয়ে যায়। ধানমন্ডির একটি বাড়িতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাখা হয়। বাড়িটির নামকরণ করা হয় 'কবিভবন'। তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষিত হন। কবির জীবনের শেষ তেরো মাস কাটে বাংলাদেশের পিজি হাসপাতালে। প্রায় ৩৪ বছর ধরে নির্বাক ও ভাষাহীন থাকার পর ১৯৭৬ সালের ২৯শে আগস্ট সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কবি চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েন। কবির মরদেহ যথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়। কবির কফিন বহনকারীদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি মোহাম্মদ সায়েম ও প্রধান সেনাপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। কাজী নজরুল ইসলামের জীবনের ট্রাজেডির পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, "তুমি বাঁচিয়াও মরিয়া রহিলে দীর্ঘকাল/তুমি মরিয়াও বাঁচিয়া রহিবে চিরকাল।"

 

খণ-স্বীকার: ১.নজরুল শ্রেষ্ঠ সংকলন, সম্পাদনা- কল্যাণী কাজী ও প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, ২.শত কথায় নজরুল, সম্পাদনা- কল্যাণী কাজী।

০৮:০৬ পিএম, ২৫ মে ২০২৪ শনিবার

Puspaprovat Patrika