ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

জাপানে শিশুদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে

জাগরণ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০১৮ ১৭ ০৫ ৩৪  

 

১৯৮৬ সালে জাপানে আত্মহত্যা করেছিল ২৬৮ শিশু ও কিশোর-কিশোরী। ওই সময়ের পর থেকে ২০১৬-১৭ সাল পর্যন্ত বছরগুলোতে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে পাঁচগুণ।খবর সিএনএনের।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানান,স্কুলে অত্যাধিক শাসন,পারিবারিক ইস্যু ও হতাশার কারণে ১৯৮৬ সালে অন্তত আড়াইশো শিশু ও কিশোর-কিশোরী নিজেকে শেষ করে দিয়েছে।সবাই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে লেখাপড়া করছিল।এর মধ্যে মাধ্যমিক পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।

বার্তা সংস্থা সিএনএনকে ২০১৫ সালে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ১৭ বছর বয়সি নানে মুনেমাসা নামের এক শিক্ষার্থী।তিনি বলেছিলেন,গ্রীষ্মকাল উপলক্ষে স্কুল যখন দীর্ঘদিনের ছুটি দেয় সে সময়টা তিনি বাসাতেই কাটান। তাছাড়া স্কুলে নিপীড়িত  শিক্ষার্থীদের কাছে এ সময়টা খুব আনন্দের। ছুটি শেষে আবার স্কুলে ফেরা।এরপর আবার শিক্ষকদের অত্যাধিক শাসন, অতিরিক্ত পড়ার বোঝাসহ নানা ধরনের মানসিক নিপীড়ন।যা শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর।যখন আপনি মানসিক নিপীড়নের শিকার হবেন তখন আপনার মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাবে।তাই কথাগুলো অন্যের কাছে বলে সাহায্য পাওয়ার আগে আপনি আত্মহত্যাকেই শ্রেয় মনে করবেন।

জাপান ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সির দেয়া তথ্য মতে,২০০৩ সালে আত্মহত্যাকারী শিশু,কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা ছিল ৩৪ হাজার ৪২৭ জন।২০১৭ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২১ হাজার ৩২১-এ। গত অর্থবছরে তা আবার বেড়েছে।

জাপান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়,আত্মহত্যার হার কমাতে ২০১৬ সালে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে জাপান সরকার ।উক্ত পরিকল্পনায় ২০২৬ সালের মধ্যে এর হার কমিয়ে ৩০ শতাংশে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।এর অংশ হিসেবে দেশের প্রত্যেকটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে মনোরোগবিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়া হয়। যাতে করে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক সাহায্য পায় সেজন্য ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন চালু করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কোজু মাতসুবায়াশি জাপান টাইমসকে বলেন,এ মর্মান্তিক অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই।তবে চরম বাস্তবতা হলো প্রতিবছরই কয়েক শত শিক্ষার্থী নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে।তাই কত দ্রুত সময়ের মধ্যে সাহায্য পাওয়া যায় তা শিক্ষার্থীদের জানানো খুব দরকার।কারণ একবার এ সমস্যার সম্মুখিন হলে তা থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যায়। যতক্ষণ না তারা বাঁচার কোনো অবলম্বন খুঁজে না পায় ততক্ষণ তারা অন্ধকার থেকে আরও অন্ধকারের দিকে ঝুঁকে যায়।

জেডএস/এমটিআই
 

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর