ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

রোববার   ১৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

বৈদ্যুতিক তথ্য বিনিময় সিস্টেমের সঠিক পরিকাঠামো না থাকায় ক্ষতির

হক নাসরিন বানু

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০ ০৮ ৩২  

বৈদ্যুতিক তথ্য বিনিময় সিস্টেমের সঠিক পরিকাঠামো না থাকায় ক্ষতির মুখে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্ব আয়।


 মালদা:
বৈদ্যুতিক তথ্য বিনিময় সিস্টেমের সঠিক পরিকাঠামো না থাকায় প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ লক্ষ মার্কিন ডলার রাজস্ব হারাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ কারণ গত ৬ সেপ্টেম্বর মহদীপুর আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরে বৈদ্যুতিক তথ্য বিনিময় সিস্টেম চালু হয়। কিন্তু  এখনো পর্যন্ত কোন পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। ফলে প্রতিদিন যেখানে ৩০০ থেকে ৪০০ গাড়ি এক্সপোট হওয়ার কথা বাংলাদেশে সেখানে এখন ১০০ থেকে ১৫০ গাড়ি এক্সপোর্ট হচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন মালদা জেলার অসংখ্য লরি মালিক, চালক, খালাসী এবং পাথর ব্যবসায়ীরা। কাস্টম দপ্তরে এই সমস্যার কথা বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। তাই 
এই আভিযোগ তুলে পুজোর আগে আন্দোলনে নামছে কাস্টম ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। 
এই বিষয়ে রাজ্য রপ্তানি কারক সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোটার কডি নেশন কমিটি র সম্পাদক 
উজ্জ্বল সাহা মহাশয় জানান,
 গত ৬ সেপ্টেম্বর মহদিপুর স্থলবন্দরে ই, ডি, আই, অর্থাৎ বৈদ্যুতিক তথ্যবিনিময় সিস্টেম চালু হয়। সিস্টেম চালু হওয়া প্রায় এক মাস হতে চলল কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার কোনো পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। কাস্টম দপ্তরে যেখানে চারজন ডিও দরকার সেখানে মাত্র একজন ডিও রয়েছে। যেখানে তিনটি প্রিন্টার প্রয়োজন সেখানে একটি মাত্র  রয়েছে। ফলে বাংলাদেশে দিনের-পর-দিন পাথর রপ্তানি কমে আসছে। আগে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ বাড়ি এক্সপোট হতো সেখানে এখন ১০০ থেকে দেড়শো গাড়ি এক্সপোট হচ্ছে। একই অবস্থা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন ফটো ফলে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। কাস্টম দপ্তরের বিরুদ্ধে এই গাফিলতির অভিযোগ তুলে তাই এবারে তারা আন্দোলনে নামতে চলেছে। 
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের ৫টি স্থল বাণিজ্য বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পন্ন হয়৷ তার মধ্যে একটি ইংরেজবাজারের মহদিপুর বাণিজ্য বন্দর৷ এই বন্দর দিয়ে পাথর, চাল সহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য, এমনকি কাঁচা আনাজও বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়৷ কিন্তু গত এক মাস ধরে এই পাথর রপ্তানিতে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ই, ডি, আই, সিস্টেম চালু হলেও এখনো সেই পরিকাঠামো তৈরি হয়নি।  
 ফলে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ লক্ষ মার্কিন ডলার রাজস্ব হারাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ বিষয়ে অতি দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে ওয়েস্ট বেঙ্গল কাস্টমস কমিশনার কে চিঠি দিয়ে আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান শ্রী সাহা
অন্যদিকে একই সুর লরি মালিকদের কন্ঠে। তাদের অভিযোগ এই সিস্টেম চালু হওয়ায় পাথর এক্সপোর্ট কমে এসেছে। তাই পুজোর আগে তারা সমস্যায় পড়েছেন। গাড়িচালক খালাসিদের বেতন দিতে পারছে না। 
এই বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলছিলাম সুপারেন্টেন্ড
অফ কাস্টম দেবাশীষ চক্রবর্তীর সাথে। তবে এই বিষয়ে তিনি ক্যামেরার সামনে কিছুই বলতে চাননি।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর