ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

বিশালগড়ে ধৃত বাংলাদেশি যুবক, উদ্ধার জাল নোট সহ ছাপার মেশিন

দিদারুল ইসলাম, করিমগঞ্জ আসাম

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২০ ১৭ ০৫ ১০  

বিশালগড়ে ভারতীয় জাল টাকা তৈরীর মেশিন, কালি, কাগজ, ও জাল নোট সহ হাতেনাতে ধরা পড়ে এক বাংলাদেশি যুবক। ধৃত যুবকের নাম শিপন রায়। ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে ত্রিপুরার বিশালগড় থানাধীন লাল সিং মুড়া এলাকায়।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় ভারতীয় জাল টাকার ছড়াছড়ি হদিস পাওয়া যায়। বিভিন্ন দোকানপাটে প্রায় সময়ই জাল টাকা ধরা পড়ে। এলাকার কোথাও না কোথাও জাল টাকার চক্র রয়েছে বলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলেও হাতেনাতে কাউকেই ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে বাজার কমিটির লোকসহ স্থানীয় যুবকরা উৎপেতে বসেছিল এই জাল নোটের কারবারীদের পাকড়াও করার জন্য।শিপন রায় নামে একজন যুবক বাংলাদেশ থেকে এসে লাল সিং মুড়া পঞ্চায়েতের সিপিএম দলের প্রাক্তন প্রধান শিল্পী মজুমদারের বাড়িতেই থাকতো। শিপন রায়ের স্ত্রী ও বাংলাদেশ থেকে গত বছর দেড়েক আগে লাল সিং মুড়া এসে স্বামীর সঙ্গে রয়েছেন। এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়েছিল তাদের চালচলন ও টাকা খরচের বহর দেখে। তাদেরকে সন্দেহের তালিকায় রেখে জাল বিছায় স্থানীয়রা। আজ সকাল বেলা টিফিন এর দোকানে একজনকে শিপন রায় জালনোট দিতেই তাকে ধরে ফেলা হয়। এবং চাপ সৃষ্টি করা হয় কোথা থেকে এই জাল টাকার নোট সে পেল। খবর দেওয়া হয় বিশালগড় থানায়। ছুটে আসে পুলিশ।
পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসী তার বাড়িতে গিয়ে হানা দিয়ে জাল টাকা তৈরীর বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করে। একটি ছাপার মেশিন, কয়েকটি কালির বোতল, কাগজ সহ কিছু জাল টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
উল্লেখ্য। অবৈধ ভারতীয় জাল নোট কারবারি শিপন রায়ের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা প্রাক্তন সিপিএম এর প্রধান শিল্পী মজুমদারের বিরুদ্ধে তৎকালীন বাম আমলে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছিল। কিন্তু তৎকালীন শাসক দলের প্রধান হওয়ার সুবাদে কেউ কিছু করতে পারেনি। তারাও বাংলাদেশ থেকে এসেছেন বেশিদিন হয়নি। আর তাদের তত্ত্বাবধানেই নাকি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশী অবৈধ কারবারি ও কিছু দুষ্কৃতী আসা-যাওয়া করেন।
এলাকাবাসী জানায়, বর্তমানে আরও ১০/১৫ জনের একটি দল এই এলাকায় রয়েছে। এরা সবাই বাংলাদেশি। এদের কাজই এসব দুনম্বরি কাজ করা। যদিও শিপন রায় তার ভারতীয় কাগজপত্র বলতে শুধুমাত্র একটি আধার কার্ড দেখায়। যে টি আবার কলকাতার। বর্তমানে জাল টাকা ছাপার বিভিন্ন সামগ্রী সহ ধৃত শিপন রায় বিশালগড় থানার হেফাজতে রয়েছে।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর