ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

আলোচনা অব্যাহত থাকবে

দাবি না মানলে আন্দোলন

জাগরণ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৮ ১৯ ০৭ ২৯  

 

জনগণের দাবি হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একটি নির্বাচনকালীন সরকার চায়।  এটাতে সরকার যদি না মনে তাহলে আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা তা আদায় করবো।’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন

সংলাপে দাবি আদায়ে কোনো আশার আলো দেখছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘এখানে আশার কোনো প্রশ্ন নেই। ‘ সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে কি না- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফলপ্রসূ সেটা তো বোঝা যাবে না।  আমরা বলেছি, আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

সংলাপে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কী আলোচনা হয়েছে প্রশ্ন করা হলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭ দফার প্রথম দফাটাই ছিলো বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন।  বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে অবশ্যই আলোচনা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জোর দিয়ে বলেছি যে, তিনি তো আইনগতভাবে মুক্তি পাওয়ার যোগ্য, জামিন পাওয়ার যোগ্য।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তির বিষয়ে কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ দফা দাবির মধ্যে প্রথম দাবিই ছিল বেগম জিয়ার মুক্তি।  এরপর সরকারের পদত্যাগ ও ইসি পুনর্গঠন। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।  তবে আমরা প্রস্তাব করেছি, এ বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনা করবো।

তফসিল ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, তারা (সরকার) বলেছেন, তফসিল  ঘোষণার সঙ্গে এই আলোচনা কোনো সম্পর্ক থাকবে না।  প্রয়োজনে তফসিল আবার পরেও ঘোষণা করা যেতে পারে।

কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আমরা আগামীকাল রোডমার্চ করে রাজশাহী যাচ্ছি।  পরের দিন সেখানে জনসভা করব।

ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবির মধ্যে কয়টা দাবি সরকার মেনেছে, আর কয়টা মানেনি- এ প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, পুরোটাই আমরা বিবেচনা করছি।  নিজেদের মধ্যে আলোচনার পরে জানাবো।

খালেদা জিয়ার প্যারোলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এধরনের কোনো প্রস্তাব করি নাই।  কোনো আলোচনাও হয়নি।  তবে মুক্তি ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে যে, তিনি তো আইনগতভাবেই জামিন পাওয়ার যোগ্য।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে ইসির উদ্দেশে পদযাত্রা করবেন কি না জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কর্মসূচি তো দেয়াই আছে।

ঐক্যফ্রন্টের কোন দাবিই মানা হয়নি সুতরাং সংলাপে সমস্যা সমাধান সম্ভব কি না- জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, সংলাপকেই আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। এখনও আমরা বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে।

নির্বাচনকালীন সরকারের জন্য ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ১০ জন উপদেষ্টার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে কি না-জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আমরা চাচ্ছি জনগণের দাবি।  সরকার এটা না মানলে ভাল।  না মানলে আন্দোলন করে আদায় করবো।

প্রথমবারের সংলাপ শেষে আপনারা বলেছেন, আপনারা সন্তষ্ট না- আজকের (বুধবার) সংলাপে কী  পেলেন- ফখরুল বলেন, সন্তুষ্ট ও অসন্তুষ্টের বিষয় না।  আমরা আমাদের দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম।  

তিনি বলেন, সংলাপ আন্দোলনেরই একটা অংশ। দাবি না মানলে আরও আন্দোলন হবে।  আলোচনা ভালো না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভালোর পথে আনা হবে।  তবে সরকার বলেছে, সুযোগ আছে আলোচনার। সেই সুযোগটা থাকবে। সুতরাং সন্তুষ্ট-তন্তুষ্ট বাদ দেন।  এ বিষয়ে এখন বলতে চাচ্ছি না।  আমরা বলতে চাচ্ছি, জনগণকে নিয়েই আমরা দাবি আদায় করবো।

সংলাপ সংঘাতের দিকে যাচ্ছে, না কি শান্তিপূর্ণ অবস্থা থাকবে- জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এই দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণ সরকারের।  দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যে পরিণতি হবে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।  আলোচনার সুযোগ এখনও আছে।  স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ অবস্থায় সমাধানে পৌঁছাতেই শেষ অব্দি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

মির্জা ফখরুলের এ বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান ড. কামাল হোসেন।  তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, সবকিছু একটা স্থিতি ও শান্তিপূর্ণ অবস্থানের মধ্যে দিয়ে হোক।  কিন্তু বল তো সরকারের কোর্টে।

নির্বাচনকালীন সরকারের সুযোগ সংবিধানের মধ্যে নেই- ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যর বিষয়ে ফখরুল বলেন, এই কথা বলার অর্থই হচ্ছে, জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।  জনগণের দাবির প্রতিও তাদের কোনো শ্রদ্ধা নেই।

ঐক্যফ্রন্টের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- বিএনপি মহাসচিব ও জোটের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার  মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুল রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এসএম আকরাম, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।

সংলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ছিলেন, ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আনিসুল হক, দীপু মনি ও শ ম রেজাউল করিম। এছাড়া শরিক দলের মধ্যে ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

এর আগে ১ নভেম্বর প্রথম দফা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সেই সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট সরকারের কাছে মোট ৭ দফা দাবি উত্থাপন করে।

এফসি/এমটিআই

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর