ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

ড্রাগন ফল চাষে ঝুঁকছেন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ব্লকের চাষিরা

উমার ফারুক

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২০ ২২ ১০ ১৫  

উমার ফারুক

মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ব্লকে ড্রাগন ফল চাষ করতে উৎসাহিত হয়েছেন চাষিরা।দক্ষিণ আমেরিকার জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর ফল ড্রাগন যার চাষ শুরু হয়েছে জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ব্লকে।পুষ্টিগুণে ভরপুর ড্রাগন ফল দেখতে ও ভারি চমৎকার ।
।ব্লক কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চারা বিতরণ ও করা হয়েছে।কৃষি বিশেষজ্ঞ রা জানান,জেলার মাটিতে এই ড্রাগন ফল চাষ করা সম্ভব আবহাওয়া ও অনুকূলে আছে।বছরের যে কোনো সময় ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করা যায়।জমিতে পরিমাণ মতো জৈব সার প্রয়োগ করে চারা রোপণ করতে হবে।বাড়ির উঠোনে বা ছাদে ও ড্রাগন ফল চাষ করা যায় খুব সহজেই।সার ব্যবস্থাপনা ছাড়া তেমন কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না।গাছের কান্ড কেটে মাটিতে লাগালেই নতুন চারা তৈরি হবে।একটি গাছে প্রতি বছর ৫০-৬০টি পর্যন্ত ফল ধরে।প্রতি ফলের ওজন প্রায় ৫০০গ্রাম,যার প্রতি কেজি ফলের বাজার মূল্য প্রায় ৮০০-১০০০ টাকা বলে জানা যায়।স্বল্প খরচে ও স্বল্প পরিশ্রমে ভালো ফলন ও অধিক মুনাফা অর্জন করায় কৃষকরা ড্রাগন ফল চাষ করতে ঝুঁকছেন ।পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল চাষের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।এই ফল চাষ করে নিজেদের পরিবারের চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যিক ভাবে ও লাভবান হওয়া যায়।এই চাষে প্রতিযোগিতা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম হওয়ায় ফলের দাম বাজারে অনেক বেশি পাওয়া যাবে।তাই আর্থিকভাবে লাভবান হতে চান এমন কৃষকরা এই চাষের প্রতি অনেক বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।রঙ ও স্বাদে অতুলনীয় এই ফলের নানা উপকার ও আছে।বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে এই ফলের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।দক্ষিণ আমেরিকায় এই ড্রাগন ফল খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।আমাদের দেশে ও পুষ্টিগুণের কারণে ফলটি 
জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ড্রাগন ফল নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ নিরাময় করতে ড্রাগন ফল সেবন করলে সুফল পাওয়া যায়।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে।সুগার রোধ করে, হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে,কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়তা করে,হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে,স্নায়ুকোষ তৈরি ও সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে,দৃষ্টি ক্ষমতা উন্নত করে।ত্বক উজ্জ্বল করে ও বার্ধক্য কমায়,জ্বালা যন্ত্রণা নিরাময় করে।ক্যানসার নিরাময় করে,ডেঙ্গু রোগ সারিয়ে তুলতে সহায়তা করে।ড্রাগন ফল চাষ করলে গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে যেমন লাভবান হবেন তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে।
একবিঘে জমিতে ৮৮৮টি ড্রাগন গাছ লাগানো যায়।বিঘে প্রতি প্রায়  ৫৫৫০কেজি ফল পাওয়া যাবে।যা বিক্রি করে অধিক মুনাফা অর্জন করা যাবে।ধান,গম,পাট সহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক বেশি ফলন ও মুনাফা অর্জন করতে পারবেন কৃষকরা।এই সমস্ত দিক বিবেচনা করেই ব্লক কৃষি বিভাগ চাষিদের ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য উৎসাহিত করেছে।চাষের পদ্ধতি ও ব্লক কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের জানানো হয়েছে।
চাষিরা জানান,ব্লক কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে  আমাদের ড্রাগন ফলের গুণাগুণ সম্পর্কে জানানো  হয়। চাষ করার ফলে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যাবে তাই আমরা এই নতুন একটি ফল চাষ করা শুরু করেছি।ধান,গম,পাট সহ অন্যান্য চাষে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় কিন্তু সেই রকম মুনাফা অর্জন করা যায় না।তাই অধিক মুনাফা লাভের আশায় ড্রাগন ফল চাষ করার দিকে ঝুঁকেছি।
ব্লক কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়,ব্লক কৃষি বিভাগ,সহ কৃষি অধিকর্তার করণ থেকে আতমা(এগ্রিকালচার টেকনোলজী ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি,এটিএমএ) প্রকল্পের অধীনে ড্রাগন ফলের চারা বিতরণ করা হয় ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের চাষিদের সেই সঙ্গে বিভিন্ন মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে ও চারা তুলে দেওয়া হয়।ব্লক টেকনিক্যাল ম্যানেজার ধর্মেন্দ্র পাল জানান,ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য কৃষকদের সবধরনের সহযোগিতা করা হবে।চাষের পদ্ধতি থেকে নিয়ে ফল বাজারজাত করা পর্যন্ত চাষিদের গাইডলাইন দেওয়া হবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা ড.কিংকর দে তরফদার বলেন,ড্রাগন ফল চাষ  করে চাষিরা স্বনির্ভর হতে পারবেন কারণ স্বল্প ব্যয়ে এই চাষে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায় সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধে ও এই ফল খুবই কার্যকরী।চাষ করাও খুবই সহজ যে কোন মরসুমে এই চাষ শুরু করা যায়।পুষ্টিগুণে ভরপুর ড্রাগন ফল দেখতে ও ভারি চমৎকার ।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর