ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

পরিযায়ী শ্রমিকের পুত্র মিজানুর দারিদ্র্যতাকে জয় করে রাজ্যের মেধা

উমার ফারুক

প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২০ ০৯ ০৯ ১২  

পরিযায়ী শ্রমিকের পুত্র মিজানুর দারিদ্র্যতাকে জয় করে রাজ্যের মেধা তালিকায় চতুর্থ 

উমার ফারুক, হরিশ্চন্দ্রপুর:পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ আয়োজিত মাদ্রাসা ফাইনাল পরীক্ষায় রাজ্যে মেধা তালিকায় যুগ্ম চতুর্থ স্থান ও জেলায় দ্বিতীয় স্থান  অধিকার করেছে মালদহের  হরিশ্চন্দ্রপুর-২ব্লকের   জগন্নাথপুর হাই মাদ্রাসার ছাত্র মিজানুর রহমান।দারিদ্রতা ও নানা প্রতিকুলতাকে জয় করেই ৯৫.৬% পেয়েছে সে। মোট ৮০০ নম্বরের পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৬৫।তার বাড়ি ব্লকের তালগাছি গ্রামে। ভূমিহীন এক দরিদ্র্য পরিবারের সন্তান সে। ছোট বেলা থেকেই নানা প্রতিকূলতার মধ্যে বড় হওয়া মিজানুরের স্বপ্ন বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে অধ্যাপক হওয়ার।কিন্তু সে স্বপ্ন সার্থক করতে হলে লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে তাঁকে তা সে বিলক্ষণ জানে।উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার মতো যে আর্থিক সংগতি দরকার তা নেই তার পরিবারের।মিজানুর জানায়,আমার অধ্যাপনা ও সাহিত্য চর্চা করার ভীষণ ইচ্ছা।কিন্তু উচ্চ শিক্ষা অর্জনে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে দারিদ্র্যতা।বাবা ভিন রাজ্যে ফেরি করে কোন রকম সংসার চালান।সারা বছরই বাবাকে বাড়ির বাইরে থাকতে হয়।বাড়িতে মা আমাদের দেখা শোনা করেন।বাড়িতে বাবা না থাকায় মা ই অভিভাবক।পড়া শোনার বাইরে বইপড়ার নেশা আছে বলে মিজানুর জানায়।পরীক্ষার পরে বঙ্কিম উপন্যাস সমগ্র থেকে বেশ কিছু উপন্যাস ও মানিকের পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাস ও পড়েছে। শরৎচন্দ্রের গল্প তার ভীষণ পছন্দ।এছাড়া ক্রিকেট খেলা তার পছন্দ,রহিত শর্মা তার প্রিয় ক্রিকেটারকোন গৃহ শিক্ষক ছাড়াই মিজানুর নিজের আগ্রহে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করেছে বলে জানা যায়। 
মিজানুরের মা মরিয়ম বিবি সাধারণ গৃহবধূ।তিনি উচ্চ প্রাথমিক পর্যন্ত  পড়া শোনা করেছন। স্বামীর অবর্তমানে তিনিই সংসারের হাল ধরেছেন। তার বাবা মোঃ মনিরুল ইসলাম ভিন রাজ্যের শ্রমিক।তিনি উড়িষ্যাতে ফেরি করতেন লক ডাউনে বাড়িতে বসে আছেন কাজ হারিয়ে।মনিরুল বলেন,আমার অভাবের সংসারে আমরা স্বামী, স্ত্রী ও চার ছেলে,মিজানুর বড়।আমি দীর্ঘদিন ভিন রাজ্যে কাজ করি।প্রায় দুই তিন মাস পরে বাড়ি আসি। ছেলেকে  উচ্চ শিক্ষা দেওয়ার মতো আর্থিক সংগতি আমার নেই।তাই সরকারি সাহায্য বা কোন প্রতিষ্ঠানের সাহায্য পেলে আমার ছেলে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে। 
মাদ্রাসার সহ প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ এনামুল হক বলেন,মিজানুর বরাবরই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র।সে ভালো ফল করে আমাদের সকলের মুখ উজ্জ্বল করেছে।আমরা তার পাসে আছি। তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও আমাদের মাদ্রাসার সকল শিক্ষকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই সাফল্য এসেছে।

 

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর