ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

সরকারের অপরাধের জবাব দিতে হবে : ড. কামাল

জাগরণ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০১৮ ২০ ০৮ ১৫  

 

গণতন্ত্রে সরকার ও বিরোধী দলের জন্য আলাদা কোনো আইন নেই মন্তব্য করে সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, কিন্তু আজ সরকার যা ইচ্ছে তাই করছে, তারা আইনের কোনো তোয়াক্কা করছে না। কোনো নির্বাচিত বৈধ সরকার তো নয়ই এই অনির্বাচিত সরকার এটা করতেই পারে না। বেআইনীভাবে আটক বা জেলে নেয়া অপরাধ। মহা অপরাধ। আজ হোক, কাল হোক এ অপরাধের জবাব দিতে হবে। 

মঙ্গলবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আয়োজনে ‘সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাদ, সুষ্ঠু নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব  কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট্রের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ফলে জনগণের অধিকার ফিরে না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে মন্তব্য করে ড. কামাল হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে দেশে গণতন্ত্র চলতে পারে না। দেশে আইনের শাসনের অনুপস্থিতি চলছে। যেদেশে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে শ্রদ্ধা জানানো হয় না সেদেশে গণতন্ত্র চলতে পারে না।

তিনি বলেন, দেশের মালিক জনগণ। অধিকার আদায়ে দেশের মানুষরা দাঁড়িয়েছে এবং দাঁড়িয়ে থাকবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি দেশের মানুষকে মালিকানা ফিরিয়ে দিতে। আমরা জনগণকে দেশের মালিক করে তবেই ছাড়বো।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আজ যেখানে সেখানে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। হয়রানি করা হচ্ছে। একটা নির্বাচিত সরকার যদি এটা করতো তবে সেটাও অপরাধ। কিন্তু একটা অনির্বাচিত সরকার কাউকে  গ্রেপ্তার করতে পারে না। এর জবাব তাদের (সরকার) দিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সরকার বলেছিল ৫ জানুয়ারির নিয়ম রক্ষার নির্বাচনের পর আরেকটা নির্বাচন দিবে। কিন্তু তারা দিল না। একবছর, দুইবছর করে পুরো ৫ বছর ক্ষমতায় থাকল। এই সরকারের কথার এক পয়সাও দাম নেই। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে তা প্রমাণ হয়েছে।

ড. কামাল বলেন, দেশের মালিক জনগণকে দাঁড়াতে হবে। শক্ত ভাবে দাঁড়াতে হবে। আপনারা পায়ে হেঁটে এসে যেভাবে এখানে দাঁড়িয়েছেন সেভাবে প্রতিটি জেলায়, উপজেলায় দাঁড়াতে হবে। আপনারা দেশের মালিক, আপনাদের দাঁড়াতেই হবে। দেশের মালিককে যেভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে সেটা একটা স্বাধীন দেশে হতে পরে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আর কয়টা দিন আন্দোলন করবো, অপেক্ষা করুন সরকারকে জায়গা মতো পাঠিয়ে দিবো। সময় আমাদেরও নাই সরকারেরও নাই।’ তিনি বলেন, ‘দেশে অত্যাচার, অনাচার, খুন-গুম, ডাকাতি সব পরিপূর্ণ করেছে সরকার। এসব থামাতে হবে। অন্ধকার রাতে আর কোনো গ্রেফতার হতে দেয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতা চাই না। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছি না। আন্দোলন করছি মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে।’
একই জনসভায় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ২য় দফা সংলাপে মুখের কথা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে লিখিত অঙ্গীকার করতে হবে। আর সংসদ রেখে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘যখন কোনো স্বৈরাচার সরকার প্রতিপক্ষের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় তখন বুঝতে হবে আমরা জয়ের মুখোমুখি।’ নোমান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আদায়ের আন্দোলনে আমরা জয়ের মুখোমুখি। সেই লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি। সরকার দুর্বল হচ্ছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি প্রতিষ্ঠিত হবে এবং জয়লাভ করবে।’

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরীর এ্যানীর সঞ্চালনায় জনসভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণস্বাথ্হ্যের প্রধান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি এ্যাড. সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জেএসডির মহাসচিব আব্দুল মালেক রতন প্রমুখ নেতা বক্তব্য রাখেন। 

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান ঢাবির শিক্ষক অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সেক্রেটারী মওলানা নুর হোসেন কাসেমী, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার প্রমুখ নেতা বক্তব্য রাখেন। 

এছাড়া, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, মো. শাজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, ডা.  জেডএম জাহিদ হোসেন, এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, ড. সুকোমল বড়ুয়া, আব্দুল আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেডএস/এমটিআই

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর