বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অনুপ্রবেশকারীকে খুঁজে খুঁজে বের করব বললেন অমিত শাহ

শঙ্কর গুপ্ত

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৭:৩৬ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

প্রতিটি অনুপ্রবেশকারীকে রাজ্যে থেকে খুঁজে খুঁজে বের করবে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার । এরপর তাদের এই বাংলা থেকে বের করে দিবো

আজ উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে সভা থেকে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাস করিয়েছে সরকার। এর ফলে ভারতের বাইরে থেকে আসা শিখ, বৌদ্ধ, হিন্দু, শিখরা এদেশে নাগরিকত্ব পাবেন।’ এরাজ্যের শরনার্থীদের উদ্দেশ্যে অমিত শাহ বলেন, ‘বলা হচ্ছে নাগরিকপঞ্জী চালু হলে শরনার্থীদের রাজ্য ছাড়তে হবে। আপনাদের স্পষ্ট বলে দিতে চাই, সরকার আইন পাস করেছে কোনও শরনার্থীকে রাজ্য ছাড়তে হবে না। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈনরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। তিনি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যতই শক্তিই প্রয়োগ করুক না কেন শরনার্থীদের বের করার কোনও ক্ষমতা নেই আপনার।’ তিনি এদিন নরেন্দ্র মোদীকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানাতে পদ্মফুলে ভোট দেবার আবেদন জানান । তিনি এদিন বলেন পাকিস্তানের থেকে গুলি এলেই, এদিক থেকে জবাব দেওয়া হবে। ইটের জবাব পাথরে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে পুলওয়ামায় ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যুর বদলা নেওয়া হয়েছ। তিনি বলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি পাকিস্তানের প্রতি প্রত্যাঘাত চাননি।- অথচ পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা ভারতীয় জওয়ানদের হত্যা করেছে। তার জবাব দিয়েছে ভারত। তিনি এ দিন জনগণের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন খুব শিগ্রই পশ্চিমবঙ্গে নতুন দিন আসছে, নতুন সকাল নিয়ে আসবেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন গত ৫ বছরে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রকল্পের হিসেব বাংলার জনতাকে দিতে এসেছি আমি। তিনি বলেন আমরা জনগণের কাছে দায় বদ্ধ কোনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধীর কাছে নয়। অমিত শাহ এদিন বলেন এই রাজ্যে থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে না সরালে এখানে আয়ুষ্মান ভারত তারা করতে দিবে না । অমিত শাহের এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন তুলে বলেন , এই রাজ্যের সরকারে থেকে এতদিন গরিবদের জন্য কী করেছেন? কিন্তু ভারতবাসীর জন্য 'আয়ুষ্মান ভারত'-এর সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কিন্তু, মমতাদিদির জন্য আপনারা এখানে সবদিক দিয়ে বঞ্চিত।- তিনি বলেন সব শরণার্থীরা এখানে আশ্রয় পাবেন। বৈধ নাগরিকদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। তাঁরা সম্মানে থাকতে পারবেন। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন অমিত শা বলেন - ইমামদের ভাতা যদি তারা দিতে পারে তবে পুরোহিতদের ভাতা কেন দিচ্ছেন না?- বাংলায় গণতন্ত্র থাকবে কিনা, ঠিক করবে এই ভোট।- এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করার চেষ্টা করছে কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটে এখানে শুধু হিংসা হয়েছে। জোর করে মানুষদের ভোট দিতে দেয়নি বলে এদিন মন্তব্য করেন অমিত শাহ। এখানে সব কিছুর জন্য তোলা দিতে হয়। বাংলায় সরস্বতী পুজো, দুর্গা পুজোর জন্য অনুমতি নিতে হয় তৃণমূলের সরকার থেকে। তৃণমূল কংগ্রস মানে তোলাবাজি, টোলট্যাক্স আর সিন্ডিকেট। বিজেপিকে কেউ আটকাতে পারবে না। বাংলায় এবার ২৩টা আসন জিতবে বিজেপি। তিনি আরো বলেন যে বাংলায় রবীন্দ্রনাথের গান, চৈতন্যদেবের কীর্তন শোনা যেত, এখন সেই বাংলাতেই বোমার আওয়াজে ভরে উঠেছে।বাংলায় গণতন্ত্র, সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তৃণমূলের হার নিশ্চিত।পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংস করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।বাংলার জন্য এই নির্বাচন অস্তিত্ব রক্ষার।আগামী ৫ বছরে দেশের দিশা ঠিক করবে এই নির্বাচন।