ব্রেকিং:
জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

শুক্রবার   ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   ফাল্গুন ৯ ১৪৩১   ২৩ শা'বান ১৪৪৬

সর্বশেষ:
জামাইবাবুর হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা

অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার তরুণ

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭ ০৫ ৫৪  

ছেলেকে আটকে রেখে মুক্তিপণের ১৫ লক্ষ টাকা দাবি। ঘটনায় চাঞ্চল্য বংশীহারী এলাকায়। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে ছেলেকে উদ্ধারের অভিযোগ নিয়ে থানার দ্বারস্থ হন বাবা। মঙ্গলবার ওই ব্যাপারে বংশীহারী খানায় গেলে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। যার জেরে বিপাকে অপহৃতের পরিবার।

উপায়ান্তর না দেখে আইনজীবী মামুন আল রশিদের সহযোগিতায় পুলিশমন্ত্রী থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন

কর্তৃপক্ষদের সন্ধ্যায় মেল মারফত অভিযোগপত্র দায়ের করেন বংশীহারীর সাহানন্দ এলাকার বাসিন্দা আবুজার রহমান। আর তাতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে রাতভর তোলপাড় শুরু হয় পুলিশমহলে। বুধবার দুপুরে পুলিশ উদ্ধার করে অপহৃত বছর কুড়ির রফসান জানিকে। বংশীহারী থানায় তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।

আবুজার রহমানের বক্তব্য, 'আমার পুত্র রফসান সান জানি (২০)। আপাতত বারাসাতের একটি

আইটিআই কলেজে পড়াশোনা করে। সেই সুবাদে আড়াই বছর যাবৎ বারাসাতেই থাকত। উৎসব-অনুষ্ঠানে কখনও বাড়িতে আসত। একমাস আগে ছেলে দুই-তিনদিনের জন্য বাড়িতে আসে, তারপর সে বারাসাতে চলে যায়।' অপহরণের আগে ২৮ জানুয়ারি ছেলের সঙ্গে শেষবার কথা বলেন বাবা। সে ভালো আছে বলে জানতে পারেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বেলা বারোটা নাগাদ ছেলের মোবাইল নম্বর থেকে বাবার কাছে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল আসে। ফোন রিসিভ

করার পরে অপর প্রান্ত থেকে ছেলে কেঁদে বলে, তাকে কেউ অপহরণ করে রেখেছে। জানায় ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ না দিলে তাকে দুষ্কৃতীরা মেয়ে ফেলবে। পরবর্তীতে আরও জানানো হয় ছেলেকে মেরে লাশ গুম করে দেওয়া হবে। থানা-পুলিশ করলে ছেনের পরিণতি ভয়ংকর হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।

তার কিছুক্ষণ পর ছেলের ফোন থেকে একটি ভিডিও আসে বাবার মোবাইলে। আবুজার রহমানের অভিযোগ, 'ওই ভিডিও-তে দেখা যায় কেউ একজন আমার ছেলেকে মাটিতে ফেলে ভার বুকের উপর বসে

একহাতে পিস্তল তার মুখে গুঁজে রেখেছে। আমার ছেলে কান্না করে প্রাণভিক্ষা চাইছে।'

যদিও বুধবার ছেলেটিকে কোথা থেকে উদ্ধার করা হল এবিষয়ে কেউ মুখ খুলছে না। পুলিশ জানিয়েছে, মালদা জেলা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর বারাসাত থেকে মালদায় কেন এল এই পড়ুয়া। এই প্রশ্নও উঠছে। এরসঙ্গে অন্য কোনও যোগসাজশ আছে কি না, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্যকে বারংবার ফোন করা হলে ফোনটি। ধরেননি।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর