ব্রেকিং:
আরজি কর মেডিকেলে ২০০ কোটির দুরনীতি, একাধিক প্রভাবশালীর জোগ থাকার সম্ভাবনা নলপুরে বেলাইন সেকান্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস চলতি মাসেই ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা, রয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও আগ্রা- লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু রায়গঞ্জের কুলিকে শিশুর প্রাণ বাচিয়ে ডুবে মৃত্যু তরুণের গাজোলে মাটি খুড়তে গিয়ে উদ্ধার ১৬টি রুপার মুদ্রা

সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মুর্শিদাবাদের সুতিতে শুট আউট। CSK-তে যাচ্ছেন ঋষভ? সামনে এল বড় খবর

Poem -The Butterfly`s Journey 

The Butterfly's Journey 

Marlon Salem Gruezo-Bondroff 

Philippines-USA

 

 

In a garden, bright with morning dew,

A caterpillar crawls, its world so new.

With every leaf it nibbles through,

It dreams of skies, of endless blue.

 

Wrapped in silk, it takes its rest,

A quiet cocoon, a hidden nest.

Change is slow, but it’s for the best,

For life’s true beauty is often a test.

 

Then one day, with wings unfurled,

A butterfly emerges, a new world.

Colors vivid, wings gently swirled,

A symbol of life’s journey, now twirled.

 

From flower to flower, it dances light,

A testament to growth, to reaching new height.

In every flutter, in every flight,

It whispers of hope, of endless might.

 

Let us learn from this gentle creature,

Life’s constant change, its every feature.

In every stage, in every future,

We find our strength, our inner teacher, our healer.

 

All rights reserved.

০৪:৩৩ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২৪ রোববার

বাংলাদেশের কোটা আন্দোলন ও কিছু আনুষঙ্গিক কথা

বাংলাদেশের কোটা আন্দোলন ও কিছু আনুষঙ্গিক কথা 

মজিবুর রহমান, প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল

কাবিলপুর, মুর্শিদাবাদ

 

        অবিভক্ত বাংলার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের একটা ইতিহাস ছিল।১৯৪৭ সালে ভারত তথা বঙ্গবিভাজনের পর থেকে পূর্ববঙ্গে সেই পরম্পরার প্রকাশ ঘটতে দেখা যায়। পূর্ববঙ্গের ভাষা আন্দোলন বিশ্ববাসীকে ১৯৫২ সালে এক রক্তস্নাত ২১শে ফেব্রুয়ারি উপহার দেয় যা ২০০০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে।ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে পূর্ববঙ্গের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষের প্রাণহানির মধ্য দিয়ে নতুন দেশ বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়। স্বাধীনতা লাভের পর বিগত অর্ধ শতাধিক বছরে বহুবার বাংলাদেশের রাজপথকে রক্তাক্ত আন্দোলনে ব্যস্ত হতে দেখা গেছে। ২০২৪ সালের 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বাধিক সহিংস আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।

     ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭২ সালেই সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ প্রথা প্রবর্তন করে। সংরক্ষিত আসন সংখ্যার শতাংশ নির্ধারিত হয় এরূপ: মুক্তিযোদ্ধা-৩০, নারী-১০, জেলা-১০, জনজাতি-৫, প্রতিবন্ধী-১, মোট ৫৬ শতাংশ। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর দুই দশক ধরে এই সংরক্ষণ বা কোটা স্থগিত রাখা হয়। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন এবং সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনঃপ্রবর্তন করেন। মুক্তিযোদ্ধা থেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পর্যন্ত কোটা সম্প্রসারিত করা হয়। ২০০১ সালে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে কোটা প্রথা রদ করেন। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা শাসন ক্ষমতায় ফিরে আসেন এবং সেই সঙ্গে ফিরিয়ে আনা হয় সংরক্ষণ। ২০১১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদেরও সংরক্ষণের আওতায় আনা হয়।২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের তীব্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে হাসিনা সরকার জনজাতির জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণ বজায় রেখে বাকি ক্ষেত্রগুলো থেকে সংরক্ষণ তুলে দেয়। ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করা হয়। ২০২৪ সালের ৫ই জুন হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেয়। এর প্রতিবাদে ছাত্র সমাজ পথে নামে। আবার কোটা সংস্কারের দাবি ওঠে।সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে বলা হয় যে, আদালতের রায় নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই। কিন্তু আন্দোলনের চাপে পড়ে সরকার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করে। সুপ্রিম কোর্ট ১০ই জুলাই হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে ৭ই আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে। ১৪ই জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা অনুষ্ঠানে আন্দোলনকারীদের খুব কড়া ভাষায় সমালোচনা করার পাশাপাশি বলেন যে, সংরক্ষণ মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিরা পাবে না তো কি রাজাকারদের নাতিপুতিরা পাবে? তাঁর এই মন্তব্য আগুনে ঘি ঢালার সামিল হয়।আন্দোলনকারীরা তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করে স্লোগান দেয়, "চাইতে গেলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার! তুই কে? আমি কে? রাজাকার রাজাকার! বলছে কে? বলছে কে? স্বৈরাচার স্বৈরাচার!" আন্দোলন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। সুপ্রিম কোর্টে কোটা মামলার শুনানি এগিয়ে আনা হয়। ২১শে জুলাই সুপ্রিম কোর্ট সরকারি চাকরিতে সাত শতাংশ কোটা রাখার কথা জানায়- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে হাসিনা সরকার ২৩শে জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু সাত-আট দিনের আন্দোলনেই বাংলাদেশ কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়। আবাসিক হলগুলো থেকে পড়ুয়াদের বের করে দেওয়া হয়।ভারত, নেপাল ও ভুটানের শিক্ষার্থীরা স্বদেশে ফিরে যান।গোলাগুলি, লাঠালাঠি, ইটপাটকেল ছোড়াছুড়িতে কমবেশি দুশো জন ছাত্র, পুলিশ ও সাধারণ মানুষ নিহত এবং দু'হাজার জন আহত হন। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। প্রচুরসংখ্যক সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়। তাণ্ডবের শিকার হয় রাজধানীর মেট্রোরেল, টোল প্লাজা, টিভি'র কার্যালয়, ইন্টারনেটের কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, হাসপাতাল, কমিউনিটি সেন্টার। একটা জেলে হামলা চালিয়ে আটশো'র বেশি বন্দীকে মুক্ত করে দেওয়া হয়।পরিস্থিতি সামাল দিতে কারফিউ জারি করা হয়, সেনা নামানো হয়, দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। 

      বাংলাদেশে সরকারি চাকরির প্রধান পরীক্ষা বিসিএস বা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস। এটা একটা ত্রিস্তরীয় পরীক্ষা যা সম্পন্ন হতে প্রায় দুই বছর সময় লাগে। প্রথম পর্যায়ে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয়। এখানে যারা কোয়ালিফাই করে তারা দ্বিতীয় পর্যায়ে লিখিত পরীক্ষায় বসে। এই মূল পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয় তাদের তৃতীয় পর্যায়ে সাক্ষাৎকার বা মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয়। বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্ত সাফল্যের হার মাত্র দুই শতাংশের মতো। এই পরীক্ষার কোনো পর্যায়েই চাকরিপ্রার্থীদের কোটাগত সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই। সুতরাং, চাকরির মেধা তালিকায় সত্যিকারের মেধাবী ছেলেমেয়েরাই ঠাঁই পায়। এজন্য কোটায় চাকরি প্রাপকরা একেবারে নিম্ন মেধার অথবা অযোগ্য, এমন মনে করা সঙ্গত নয়। ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে এখন সরকারি চাকরিতে ১৭ লক্ষ আসন রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার এক শতাংশের কম। এদিক থেকে দেখলে দেশের এক শতাংশেরও কম মানুষের জন্য চাকরিতে ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ অস্বাভাবিক বলেই মনে হয়। 

       বাংলাদেশের রাজনীতি ও আন্দোলনে দুটি বহুল ব্যবহৃত শব্দ হলো মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার। ইংরেজি 'ফ্রিডম ফাইটার' পশ্চিমবঙ্গে 'স্বাধীনতা সংগ্রামী' হলেও বাংলাদেশে 'মুক্তিযোদ্ধা'। তবে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে একটুখানি ফারাক আছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম অহিংস ও সহিংস উভয় পথেই পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিযুদ্ধ ছিল পুরোপুরি সহিংস। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন কয়েক দশক ধরে চললেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ মূলত ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলেছিল। ১৯৭২ সালে ঘোষিত দ্য বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাইটারস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সংজ্ঞা অনুযায়ী, মুক্তিযোদ্ধা হলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি মুক্তিযুদ্ধে নিয়োজিত যেকোনো সংগঠিত ফোর্স বা দলের সদস্য হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। কেউ যদি মুক্তিযুদ্ধে নিয়োজিত কোনো সংগঠিত দলের সদস্য না হন অথবা হয়েও সক্রিয় ভূমিকা না রাখেন তবে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন না। শাসকদলের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞাতেও পরিবর্তন ঘটতে দেখা গেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের একাধিক তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করা হয়েছে কিন্তু সেসব তালিকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এবং বিতর্কের অবসান হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের একটি হিসাব অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার সর্বোচ্চ সংখ্যা এক লাখ তিরাশি হাজার। এখন হয়তো বেঁচে আছেন এক লাখ এবং তাঁদের সকলেরই সরকারি চাকরি পাওয়ার বয়স পার হয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়েদেরও অধিকাংশের বয়স পার হওয়ার মুখে। এখন তাঁদের নাতিপুতিরা কোটার সুবিধা ভোগ করেন।

       ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরোধীদের একটা অংশ পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ছিল না। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ মদতে পাকিস্তানপন্থী বাঙালি এবং উর্দুভাষী অবাঙালি অভিবাসীদের নিয়ে '৭১ সালের মে মাসে খুলনায় গঠিত আধা সামরিক বাহিনী রাজাকার নামে পরিচিত হয়। রাজাকাররা পাক সামরিক বাহিনীকে বাংলাদেশে গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মতো দুষ্কর্মে সহায়তা করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর রাজাকারদের অনেকেই দেশ ছেড়ে পালায়।বিগত এক দশকে বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে দেখা গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ফার্সি রেজাকার শব্দের অর্থ হলো স্বেচ্ছাসেবক। রেজাকার অপভ্রংশে হয়েছে রাজাকার। বাংলাদেশে রাজাকার একটি অপমানসূচক শব্দ যার অর্থ বিশ্বাসঘাতক, প্রতারক বা দেশদ্রোহী।আল বদর ও আল শামস নামে আরও দুটি আধা সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর প্রায় এগারো হাজার জনের একটি তালিকা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সরকার প্রকাশ করলেও নানা ভুল ও অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তা শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

       বাংলাদেশের যেকোনো আন্দোলনে ভারত বিদ্বেষী স্লোগান উঠতে দেখা যায়। এবারও আন্দোলনকারীদের মিছিল থেকে আওয়াজ উঠেছে, "ভারত যাদের মামাবাড়ি বাংলা ছাড় তাড়াতাড়ি।" আসলে শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ককে আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ভালো চোখে দেখে না। তারা অভিযোগ করে যে, হাসিনা ভারতের কথায় চলে। তাদের হাসিনা-বিরোধিতা ভারত-বিরোধিতায় পরিণত হয়।আবার বাংলাদেশে অনেক মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন আছে যারা মানসিকভাবে পাকিস্তানপন্থী। এরা সুযোগ পেলেই ভারতবিরোধী বক্তব্য পেশ করে। ক্রিকেট খেলাতে ভারতের পরাজয় ও পাকিস্তানের বিজয় কামনা করে। অনুরূপ কাণ্ডকারখানা অবশ্য ভারতেও ঘটতে দেখা যায়। এদেশের হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো কারণে অকারণে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে আনে। পাকিস্তান ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতলেও তাদের মুখ ভার হয়। যখন তখন বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ করা হয়। 'ঘুসপেটিয়া' বলে অপমান করা হয়।

       বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র এখনও যথেষ্ট বিকশিত হয়নি। এবছর জানুয়ারি মাসে টানা চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনার সরকার গঠিত হয়। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ গ্ৰহণ করেনি। চল্লিশ শতাংশের কম ভোট প্রদত্ত হয়। বিভিন্ন আন্দোলন পরিচালনা ও তা দমন করার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ভাবধারার অভাব অনুভূত হচ্ছে। বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো ছাত্রকে গুলি করে মেরে ফেলা কোনো সভ্য সমাজের পুলিশের কাজ হতে পারে না।স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও দেশবাসীকে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের সমর্থক হিসেবে বিভাজিত করা সমীচীন নয়।সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে দুর্বৃত্তদের অনুপ্রবেশের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বকে এব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদীদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের কারণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে যাতে সম্পর্ক খারাপ না হয় তার জন্য উভয় দেশের নাগরিক সমাজকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

১১:৩২ এএম, ২৭ জুলাই ২০২৪ শনিবার

Poem - The Worries of The Time

The Worries of The Time

Mohamed rahal

Algeria 

 

 

The worries of the time of my life are gone 

Live with it 

My days are difficult and what are they like??.

 

My life is over and lost 

There is no one for me to listen 

 

An hour when we miss all the hunger 

One hour we will be patient, my heart is full 

 

I miss you for the joy of a few hours 

I see with my eyes and my mind is lost 

 

What upset me was that I had a pledge of allegiance 

Ten years of time and deception  

 

He left and left me with a dog's nature

My tears cry, my eyes are filled with tears 

 

We raise our hands to God, Taya 

We pray and pray 

 

 A fierce, fiery and bright jinx 

I am afflicted with the oppression of those who are patient 

 

We carry it 

What do I know about my days??

 

 

 

 

সময়ের দুশ্চিন্তা 

মোহাম্মদ রাহল (আলজেরিয়া)

অনুবাদ: মোঃ ইজাজ আহামেদ (ভারত)

 

 

আমার জীবনের সময়ের দুশ্চিন্তা গেছে কেটে 

বসবাস এটির সাথে  

আমার দিনগুলি কষ্টকর এবং সেগুলি কেমন?? 

 

 আমার জীবন শেষ এবং হারিয়ে গেছে 

 আমার কথা শোনার কেউ নেই 

 

 এক ঘন্টা যখন আমরা মিস করি সমস্ত ক্ষুধা   

 এক ঘন্টা আমরা ধৈর্য ধরব, আমার হৃদয় আছে পূর্ণ 

 

 আমি কয়েক ঘন্টার আনন্দের জন্য মিস করি তোমাকে

 আমি চোখ দিয়ে দেখি আর আমার মন যায় হারিয়ে  

 

আমার আনুগত্যের অঙ্গীকার ছিল যেটা বিপর্যস্ত করেছিল আমাকে

দশ বছর সময় এবং প্রতারণা  

 

 সে আমাকে ছেড়ে চলে গেল কুকুরের স্বভাব নিয়ে

 আমার অশ্রু কান্না করে, আমার চোখ ভরে যায় জলে 

 

 আমরা ঈশ্বরের কাছে হাত উঠাই, টায়া 

 আমরা প্রার্থনা করি এবং প্রার্থনা করি 

 

 একটি উগ্র, জ্বলন্ত এবং উজ্জ্বল ভাগ্য 

 আমি ধৈর্যশীলদের অত্যাচারে পীড়িত 

 

 আমরা এটি বহন করি 

 আমার দিনগুলো সম্বন্ধে আমি কি জানি??

 

 

 

 *এই কবিতাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে মোঃ ইজাজ আহামেদ-এর দ্বারা অরঙ্গাবাদ মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে।

(This poem has been translated into Bengali from English by Md Ejaj Ahamed from Aurangabad, Murshidabad, West Bengal, India)

১১:২৭ এএম, ২৭ জুলাই ২০২৪ শনিবার

Poem - The Fear Of Old Age

The Fear Of Old Age

 Samuel Julius Habakkuk Kargbo 

The hardest thing about growing up

Its watching time takes everyone we love

But what pains more than seeing

Our youth fades in front of our eyes?

Millions live in a dark cage of fear

The fear of old age is an imminent shadow

In the twilight of our quiet rooms

Whispers of death bring silent pains

When the flame of youth begins to wane

When strength starts fading like a setting sun

The bells of old age begin to wail

And the fear of dying presses the heart

“One day we shall all die”

Great speeches about vain lifestyles

As we merry and live in a hurry

Finding solace in short-lived romances

The fear of old age holds many as captives

God’s love is the breaking spell

From the grip of the world’s iron hands

In summer, only sunshine is seen

©️Poem Makers SL (06/07/24)

Biography:

Mr Samuel Julius Habakkuk Kargbo is a Sierra Leonean. He is popularly known as Rabbi TheWatchman or Godpoet. He was born in Wilberforce village, Freetown. He is a gentleman with admirable qualities who doubles as a fine Regentonian. He is a charismatic and spirit-filled Christian. He has an excellent attitude towards duty, pressure, commitment and multitasking. 

 

A twenty-first leader who doubles as a reliable and trustworthy servant to people and nations. He has a BSc in Chemistry from Fourah Bay College, USL an MSc in Environmental Sciences (Hons) from Cyprus International University. He is currently doing research on Environmental Toxicology at Nagasaki University in Japan.

 

A Preacher, Poet, Philanthropist, Teacher, Chemist, Environmental scientist, Creative writer, Songwriter, Scriptwriter, Poetry coach and Leadership mentor. He has written innumerable quotes, stories, songs, and over one thousand, eight hundred poems. 

 

His wand of writing is provoked by The Holy Ghost and that is his mystery. Mr Kargbo is the CEO and inventor of Poem Makers SL. A poetry brand that motivates and mentors young brilliant minds in Sierra Leone and abroad. He believes in teamwork. He continues to contribute to the success of many non-poetry organisations and poetry organisations like Discovery The Hidden Pens where he is a core ingredient and Chief Judge. He celebrates others as he loves to see people grow and metamorphose into butterflies. He is a man with an excellent spirit and of great influence.

 

 

 

 

 

 

 

০৩:৫৯ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৪ শুক্রবার

Poem - salvation!

SALVATION!

TAGHRID BOU MERHI (LEBANON - BRASIL)

 

Merely half a machine;

And the other half of flesh and clay!

Restlessly sighing according to the alphabet of falling, and descending at the last rung of salvation...

 

I am at the good faith of nature, an eternal being!

 

From the braid of the cloud, I harmonize and chant hymns of water springs...

So the deserts of hearts and the wilderness of dreams are quenched...

And the clay is saved and the pages of darkness are folded...

 

You no longer see me as a vaporous being in the form of smoke...

You no longer see my steps as mere airy traces...

You no longer await the sound of the wind as it rages 

With its murmurs above the roof of the hungry and in the mouth of emptiness...

 

I had to borrow from the mountain its towering rocks

And from the sea its turquoise, its sapphire, and its coral, to stir the dust of mirrors and ask it: Who are you...?

 

I am now like a rock in the middle of a barren desert!

Merely a storyteller writing the anxiety of her melting existence staring at things until their end...

The wind and the scorching sun envelop me

The sky's comb styles my hair so the features of light awaken and ride the steed of life.

 

© TAGHRID BOU MERHI (LEBANON - BRASIL)

 

 

 

পরিত্রাণ ! 

তাগরিদ বৌ মেরহি (লেবানন - ব্রাসিল)

অনুবাদ: মোঃ ইজাজ আহামেদ (ভারত)

 

 নিছক অর্ধেক মেশিন;

 আর মাংসের অর্ধেক ও কাদামাটি!

 পতনের বর্ণমালা অনুসারে অস্থিরভাবে দীর্ঘশ্বাস ফেলা, 

এবং পরিত্রাণের শেষ সোপানে অবতরণ করা... 

 

 আমি প্রকৃতির সৎ বিশ্বাসে একজন চিরন্তন সত্তা! 

 

মেঘের বিনুনি থেকে, আমি একতান করি এবং গাই জলের ঝর্ণার স্তুতি...

 তাই হৃদয়ের মরুভূমি এবং স্বপ্নের প্রান্তর নিভে যায়...

 আর কাদামাটি সংরক্ষণ করা হয় এবং অন্ধকারের পাতাগুলি ভাঁজ করা হয় ... 

 

 তুমি আমাকে আর ধোঁয়ার কাঠামোতে বাষ্পী প্রাণী হিসাবে দেখো না...

 তুমি আর আমার পদক্ষেপগুলিকে নিছক বাতাসময় চিহ্ন হিসাবে দেখো না...

তুমি আর বাতাসের শব্দের জন্য অপেক্ষা করো না কারণ এটি গর্জন করে

 ক্ষুধার্তদের ছাদের উপরে এবং শূন্যতার মুখে ... 

 

 আমাকে পাহাড় থেকে তার উঁচু পাথর হয়েছিল ধার করতে, 

 আর সমুদ্র থেকে তার ফিরোজা, তার নীলকান্তমণি, এবং তার প্রবাল, আয়নার ধুলো নাড়াতে এবং জিজ্ঞাসা করো: তুমি কে...? 

 

 আমি এখন অনুর্বর মরুভূমির মাঝে পাথরের মত!

কেবল একজন গল্পকার তার গলে যাওয়া অস্তিত্বের উদ্বেগ লিখে শেষ অবধি জিনিসের দিকে তাকিয়ে আছে...

 বাতাস আর ঝলসে দেওয়া সুর্য আমাকে ঢেকে ফেলে

 আকাশের চিরুনি আমার চুলের স্টাইল করে 

তাই আলোর বৈশিষ্ট্যগুলি জাগ্রত করে এবং জীবনের ঘোড়ায় চড়ে। 

 

 © তাগরিদ বৌ মেরহি (লেবানন - ব্রাসিল)

 

 

*এই কবিতাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে মোঃ ইজাজ আহামেদ- এর দ্বারা অরঙ্গাবাদ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে।

 

(This poem has been translated into Bengali from English by Md Ejaj Ahamed from Aurangabad, Murshidabad, West Bengal, India.)

০৫:১৮ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২৪ মঙ্গলবার

Poem - Blessings in Disguise

Blessings in Disguise

Marlon Salem Gruezo-Bondroff 

Philippines-USA

 

 

In life’s tangled web, we often find, 

Opportunities missed, left behind. 

Yet fate weaves its threads, unseen and wise, 

Turning loss into blessings in disguise.

 

 

We mourned the job that slipped away, 

The dream role lost, the sun turned gray. 

But hidden in shadows, a brighter path, 

A chance to grow, to laugh, to do the math.

 

 

Love once bloomed, petals soft and sweet, 

Then wilted, leaving hearts incomplete. 

But from that ache, resilience grew, 

A love more profound, tried and true.

 

 

Friends once close, like stars aligned, 

Drifted apart, their laughter confined. 

Yet new companions emerged, steadfast, 

Filling voids, healing wounds from the past.

 

 

Ventures crumbled, dreams shattered like glass, 

But within the debris, seeds took root, alas! 

A phoenix rising, stronger than before, 

New paths forged, unexplored, waiting at the door.

 

 

That road we hesitated to tread, 

Fearful of where it might have led. 

Yet destiny whispered, “Trust the unknown,” 

And blessings bloomed where opportunities had flown.

 

All rights reserved.

০৬:৩৯ পিএম, ২২ জুলাই ২০২৪ সোমবার

নতুন ফৌজদারি আইন: উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয়

নতুন ফৌজদারি আইন: উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয়

মজিবুর রহমান, প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল 

 

      আইন (ল) হল কতকগুলো বিধিবিধান বা নিয়ম-কানুন যা রাষ্ট্র রচনা করে তার নাগরিকদের ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে। নাগরিক যখন তার স্বীকৃত অধিকারের সীমা লংঘন করে তখন আইন ভঙ্গের ঘটনা ঘটে। আবার নাগরিককে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করাও আইন বিরোধী কাজ। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র তথা সরকারও অভিযুক্ত হতে পারে। আদালত আইন ভঙ্গকারীকে শাস্তি এবং আইন ভঙ্গের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। আমাদের দেশে আইন মূলত দুই ধরনের- দেওয়ানি (সিভিল) ও ফৌজদারি (ক্রিমিনাল)। দেওয়ানি আইনের অধীনে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পত্তি, অধিকার ও দায়িত্বের প্রশ্নে উদ্ভূত বিরোধ বা মামলার নিষ্পত্তি করা হয়। দেওয়ানির বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানানো যায় না। অভিযোগকারীকে সরাসরি আদালতে যেতে হয়। অন্যদিকে, চুরি, ডাকাতি, হামলা, হত্যা, প্রতারণা, লুটপাট, বিস্ফোরণ, ধর্ষণ, অপহরণ, জালিয়াতি প্রভৃতি অপরাধমূলক ঘটনা ফৌজদারি আইনের অন্তর্ভুক্ত। ফৌজদারির বিষয়ে থানা ও আদালত দুই জায়গাতেই অভিযোগ জানানো যায়। ফৌজদারি মামলায় জেল, জরিমানা ও মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি হতে পারে।

     এতদিন ভারতীয় ফৌজদারি আইনের তিনটি অংশের নাম ছিল- ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (১৮৬০), ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট (১৮৭২) ও কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওর (১৯৭৩)। আইপিসি বা ভারতীয় দণ্ডবিধি হল ভারতে সংঘটিত নানান ধরনের অপরাধের বিবরণ ও তাদের শাস্তির বিধান সম্পর্কিত প্রধান আইন। জেল, জরিমানা ও মৃত্যুদণ্ডের রায় আইপিসি'র বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী হয়ে থাকে। চালু হবার পর থেকে ব্রিটিশ আমলে তো বটেই স্বাধীন ভারতেও এই বিধির অনেক সংশোধন ও সম্প্রসারণ হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়ায় যেকোনো অভিযোগকে সত্য প্রমাণ করা জরুরি।এই কাজটি আইইএ বা ভারতীয় সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী করা হয়। সাক্ষ্য আইন স্থির করে দেয়, মামলায় প্রমাণ হিসেবে কোন তথ্য (ফ্যাক্ট) দেওয়া যাবে অথবা যাবে না এবং কে কীভাবে সাক্ষ্য দেবে। সূচনার পর থেকে সামান্য আধুনিকনিকীকরণ ও সংযোজন ছাড়া সাক্ষ্য আইনে বিশেষ পরিবর্তন ঘটেনি।সিআরপিসি বা ফৌজদারি কার্যবিধির প্রধান কাজ হল বিভিন্ন অপরাধের তদন্ত, অনুসন্ধান তথা বিচার প্রক্রিয়ার অভিমুখ নির্ধারণ করা।সিআরপিসি'র নির্ধারিত পথে সমগ্ৰ বিচার প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। সিআরপিসি ফৌজদারি মামলার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জেলা ও দায়রা আদালত, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান ও পদাধিকারীদের ক্ষমতা ও এক্তিয়ার নির্ধারণ করে। বিভিন্ন অপরাধকে শ্রেণিবদ্ধ করে। অর্থাৎ, কোনো অপরাধ জামিনযোগ্য (বেলেবল) নাকি জামিনযোগ্য নয় অথবা আমলযোগ্য (কগনিজেবল) নাকি আমলযোগ্য নয় তা স্থির করে। আদালতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ফর্মের বয়ান তৈরি করে। সিআরপিসি গঠন করা হয় ১৮৮২ সালে এবং পুনর্গঠিত হয় ১৮৯৮ সালে। ১৯৭৩ সালে পুনরায় আমূল পরিবর্তন ঘটানো হয়। বিগত পঞ্চাশ বছরে সিআরপিসি অন্তত ১৮বার সংশোধন করা হয়েছে। সংবিধান (কনস্টিটিউশন) দেশের সর্বোচ্চ আইন। মৌলিক কাঠামো বজায় রেখে সেই সংবিধানও শতাধিকবার সংশোধন করা হয়েছে। কাজেই ফৌজদারি আইনে টুকটাক পরিবর্তন ঘটানোর মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই।

       কিন্তু এবার অনেক বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ২৫শে ডিসেম্বর প্রণীত ও ২০২৪ সালের পয়লা জুলাই প্রবর্তিত নতুন ফৌজদারি আইনে তিনটি অংশের নামই বদলে দেওয়া হয়েছে। আইপিসি, আইইএ ও সিআরপিসি'র নতুন নামকরণ করা হয়েছে যথাক্রমে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বি এন এস), ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম (বি এস এ) ও ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বি এন এস এস)। ঔপনিবেশিক নাম বাদ দেওয়ার জাতীয়তাবাদী যুক্তির আড়ালে নতুন নামকরণের মধ্যে দেশের প্রধান শাসকদলের সংস্কৃত ও হিন্দি ভাষার প্রতি বিশেষ আগ্ৰহের প্রতিফলন ঘটেছে। নতুন নামে শুধু ভাষা নয় ভাবনারও পরিবর্তন ঘটেছে। আইপিসি'র ইংরেজি 'পেনাল'-এর অর্থ দণ্ড বা শাস্তি। কিন্তু বিএনএস'র 'ন্যায়'-এর ইংরেজি হল জাস্টিস। সিআরপিসি'কে 'কার্যবিধি'র মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে 'নাগরিক সুরক্ষা' নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে নতুন নামে নাগরিকদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ পেলেও সরকার বা শাসকদলের উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় দূর হচ্ছে না। এর কারণ হল, ইতিমধ্যে তাদের 'আচ্ছে দিন', 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ', 'খাবো না খেতেও দেবো না' প্রভৃতি সুমধুর ভাষ্যের মর্মান্তিক পরিণতি হতে দেখা গেছে।ফৌজদারি আইনের নতুন নামের ক্ষেত্রেও 'মুখে এক কাজে আর এক' করার অভিসন্ধি রয়েছে বলে মনে হয়।

        প্রয়োজন থাক বা না থাক মোদি সরকারের কিছু করে দেখানোর একটা ঝোঁক রয়েছে। ব্রিটিশ আমলের ঐতিহ্যবাহী সংসদ ভবন ভালো অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করে বিশ্বের বৃহত্তম সংসদ ভবন সেন্ট্রাল ভিস্তা নির্মাণ, গুজরাটের নর্মদায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের বিশ্বের উচ্চতম (১৮৩ মিটার) মূর্তি স্থাপন, গুজরাটের মোতেরা স্টেডিয়ামকে প্রায় সাতশো কোটি ব্যয়ে পুনঃনির্মাণ করে নরেন্দ্র মোদীর নামে বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়ামে পরিণত করার মতোই নামধাম পাল্টে দিয়ে নতুন ফৌজদারি আইন প্রণয়ন করে সরকার একটি 'কীর্তি' স্থাপন করতে চেয়েছে। এত ধুমধাম করে যে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে পুরনো আইনে কিছু সংযোজন ও বিয়োজন তথা সংশোধনীর মাধ্যমেও সেই কাজটি করা সম্ভব ছিল। যেমন, আইপিসি'র ২৩টি অধ্যায় (চ্যাপ্টার) ও ৫১১টি ধারা (সেকশন) বিএনএস'তে হয়েছে যথাক্রমে ২০ ও ৩৫৮। আইইএ'র ১১টি অধ্যায় ও ১৬৭টি ধারা বিএসএ'তে হয়েছে যথাক্রমে ১২ ও ১৭০।সিআরপিসি'র ৩৭টি অধ্যায় ও ৪৮৪টি ধারা বিএনএসএস'তে হয়েছে যথাক্রমে ৩৯ ও ৫৩১। অপরাধের সংজ্ঞা ও শাস্তি একই থাকলেও বদল করা হয়েছে ধারা নম্বর। যেমন, হত্যার শাস্তির ধারা ছিল ৩০২, হয়েছে ১০৩। হত্যার চেষ্টা ৩০৭ থেকে ১০৯, ধর্ষণ ৩৭৫ থেকে ৬৩, শ্লীলতাহানি ৩৫৪ থেকে ৭৪, প্রতারণা ৪২০ থেকে ৩১৮, মানহানি ৪৯৯ থেকে ৩৫৬ ইত্যাদি।

       আইন শৃঙ্খলা ও শান্তি রক্ষার প্রয়োজনে দেশে সুসংহত অপরাধমূলক আইন থাকা জরুরি। কিন্তু সেই আইন কখনও নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করতে পারে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় বাকস্বাধীনতা ও মুক্ত চিন্তার পরিসরে আইন বাধা সৃষ্টি করতে পারে না। কিন্তু নতুন ফৌজদারি আইনের অন্যতম লক্ষ্য হল বিরোধী কণ্ঠস্বরকে জব্দ করা। কারণে অকারণে একজন নাগরিকের আইনের চোখে অপরাধী হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পান থেকে চুন খসলেই বিপদ! আসলে নাগরিক সমাজকে আইনের ভয় দেখিয়ে সন্ত্রস্ত করে তোলার কৌশল গ্ৰহণ করা হয়েছে। পেশাগত দাবিতে, রাজনৈতিক বক্তব্যের প্রচারে, সরকারের জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার অধিকার খর্ব করতে চাওয়া হয়েছে। সমাজের শিক্ষিত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন প্রগতিশীল চিন্তাবিদদের উগ্ৰ সাম্প্রদায়িক সমাজবিরোধী মানবতাবিরোধী জঙ্গি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে একাকার করে দিয়ে শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনের সাহায্যে আরও বেশি করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পথকে প্রশস্ত করা হবে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের শাসকদলে আসতে বাধ্য করা হবে। বিগত এক দশকে এমন ভুরিভুরি দৃষ্টান্ত দেখা গেছে, বিরোধী দলে থাকার সময় যে ব্যক্তি ছিল কয়লার মতো কালো সেই ব্যক্তি শাসকদলে যোগদান করে হয়ে গেছে দুধের মতো ধবধবে সাদা। 

         নতুন আইনে বিভিন্ন অপরাধের শাস্তিকে আরও কড়া ও কঠিন করা হয়েছে। যেমন, মৃত্যুদণ্ডের প্রাবল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।আইপিসি'তে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল ১১টি ক্ষেত্রে, বিএনএস-এ তা হয়েছে ১৫টি। অথচ বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধের ক্ষেত্রেই মৃত্যুদণ্ডের কথা ভাবা হয়ে থাকে।আধুনিক বিশ্বে মৃত্যুদণ্ড বিলোপের জনপ্রিয় দাবির কথাও বিস্মৃত হওয়া উচিৎ নয়।অনেকগুলো ক্ষেত্রে কারাবাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।এখন থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অর্থ হল আমৃত্যু কারাবাস। চোদ্দো বছর কারাদণ্ড ভোগের পর বন্দির আচার আচরণ বিবেচনা করে মুক্ত করার যে রীতি ছিল তা রদ করা হয়েছে। জরিমানার পরিমাণ বহু গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন আইনের 'ন্যায়' আর 'নাগরিক সুরক্ষা' জেল, জরিমানা ও মৃত্যুদণ্ডের বহর দেখে লজ্জা পাচ্ছে! আসলে নতুন আইনে দেশের সর্বোচ্চ আইন তথা সংবিধানের মৌলিক ভাবনাকে অস্বীকার করতে চাওয়া হয়েছে।

       ন্যায় সংহিতার ১১১ নম্বর ধারায় যেভাবে 'সংগঠিত অপরাধ'কে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে তাতে জরুরি পরিষেবায় বাধাদানের অভিযোগ তুলে যেকোনো গণআন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে দেওয়া সম্ভব। এর ফলে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া আদায়ের আন্দোলন করার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হবে।

        ইউএপিএ,২০১৯ (আন-লফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট) একটি দমনমূলক আইন। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার কথা বলা হলেও মুক্তচিন্তার কণ্ঠস্বরকে জব্দ করার জন্য বহু বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের বিনা বিচারে অনির্দিষ্টকাল জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে। ইউএপিএ থাকছেই, এবার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে আরও কঠোর ভাবে মোকাবেলা করার সংস্থান রাখা হয়েছে বিএনএস-এর ১১৩ নম্বর ধারায়। সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। এই আইনে সমাজের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ, সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীদের ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

       আইপিসি'র ১২৪এ ধারা ছিল রাষ্ট্রদ্রোহিতা (সেডিশন) সম্পর্কিত। সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল সাত বছরের কারাবাস। ব্রিটিশ সরকার ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে এই ধারায় অভিযুক্ত করে কারাবন্দি করত। নতুন ফৌজদারি আইনে সরাসরি রাষ্ট্রদ্রোহিতার কথা নেই। কিন্তু বিএনএস-এর ১৫২ ধারায় যা রয়েছে তা আরও মারাত্মক।এই ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির কথা, লেখা, ছবি বা অন্য কোনো যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে উস্কানি দিচ্ছে অথবা দেশের সার্বভৌমত্ব, একতা ও অখণ্ডতাকে বিপন্ন করতে প্ররোচনা যোগাচ্ছে বলে মনে হলে সেই ব্যক্তি অভিযুক্ত হবেন। শাস্তি হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সরকারের অথবা শাসকদলের বিরুদ্ধে আপসহীন মনোভাব নিয়ে চলতে থাকা যেকোনো বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এই ধারায় ধরে তাঁর প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জোরালো আশঙ্কা রয়েছে। 

      নতুন ফৌজদারি আইনে পুলিশ প্রশাসনের গুরুত্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্ৰেফতার হওয়া ব্যক্তিদের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে পুলিশ হেফাজতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন আরও বাড়বে বলে মনে হয়। তদন্ত প্রক্রিয়ার উপরেও গোপন বোঝাপড়ার প্রভাব পড়তে পারে। গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজে পুলিশি রাষ্ট্র শোভা পায় না।

      বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা দূর করার ক্ষেত্রেও নতুন আইন কার্যকর ভূমিকা নিতে পারবে বলে মনে হয় না। প্রথম শুনানির ৬০ দিনের মধ্যে চার্জ গঠন এবং শেষ শুনানির ৪৫ দিনের মধ্যে রায় ঘোষণা করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শুনানির সর্বোচ্চ সংখ্যা কিংবা প্রথম শুনানি ও শেষ শুনানির মধ্যে সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবধানের ব্যাপারে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলা হয়নি। অর্থাৎ 'তারিখ পে তারিখ' চলতেই থাকবে। 'জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড'-এর অবসান ঘটবে না। টাকা যার বিচার তার, এই ধারণাও দূর হবে না।

       আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থার সংস্কার দরকার। কিন্তু শুধুমাত্র ফৌজদারি আইনের কিছু অধ্যায় ও ধারার রদবদল ঘটিয়ে এই সংস্কার সাধন করা সম্ভব নয়। এর জন্য আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিচারপতি ও আদালতের কর্মচারী নিয়োগ করতে হবে। পুলিশের কাজ ভাগ করে দিতে হবে। কেউ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে, কেউ তদন্তের কাজে নিয়োজিত থাকবে। আইন নিরপেক্ষ তথা 'অন্ধ' থাকবে।পক্ষ যদি নিতেই হয় তবে দুর্বলের পক্ষ নিতে হবে।মাধ্যমিক স্তরের পাঠক্রমে বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কিত আলোচনা অন্তর্ভুক্ত করা হোক। আইন সম্পর্কে সচেতনতা কম বয়স থেকেই গড়ে উঠুক।

০৬:২৪ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৪ শনিবার

জাতি সত্তা, ভাষা সত্তা, ধর্মনিরপেক্ষতা ও ডঃ শহীদুল্লাহ

জাতি সত্তা, ভাষা সত্তা, ধর্মনিরপেক্ষতা ও ডঃ শহীদুল্লাহ

খগেন্দ্রনাথ অধিকারী

 

জাতি সত্তা, ভাষা সত্তা ও ধর্ম নিরপেক্ষতা, এই তিনটি বিষয় নিয়ে গোটা বিশ্ব আজ তোলপাড়। তোলপাড় আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশ। সমস্ত মৌলবাদীরা কি ধর্মীয় মৌলবাদী, কি ভাষাগত মৌলবাদী, কি জাতিগত মৌলবাদী, সমস্ত মৌলবাদী শক্তিগুলিই আজ দেশে দেশে সভ্যতা, সংস্কৃতি ও মানবতার সামনে এক গভীর চ্যালেঞ্জ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এই প্রেক্ষাপটে এই উপমহাদেশে তথা অবিভক্ত ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতি সত্তাগত স্বাতন্ত্র্য ও ভাষাগত স্বাধিকারের আপোষহীন সংগ্রামী বরেণ্য ভাষাতত্ত্ববিদ ডঃ শহীদুল্লাহকে স্মরণ করতে চাই। ইংরেজ শাসনাধীনে ১৮৮৫ সালের ১০ই জুলাই তিনি অবিভক্ত বাংলার অধুনা পশ্চিমবাংলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন এবং ১৯৬৯ সালের ১৩ই জুলাই তৎকালীন পূর্ব্বপাকিস্থানের ঢাকায় মৃত্যু বরণ করেন। শৈশব থেকেই ডঃ শহীদুল্লাহ ছিলেন একজন সংস্কারমুক্ত মানুষ। এবং বলা যায় যে তিনি ছিলেন চিন্তায় ও ভাবনায় গতানুগতিকতা বিরোধী একজন বিপ্লবী চেনতার অনন্য সাধারণ মানুষ। সাধারণের মধ্যে আজও প্রকাশ্যে--অপ্রকাশ্যে এই ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে সংস্কৃত হোল বেদ--বেদান্তের ভাষা, দেব-ভাষা, হিন্দুদের ভাষা। আর আরবী হোল কোরাণ ও হাদিসের ভাষা, ইসলামের ভাষা। স্বভাবতঃই মুসলিমরা পড়বে আরবী, হিন্দুরা পড়বে সংস্কৃত। ডঃ শহীদুল্লাহ এই গতানুগতিক ভ্রান্ত ধারণাকে দুপায়ে দলে পিষে, অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থান লেন এই ক্ষেত্রে। তাঁর বক্তব্য ছিল যে ভাষা কোন বিশেষ ধর্মের বা কোন জাতির বিষয় নয়। ভাষা হোল বেগবতী নদীর ধারার মত। ধর্ম দিয়ে বা জাতপাত দিয়ে তাকে বাঁধা যায় না। এই বাঁধার চিন্তাটাই হোল নির্বোধের হাস্যকর প্রয়াস মাত্র। এই অবস্থান থেকে ডঃ শহীদুল্লাহ সংস্কৃত ভাষা নেন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে। মৌলবাদী হিন্দু ও মৌলবাদী মুসলিমরা এতে রে রে করে ওঠে। একদিকে উলেমাপন্থীরা অর্থাৎ মুসলিম মৌলবাদীরা বলতে থাকেন--"মুসলিম ঘরের একটি মেধাবী-উজ্জ্বল সন্তান, সে কোথায় আরবি নিয়ে পড়বে এবং বড় হয়ে ইসলামী ভাবধারা ও ইসলামী সংস্কৃতি চর্চায় মূল্যবান অবদান রাখবে, তা না করে সে কিনা বেদ বেদান্ত উপনিষদের ভাষার দিকে, হিন্দুদের ভাষার দিকে ঝুঁকেছে ও ঝুঁকছে। কোন মোমিন ভাই কি এটা মানতে পারে?

অন্যদিকে, গোঁড়া হিন্দুরা, বিশেষ করে সংস্কৃত পণ্ডিতরা বলতে থাকেন--সংস্কৃত পড়বে হিন্দুরা। তারা এটা পড়ে হিন্দু সংস্কৃতিকে জানবে ও বুঝবে। তা না করে কিনা মুসলিম ঘরের ছেলেরা সংস্কৃত শিখবে! এ অসহনীয়। এ মানা যায় না। হিন্দু ধর্মের তথা দেবভাষা সংস্কৃতের পবিত্রতা এতে বিনষ্ট হবে। শহীদুল্লাহর এই স্পর্ধাকে রুখতেই হবে।

শেষ পর্যন্ত, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখার্জী আসরে নামেন। হিন্দু মৌলবাদী ও মুসলিম মৌলবাদী উভয় মৌলবাদী শক্তিকে ক্ষুরধারভাষায় তিনি আক্রমণ করেন এবং বলেন যে কোন ভাষা কোন বিশেষ ধর্মীয় গোষ্ঠীর লোকদের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। সব ভাষার দ্বার সবার কাছে উন্মুক্ত। যে কেউ যে কোন ভাষা নিয়ে চর্চা করতে পারে--এটা তার জন্মগত অধিকার। ধর্মের দোহাই পেড়ে কেউই এক্ষেত্রে কারোর আগ্রহকে দমিত করতে পারে না। দমন করার বা বাধা দেবার কোন চেষ্টা হোল একটি দানবীয় বর্ব্বরতা। এইভাবে স্যার আশুতোষ মুখার্জীর বলিষ্ঠ হস্তক্ষেপে ছাত্র শহীদুল্লাহ সংস্কৃত নিয়ে পড়ার সুযোগ পান। সাম্প্রদায়িকতাবাদী মৌলবাদী হিন্দু ও মুসলিমরা লেজ গোটাতে বাধ্য হয়। 

ধর্ম নিরপেক্ষতার পথে তথা ভাষাগত প্রশ্ন নিয়ে তরুণ শহীদুল্লাহর এইভাবে চলা শুরু। তিনি বাংলা, উর্দূ, আরবি, সংস্কৃত, ইংরাজী সহ ২৪টি ভাষা রপ্ত করেছিলেন। এর মধ্যে ১৬টি ভাষায় তিনি ছিলেন ভীষণ তুখোড়। সাবলীল ভাবে লিখতে, পড়তে, কইতে পারতেন--তাঁর এই ভাষাগত বহুমুখীতা তাঁকে সমস্ত সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে তুলেছিল। তিনি ছিলেন এক সাত্ত্বিক সুন্নী মুসলিম। কিন্তু, কোন ধর্মীয় সংকীর্ণতা তাঁর মনটাকে কলুষিত করতে পারেনি। শিয়া, সুন্নী, হিন্দু, মুসলিম, খৃশ্চান, সকল ধর্মের সকল মতের মানুষের প্রতি তিনি ছিলেন শ্রাদ্ধাশীল। অন্যভাবে বলতে গেলে বলা চলা যে বিবিধ ভাষার চর্চা তাঁকে একজন উদার আন্তর্জাতিকতাবাদী তথা বহুত্ববাদী মানুষে পরিণত করেছিল।

পরাধীন ভারতবর্ষে জন্মে মাতৃভূমির মুক্তির জন্য তাঁর যে দায়, তা তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি যে মুসলিম মৌলবাদী উলেমা ও হিন্দু মৌলবাদী পণ্ডিতদের সমস্ত বাধাকে উপেক্ষা করে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের অকুতোভয় হস্তক্ষেপে তিনি কিভাবে সংস্কৃত নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছিলেন। এই লড়াই একদিকে তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতার ভিতকে আরো শক্তপোক্ত করেছিল। অন্যদিকে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর শ্রদ্ধা গভীরভাবে বেড়ে গিয়েছিল। তবে একটি বিষয় তাঁকে আমরণ পীড়া দিয়েছে তা হোল এই যে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মত একজন আপোষহীন ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের সন্তান হলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, যিনি ছিলেন সাম্প্রদায়িক মুসলিম লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্প্রদায়িক হিন্দু মহাসভার নেতা। ডঃ শহীদুল্লাহ মনে করতেন যে এই দুই অশুভ শক্তির দ্বন্দ্ব বিবেকানন্দ--রবীন্দ্রনাথ--নজরুলের বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করেছে।

স্মরণ রাখা দরকার যে একজন ধর্মনিরপেক্ষ ও বহুত্ববাদী ভাবনার ভাষাবিদ হিসাবে তাঁর সকল ধর্ম ও সকল ভাষার প্রতি সম মর্যাদা বোধ ছিল। কিন্তু, এতদৃসত্ত্বেও তিনি জাতি সত্তার প্রশ্নে ছিলেন আপোষহীন। ধর্মের ভিত্তিতে জাতপাত বিভাজনকে তিনি ধিক্কার দিয়েছেন। এই জন্যেই তিনি জিন্না ও ইকবালের সঙ্গে সহমত হতে পারেননি। তিনি তাই মুসলিম লীগে না গিয়ে জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁর দৃষ্টিতে জাতিসত্তা চিহ্নিত করার মানদণ্ড মোটেও ধর্ম নয়, সেটা হোল ভাষা ও সংস্কৃতি। তাই তিনি বলতেন আমরা হিন্দু হই, মুসলিমই হই, যাই হই না কেন, সবার আগে আমরা বাঙালী। এই বাঙালী জাতিসত্তার প্রশ্নে তিনি ছিলেন লৌহদৃঢ়। তিনি ছিলেন এর অতন্ত্র প্রহরী।

অন্যভাবে বলতে গেলে বলা চলে যে ডঃ শহীদুল্লাহ মোটেও উগ্র বাঙালীয়ানার প্রবক্তা ছিলেন না। তিনি সব ভাষার প্রতি ছিলেন সমানভাবে শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু, এই শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েও তিনি সব সময় মনে রাখতেন ও অন্যকে মনে করিয়ে দিতেন যে তিনি একজন বাঙালী, বাংলা তাঁর মাতৃভাষা এবং বিবেকানন্দ--রবীন্দ্রনাথ--নজরুলের আদর্শপুষ্ঠ বাঙালী সংস্কৃতির তিনি একজন অন্যতম ধারক ও বাহক। তাই পরাধীন ভারতবর্ষে রাষ্ট্র ভাষার প্রশ্নে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের বিতর্কে যুক্তি ও আবেগ উভয় দিয়েই বোঝানোর চেষ্টা করেন যে উর্দূ বা হিন্দী অবশ্যই সমৃদ্ধ ভাষা। কিন্তু বাংলা ভাষার সঙ্গে সমৃদ্ধির কষ্টিপাথরের বিচারে এই দুই ভাষার স্থান অনেক অনেক পরে। জিন্না ও ইকবালকে তিনি ভাষার বিবর্তনের তথ্য দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে জন্ম ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে উর্দূ ও হিন্দী বাংলার কাছে বহুগুণে ঋণী। কাজেই উর্দূ বা হিন্দী নয় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করলে ইতিহাসের সঙ্গে সুবিচার করা হবে। 

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজী, ও সীমান্ত গান্ধী খান আব্দুল গফুর খান জাতীয় কংগ্রেস বনাম মুসলিম লীগের রাষ্ট্র ভাষাগত বিতর্কে ডঃ শহীদুল্লার অবস্থানকেই সমর্থন করেছিলেন। গান্ধীজী, সীমান্ত গান্ধী, শরৎচন্দ্র বসু ও কমিউনিস্ট নেতা সোমনাথ লাহিড়ী প্রমুখদের তীব্র বিরোধীতা সত্ত্বেও যখন দেশ বিভাগ অনিবার্য হয়ে উঠলো, তখন ইকবালের দেওয়া পাকিস্থান শব্দটিতে তীব্র আপত্তি জানিয়ে ডঃ শহীদুল্লাই বলেন যে খণ্ডিত বাংলার পূর্ব্ব অংশকে পূর্ব্ব পাকিস্থান না বলে তাকে পূর্ব্ববাংলা নামকরণ করা হোক। কিন্তু, উগ্র ভাষাগত মৌলবাদীরা তাঁর এই প্রস্তাব মানেননি। ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকাতে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রমুখদের সঙ্গে মিলিত হয়ে একটি সংগঠন তৈরী করেন যার লক্ষ্য হয় পূর্ব্ব পাকিস্থান নামকে পরিবর্তন করে পূর্ব্ববাংলা রাখা এবং বাংলা ভাষা ও বাঙালী সংস্কৃতির অস্তিত্বকে রক্ষা করা। 

পাকিস্থান কর্তৃপক্ষ ডঃ শহীদুল্লাকে পাকিস্থান উর্দূ একাডেমির সভ্য করে। সেখানেও তিনি বাংলা, উর্দূ, বেলুচি, পাঞ্জাবী সহ বিভিন্ন ছোট ছোট "Dialects" বা উপভাষা ও সংস্কৃতি সমূহের সম মর্যাদা ও সমবিকাশের কথা বলেন। কিন্তু পাক কর্তৃপক্ষ তাঁর সে কথায় কর্ণপাত করেননি। সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোল এই যে অবিভক্ত পাকিস্থানে জনসংখ্যার সিংহভাগই বাংলায় কথা বলতেন। স্বভাবতঃই বাংলাই অবিভক্ত পাকিস্থানের রাষ্ট্রভাষা হওয়া উচিৎ বলেই অনেকের মত ডঃ শহীদুল্লাহও মনে করতেন। কিন্তু পাক শাসক গোষ্ঠী সে কথায় কোন গুরুত্বই দেননি--তার পরিণতি আমাদের সকলেরই জানা।

মোট কথা, জাতি সত্তা, ভাষা সত্তা ও ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রশ্ন নিয়ে উপমহাদেশীয় লড়াই বা বিশ্ব জোড়া লড়াই দীর্ঘদিনের এবং সেই লড়াইয়ে নমস্য একাধিক নামের মধ্যে ডঃ শহীদুল্লাহও একটি সম্মানিত ও সর্ব্বজন শ্রদ্ধেয় নাম। সারা পৃথিবীতে, বিশেষ করে ভারত, পাকিস্থান ও বাংলাদেশে এই তিনটি বিষয়ই আজ বিপন্ন। বিশেষ করে আমাদের দেশে, অশোক, আকবর, দারাশিকো, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের দেশে হিন্দু ও মুসলিম উভয় মৌলবাদ, এবং উগ্র হিন্দী আধিপত্যবাদ আমাদের দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা, ছোট বড় সকল জনগোষ্ঠীর জাত সত্তা ও ভাষাগত সত্তাকে বিপন্ন করছে। এর বিরুদ্ধে জাতি ধর্মনির্বিশেষে সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে এবং ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রত্যেক জনগোষ্ঠীর জাতি সত্তা ও ভাষাগত সত্তাকে রক্ষা করতে হবে, এটাই হোল ডঃ শহীদুল্লাহর প্রয়াণ দিবসে তথা প্রয়াণ পক্ষে সময়ের দাবী। 

 

      

লেখক পরিচিতি

অধ্যাপক খগেন্দ্রনাথ অধিকারী রাষ্ট্রীয় বিদ্যাসরস্বতী পুরস্কার ও এশিয়া প্যাসিফিক পুরস্কার সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহু পুরস্কার প্রাপ্ত একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ। ইনি কোলকাতার সাউথ সিটি (দিবা) কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

ঠিকানা-শরনিয়ার বাগান

পোষ্ট-টাকী, পিন-৭৪৩৪২৯

পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

 

০৫:৫২ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৪ শনিবার

Free Verses

Free Verses by Nasir Aijaz from Sindh, Pakistan

 

 

 

The Whispers of Indus River

 

Rambling along the banks of Indus River

 

I heard the whisperings.

 

"I'm the river, once called the Mighty Indus"

 

"Have a look at me. Am I still the Mighty?"

 

Sand dunes have emerged in my wide riverbed

 

Whirlwinds are there

 

Where once used to be whirlpools.

 

 

 

Look around you O' man

 

You will see the withering leaves

 

Of dried up trees

 

And the wilting plants

 

Across the farmlands

 

The humans and animals

 

Wandering for the water

 

To quench their thirst.

 

 

 

Don't you know O’ man?

 

The groundwater has

 

Turned arsenic

 

The forests and wildlife are fast vanishing

 

The entire ecosystem has been destroyed

 

In my lower riparian region

 

Creating the food insecurity

 

Posing the threat of a famine-like situation.

 

 

 

It was me, the Mighty Indus

 

Which gave birth to a great civilization

 

People worshiped my jewel-blue stream

 

While I hopped over the rocks happily

 

Emanating from the Himalayas

 

Flowing down thousands of kilometers

 

Traversing the mountains and plains

 

To meet the Sindhu Sagar, the Ocean

 

And the Rig-Veda, ancient Vedic Sanskrit hymns

 

Were composed sitting at my banks.

 

 

 

Are you listening to my whispers O’ man?

 

It was me, the Mighty Indus

 

That flowed down splashing

 

And curving gently through the forests along my banks

 

The people used to come for pilgrimage

 

And take a drink finding my water very refreshing.

 

The aroma of the forest was great.

 

Have a look at me, the Mighty River - the lifeline

 

Of hundreds of millions of souls  

 

But you will now find only a dried up river.

 

 

 

Listen to me O’ man!

 

Scientists say, the glaciers are melting fast

 

Due to global warming

 

Causing the floods in the rivers.

 

If, it’s so,

 

Why there are no floods?

 

And the drought prevails in the lower riparian region

 

My Delta has been destroyed and the Ocean is intruding

 

Devastating the fertile lands and crops

 

And causing the extinction of marine life

 

Snatching the source of livelihood of millions of souls.

 

 

 

Let me tell you the truth O’ man!

 

The avaricious humans have built dams and barrages

 

And the Link Canals upstream

 

To block my flow towards the Ocean

 

And cultivate their own lands

 

Despite knowing they are working

 

Against the nature, ravaging this part of planet

 

But unknowing that the Nature will retaliate one day

 

And ruin them too.

 

 

***

 

Unrequited Love 

 

Nightingale sings the melodious songs at night

 

For her longing, love, and connection to the moon

 

Being a symbol of life, hope, eternity, and love,

 

The peace, prosperity, and reunion with loved-one.

 

 

 

Deep into full moon night,

 

Chakor too sheds its tears in longing,

 

Releasing the song of unrequited passion,

 

For its alluring beloved - the moon

 

Unattainable high in the skies.

 

He takes flight in a bid to meet the moon

 

But falls back to earth before the day break.

 

 

 

The love of Nightingale, and the Chakor

 

For the moon, remains unrequited

 

The moon itself shines by reflecting sunlight

 

Continuing its journey

 

Unaware of the loving birds of planet Earth. 

 

 

 

So is my love for

 

The nature, people, humanity, cultures

 

And languages of the world.

 

Unlike the Nightingale and Chakor

 

I don't wait for the full moonlight

 

And sing the songs of love and peace all the time

 

Being first and the last love of my life

 

No matter it's unrequited.

 

(Poet’s note: As per Asian myth, deep into the full moon night, the Chakor or Chakur bird, also called Pheasant or Hill Partridge in English, takes failed flight to moon)    

 

***

 

 

Dreams of Revolution and Freedom

 

What is the significance of dreams seen after sleep?

 

Dreams should be those that do not let you sleep.

 

I also keep seeing such dreams, like an old saying, 

 

Dreams of economic, social revolution and national unity

 

That have not allowed me to sleep all my life.

 

But despite not realizing it in seven decades,

 

I have not stopped seeing such dreams.

 

Some of them are lying under the bed in my place, on which I sleep with my head every day,

 

Some of them are kept in the small cupboard next to it,

 

And some of them are lying between the pages of books.

 

Every night by opening the closet, laying my head on the bed or opening a book,

 

I go back to the world of these dreams.

 

______________  

 

 

 

About Nasir Aijaz

Journalist, Author, Researcher and Poet

 

Nasir Aijaz, based in Karachi, the capital of Sindh province of Pakistan, is basically a journalist and researcher having spent over 48 years in the field of journalism. He won Gold Medal and another award for best reporting in 1988 and 1989. He has worked in key position of editor for newspapers and news agencies. He also worked as a TV Anchor (For Pakistan Television) for over a decade and conducted some 400 programs from 1982 to 1992 besides appeared as analyst in several programs on private TV channels. He also did dozens of programs on Radio Pakistan and some other private Radio channels. He is author of nine books on history, language, literature, travelogue and biography. One of his books ‘Hur – The Freedom Fighter’, a research work on war against the British colonial forces, also won a prize. Some of his other books are unpublished. Further, he translated a poetry book of Egyptian poet Ashraf Aboul Yazid, into Sindhi language, which was published in Egypt. Besides, he has written around 500 articles in English, Urdu and Sindhi, the native language of Sindh. He is editor of Sindh Courier, an online magazine and represents The AsiaN, an online news service of South Korea with regular contribution for eleven years. His articles have also been translated in Arabic and Korean languages. Some of his English articles were published in Singapore and India and Nigeria. He writes poetry in his native language Sindhi, and English. Very recently, some of his poems have been translated in Albanian, Italian and Greek languages and published there besides in Arabic language published in Egypt and Abu Dhabi. His English poems have also been published in Bangladesh, Kosovo, USA, Tajikistan, Greece, Italy and some other countries. Nasir Aijaz is one of the founding members of Korea-based Asia Journalists Association AJA. He has visited some ten Asian countries and attended international seminars.        

 

 

 

 

 

   

 

 

০১:৪৫ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৪ শনিবার

Poem - Together

Together 

Céu Cruz 

Portugal

 

 All roses are fragrant

 But they are all so different

 They, the roses, have their thorns 

 And without a doubt they are all so beautiful 

 

 And every bird, with its feathers

 That some of them don't know how to fly

 And the sun, which you never touched

 beautiful and hides beyond the sea

 

 It's for life, with its distinctions 

 Beauties that looks reflect

 Because the hearts of men 

 They oppose but resemble each other

 

 And together, in the love that is concord 

 In the differences that intertwine

 And singing throughout the story 

 So that there is equality between us 

 

 

 ©All Copyright reserved under Law 50/2004, of August 24

 

 

 

Biography:

 Maria Do Céu Silva Cruz was born in Santo Estevão, municipality of Chaves on January 23, 1970. She loves Poetry, a clinical secretary by profession. Author of the book “Desabafos do Meu Silêncio”, Lyrics set to music and performed by Elza Seixas on the CD Amarações, Co-author of a hundred anthologies, Ambassador of peace OMDDH and Commander of freedom and social equality -Commendation Princesa Isabel, Lady of Paz, corresponding member of the AIL Academy, Vice President of the Federation International Literary Copyright Treaty, founding administrator of Grupo Poesia em Família, collaborator of the GCPLI Group, founding president of Alianza Literária México Portugal Y el Mundo, general director of Grupo ALIANZA Literária México y El World and all branches.

০১:৩৮ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৪ শনিবার

Poem - I would Say So

I Would Say So

Ilona Úri Kovàcs (Hungary)

 

I would say, but it's not possible, "I have a thousand sins against you in my heart.

 If I were to tell you my biggest secret, "loving you is a crime", then I'm a stinker.

 I would tell you how much it hurts, that my words are lies and you don't believe me.

 I would say the secret is you "you haven't noticed my biggest secret.

 I would like to tell you all the secrets of the night.

 I would say so, but I dare not.

 I would like to say that my heart is not a lying bridge, just say all the words.

 I would say that I am here "dreams escape me" because

 The flame does not rest "it just burns" but you wouldn't believe me if I said that.

 You are the fire in my heart, you are the true happiness.

 You are the sun in my soul," I would say.

 You are the ice in my heart " melt it or let it go forever.

 I would say so.

 

 

 

Ilona Úri Kovàcs Hungary. 

President of the Gold Palm International Accredited Academy of Art and Literature. Artist and Writer.

০১:৩৪ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৪ শনিবার

সাম্প্রতিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের স্বেচ্ছায় শিক্ষাদান

 সাম্প্রতিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের স্বেচ্ছায় শিক্ষাদান 

ইমদাদুল ইসলাম ও মোঃ ইজাজ আহামেদ 

 

মুর্শিদাবাদ, ১৯শে জুলাই,২০২৪: মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল থানার মধুরকুল হাই স্কুলের (উঃ মাঃ) শিক্ষক ও দ্বিভাষিক কবি আশিফ মাসুদ আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর গ্রহণ করেন গত ১লা জুলাই ২০২৪ তারিখে। এলাকায় একজন আদর্শ, দক্ষ ও নীতিবান ইংরেজি ভাষার শিক্ষক হিসেবে তিনি বেশ পরিচিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সরকারী নিয়মে তিনি স্কুল থেকে অবসর গ্রহণ করলেও স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও সহকর্মীদের ভালবাসার তাঁকে এখনো হাতছানি দেয়। ফলে অবসর প্রাপ্ত হওয়ার পরেও তিনি তাঁর মুর্শিদাবাদ জেলারই অন্তর্গত ইসলামপুর নামক স্থানের বাড়ি থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে নিয়মিত স্কুলে আসার ইচ্ছা পোষণ করেন। এবং সিদ্ধান্ত মতোই সেখানে তিনি বর্তমানে স্বেচ্ছায় স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়মিত শিক্ষা প্রদান করে আসছেন। তাঁর এই উদ্যোগকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, সহকর্মী ও অভিভাবকগণ সাধুবাদ জানিয়েছে। এখন এমন আদর্শ শিক্ষকের দেখা মেলা বিরল বলে অনেকে মনে করেন। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি এমন আদর্শ শিক্ষকের দেখা মিলত তাহলে নিঃসন্দেহে হয়তো আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আরও অনেক উন্নয়ন ঘটত বলে জানান এলাকাবাসী।

 

০৮:৫১ এএম, ২০ জুলাই ২০২৪ শনিবার

POEM - APPRECIATE IF HE IS HARD-WORKING AND SMART

APPRECIATE IF HE IS HARD-WORKING AND SMART

Yousuf Aslan 

Turkiye 

 

 

Befriend anyone you know

Appreciate if he/she is hardworking and smart

A friend cannot replace a hand

If he is foolish, condemn him too.

 

For some reason he doesn't touch anything.

He doesn't care if he doesn't interfere

Skilled but not trying

If he is smart and lazy, be patient

 

Right and left have a lot of share

It's like a Bolu Bey in those mountains

One advice is better than a thousand nusubets

If he is mindless and lazy, explain a little

 

Don't let humanity eat you.

Hand, wish, waist, if you're attached

You see that he is a hardworking, good person.

If he is a man who knows how to do business, hire him and give him command.

 

While it is often seen in public places

While Yusuf was always upset about this,

While being smart and hard-working

If it's not one of them, grab it and bounce it

 

Thinking that every bad person is dead,

Burial him with a handful of soil

 

 

 

 

প্রশংসা করো যদি সে কঠোর পরিশ্রমী এবং স্মার্ট হয়

ইউসুফ আসলান (তুরস্ক)

অনুবাদ: মোঃ ইজাজ আহামেদ (ভারত)

 

  তোমার পরিচিত কারো সথে বন্ধুত্ব করো

  যদি সে পরিশ্রমী এবং স্মার্ট হয় প্রশংসা করো

 একজন বন্ধু একটি হাত প্রতিস্থাপন করতে পারে না

  যদি সে মূর্খ হয় তবে তাকেও করো নিন্দা।

 

 কিছু কারণে সে কিছুই স্পর্শ করে না।

 সে হস্তক্ষেপ না করলে সে পাত্তা দেয় না

 সে পাত্তা দেয় না যদি সে হস্তক্ষেপ না করে

 দক্ষ কিন্তু চেষ্টা না

ধৈর্যশীল হও যদি স্মার্ট এবং অলস হয় সে

 

 ডান এবং বামের অনেক ভাগ আছে

 এটি সেই পাহাড়ে বোলু বের মতো

 একটি উপদেশ উত্তম হাজার নুসুবেতের চেয়ে

 যদি সে অমনযোগী এবং অলস হয় তবে একটু ব্যাখ্যা করো 

 

মানবতাকে অনুমতি দিও না তোমাকে খাওয়ার জন্য 

হাত লাগাও, আশা করো, কোমর বাঁধো যদি তুমি সংযুক্ত হও 

তুমি দেখবে যে সে একজন পরিশ্রমী, ভালো মানুষও 

যদি সে এমন ব্যক্তি হয় যে ব্যবসা করতে জানে,

তবে তাকে নিয়োগ করো এবং তাকে আদেশ দাও 

 

 যদিও এটি প্রায়শই লোক স্থানে দেখা যায়

 যদিও ইউসুফ এই সম্বন্ধে বিরক্ত ছিল সবসময় 

 যদিও স্মার্ট এবং কঠোর পরিশ্রমী

 যদি তাদের মধ্যে একটি না হতো, দখল করো এবং গর্ব করো এটি

 

 মনে করো প্রতিটি খারাপ মানুষ গেছে মরে,

 সমাধিস্থ করো তাকে এক মুঠো মাটি দিয়ে।

 

 

 

*এই কবিতাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে মোঃ ইজাজ আহামেদ-এর দ্বারা।

(This

poem has been translated into Bengali from English by Md Ejaj Ahamed)

০৮:০৫ এএম, ২০ জুলাই ২০২৪ শনিবার

Poems

I am Poetry  

Norma Poet

 

I am poetry

On the moon that hugs me

As small as a pearl

In the dark night of his soul

Or so great in its flashes

Red, gray or gold light ...

Between the verses of its firmament

And their rhymes in sighs

The queen of heaven, the mother goddess

That inspires me ...

 

 

The Night

Norma Poet

 

The night awakens in a landscape of flickering stars lulled in an infinite sky and its mystery envelops us in its mantle... we are tiny geographies that contemplate them from the universe of our eyes... and absorbed in the sidereal journey that takes us. invites us to contemplate them, we are one...the night, the stars and the echo of their infinite blue in the depths of our own being... 

 

 

 

LITERARY BIOGRAPHY OF NORMA POET

     From Argentina

     Poet-Writer and fan of Art in all its disciplines.

 

     Her work is reflected as Norma Poeta and Norma Art, since 2011 on Facebook, so her literary biography goes back to her passage through Literary Networks that deepened her awakening towards the poetic path. Among them: International Creativity, Magic Castle of Poets, El Desván del Poeta, Cultural Circle of Latin Poets, Coquimbo Network of Arts and Letters, La Alborada, World Hispanic Union of Writers, Venezuelan Society of International Art SVAI, Huellas de Poets and much others.

 

     -Founder and Administrator of his literary groups: “Norma and Her Friends, Sensibility and Feeling”, “You always you”, “That mysterious moon, inspiration of the poets”, “And I tell you love”, “Writers of the world with Norma Poet”, “Literary Art and its beautiful expressions”, “Melody of Letters and Music for the Soul”, “Pictorial Art and literary expressions”.

 

     - Creator of Groups and Pages related to Culture, Art and Humanities such as Norma Art on Facebook.

 

 

     - Author of two books of poems: "In a Sea of Love and Poetry" (2019) and "Watercolor of Love and Poetry" (2019)

 

     - Cultural Manager and Promoter related to Literary Art.

 

     - GOLD Belt 2020 of the “Regional Society of Writers” Buenos Aires – Argentina with the distinction of “Outstanding Personalities in the World of Culture”

 

     - Administrator of Foreign Literary Groups: Works at Flladi Poetik (Albanian Group) and The Dream of Equality Peru. -Develop his Creative Art as Norma Poet on Instagram and Tik Tok.

 

     And for reference:

     Norma Art/Norma Poet is the one who expresses her own concerns from the heart, it is the result of the search for topics related to man, nature and God, from her own motivation and her curiosity to know the world and human behavior.

০৫:৫৫ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২৪ বৃহস্পতিবার

Poems

Beautiful Struggles

Marlon Salem Gruezo-Bondroff

Philippines-USA 

 

 

In the crucible of existence, we forge our souls,

Anvils of adversity shaping us whole.

Life's chisel carves our edges, sharp and keen,

As we dance with shadows, unseen.

 

 

The sun kisses our scars, a mosaic of pain,

Each fracture a testament to battles fought in vain.

Yet, behold the beauty in our fractured hearts,

For strength blooms from shattered parts.

 

 

Storms rage, winds howl, and tides pull us under,

But we rise, phoenix-like, from the thunder.

Embrace the tempest, let it cleanse your core,

For resilience blooms in life's relentless war.

 

 

So let us honor the struggle, the ache, the strife,

For within those depths, we discover life.

In the crucible of existence, we find our grace,

Beautiful struggles etching lines on our face.

 

All rights reserved.

 

 

Two Hearts In Love

Marlon Salem Gruezo-Bondroff

 Philippines-USA

 

In the embrace of love, two hearts find their true home,

Where whispers of dreams weave through the night,

Hand in hand, they traverse the unknown,

With every step, their spirits take flight.

 

Beneath the moon's gentle, silvery glow,

They share secrets only the stars can hear,

In the quiet moments, their bond does grow,

A symphony of laughter, a tender tear.

 

Through life's winding paths, they walk as one,

Facing storms with unwavering grace,

In the warmth of the sun, their journey begins 

Together, they conquer time and space.

 

 

Their love, a beacon in the darkest hour,

A light that guides them through the storm,

In each other's arms, they find their power,

A sanctuary, safe and warm.

 

In the embrace of love, two hearts find their true home,

Where souls unite in a dance so pure,

With shared dreams and unwavering support,

 

Their love, forever, will endure.

All rights reserved.

 

০৪:২৪ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২৪ বৃহস্পতিবার

ESSAY- ODE TO GREATNESS!

ODE TO GREATNESS!

 

"My refuge and my protection..."                                                                            Psalm 90

Cathie Cayros 

 

How to relieve pain when your soul is torn apart?  When you are not heard, and condemnations pour in from all sides. 

 How to cope without giving in to despair?  The scream can’t get out, as if it was stuck in the throat along with the pain. 

 How to free yourself from the shackles that hinder your movements?

 The whole world is against you, and there is no person who can restore your mental balance.

 But He is there, and when the long-awaited cry of “Oh, God!”  finally finds a way out, you understand that this appeal is not accidental.

 Will He leave fear and hopelessness, despondency and pain unnoticed!  The soul is looking for consolation, but who is rushing to help in your loneliness.

Who is even closer and dearer than the Father, covering and calming anger with his wings, giving peace and tranquility to the soul, protecting and preserving!

 You come not just to pacify, You prompt and open Your gates of generosity so that we do not get entangled in earthly shackles and justify our destiny.  You discover a previously unknown road and, like a baby, You lead us by the hand 

like a baby. 

 How can you understand the pain of every suffering, sick, unreconciled person, feel the tears of sadness and, wiping them away, give the opportunity to continue living? 

 “He will overshadow you with his feathers...”  Psalm 90

 So many times You showed the way, guarding and defending us, pulling us out of the abyss. 

 So much strength and power, so much love and joy You alone possess.   So generous You are with Your gifts to everyone who is able to see and accept!  Your abundance is limitless, but how limited is our consciousness in the inability to see it.

Vanity is the enemy of today, the enemy of prosperity and happiness.   And only silence allows us to establish a connection with You and receive the long-awaited humility of the soul.  He does not put pressure on you, He does not demand anything from you, He gives you love, the highest pleasure.  Teaches to love!  And you just need to accept and share this feeling with others so that your generosity is sincere and comes from the bottom of your heart.  The greatest payment for His deeds is Gratitude!

All humanity gives Glory to You in different languages!  What is our Gratitude?  Does it always correspond to the benefits received?  Faith is the hardest and least thing you can give Him.  But Faith is also the most powerful thing that can withstand troubles, that strengthens you in this world, makes you a resilient, joyful, creative and happy person!

 

 

 

 About the Authoress:

 Cathie Cayros is her pen name. She is a member of the Eurasian Creative Guild, the Union of Writers of North America. Participant and winner of many international awards, competitions and festivals, awarded diplomas and prizes. She has more than thirty publications in different countries of the world. Her books have been published on Amazon and other international electronic platforms.

 Cathie Cayros was born in Moscow, and has been living in France for about 30 years, in a picturesque place, not far from the Swiss border. This is a 14th century fishing village located on the shores of Lake Leman, which was admired by many artists and poets of past centuries. And now she gets inspiration for her creativity.

 Cathie Cayros is a doctor, Doctor of Medical Sciences. Writing is still a fairly new field for her. Thanks to her medical education, she has a good understanding of human psychology, delving into the essence of his character, trying to see and understand the reasons for his state of mind.

 She was lucky in life, having received a literary gift, she with great pleasure imagines herself on the pages of her books and feels happy!

 Cathie Cayros thanks all her friends, colleagues and readers who share her interests and read her works!

 

 

০৫:৫৪ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২৪ বুধবার

Poem - Come On

COME ON

UBAIDULLOH SANGINOV

Tajikistan 

 

At night, the lock of hearts is open, come

At night, the door of hearts is open, come.

 

Come tonight, open the path of this love to your heart,

Decorate the palace so that the heart is happy in the house, come.

 

Come, let the darkness of the night be illuminated by the light of your eyes

The sun has not woken up yet, come quickly

 

You are like the sea, open the waves with love, come.

There are thousands of words in the waves of my thoughts, come

 

Come light up this lightless hut of my heart

As this veil of night is dark and long, come

 

Come, so that this fire of the heart will be extinguished as soon as possible

The heart is now like a gas cylinder, come.

 

What are you asking about me with all this burning heart?

I need you a lot tonight, come

 

UBAIDULLOH SANGINOV

 

 

 

কবিতা - চলে এসো 

কবি - উবায়দুল্লাহ সাঙ্গিনভ 

অনুবাদক - মোঃ ইজাজ আহামেদ 

 

 রাতে হৃদয়ের তালা খোলা আছে, চলে এসো

 রাতে হৃদয়ের দরজা খোলা আছে, চলে এসো। 

 

 আজ রাতে চলে এসো, তোমার হৃদয়ে এই ভালোবাসার পথ খুলে দাও,

এসো, মন সুখী থাকে এমন প্রাসাদ সাজাও ,

 

 এসো, রাতের আঁধার আলোকময় হোক তোমার চোখের আলোয়

সূর্য এখনো জেগে উঠেনি, তাড়াতাড়ি এসো 

 

 তুমি সাগরের মতো, ভালোবাসায় ঢেউ উন্মুক্ত করো, এসো।

 আমার ভাবনার ঢেউয়ে হাজার হাজার কথা আছে, এসো 

 

এসো, আমার হৃদয়ের এই আলোহীন কুঁড়েঘর আলোকিত করো  

যেহেতু এই রাতের অবগুণ্ঠন অন্ধকার এবং দীর্ঘ, এসো 

 

এসো, হৃদয়ের এই আগুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিভে যায় যেন

অন্তরটা এখন গ্যাস সিলিন্ডারের মত, এসো। 

 

 এত জ্বলন্ত হৃদয় নিয়ে আমার সন্বন্ধে কি জিজ্ঞেস করছো?

 আজ রাতে তোমাকে খুব দরকার, এসো

 

 

 

এই কবিতাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে মোঃ ইজাজ আহামেদ- এর দ্বারা মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে।

(This poem has been translated from English into Bengali by Md Ejaj Ahamed from Murshidabad, West Bengal, India)

০৯:৪২ এএম, ১৭ জুলাই ২০২৪ বুধবার

কবিতা - প্রকৃত বন্ধু

প্রকৃত বন্ধু
মোঃ ইজাজ আহামেদ

প্রকৃত বন্ধু সে যে  হবে সাহায্যকারি গাছের মত,
প্রকৃত বন্ধু সে যে উদার হবে আকাশের মত,
প্রকৃত বন্ধু সে যে হবে ভালো বইয়ের মত,
প্রকৃত বন্ধু সে যে হবে একটি প্রধান নদীর মত
যে নদী শাখা নদীকে জল প্রদান করে,
প্রকৃত বন্ধু সে যে বৃষ্টির মতো সিক্ত করবে হৃদয়কে,
প্রকৃত বন্ধু সে যে পাহাড় পর্বতের মতো দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে বিপদে তোমার পাশে,
দূরে থাকলেও তোমার শুভ কামনা করবে,
স্বার্থপর বন্ধুর মতো নয় যে সুখের সময় পাশে থাকে;
প্রকৃত বন্ধু সে যে চাইবেনা কখনও ক্ষতি তোমার জীবনে,
তোমার দুর্নাম করবেনা অন্যের সামনে,
করবেনা কখনও হেয় কারো কাছে;
প্রকৃত বন্ধু সে যে তোমার ব্যাক্তিগত কথা বলবেনা কাউকে,
বিকৃত করবেনা তোমার কথা,
তোমাকে কেউ বললে অন্যায় কথা,
তোমাকে কেউ বললে কটু কথা
আঘাত লাগবে তার হৃদয়ে,
প্রতিবাদ করবে সঙ্গে সঙ্গে;
সেই তোমার প্রকৃত বন্ধু
যে  সবসময়  তোমাকে সৎ উপদেশ দেবে;
সেই তোমার প্রকৃত বন্ধু
যে সবসময় তোমার ভালো চাইবে;
প্রকৃত বন্ধু সে যে অন্যের সামনে
তোমার প্রশংসা করে, তোমার সামনে নহে।

০৯:২৪ এএম, ১৭ জুলাই ২০২৪ বুধবার

Poem - I Won Love

I Won Love

Abdulbasset Abdulsalam Qassem ALsamadi 

Yemen

 

 

While she walks steam rises From the snow It's Spring , so There is no arrogance

 There is no dust in the roads And flowers

  I dangled to smell the Fragrance of jasmine

 

For her The nights sailed with The waves, and from the look Of at sunrise, I won love and Did not lose my heart, and for The sake of her heart, which I love, I wove from my vein A silk shawl of longing and Called out in an emotional Voice,

 

 O you who loved your path And spread pomegranate leaves I must meet you and Close my eyes in peace and Before the day return to hug You in my chest  

 

your eyes are crazy love, 

And capture the love in your Eyes Like drinking sea water The more I Drank, the thirstier I became

 

 O woman, 

 I don't like to stay up late Except with you

 And I don't like drawing in Perspective

 The eye of the ant except When

 Draw I love you may she Grow up

  In your eyes a thousand Times

 

For love

Give me love with cold Water drop by drop Give me Everything my heart needs For years of love and a Thousand nights and nights

 

 

 

 

 About the Poet:

Abdulbasset Abdulsalam Qassem Alsamadi is a poet from Yemen, born in Jabal Habashi, Taiz Governorate.

He holds an honorary doctorate in Arabic literature. 

He holds a diploma of appreciation from Together for Letters, Argentina. 

 

He won an international poetry competition in Sicily, Italy 2024. A critical reading of his poem “For the Eyes of a Woman from” Baghdad by the Tunisian poet Nour Bouaziz. 

 

Some of his poems were translated into several languages: Portuguese, French, Croatian, English, Italian, Albanian, Spanish and Chinese. 

 

Arab and international newspapers and magazines, paper and electronic, publish his poems. 

 

He participated in the Anthology of World Peace. Poets for the LAM. 

 

He participated in books and Electronic collections. Participated in Al-Salam International Magazine, issue nine and issue ten. Stockholm, among the top 100 influential and distinguished personalities in 2021, 2022, and 2023. From the Algerian newspaper Nahwa Shorouk. From the President of the Arab Media Ambassadors, among the top 100 personalities. International Creativity and Humanities Fellowship - England, London in 2017. 2022 2023 

 

He received dozens of certificates of appreciation

০৪:৪৯ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২৪ সোমবার

কবিতা - নিঃশর্ত ভালবাসা

UNCONDITIONAL LOVE

Ruki Kočan

The Netherlands / Montenegro

 

 

 The beauty of infinity.

 People full of unconditional love

 Are monstrous energy machines.

 Source - Spring, fountain of youth, health and life.

 They are national and cosmic treasures.

 Unconditional love is an irresistible, miraculously powerful asset of every human being.

 

 Love - the beacon of every society as a whole. 

 God's gift, holy.

 

 ..........

 

 The beauty of infinity.

 And humans are so wonderfully powerful.

 She is an eternal flash of light. His grace.

 It is indispensable and indelible.

 Love is the cure for every weakness and for every ailment.

 For the plant and for man. 

 Remember - it rejuvenates

 And heals the human soul and heart.

 My people, - it is the true happiness of civilizational well-being.

And so on... 

 

 

 

 

নিঃশর্ত ভালবাসা

রুকি কোকান

 

অনন্তের সৌন্দর্য।

নিঃশর্ত ভালোবাসায় পরিপূর্ণ মানুষ

অবিশ্বাস্য শক্তিশালী মেশিন তুল্য।

উৎস- বসন্ত, যৌবনের ঝর্ণা, স্বাস্থ্য ও জীবন।

তারা জাতীয় এবং মহাজাগতিক ধন।

শর্তহীন ভালবাসা প্রতিটি মানুষের অপ্রতিরোধ্য, অলৌকিক শক্তিশালী সম্পদ।

 

প্রেম - সামগ্রিকভাবে প্রতিটি সমাজের বাতিঘর।

ঈশ্বরের উপহার, পবিত্র।

.........অনন্তের সৌন্দর্য।

এবং মানুষ তাই, বিস্ময়কর শক্তিশালী.

সে এক অনন্ত আলোর ঝলকানি।

তার অনুগ্রহ।

এটি অপরিহার্য ও অবিচ্ছেদ্য।

ভালোবাসা আরোগ্য প্রতিটি দুর্বলতার এবং রোগের জন্য।

উদ্ভিদের জন্য এবং মানুষের জন্য।

মনে রেখো - এটা দান করে পুনর্যৌবন

এবং করে মানুষের আত্মা এবং হৃদয় নিরাময়.

আমার জনগণ, - এটিই প্রকৃত সুখ সুস্থ সভ্যতার।

এবং তাই ...

 

 

 

কবি: রুকি কোকান

নেদারল্যান্ডস/মন্টিনিগ্রো

ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ, অনুবাদক: মোঃ ইজাজ আহামেদ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত 

(Translated from English to Bengali, Translator: Md Ejaj Ahamed, Murshidabad, West Bengal, India)

 

০৪:৪৫ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২৪ সোমবার

কবিতা - তাদের কথা

 

তাদের কথা

মোঃ ইজাজ আহামেদ 

 

নদীর তীরে  তারা বসতি স্থাপন  করেছিল 

জায়গা কিনে সাধের নীড় তৈরি করেছিল বাবুই পাখির মতো;

বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে জীবন-জীবিকা করছিল নির্বাহ;

নদীর কলকল ধ্বনি, 

জলে রবির উদয় ও অস্ত যাওয়ার ছবি, 

মৃদুমন্দ বাতাস, চাঁদের জোছনা তাদের হৃদয়ের সাগরে 

 প্রফুল্লতার জোয়ার নিয়ে আসত;

তাদের দু- চোখের তারায় স্বপ্নেরা ভিড় জমাত;

নদীর ঢেউ তাদের গান শুনাতো, 

বাতাস ঢেউয়ের সঙ্গে নৃত্য করতো

 আর তাদের দেহ-মনে আদর এঁকে যেত;

রুপালি ভোর, রুপালি জ্যোৎস্না ভরা নিশি 

তাদের বাড়িতে উঁকি মারতো 

আর গঙ্গার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতো;

সূর্য ঘুম থেকে জেগে উঠতো 

সোনালী আভা নিয়ে তটিনীর আকাশে;

তারাও জেগে উঠতো  ঘুম থেকে,

মুখ দেখতো জলের আরশিতে,

সূর্য তাদের আদুরে চুমু দিত;

গোধূলিবেলায় তারা , তাদের স্বপ্নের নীড়গুলো,

তরঙ্গিনী, তাদের মাঠগুলো, তাদের বাগানগুলো

গোধূলি আলোর  পোশাকে সজ্জিত হতো;

গঙ্গা-পদ্মা হতে রুপালি শস্য আসতো পাতে,

শরতের কাশ তাদের হাতছানি দিয়ে 

বেড়াতে ডাকতো তাদের বাড়ি কাশবনে;

সেই ডাকে সাড়া না দিয়ে পারতো না তারা থাকতে;

দিনগুলো কতই না মধুর ছিল!

কিন্তু বর্ষা রানীর আগমন হতেই

নব যৌবনা স্রোতস্বিনী উত্তাল হয়ে উঠলো;

তাদের স্বপ্নের দিনগুলো, স্বপ্নের বাড়িগুলো 

দুঃখ স্বপ্নে পরিণত হলো;

তারা আতঙ্কে শুধু প্রহর গুনলো;

তাদের ভিটেমাটি স্রোতের গ্রাস কবলে পড়লো;

ভিটেমাটি তাদের দুঃখ দুর্দশাকে নিয়ে 

ইতিহাসের পিঠে চড়ে যেতে লাগলো সময়ের দেশে ।

 

 

 

 

 

 

পরিচিতি: 

মোঃ ইজাজ আহামেদ (Md Ejaj Ahamed) একজন দ্বিভাষিক কবি, লেখক, সম্পাদক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও পিস অ্যাম্বাসেডর। তিনি ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার অরঙ্গাবাদের মহেন্দ্রপুর নামক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৯০ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি। তিনি পরিবারের ছয় ভাই বোনের মধ্যে বড়ো। পিতা-মোঃ সামসুদ্দিন বিশ্বাস, মাতা-মতিয়ারা বিবি। শিক্ষাগত যোগ্যতা- ইংরেজি অনার্স, ট্রিপল এম.এ, বি.এড, ডি. এল.এড। তিনি বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুলে ১২ বছরের বেশি সময় ধরে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীন সেখপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন । ছোট থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন। স্কুলে পড়াকালীন ক্লাসে প্রায় প্রথম হতেন, অবশ্য দুইবার তৃতীয় হয়েছিলেন। মাধ্যমিকে সুতি থানা এলাকায় তিনি প্রথম হয়েছিলেন। ছোট থেকেই পারিবারিক আর্থিক প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে পড়ার পাশাপাশি লেখালেখি চালিয়ে যান। ডি এন সি কলেজে পড়াকালীন কলেজের 'অয়ন' পত্রিকায় প্রত্যেক বছর তাঁর বাংলা-ইংরেজি কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হত। তাঁর বাংলা-ইংরেজি কবিতা, প্রবন্ধ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পত্রিকা, জার্নাল ও যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর কবিতা আরবী, চীনা, কোরীয়, তুর্কী, ইতালীয়, আলবেনীয়, তাজিক, পোলিশ, হিন্দী, রুশ ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে Discovery and the Golden peak of Improvement এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের বইয়ে Exploring New Trends and Innovations in English Language and Literature নামক দুটি রিসার্চ পেপার প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ 'স্বপ্ন তরী', 'বাংলা সাহিত্য ও সিনেমায় গোয়েন্দা চরিত্র', 'মনের পাণ্ডুলিপি', 'হৃদ-ক্যানভাস', 'অন্তরের কাব্যকথা', নির্বাচিত কবিতা মানবতা ও শান্তির জন্য' ও 'পড়ন্ত সন্ধ্যা'। তিনি 'স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকা'র সম্পাদক, 'আন্তর্জাতিক সাহিত্য সুবর্ণ' পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর একজন সদস্য ছিলেন, বর্তমানে উপদেষ্টা মন্ডলী হিসেবে আছেন এবং কাদেরী টাইমস পত্রিকার উত্তরবঙ্গ সম্পাদক। তিনি মাদার টেরেজা ফাউন্ডেশন- এর মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি। তিনি ভারত ও বাংলাদেশের কবিদের কবিতার সংকলন 'কবিতার আকাশ', 'কবিতার অরণ্য' ও 'কবিতার সাগর' সম্পাদনা করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন খবরের কাগজে সাংবাদিকতা করেন। তিন কবিরত্ন, সহিত্যিকরত্ন, বঙ্গবন্ধু সন্মাননা, নূর মহম্মদ স্মৃতি সন্মাননা সহ অনেক পুরস্কার এবং বেশ কয়েকটি দেশের ইউনাইটেড নেশনস ও ইউনেস্কো স্বীকৃত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বিভিন্ন সন্মাননা ও সাম্মানিক ডক্টরেট পেয়েছেন। তিনি সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন প্রদত্ত রাজা রামমোহন রায় স্মৃতি স্মারক সম্মান পেয়েছেন।

 ইকরা ফাউন্ডেশন থেকে আইকন অফ পিস অ্যায়ার্ড, ইকরা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক কবিতা সম্মেলন ২০২২- এ বাংলাদেশ বেস্ট অ্যায়ার্ড ২০২২ পেয়েছেন। 

 

তিনি যেসকল সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের পদ লাভ করেছেন (পদবীসহ) : সম্পাদক- স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকা, উত্তরবঙ্গ সম্পাদক - কাদেরী টাইমস, উপদেষ্টা - 'আন্তর্জাতিক সাহিত্য সুবর্ণ' পত্রিকা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক- জয় বাংলা সাহিত্য পরিষদ (বাংলাদেশ)।

প্রেসিডেন্ট, মুর্শিদাবাদ জেলা - মাদার টেরেজা ফাউন্ডেশন 

মডারেটর-লন্ডন পোয়েটস্ ক্লাব( ইংল্যান্ড), মডারেটর ও অ্যাম্বাসেডর - ইন্টারন্যাশনাল লিটারেসি স্টাডি( বাংলাদেশ), অ্যাম্বাসেডর- জেনিসিস ওয়ার্ল্ড রাইটার্স কমিউনিটি (নাইজেরিয়া), অ্যাম্বাসেডর- 'অ্যাসোসিয়েজিওন কালচারাল পার লা পেস এল উমানিতা' ( রোমানিয়া), অ্যাম্বাসেডর- 'ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাম্বাসেডরস একাডেমি' র সদস্য(মিশর)। অ্যাম্বাসেডর- 'ইকরা ফাউন্ডেশন' (জেরুজালেম), 'গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডরস অফ সাসটেইনেবিলিটি'র সদস্য ও সার্টিফাইড অফিসার (দুবাই), পিস অফ মেম্বার অফ 'ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস' (মিশর), সদস্য- 'ফেদার অ্যান্ড এক্সটেন্ডার হিউম্যানিটি একাডেমি' ইউরোপ এবং তুরস্ক শাখা, সদস্য- গ্লোবাল ফ্রেন্ডস ক্লাব, অ্যাম্বাসেডর ফর ওয়ার্ল্ড পিস- ফাউন্ডেশন মারিয়া গ্লাডেজ।

১২:১১ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২৪ রোববার

Poem - Halt Station, Poet - Lee, Hee Kuk (South Korea)

Halt Station 

Lee, Hee Kuk

 

Several layers of silence lie like railroad sleeper tie

This place

Time which does not look back

There is only a disappearing direction to look at for a long time

When the railroad track bent into a corner,

The corner of the sky is torn apart,

The space is wet 

Season of deafness,

Time is deaf

The expression of spring that has come back from a long way,

yellow on the railroad

At what point did the folded heart transfer?

Those who left never returned 

Azaleas from the back mountain wave red hands

Another person passes by at the halt station of memories

There is a wrinkled time that do not straighten out

About the Poet:

Lee, Hee Kuk is a Korean poet. Born in Seoul city of South Korea. He is Pharmacist and Adjunct Professor of College of Pharmacy, The Catholic University of Korea. He is a member of Executive of PEN Korean Center of PEN International. He is a Vice president of Korean Association of World Literature and president of Ieodo Literature Association. He published 5 poetry books. He won 4 Literature awards. 

 

 

১১:২৭ এএম, ১৪ জুলাই ২০২৪ রোববার

Article - The Escape Where

 

 

Harba Where (The Escape Where)

Muhammad Rahal

Poet, researcher in heritage (Algeria)

 

 

 This song is considered one of the most famous songs sung in the style of rai art that has reached the world in different languages. It is the Arabic version of the famous song “Zouyt Ruit” by the late great artist Idir, which was sung in the year 1976. It is a song from the Amazigh folklore, and its words were written from popular words. In the year 1976, at the time, some expressions of this heritage were evident, whether in the traditional musical arrangement, and this song became more popular when Khaled Haj Ibrahim performed it in the year 1987 with the popular song “Sha’ar al-Haraba Wayn”

 

Its words go back to the popular poet Muhammad Ankar and were written by Cheb Khaled in 1987. It is considered a popular, social poem that mimics the period that Algeria was experiencing in transitional stages and various genres in the late eighties.

 

 

 When the art of Rai became famous through the first popular song sung on the national radio: Tal: Adhabi wa Ki Rani Mukhtar in 1984, and he was the first activist in the state of Oran in 1985, and the art of Rai became famous and heard. The concept of Rai lyrics changed by presenting special topics in commercial songs. He was present, his words became polite, heard in every drink and sung through a popular story written from good poetry and performed by the opinion artists of that period such as Yama, Had the Eye on It, Jet, Beloved of My Heart, Hatta Bibio, Your Wings by the friend and poet Suleiman Jawadi, unlike popular stories, “Palestinian poetry.” The popular ones in the period of resistance 1830____1954, such as Al-Marsam, Companions of Gunpowder, Sahl Al-Bayd, Al-Manfi, Dor Oran, Oran, Oran, which accompanied other popular poems such as Lovers of Zein, Yamina, Bakhta, Saeeda Farida, all of which were sung and performed and were not different topics, so they told the course and eras of control. Including immigration, the forced exile of Algerians in various terms from 1850 - 1924, and also the role of the Algerian mujahideen in World War II, and poetry poems sung in love during the Algerian resistance period. Poetry included all periods in which the topics of his poems varied between revolutionary verses, romantic poems, and social poems.

 

Her fame as a song

 

 It became famous for the song “Al Harba Wen” immediately after its release, and it was repeated by many artists. After its success, “Fan Al Rai” became famous in the year 1992. After Didi’s album, Khaled signed a contract with Barclay and Universal in Europe. This song was programmed in all the charts in the nineties and entered the European beer by honoring Tarata in the version. Western, it was distributed musically and frequently in many rai songs in all countries of the world in the 1990s.

 

 

This period witnessed a very great global musical competition between all the musical styles in the world, such as pop, dance, jazz, funk, country music, and rap, with the art of rai that entered into them and blended with their music. She also sang duets with Cheb Idir on many occasions at the beginning of the celebration in the year 1992____1997.

 

 In 1999, her music arrangement was on the album “Kenza”.

 

Kenza is a singing album by Cheb Khaled, released in 1999 in Arabic exclusively under the name of Khaled II’s daughter, Kenza. The album received a gold level certificate according to the National Union for Phonographic Production. The entire album was reissued.

 

 By Arc 21 and Ras Records, which are international music companies in the United States of America in the year 2000, two songs were chosen to film the video clip “Si Lanoi” and the song “Al Harba Wen”.

 

Wayne with the Indian artist “Ria” and he was the first Arab artist to click with an Indian artist in 1999.

 

 

 

Lyrics target the song

 

The song's writer is in the sea of the popular tripartite, as it is called in western Algeria

 

The sweetness of time has passed

The good is gone and the bad is gone

The pond swirled, wings flew... bugs

 

 

Even from the human heart

He turned and returned to tar

The world has brought back a flood of gardens and meadows

 

 

 

The world is over

Whatever it is, it's okay

To crush a woman

No one has a measure

Where is the fugitive?

Where is the fugitive?

Where is the fugitive?

Tell me, tell me, poor thing

Where is the fugitive?

Where is the fugitive?

Where is the fugitive?

Say, say, poor thing

 

 

What remains in this world is safety

Other than waste and hatred

The brave returns to the coward, live and see

All you hear is “was and was.”

They cut into human flesh

They drink in the blood of the brothers, not the blood of the fathers

 

 

How many problems and sorrows

Where to escape?

Where to escape?

Where is the fugitive?

Say, say, poor thing

 

Where to escape?

Wh

ere, where, where

Where to escape?

Say, say, poor thing.

 

 

Mohamed rahal

 

০৮:১৮ এএম, ১৪ জুলাই ২০২৪ রোববার

Poem - Why Do Our Moments of Love End

 

 

 

Why Do Our Moments of Love End

Fadwa Attia 

Egypt 

 

I loved your love and spent my days with you. 

Why then why do our moments of love end In separation because our love is not by our hands but from God?

For how long? Then for how long? 

I chose our days, we cried, our love separated, 

But my heart beats with your love and you still love me. 

Why did you leave, my lifelong lover?

We may return to each other, 

But will our love remain as it was? 

It is nothing but a little love from me to you And I leave it to God who arranges our days, my lifelong lover.

 

 

 

Biography:

Fadwa Attia Mohamed Aly Salah Eldin

Date of Birth: 22/12/1976

Place of birth: Cairo

Specialization: Photography - Oil Painting - Decorative Theater.

 

Education:

Bachelor Degree, Faculty of Applied Arts, Major- Décor 2000

 

Membership:

 Member of the Association of Applied Arts Designers – décor

 

Jobs undertaken by the artist

 

- Décor designer

- Head of the Department of Fine Arts Palace of Child Culture of the Ministry of Culture 

- Member of the Association of Applied Arts Designers (Décor department) and a member of the Cairo Atelier for artists and writers (active member)

 

Special exhibitions

 

- Exhibition (sense revolution) in cultural Bait Al Kaseed, Mansoura, November 2011

-The Special second exhibition of hanajer, Hekayty gallery, July 2014

- The third special exhibition - My story in a state - the Cairo International Book Fair, February 2015

 

Civil and group exhibitions

 

 Exhibition of the Ministry of Manpower-

- Exhibition of young workers at Sakia of addul Meniem El Sawy, 2004

- Sixth Salon of Nile for Photography, 2007

- Competition of Rateb Sadeek, Cairo Atelier, 2007

- Exhibitions of Photography Association, Cairo Atelier and the Russian Cultural Center in 2007

- Twentieth saloon for the civil Association for Fine Arts at the Hall of (Fine Arts and Music Library Opera House) in February 2008

- The second Festival for fine Creativity (General Exhibition, Thirty first session) 2008

- Civil Association of Fine Arts, 2008

- Spring Salon Exhibition 2008

- Exhibition (camera and artist) Artists of the Egyptian Society of Photography, Hall of the Fine Arts gallery, musical Library in June 2009

- Photography exhibition of artists of the Egyptian Society of Photography, Hall of Rateb Sadeek, Cairo Atelier, June 2009

- Exhibition (Ramadan) Artists of the Egyptian Society of Photography, Arts Hall at the Musical Library in September 2009

- Eighth Port Said National Biennale, at the Nasr Museum of Modern Arts and the General Library of Mubarak, Port Said in March 2009

- - Seventh Salon of Nile for Photography, 2009

- - Gallery (Arts Photography) Egyptian Association of Photography - Talaat Harb Cultural Center - November 2009

- - Fifth Spring Salon at the halls of (the bridge and the word 2) at Sakia of Abdul Moneim El Sawy April 2010

- Civill Association of Fine Arts Salon (XXI) Cairo Atelier May 2010

- Gallery (Visions of light) of the Egyptian Association of Photography at Hall of Arts - musical Library - Opera House in June 2010

- The fourth Fine creativity festival (general exhibition, Thirty-third Session 2010

- The fourth Fine Creativity Festival (market of small art works) at the halls (the Nahdet Masr and Isis) at Mahmoud Mokhtar Cultural Center - Mahmoud Mukhtar Museum June 2010

- Exhibition (artist and camera) for Artists of the Egyptian Association of Photography, Talaat Harb Cultural Center in November 2010

- Small Business Exhibition (today) at Mahmoud Mokhtar Cultural Center - Mahmoud Mokhtar Museum, July 2011

- Photography Exhibition (Egypt, mother of civilizations) at Talat Harb Cultural Center- July 2011 

- The XXI Salon, The civil Association for Fine Arts - Hall of Music Library, Egyptian Opera House in 2011

- The General Exhibition of Fine Arts (34) session in 2012

- Pentathlon Gallery (beautiful my country) Cairo Atelier (Photography) 2012

- Salon Gallery (Fine Art group 25) Cairo Atelier 2012

- Eighth Nile Salon of Photography in 2013

- General Exhibition of Fine Arts (35) in May 2013

- General Exhibition of Fine Arts (36) in June 2014

- The first Salon of Records, opera House

- General Qomsier of the e first Egyptian Arab Forum for Hanajer 2013

- - General Qomsier of the first International Forum of Hanajer 2014, each of them belong to the General Authority for Cultural Palaces (Giza cultural branch)

- General Qomsier Egyptian contemporary creations in 2014, which includes the greatest professors of arts, applied, art and kind education colleges at the musical library in opera house.

 

International and group exhibitions

 

- Nubian African exhibition at opera house (oil painting) in 2012

Exhibition and Forum of Arabs fingerprints Fine Artists in 2012-

 

Technical Assignment and public posts

 

- Supervision of the Fine Arts Department at the General Federation of young workers so far

 

Publications and cultural Activities

 

, the most famous are: - Design and oversee many of the most famous plays decorations

- Ostrich show, First distinguish Décor in Giza second festival for free theater (Certificate of Merit) and two offers of professionality, Moftah Keda Mertah ( First show: premiere starring Farooq Najib - Khalil Mursy - Mervat Saad 2007) and (second Show trial of Naguib Mahfouz Starring Olfat Imam and Ibrahim Abdel Qader 2003) 

- She has published articles of the Cultural surrounding in the Ministry of Culture and ready to issue a collection of short stories

 

 

 

Local awards

- Fifth place in the republic in Graphic in the population problem contest from the Ministry of Information in 2002

- - Certificate of Merit of theatrical Décor, the second on the republic from the Ministry of Youth and Sports in 2002

- - Certificates of appreciation from the General Authority for Cultural Palaces in 2003 - 2004 (supervision on the talents of Fine Arts)

- Certificate of Merit from the Fine Arts Sector (Ministry of Culture) on the occasion of the supervision of the Fine Arts Gallery (workers Day) 2004

- Third place on the Republic in drawing Signboards from the Ministry of Manpower in 2006

- Certificate from Youth and Sports Directorate - Leadership Development Center in Manial theatre arts Workshop in 2006

- Certificates from the general authority of information complex of peace flags 2006/2007 for training talent of Fine art for child Club

- Fourth place on the Republic of Photography from the Ministry of Manpower in 2007-

- Certificate of Merit from the Ministry of Culture and Social Affairs and Youth (formerly)

- Certificate of Merit in the presentation of the first ostrich distinguish decor in Giza second festival for free theater in 2007

- Prize of Special arbitration committee in the seventh Nile Salon of Photography, 2009

- - Certificate of Appreciation from Moneera youth center in the Fine Arts Competition women's role in community development.

- Certificate of Merit from the Ministry of Social Affairs – Al Rowad Magazine for a theatrical show, great Bahloul,

written and directed by Amin Bakir in the design and supervision of the Décor.

 

 

০৮:০৬ এএম, ১৪ জুলাই ২০২৪ রোববার

Puspaprovat Patrika