ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

লকডাউন উপেক্ষা করে সভা করার অভিযোগে উত্তেজনা চ্যাংমারিতে

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২০ ২২ ১০ ৫২  

মালবাজার,

লকডাউন উপেক্ষা করে বাড়ির মধ্যে শ্রমিকদের ডেকে সভা করার অভিযোগে শুক্রবার উত্তেজনা তৈরি হলো নাগরাকাটা ব্লকের চ্যাংমারি চাবাগানে।দুপক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, শুক্রবার সকালে নাগরাকাটা ব্লকের প্রাক্তন তৃনমুল কংগ্রেসের   ব্লক সভাপতি তথা শ্রমিকনেতা অমরনাথ ঝাঁ য়ের  বাড়িতে কিছু শ্রমিক জমায়েত হয়। সারা দেশে যখন লকডাউন চলছে তখন বাড়ির মধ্যে শ্রমিকদের ডেকে কেন সভা করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে লুকসান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা বর্তমান নাগরাকাটা ব্লক তৃনমুল কংগ্রেস সভাপতি মনোজ মুন্ডা এই জমায়েতের প্রতিবাদ করতে ড়িতেঅমরনাথ বাবুর বাড়িতে গেলে দুপক্ষের বচসা বেধে যায়। সৃষ্ঠি হয় উত্তেজনা। হাতাহাতিতে একজন জখম হয়। 
পরে মনোজ মুন্ডা বলেন, আপনারা সবাই দেশে লকডাউন ডাউন চলছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী সবাই সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলতে বলেছেন। বাড়িতে থাকতে বলেছে। এই রকম সময় শ্রমিকদের বাড়িতে ডেকে এনে সভা করা অনুচিত। ওই সভায় কেরলা, মহারাষ্ট্র রাজ্য থেকে সদ্য আগত যাদের ডাক্তাররা হোম কোয়ারান্টাইনের থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন এমন কিছু শ্রমিক ছিল। খবর পেয়ে আমরা ওনার বাড়িতে গিয়ে সভা করতে নিষেধ করার প্রচেষ্টা নিয়েছিলাম। উনি শ্রমিকদের কাজে যেতে পরামর্শ দিচ্ছিলেন।   ওখানে পৌঁছাতেই ওনার লোকজন ভোজালি লাঠি নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমাদের ফিরোজ আজমি নামের এক কর্মী ভোজালির আঘাতে জখম হয়। পরে আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে চলে আসি। 
অন্যদিকে অমরনাথ ঝাঁ জানান, কোন সভা ছিল না। আমারা বাড়ি শ্রমিকবস্তি এলাকায়। বিভিন্ন সময় শ্রমিকরা পরামর্শ নিতে আসে। আজ সকালে কয়েকদফায় বেশ কিছু শ্রমিক আমার বাড়িতে আসে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কি করা উচিত?  কবে বাগান খুলবে?  হাটবাজার কিভাবে হবে এবিষয়ে জানতে আসে। শ্রমিকনেতার পাশাপাশি আমি একজন স্বাস্থ্য কর্মী তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছিলাম। আচমকাই প্রধান কয়েকজন লোক নিয়ে বাড়ির দরজা লাথি মেরে খোলে। উপস্থিত শ্রমিকদের গালাগাল শুরু করে। এতেই উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে ওরা চলে যায়।  
নাগরাকাটা থানার ওসি সঞ্জু বর্মন জানান, সাময়িক উত্তেজনা হয়েছিল পরে মিটে যায়। কোন পক্ষেই থানায় এজাহার করেনি। 
তবে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল এই ঘটনাকে তৃনমুলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বলে মনে করছে।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর