ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

ফুল তুলে গান গেয়ে আসর মাতাচ্ছে তাপস

শঙ্কর গুপ্তা

প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮ ০৬ ০১  

ফুল তুলছে উপর দিকে নাগপুরি ভাষায় গান গেয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিল তাপস পাহান

ফুল তুলছে উপর দিকে নাগপুরি ভাষায় গান গেয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিল তাপস পাহান

উত্তর দিনাজপুর  

একদিকে ফুল তুলছে উপর দিকে  নাগপুরি ভাষায় গান গেয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিল তাপস পাহান । যে গানের  কলির মাধ্যমে তাপস যেন  তুলে ধরছে তাদের গ্রামের  গাঁদা ফুলের চাষের কথা।  তেমনি সে আহ্বান করছে তাদের গ্রামে  সকলকে একবারের জন্য হলেও আসতে তাদের গ্রামের ফুলের শোভা বর্ধন দেখে যেতে।  হ্যাঁ আমি যে গ্রামের কথা বলছি সে গ্রামটির নাম  উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের পোয়ালতর । যে গ্রামটি  সারা বছরই ঘেরা থাকে ফুল দিয়ে।  শুধু তাই নয় গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের রুটি-রুজি নির্ভর করে ফুল চাষের উপরই।  বারোমাস ই  গ্রামের মাঠ ঘাট ভরে থাকে চির হলুদ রংয়ের গাঁদা ফুল দিয়ে । প্রচুর এই গ্রামের মানুষ আজ  এই গাঁদা ফুল  চাষ করে গ্রামে স্বয়ংবর হয়ে উঠছেহ্যা রায়গঞ্জের পোয়ালতর এখন অনেক অনেক ফুলের বাগান আছে শুধু নয়  ফুলের বাগানের সাথে সাথে  এই গ্রামে  আসলে আপনি এখন পেয়ে যাবেন প্রতিভাবান এক শিল্পীর  তার নিজের ভাষায় নাগপুরীর  নানান বৈচিত্র্যময় গান।ফুল আর গান দুটোর মধ্যেই হয়তো নিবিড় এক সম্পর্ক রয়েছে ।কারণ ফুল যেমন কেউ অপছন্দ করেন না এমন মানুষ হয়তো পাওয়া সম্ভব না।তেমনি গান শোনেন না এমন মানুষ পাওয়া হয়তো দুষ্কর ।

গানের কন্ঠে আর ফুলের সুভাসে নিজের মনকে একটু চাঙ্গা করতে চাইলে আপনাকে আসতে হবে উত্তর দিনাজপুর জেলার এই রায়গঞ্জ পুযালতোর গ্রামে ।একদিন যারা এই গ্রামের মানুষরা শুধুমাত্র ফুল চাষে  মনোনিবেশ করত, আজ ফুল চাষের সঙ্গে সঙ্গে গান কেউ সঙ্গী করে নিয়েছেন ।ফলে একদিকে যেমন তাদের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে তেমনি ফুল চাষের সময় একটু মনের খোরাক যোগাতে নতুন নতুন ভাবে গানের চর্চা করছে ।  তবে শুধুমাত্র নিজের গ্রামের উপরই লিখা বিভিন্ন ধরনের গান  গেয়ে ।

একদিকে যেমন  ফুল চাষ  করে   যেমন নিজেদের জীবিকা অর্জন করছেন।তেমনি নিজেদের  প্রতি দিনের দুঃখ কষ্ট কে লুকোতে ফুল এর বাগানেই মনের সুখ দুঃখের মাঝে গান গেয়ে চলেন তারা ।প্রতি দিনের দুঃখ কষ্ট ভুলতে এই শিল্পীরা ফুল বাগানে ফুল তোলার পাশাপাশি নিজেদের গানের ছোযা ফুলেদের ও মুখে হাসি ফোটান।পুযোলতোর গ্রামে ঢুকতেই আপনি দেখতে পাবেন প্রকৃতির  মাঝে এই গ্রামে কযোকশো পরিবার আজ বহু বছর ধরে ফুল চাষ করে চলছেন।কারণ কাজের অভাবে নিজেদের জাত ব্যবসা এই ফুল চাষের মাধ্যমেই পুযালতোর গ্রামের আজ বহু পরিবার ফুল চাষের ব্যবসা কেই বেছে নিয়েছেন ।সূর্য ডোবার আগে এই গ্রামের আট থেকে আশি তাদের নিজেদের জমি থেকে ফুল  তুলে সেই ফুলে মালা গাথতে শুরু করে দেন।এবং পরের দিন সকাল হতেই তাদের ফুলের মালা নিয়ে তারা বেরিয়ে পড়েন শহরের বহু প্রান্তে । তাপস পাহান  জানান কাজের অভাবে ফুল চাষের ব্যবসা করেন।তবে বর্তমানে সব সময় ফুলের দাম পাওয়া যায় না।সারা বছর গাঁদা ফুল চাষ করলেও বিয়ে কিংবা বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া এই ফুলের তেমন দাম পাওয়া যায় না।তাই দাম না পাওয়াতেই মনের দুঃখে গান ও গাই।কারণ যে দাম পাই তা দিয়ে ঠিকমতো সংসার চলে না।আর ফুল চাষ ছাড়া রোজগারের কোন উপায় নেই।নাই সরকারি সাহায্য । পাই নাই কোন আর্থিক সহায়তা ।তাই শেষমেষ নিজেদের গানের ছবি কে তুলে ধরতে মনের দুঃখে ফুল তুলতে তুলতে গান ও গেযে চলি। অন্যদিকে এই গ্রামের অন্যান্য মহিলা ফুল চাষিরা  জানালেন তাদের দুঃখের কথা।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর