ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

হরিশ্চন্দ্রপুর

বিডিও সাহেব প্লিজ আমাদের একবার দেখে যান

সরিফুল ইসলাম, হরিশ্চন্দ্রপুর

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২০ ১৪ ০২ ১৪  

হরিশ্চন্দ্রপুর

হরিশ্চন্দ্রপুর

ভোট যায়, ভোট আসে কিন্তু  ওদের জীবন থেকে কোনো মতেই অন্ধকার দূর হয় না। বর্ষা আসলেই ঘোর বিপদে পড়ে এই পিছিয়ে পড়া আদিবাসী মানুষগুলি। কখনো হাঁটু জল, কখনো কোমর পরিমাণ জল ।আর এই জলের মধ্য দিয়ে টানা তিন থেকে চার মাস যাতায়াত করতে হয় এই কপাল পোড়া বাসিন্দাদের। রাস্তাটি এত নিচু যে জল নিষ্কাশনেরও ব্যবস্থা নেই। তবু হেলদোল নেই প্রশাসনের ।আসলে মানুষগুলো হচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা বা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক বা হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল থেকে ঢিল ছোরা দূরত্বে থাকা তেঁতুলবাড়ি এলাকার শিবমন্দির পাড়ার মানুষজন। শিবমন্দির পাড়া গ্রামটি প্রায় একশ ঘরের বসবাস। বেশির ভাগ মানুষগুলি আদিবাসী। তাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার মূল স্রোতে পাল্লা দিয়ে যেতে পারে না। তার উপর এখানকার ছোটো ছোটো বাচ্চাগুলি এই জলের মধ্য দিয়েই যাতায়াত করে। তাই বাচ্চাগুলির প্রাণ নাশের প্রবল আশঙ্কা থাকছে বলে অভিযোগ।আর এই আশঙ্কাকে সঙ্গী করে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর কাটিয়ে চলে আসছে শিবমন্দর পাড়ার বাসিন্দারা।কোনো সমাধানের পথ নেই। তাই শনিবার অভিনব কায়দায় আন্দোলনে নেমে পড়বেন বলে জানিয়েছেন তারা । রাস্তার কাজ না হলে লাগাতার আন্দোলনের পথে যাবে বলে জানিয়েছেন তারা। তাদের মূল স্লোগান '' বিডিও সাহেব প্লিজ আমাদের একবার দেখে যান '' ।আর এই স্লোগানকে সামনে রেখে আগামি দিনে আন্দোলন চলতে থাকবে বলে সাফ জানিয়েছন স্থানীয় বাসিন্দারা ।বিক্ষুব্ধ দিলীপ মণ্ডল, নন্দ কুমার পাণ্ডে, বিপ্লব দাস প্রমুখ ব্যক্তিরা জানান, আমাদের রাস্তাটি দুই থেকে আড়াই ফিট উঁচু করার জন্য বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। তাতে কোনো লাভ হয়নি। এমনকি আমরা লিখিত অভিযোগও করেছি বিডিও সাহেবের কাছে। স্থানীয় এমএলএ কেউ জানিয়েছি। প্রতিবছর বর্ষা এলে কোমর পরিমাণ জলের মধ্য দিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। এক প্রশ্নের উত্তরের তিনি আরো জানান, ব্লক প্রশাসন অন্তত একবার এসে দেখে যাক আমরা কী অবস্থায় রয়েছি। অন্তত মাটি দিয়ে এখনই রাস্তাটি আড়াই ফিট উঁচু না করে দিলে আমাদের আন্দোলন বৃহত্তর রূপ নেবে  বলে হুঁসিয়ারি দেন তারা।স্বাধীন কর্মকারের বাড়ি থেকে এরফান আলির বাড়ি পর্যন্ত একশ মিটার রাস্তা নিচু থাকায় তাদের এই সমস্যা বলে জানান তারা। তবে হরিশ্চন্দ্রপুরী ১ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন, শিবমন্দির পাড়ায় জল জমে থাকার সমস্যাটি দীর্ঘদিনের । স্থায়ীভাবে সমাধানের চেষ্টা করছি। রাস্তাটি উঁচু করে তেরি করতে হবে। তবে আপাতত পাম্প দিয়ে এবার বর্ষার জলগুলো বের করতে পঞ্চায়েত কে বলেছে। আসলে এই সমস্ত মানুষগুলির স্থায়ী সমাধান কবে হয় সেটাই এখন দেখার।

Puspaprovat Patrika
এই বিভাগের আরো খবর