কালিয়াচকের শতাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিতে এখনো রেশন কার্ড বিহীন

প্রায় ১৮৩ টি গ্ৰাম নিয়ে আমাদের কালিয়াচক ১ নং ব্লক উন্নয়ন সমিতি বিশ্ববাংলার বুকে সমগ্ৰ প্রকার উন্নয়ন নিয়ে নিজেকে তুলে ধরেছে। কিন্তু কালিয়াচকের বাসিন্দাদের দাবি তারা তাদের অধিকার সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে পায় না, তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য ডিজিট্যাল রেশন কার্ড।কবে মিলবে এই এই কার্ড তা নিয়ে গ্ৰামবাসীদের কথা যতোবার যায় কালিয়াচক পঞ্চায়েত উন্নয়ন সমিতিতে বারংবার একই কথা কার্ড না এলে আমারা কি করবো,যদিও গ্ৰামবাসীদের দাবি "আমরা খেটে খাওয়া হত দরিদ্র দিন মজুর একটি রেশন কার্ড পেতে ৬-৮মাস অপেক্ষা করতে হলে তাহলে আমাদের খাদ্যের সুরাহা কোথায়?সরকার আমাদের সমস্ত প্রকার সুযোগ সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও আমরা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত"। সূত্রের খবর স্থানীয় এক বাসিন্দা আজ থেকে প্রায় ৬ মাস আগে থেকে আবেদন করছে কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোনো খবর নেই এমনকি তিনি যতোবার গিয়েছেন তাকে বলা হয়েছে আরো ৬ মাস পরে এসো সবে জমা পড়েছে। এইরকম কার্ডবিহীন কয়েকশো গ্ৰামবাসী কিন্তু তাদের তেল,গম,চাল যাচ্ছে কোথায় ?প্রশ্ন স্থানীয় লোকজনদের।দেশ ডিজিট্যাল হলো সরকার সবকিছু পরিবর্তন করছে কিন্তু আড়াল হয়ে যাচ্ছে খেটে খাওয়া হত দরিদ্র মানুষ,তারা তাদের সমস্ত প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, কিন্তু এটা কতোদিন চলবে।একটি রেশন কার্ড তৈরি হতে এতো সময় লাগলে স্থানীয় লোকজনদের দাবি পুরাতন রেশন কার্ড দিয়ে সমস্ত প্রকার সুযোগ সুবিধা যেন পায় এবং নতুন ডিজিট্যাল কার্ড অতিসত্বর বিতরণ করা হয় সেদিকে প্রশাসনকে নজর দিতে হবে এবং তাদের একটাই কথা বর্তমান সরকার সমস্ত প্রকার ওবিসি,এসটি,এসসি  জন্ম সার্টিফিকেট একমাসের মধ্যেই দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কিন্তু ডিজিট্যাল রেশন কার্ড কেন একমাসের মধ্যে পাওয়া যাবেনা,কেনই বা প্রত্যেক নাগরিক কে প্রত্যেকদিন ঘুরে আসতে হচ্ছে দপ্তর থেকে,কেন এই কার্ড অন্যত্রে ছাপানো হচ্ছে, কেনই বা একজন কর্মচারী ও একজন ক্লার্ক দিয়ে কয়েকলক্ষ মানুষের পরিসেবা দেওয়া হবে,এতো বড়ো উন্নয়ন সমিতিতে একটি ঘরে একটি জানালা খুলে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের কাজ কর্ম হয় কি করে তা নিয়ে একাধিক দাবি দাওয়া পেশ করেন কালিয়াচক ১নং পঞ্চায়েত উন্নয়ন সমিতির জনসাধারণ।