ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

মালদায় জহুরা চন্ডীর আরাধনা শুরু

হক নাসরিন বানু

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ১১ ১১ ০৫  

জহুরা চন্ডী মাতার আরাধনায শুরু।

 

হক জাফর ইমাম। মালদা।

জহুরা চন্ডির আরাধনা শুরু হলো মঙ্গলবার থেকে । মালদা জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অগনিত ভক্তের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠে । মালদা ইংরেজবাজারের গোপালপুর এলাকায় জহরা মন্দিরে এই পৃজা হয়ে আসে ।জহুরা মন্দির বলা হলেও আসলে এটি চন্ডী মন্দির। ঐতিহাসিকবিদের এই মন্দির ও জহরা পৃজাকে ঘিরে নানা মতামত শোনা যায় । জানা যায় সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন এই অঞ্চলের কয়েকটি মন্দির স্থাপন করেছিলেন । এই জহরা মন্দির তার অন্যতম। তবে, মন্দিরের গায়ে পাথরের ফলক আছে, তাতে দেখা যায় যে প্রায় তিনশো বছর আগে সাধক ছল্প তেওয়ারী এখানে গড়ের ওপর জহুরা চন্ডীর বেদী প্রতিষ্ঠা করে পূজা শুরু করেন । তার প্রায় একশো বছর পরে ১২১৩ সালে আর এক সাধক হীরারাম তেওয়ারী এখানে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে দৈব দর্শন করেন। এবং সেই দৈব দর্শন অনুযায়ীই  মূর্তির রূপরেখা তৈরি করেন বৈশাখ মাসে। ঘন লাল রঙে রাঙানো এক বিশাল ঢিবি আর তার ওপরে জহুরার মুখের কল্পনায় এক মুখোশ । এই হচ্ছে এখানকার দেবী মূর্তি। মূল মুর্তির দুপাশে এমন আরো কিছু মুখোশ দেখা যায়, সেই সঙ্গে গর্ভগৃহে আছে শিব এবং গণেশের মূর্তিও। ওই তেওয়ারী সাধকদের পরবর্তী প্রজন্মই এখানে বংশানুক্রমে পুজো করে আসছেন এখনো । এখানকার বৈশিষ্ট্য হলো, রাত্তিরে কোনো পূজা হয় না, যা পূজা হয় সব দিনের বেলায় এবং শুধু শনি ও মঙ্গলবার। ওই দুদিন বেশ ভীড় হয়, পুজোর জন্যে বড় লাইন পড়ে। পুজো দিতে আসেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ । মালদা জেলা তথা গোটা রাজ্যে থেকে অগনিত ভক্তের আগমন হয় বৈশাখ মাসের মঙ্গল ও শনিবার ।

এছাড়া জহুরার প্রতিষ্ঠা মাস উপলক্ষে বড় মেলা বসে বৈশাখ মাসে। মূল মন্দির লালচে গেরুয়া রঙের পঞ্চরত্ন ধাঁচের, যদিও সেই পঞ্চরত্নের ধরণ আমাদের প্রচলিত ধরণ থেকে একটু আলাদা। চারপাশের গাছ গাছালির মধ্যে সাদা আর লাল রঙের চারপাশে প্রশস্ত বারান্দা ঘেরা এই মন্দিরের পরিবেশ কিন্তু ভারী সুন্দর। 

বর্তমানে মন্দিরের পরিবেশ সুন্দর হলেও একটা সময় ঘন জঙ্গলের মধ্যে এই মন্দিরটি অবস্থিত ছিল। সাধারণ মানুষ হয় পায়ে হেটে না হয় ঘোড়ার গাড়ি চেপে এই মন্দিরে পূজা দিতে যেত ।এখনো মালদা শহর থেকে একাধিক ঘোড়া গাড়ি এই মন্দিরে ভক্তদের নিয়ে আসে ।এই মন্দির চত্বরে এসে দেখা যায় ঘোড়াগাড়ি রমরমা ।বর্তমানে এই ঘোড়াগাড়ি স্থান নিয়ে নিচ্ছে টোটোগাড়ি।

বর্তমানে এই মন্দিরের পূজার দেখাশোনা করেন স্থানীয় তেওয়ারি পরিবার এই পরিবারের পুরোহিত রমেশ তেওয়ারি জানিয়েছেন" প্রতি বছর বৈশাখ মাসে মঙ্গল ও শনিবার এখানে ধুমধাম সহকারে জগরা কালীর পুজো হয় মালদা জেলা সহ গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অগণিত ভক্তের সমাগম হয় এই জোহরা কালী অত্যন্ত জাগ্রত মায়ের কাছে কোন ভক্ত এসে কোন মানত করলে তা অবশ্যই কিছুদিনের মধ্যেই পূরণ হয়।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর