ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

লটারিতে কোটিপতি সিভিক ভলেন্টিয়ার।

হক নাসরিন বানু

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২০ ১৮ ০৬ ৪২  

লটারিতে কোটিপতি সিভিক ভলেন্টিয়ার।

লটারিতে কোটিপতি হলো এক সিভিল ভলেন্টিয়ার। তিনি লটারিতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে এক কোটি টাকা জিতলো। সিভিক ভলেন্টিয়ারেল বাড়ি মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়।তার নাম ফিরোজ আলম বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক এলাকার আলীপুর গ্রামে। আজ সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা তে ডিউটি আসার সময় এলাকার শহীদ মোড় থেকে লটারির দোকানে বন্ধুর সাথে লটারি কিনতে যান। সেখানে তিনি দেড়শ টাকার লটারি কেনেন। পরে তিনি তুলসিহাটা চলে যান ডিউটির জন্য। দুপুর নাগাদ তার ফোনে এক বন্ধু ফোন করে জানান তিনি লটারিতে পুরস্কার পেয়েছেন। শুনে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুরে আসেন লটারি নম্বর মিলিয়ে দেখেন এক কোটি টাকা জিতেছেন প্রথম পুরস্কার হিসেবে। এরপরই তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় আশ্রয় নেন। অফিসারদের কাছে নিরাপত্তা চান। টিকিটের টাকা দিয়ে কি করবেন জানতে চাইলে তিনি জানান সম্প্রতি তার বাবা এবং দাদা দুজনেই মারা গেছেন। দাদার পরিবারের দায়িত্ব তার মাথার উপর আছে। বাড়িতে আর কোন পুরুষ মানুষ নেই। এই টাকা দিয়ে তিনি বাবার স্বপ্ন অনুযায়ী একটি বাড়ি তৈরি করবেন আর দাদার মেয়েদের সমস্ত দায়-দায়িত্ব তিনি নেবেন। তাদের মেয়েদের পড়াশোনা ও বিয়ের খরচের টাকা থেকে করবেন বলে জানান ফিরোজ বাবু।
এদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর শহীদ মোড়ের সিনহা লটারি এজেন্সি তে লটারি কিনতে উৎসুকদের ভিড় বাড়তে থাকে।এলাকার লটারি প্রেমী মানুষেরা লটারি কিনতে লাইন দেন সিনা লটারি কাউন্টার এর সামনে।লটারি বিজেতা ফিরোজ আলম জানান তার বাবা মুসলিম উদ্দিন ২০১২ সালে ইলেকট্রিক শকে মারা যান।২০১৫ সাল নাগাদ তার দাদা মারা যান। দাদা এবং নিজের পরিবারের রোজগারের একমাত্র সদস্য তিনি। তার সিভিক ভলেন্টিয়ার এর বেতন থেকেই তাদের দুই পরিবারের খরচ চলে। আজ লটারি জিতে তার ও তার পরিবারের কিছুটা সুরাহা হলো। ছেলে লটারিতে প্রথম পুরস্কার পাওয়ায় খুশি মা সাদিকুন বেওয়া। এবার তার স্বামীর স্বপ্ন পূরণ হবে এমনটাই আশা তার।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর