ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

চাঁচলে প্রথম রমজানেই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল যুবকের

উজির আলি

প্রকাশিত: ৭ মে ২০১৯ ২২ ১০ ১৬  

 ভাড়া গাড়ির চাকা খুলে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ট্রাক্টরে ধাক্কা মেরে খাল জমিতে পড়ে ছোটো গাড়ি উল্টে মৃত্যু হল চালকের। গুরুতর আহত হয়েছেন তার স্ত্রীও। মালদহের সামসির অদূরে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে মঙ্গলবার বিকেলে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম আহমেদ রেজা(১৯)। তার বাড়ি চাঁচল 1 নং ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শ্রীপতিপুর গ্রামে। তিনি এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ফলাফল আর দেখা হল না।আহত স্ত্রীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গত সপ্তাহেই প্রতিবেশী ওই কিশোরীকে পারিবারিক প্রস্তাবে বিয়ে করেছিলেন রেজা। অভাবি রেজা পড়াশুনোর পাশাপাশি নিজের ছোট গাড়িটি ভাড়ায় খাটাতেন। কারন তিনি একমাত্র সন্তান। ড্রাইভার না রেখে নিজেই গাড়িটি চালাতেন। এদিন তার মৃত্যুর খবর শুনে শ্রীপতিপুর সহ গালিমপুর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। 

পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রীপতিপুর থেকে ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে মালদহে গিয়েছিলেন রেজা। সেখানেই একটি বেসরকারি মিশনে তার স্ত্রী রেশমা পারভিন একাদশ শ্রেণিতে পড়াশুনো করে। যাত্রীদের নামিয়ে ফেরার সময় স্ত্রীকে নিয়ে ফিরছিলেন রেজা। রোজার মাসে বাড়িতে ঘুরতে আসছিলেন স্ত্রী।ভগবানপুর ও সামসির মাঝে জাতীয় সড়কের উপরে আচমকাই তার গাড়ির ডান দিকের চাকা খুলে যায়। নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সামনের একটি ট্রাক্টরকে ধাক্কা মেরে খাদে উল্টে যায় গাড়িটি। স্থানীয়রা দুজনকেই উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু মালদহে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই রেজার মৃত্যু হয় বলে খবর।

স্থানীয় দরিয়াপুর ইমামপুর বরামবল বিদ্যালয়ে পড়াশুনো করতেন রেজা। তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ নাদেরুজ্জামান বলেন, ও কষ্ট করে পুরনো একটা গাড়ি কিনেছিল। সেটা ভাড়া খাটিয়ে পড়াশুনো চালাত। তবে ও যে বিয়ে করেছে সে কথা জানতাম না। আমরা শোকস্তব্ধ।

রেজা ছিলেন একমাত্র সন্তান। বাবা আব্দুল আজিজ বলেন, আমার সব শেষ হয়ে গেল। এভাবে ছেলেটা চলে যাবে ভাবতেই পারছি না। প্রথম রমজানে ছেলে পৃথিবী থেকে নিরুদ্দেশ হওয়ায় মা কেদে ভেঙে পড়েন। গ্রামের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন ছাত্রজীবনের সহ স্থানীয় বন্ধু বান্ধবীরা। জানা যায়, সকালেই মর্গ থেকে ফিরবে দেহ।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর