ব্রেকিং:
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বেওয়া-২ পঞ্চায়েতের নিশিন্দ্রা গ্রামে ভোটার তালিকা ভুয়ো ভোটার। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার উদ্যোগে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা সভা। ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট এমকে ফাইজির গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সামশেরগঞ্জে পথসভা SDPI এর ফের সামশেরগঞ্জের হাউস নগর ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে পথদুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা গাড়িচালকের জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

রোববার   ১২ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২৬ ১৪৩২   ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

সর্বশেষ:
জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

ইডির তল্লাশিতে ফের গ্রেপ্তার তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা

প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২৫ ০৭ ০৭ ৫০   আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৫ ০৭ ০৭ ৫০

শফিকুল ইসলাম শফিক, মুর্শিদাবাদ:

সোমবার সকালে ফের উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। ইডির তল্লাশিতে গ্রেপ্তার হলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা। সকাল ঠিক ৬টা ৩০ মিনিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র ১৪ জনের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে হাজির হয় বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার বাড়িতে। শুরু হয় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান।

 

টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে এই অভিযান। একইসঙ্গে রঘুনাথগঞ্জের পিয়ারাপুরে বিধায়কের শ্বশুরবাড়ি এবং মহিষগ্রামে বেসরকারি ব্যাংককর্মী রাজেশ ঘোষের বাড়িতেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। হঠাৎ এই অভিযানে তিন এলাকাতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

 

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালে প্রথমবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জীবন কৃষ্ণ সাহা। দীর্ঘদিন জেল হেফাজতের পর ২০২৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পান তিনি। বর্তমানে জামিনে মুক্ত থাকাকালীন ফের ইডির তল্লাশিতে নতুন চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

 

তল্লাশি চলাকালীন বিধায়ক নিজের মোবাইল ফোন বাইরে ঝোপের ভেতরে ছুঁড়ে ফেলেন। এর আগেও তিনি মোবাইল লুকোতে পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন, যা পরে উদ্ধার করা হয়েছিল। এবারও প্রায় একই কৌশল ব্যবহার করলেও শেষমেশ ফোন উদ্ধার করে ইডি। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারী সংস্থা। তাঁকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।

 

রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী কটাক্ষ করে বলেন—

“আগে সিবিআই, এবার ইডি। বারবার মোবাইল ছোঁড়া মানে এর ভেতরে নিশ্চিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে। অথচ এত অভিযানের পরও ফল নেই। বাংলায় দুর্নীতির অভাব নেই, তৃণমূল নেতাদের দৌলতেই চুরি-দুর্নীতি অবলীলায় চলছে।”

 

বিজেপির নেতারাও কড়া ভাষায় বলেন—

“যদি অপরাধী না হন, তবে কেন বারবার ফোন লুকোনোর চেষ্টা করছেন? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জীবন কৃষ্ণ সাহা-সহ আরও অনেকে জড়িত। শুধু শিক্ষক নয়, খাদ্য, মাটি, বালুচুরি— সর্বত্র দুর্নীতি হয়েছে। অপরাধীদের যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।”

 

এই অভিযানে বড়ঞা থেকে রঘুনাথগঞ্জ সর্বত্র কৌতূহল ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নজরদারি জোরদার করেছে।

 

ফলত, জীবন কৃষ্ণ সাহার ফের গ্রেপ্তারকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে জল্পনা ও শোরগোল শুরু হয়েছে।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর